সংসদে শীর্ষ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করল অর্থমন্ত্রী

Perlamentস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নতুন করে দেশের ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষ থেকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ তালিকায় শীর্ষ খেলাপি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নতুন করে যুক্ত হয়েছে জনতা ব্যাংকের আলোচিত গ্রাহক অ্যাননটেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপের দুটি করে প্রতিষ্ঠান।

তালিকা অনুযায়ী, অ্যাননটেক্সের খেলাপি দুই প্রতিষ্ঠান হলো সুপ্রোভ স্পিনিং ও সুপ্রোভ রোটর স্পিনিং এবং ক্রিসেন্টের রিমেক্স ফুটওয়্যার ও ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস। দেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকায় এ চার প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন, ঋণখেলাপির যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে কিছুসংখ্যক ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। তার জবাবে অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হয়। সরকারি দলের সদস্য ওয়ারেসাত হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০ ঋণখেলাপির নাম–ঠিকানাও প্রকাশ করেন।

অর্থমন্ত্রী জানান, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ১১৮ জন। তবে কে কত টাকার ঋণখেলাপি, তা উল্লেখ করা হয়নি।

মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি হচ্ছে কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমস লিমিটেড, সামান্নাজ সুপার অয়েল লিমিটেড, বিআর স্পিনিং মিলস লিমিটেড, সুপ্রোভ স্পিনিং লিমিটেড, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, রাইজিং স্টিল লিমিটেড, কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড, বেনিটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস, এসএ অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড, রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আনোয়ারা স্পিনিং মিলস, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড, সুপ্রোভ রোটর স্পিনিং লিমিটেড, ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ, চৌধুরী নিটওয়্যার লিমিটেড, সিদ্দিক ট্রেডার্স, রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেড, আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেড এবং এমএম ভেজিটেবল অয়েল প্রোডাক্টস লিমিটেড।

সরকারি দলের সাংসদ হাজি সেলিমের প্রশ্নের জবাবে সংসদে অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয়টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ (সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত) ৪৪ হাজার ২৮৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ১২ হাজার ৫২৬ কোটি ৫৩ লাখ, জনতা ব্যাংকের ১২ হাজার ২২ কোটি ৫৪ লাখ, বেসিক ব্যাংকের ৮ হাজার ৪৪১ কোটি ৫৬ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকের ৫ হাজার ৬৪৮ কোটি ৫৩ লাখ, রূপালী ব্যাংকের ৪ হাজার ৮৭০ কোটি ৪৭ লাখ এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ৭৭৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

সরকারি দলের সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) প্রতি আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেইল আউট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারি মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ৭১৫ কোটি টাকার মূলধন সরবরাহ করেছে।

সরকারি দলের সাংসদ দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল জানান, দেশে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৭টি তফসিলি ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ১১ লাখ ১৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। একই সময়ে বিনিয়োগের পরিমাণ ৯ কোটি ২২ লাখ ৮৮৪ কোটি ৫ লাখ টাকা।

সরকারি দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল জানান, ডিসেম্বর ২০১৮ মাসের হিসাব অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দৈনিক গড় লেনদেন সংখ্যা ৬৭ লাখ ৭৭ হাজার। এতে দৈনিক ১ হাজার ৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

এদিকে, এবারের খেলাপির তালিকায় শীর্ষ ২০-এ উঠে আসা অ্যাননটেক্স গ্রুপের কর্ণধার ইউনুছ বাদল। আর ক্রিসেন্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিমেক্স ফুটওয়্যারের কর্ণধার আবদুল আজিজ, তিনি আবার চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধারও। এ ছাড়া ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টসের কর্ণধার আবদুল আজিজের ভাই আবদুল কাদের। ঋণ কেলেঙ্কারি ও অর্থ পাচারের দায়ে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। মামলার অভিযুক্ত আসামি আবদুল কাদের বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

২০১৮ সালের প্রভিশন সঞ্চিতি সংরক্ষণের ঘাটতিতে ১৫ ব্যাংক

bankস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশের রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও বেসরকারি ১৫ ব্যাংক গত বছর শেষে চাহিদা অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশনিং) সংরক্ষণ করতে পারেনি। এসব ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের বড় অংশের মান খারাপ হওয়ায় ব্যাংকগুলোর সঞ্চিতি ঘাটতি দেখা দিয়েছে। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসব ব্যাংকের মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের মুনাফায় টান লাগত যদি চাহিদা অনুযায়ী সঞ্চিতি জমা রাখতে হতো। তাই মুনাফা কমে যাওয়ার ভয়ে অনেকে প্রয়োজন অনুযায়ী সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেনি।

আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, ব্যাংকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঋণের মান বিবেচনায় নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়। ব্যাংকগুলো তার মুনাফা থেকে চাহিদামতো সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সাল শেষে যে ১৫টি ব্যাংক সঞ্চিতি সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও বেসিক ব্যাংক। বেসরকারি খাতের ভালো ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ঢাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ও ট্রাস্ট ব্যাংক। আবার আগের মতো বাংলাদেশ কমার্স, এবি, ন্যাশনাল, প্রিমিয়ার, শাহ্‌জালাল, সোস্যাল ইসলামী, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকও নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে পারেনি। এদিকে ২০১৩ সালে কার্যক্রমে আসা সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকও এবার চাহিদা অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে পারেনি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে কিন্তু মুনাফা সে অনুযায়ী বাড়েনি, সেসব ব্যাংকই চাহিদামতো নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে পারেনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রমালিকানাধীন কয়েকটি ব্যাংক বছরের পর বছর চাহিদামতো নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে পারছে না। সেই সঙ্গে গত তিন বছরে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকও একই সমস্যায় পড়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট সঞ্চিতি ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬১৪ কোটি টাকায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর ৫৭ হাজার ৪৩ কোটি টাকা নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণের প্রয়োজন ছিল। তবে ওই সময়ে ব্যাংকগুলো ৫০ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা সংরক্ষণ করতে পেরেছে। গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা, কমার্স ব্যাংকের ৫৯৩ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংকের ৭২০ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্টের ৭০৫ কোটি টাকা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের ২ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬১৯ কোটি টাকা, শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ২১ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৭৯৩ কোটি টাকা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের ৮০ কোটি টাকা ও ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

সিঙ্গার বিডির ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

singerস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল শিল্প খাতের কোম্পানি সিঙ্গার বিডি লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বাের্ড সভায় গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড।

এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১.৯৬ টাকা।

আগামী ২৩ এপ্রিল কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ মার্চ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮.৪৪ শতাংশ

dseস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেন ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৪ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এই সপ্তাহের লেনদেন কমেছে ২৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারের দখলে ছিল ৮৯ দশমিক ০২ শতাংশ। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৭৪ কোটি ৬৩ লাখ ২৪ হাজার ৭০৭ টাকার। ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারের অংশগ্রহন ছিল ৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। এসব শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪১ কোটি ৫৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এন’ ক্যাটাগরির অংশগ্রহন ছিল ১ দশমিক ০১ শতাংশ। এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। ডিএসইর লেনদেনে গেলো সপ্তাহে ‘জেড’ ক্যাটাগরির দখলে ছিল দশমিক ৯১ শতাংশ। এসব শেয়ারের লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।

এদিকে, গত সপ্তাহে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। আলোচ্য সময়ে ৩৫১ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ৮২ টি, কমেছে ২৪২ টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪ টি এবং লেনদেন হয়নি ৩ টি কোম্পানির শেয়ার দর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/