বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক ডেকেছে ডিএসই

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় সম্পর্ক আলোচনা করতে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক ডেকেছে। এ বৈঠকে শীর্ষ ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। ডিএসইর পক্ষ থেকে স্টক এক্সচেঞ্জটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম এ হাশেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম মাজেদুর রহমানসহ পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আজ বিকাল ৩ টায় ডিএসইর বোর্ড রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ, গত কিছুদিন ধরে পুঁজিবাজারে টানা দরপতন হচ্ছে। ক্রমেই পতনের মাত্রা তীব্র হচ্ছে। গতকাল রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৫৮ পয়েন্ট কমেছে। সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমে গেছে ব্যাপকভাবে। এর কারণ পর্যালোচনা ও করণীয় ঠিক করতে তাই স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্লক মার্কেটে ১১ কোটি টাকার লেনদেন

blockস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সোমবার ব্লক মার্কেটে ৭ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইন্দোবাংলা ফার্মা। কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয়েছে।

লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গার বিডি। কোম্পানির ৩ কোটি ৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয়েছে।

সামিট পাওয়ার মার্কেটে লেনদেনের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। কোম্পানির ২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ব্লকে লেনদেন করা অন্যান্য কোম্পানি হচ্ছে- ব্র্যাক ব্যাংক ১ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার, ঢাকা ব্যাংক ১০ লাখ ২০ হাজার, জেএমআই সিরিঞ্জ ৯ লাখ ৪৪ হাজার এবং ইউনাইটেড পাওয়ার ৯৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

শেয়ারবাজারে সূচকের সাথে বেড়েছ লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

তিন কার্যদিবস পতনের পর আজ সোমবার উত্থানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন। বেড়েছে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দর। এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫৩০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৮৫ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার। যা গত কার্যদিবস থেকে ৩১ কোটি টাকা বেশি। গত কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৫৪ কোটি ৩৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

আজ ডিএসইতে ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৩ শতাংশ বা ১৮৪টির, কমেছে ৩২ শতাংশ বা ১১১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫ শতাংশ বা ৫০টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২২৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

অধিকাংশ বিনিয়োগকারী গুজবের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করে

confarance-1 (1)স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মো: মাহবুবুল আলম বলেছেন, সচেতন বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য বিনিয়োগকারীদের আর্থিক শিক্ষা অধিকাংশ বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত না হওয়ায় তারা গুজবের ভিত্তিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে থাকে।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব ভবনের মাল্টিপারপাস হলে ‘বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্স’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবুল আলম বলেন, অধিকাংশ বিনিয়োগকারী নিজের আর্থিক অবস্থা এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি বিশ্লেষন না করে অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে বা লোক মুখে বিভিন্ন ধরনের গুজবের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করে। তারা কোম্পানির আর্থিক বিবরণী এবং অন্যান্য তথ্যাদিও সঠিকভাবে বিশ্লেষন করতে পারে না। যেহেতু তারা গুজব, ধারনা এবং আবেগের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করে। এর ফলে বাজারে তথ্যের অসামঞ্জস্যতা বৃদ্ধি পায়। এসব বিনিয়োগকারী অনেক সময় বড় বিনিয়োগকারীদের অনুসরণ করে থাক। ফলে বাজারে কারসাজির সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, সঠিক বিনিয়োগ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বিনিয়োগকারীরা গুজব এবং আবেগের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শুধু নিজের ভবিষ্যত বিপন্ন করে তা নয়, তাদের কার্যক্রমে শেয়ারবাজার তথা দেশের অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।

মাহবুবুল আলম আরো বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বজায় রাখা ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে বিনিয়োগ শিক্ষা পৌঁছে দেয়া এবং দেশের প্রতিটি মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা, তাদের জীবনে অর্থের ভূমিকা, সঞ্জয়ের প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সুবিধা, সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রূপান্তর করার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষার জ্ঞান ও পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করাই বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের লক্ষ্য।

আগামি ২৮ মার্চ ঢাকায় এবং ৩০ মার্চ চট্টগ্রামে বিভাগীয় ‘বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল ও চট্টগ্রামে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় উন্নয়ন কেন্দ্রে লেনদেন নয়

bbস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায় উন্নয়ন কেন্দ্রে কোনও ধরনের লেনদেন করা যাবে না। রবিবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শাখা বা বুথ স্থাপন অথবা স্থানান্তরের পাশাপাশি যেকোনও ধরনের ব্যবসায় উন্নয়ন কেন্দ্র (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার, কল সেন্টার ইউনিট অফিস, সেলস অফিস) কোনও ধরনের আমানত গ্রহণ বা ঋণলিজ প্রদান সংক্রান্ত কোনও আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। তবে এলাকাভিত্তিক গ্রাহক সেবা, পরামর্শ প্রদান, অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তিকরণ, প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ উন্নয়নসহ সরাসরি অর্থায়ন ব্যবসা নয়, এমন কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার বা যেকোনও অফিস স্থাপনের জন্য পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের কপিসহ নির্দিষ্ট ছকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আগেই অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্রেক্সিট ইস্যুতে আরেকটি গণভোট সম্ভব: ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ব্রেক্সিট কার্যকর নিয়ে চলমান অচলাবস্থা কাটাতে এ ইস্যুতে নতুন করে আরেকটি গণভোট আয়োজনের কথা বললেন যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। ব্রেক্সিটের প্রতিবাদে লন্ডনে লাখো মানুষের সমাবেশের একদিনের মাথায় রবিবার নিজের এমন অবস্থানের কথা জানালেন থেরেসা মে-র মন্ত্রিসভার এই প্রভাবশালী সদস্য। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
এর আগে দুই দফা থেরেসা মে-এর প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তি নাকচ করে দেয় দেশটির পার্লামেন্ট। রবিবার স্কাই নিউজ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন, আমি নিশ্চিত নই যে, পার্লামেন্টে দ্বিতীয় আরেকটি গণভোটের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে কি-না। কিন্তু এটি পুরোপুরিভাবে একটি যৌক্তিক প্রস্তাব। এট বিবেচনার যোগ্য।

এদিকে ব্রেক্সিট ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে শনিবার লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে মিছিল নিয়ে সমবেত হন লাখ লাখ মানুষ। তাদের এ ক্যাম্পেইনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পুট ইট টু দ্য পিপল’। আয়োজকরা বলছেন, পার্লামেন্টের সামনে সমাবেশ শুরুর আগে বিক্ষোভে যোগ দেন ১০ লাখেরও বেশি ব্রিটিশ নাগরিক। যে কোনও ব্রেক্সিট চুক্তির জন্যও গণভোটের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির উপনেতা টম ওয়াটসন, স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টার্জন, লন্ডনের মেয়র সাদিক খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিভ প্রমুখ। নতুন ব্রেক্সিট গণভোটকে জনগণের মধ্যে সৃষ্ট বিভক্তি নিরসনের পথ বলে মনে করেছেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এবার ভুটান-শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও নৌবাণিজ্য

govস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

এবার দক্ষিণ এশিয়ার আরো দুটি দেশ ভুটান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও জাহাজ চলাচলের দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। জাহাজ চলাচলের বিষয়ে বাংলাদেশের মতো ভুটান ও শ্রীলঙ্কাও বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে।

দুই দেশের সঙ্গে আগেই সমঝোতা স্মারক করা আছে। এখন অপেক্ষা স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিউর (এসওপি) সই। সব ঠিক থাকলে এ বছরেই দুই দেশের সঙ্গে জাহাজ চলাচল শুরু হবে। অবশ্য ভারতের সঙ্গে প্রথমে যেভাবে যাত্রীবাহী জাহাজ দিয়ে যাত্রা শুরু হচ্ছে, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওই দুই দেশের সঙ্গে প্রথমে চলবে কার্গো জাহাজ। যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে পরে যাত্রীবাহী জাহাজ ছাড়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কার্গো জাহাজ চালু করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন। ওই দুই দেশের ব্যবসায়ীদেরও জাহাজ চালুর বিষয়ে আগ্রহ আছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, দুই দেশের সঙ্গে কার্গো জাহাজ চালু হলে পণ্য আনা-নেওয়া সহজ হবে। পণ্য পরিবহনে খরচ কমে যাবে। একই সঙ্গে সময়ও বাঁচবে।

নৌসচিব আবদুস সামাদ বলেন, ‘ভুটান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের জাহাজ চলাচলের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। দুই দেশের সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এখন এসওপি সই হবে। আশা করছি, এ বছরই জাহাজ চলাচল চালু করা সম্ভব হবে। ’

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাহাজ চলাচলে রুট নির্ধারণে আজ ভুটানের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসছে। প্রতিনিধিদলে সে দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রয়েছে। বিআইডাব্লিউটিসির সহযোগিতায় আগামী ৩১ মার্চ প্রতিনিধিদল রুট নির্ধারণে নামবে। এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকেও বসবে। দুই দেশের সম্মতিতেই এসওপি সই হবে। দেশটি বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করতে চায়। এতে করে সে দেশের ব্যবসায়ীদের খরচ কমে আসবে।

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও নৌ প্রটোকল চুক্তির বিষয়ে চিঠি চালাচালি চলছে দুই দেশের মধ্যে। এরই মধ্যে একবার খসড়া পাঠানো হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তাতে কিছু বিষয়ে দেশটি তাদের মতামত জানিয়েছে। ওই সব মতামত সংযোজন করে শিগগিরই ওই খসড়া আবার পাঠানো হবে। দুই দেশ সম্মত হলে এ বছরই এসওপি সই হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের নৌ প্রটোকল নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয় চার বছর আগে ২০১৫ সালে। এরও তিন বছর পর গত বছর ২৫ অক্টোবর দুই দেশের মধ্যে এসওপি সই হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৯ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে। আগামী ২৯ মার্চ ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে এমভি মধুমতী। ভারতের মধ্যে অন্য দুই দেশের সঙ্গেও বাংলাদেশের নৌ প্রটোকল নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়ে আছে ২০১৬ সালে। অবশ্য এখনো এসওপি সই হয়নি। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, দুই দেশের সঙ্গে এসওপিতে সই করা চূড়ান্ত পর্যায়ে। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভুটান সফরে যান, তখন দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ভুটান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা প্রথমে কার্গো জাহাজ চালু করব। পরবর্তী সময়ে যদি যাত্রীরা আগ্রহ দেখায়, তখন যাত্রীবাহী জাহাজ চালু হবে। তবে এই সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ এত লম্বা সময়ে কেউ জাহাজে করে ওই দুই দেশে যেতে চাইবে না। তার ওপর বঙ্গোপসাগর। ভারতে জাহাজে করে একজন যাত্রী যেতে যতটা আগ্রহ দেখাবে, অন্য দুই দেশের ক্ষেত্রে তা ক্ষীণ। তিনি বলেন, যদি দুই দেশের সঙ্গে কার্গো জাহাজ চালু করা সম্ভব হয়, তাহলে সময় ও খরচ দুটিই কমে আসবে। ’

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে যত ধরনের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংযোজন ঘটবে, ততই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক। কারণ আমরা চাই, আমাদের পণ্যটি যাতে দ্রুত যেতে পারে। এক দিন আগে যদি আমার একটি পণ্য পৌঁছে যায়, সেটি আমাদের জন্য লাভজনক। শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের সঙ্গে যদি আমাদের কার্গো জাহাজ চলাচল শুরু হয়, ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে ঠিকই, তবে এখানে ভারতের অবস্থানও দেখতে হবে। কারণ ভুটানে কোনো পণ্য রপ্তানির আগে অবশ্যই ভারত হয়ে যেতে হবে। তাই তাদের মনোভাব জানাও জরুরি। ’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/