সরকারের ১০০ দিন ছিল উদ্যোগহীন, উচ্ছ্বাসহীন : সিপিডি

CPDস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বর্তমান সরকারের ১০০ দিন ছিল উদ্যোগহীন, উদ্যমহীন, উৎসাহহীন ও উচ্ছ্বাসহীন। এমনভাবেই মূল্যায়ন করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সিপিডি আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সরকারের এ মূল্যায়ন তুলে ধরেন। বর্তমান সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে এ মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সম্মানিত ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

দেবপ্রিয় বলেন, সরকারের বিগত ১০০ দিনকে আমরা উৎসাহহীন, উদ্যোগহীন, উচ্ছ্বাসহীন এবং একইসঙ্গে উদ্যমহীন হিসেবে দেখেছি। আমরা আশা করেছিলাম, একটি বড় ধরনের ১০০ দিনের উত্থানে রূপান্তরিত হবে। কিন্তু, যা হয়েছে, তা হচ্ছে গতানুগতিক ধারাবাহিকতা। নতুনভাবে সেরকম কিছু আমরা লক্ষ্য করিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘এই ১০০ দিনে যে ধরনের উদ্যোগ আমরা দেখেছি, সে ধরনের উদ্যোগ মিশ্র ইঙ্গিত দিচ্ছে। কী মিশ্র ইঙ্গিত দিচ্ছে? আমরা লক্ষ্য করেছি, বিভিন্ন কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আমরা দেখেছি সুদের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর ফলে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত হবে এটা আমরা মনে করি না। মনে হয় যেন কোথাও সরকারকে একটি ‘প্রোথিত গোষ্ঠী’ করায়ত্ত করে নীতি নির্ধারণ করছে।

দেবপ্রিয় আরও বলেন, উন্নয়নের যে ধারণা তার সঙ্গে নীতি প্রণয়নের ধারণার অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে জন প্রতিনিধিদের যে ধরনের ভূমিকা সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার জন্য যে ধরনের কাঠামগত সংস্কারের দরকার ছিল, সেগুলোর কিছু হয়নি। এই ১০০ দিনে আমরা আশা করেছিলাম অসঙ্গতিগুলো দূর করা যাবে। আমরা সে ধরনের সচেতনতাও দেখিনি, সে ধরনের পদক্ষেপও দেখিনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান হল ১ হাজার ৬৫০ মিটার

padma-bridge-spanস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ১১তম স্প্যান বসানো হয়েছে। সেতুর ৩৩ ও ৩৪ নম্বর খুঁটির ওপর ‘৬সি’ নম্বর স্প্যানটি মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে বসানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সেতুর ১ হাজার ৬৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।

সেতু বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকে স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু হয়। দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীরা খুব সহজেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি বসিয়ে দেন।

এর আগে সোমবার সকালে মাওয়ার কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজটি ৩৩ ও ৩৪নং খুঁটির সামনে অবস্থান নেয়। তিন হাজার ৬শ’ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ নামের ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজটি যথা স্থানে নোঙ্গর করানো হয়। এরপর ক্রেনটি ধুসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসিয়ে দেয়।
হুমায়ুন কবির জানান, চলতি মাসে এই নিয়ে দু’টি স্প্যান বসলো। এই প্রথম খুব অল্প সময় অর্থাৎ ১৩ দিনের ব্যবধানে দু’টি স্প্যান উঠলো। এর আগে ১০ নম্বর স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তে গত ১০ এপ্রিল বসানো হয়।

এছাড়া চলতি মাসেই ১২ নম্বর স্প্যানটি বসানোর কথা জানিয়ে ওই প্রকৌশলী বলেন, তবে স্প্যানটি বসানো হবে অস্থায়ীভাবে। এই স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসবে ৩২ ও ৩৩ নম্বর খুঁটির ওপর। কিন্তু ৩২ নম্বর খুঁটিটি পুরোপুরি সম্পন্ন না হবার কারণে এটি ৩২ ও ৩৩ নম্বর খুঁটির কাছাকাছি কোনও খুঁটিতে অস্থায়ীভাবে বসানো হবে। কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে জায়গা সংকুলান না হবার কারণে ১২ নম্বর স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে খুঁটির ওপর রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৫৫টি পাইল সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাকি ৩৯টি পাইল খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন। সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ২৩টি খুঁটি সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাকি ১৯টি খুঁটির কাজও চলছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ের তৃতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ

ehl-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন শিল্প খাতের কোম্পানি ইষ্টার্ণ হাউজিং লিমিটেডের চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার ডিএসই সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এই প্রান্তিকে (জানু-মার্চ, ১৯) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৯ টাকাা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.৭৭ টাকা। এ হিসাবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির আয় বেড়েছে।

এছাড়া (জুলাই ১৮-মার্চ, ১৯) এ ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৮৫ টাকাা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২.৭৬ টাকা। এ হিসাবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির আয় বেড়েছে।

এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬০.৫০ টাকা। যা ২০১৮ সালের ৩০ জুন ছিল ৬০.১৪ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম

বাংলাদেশ শিপিংয়ের তৃতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ

bsc-300x150স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত প্রকৌশল শিল্প খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেডের চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার ডিএসই সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এই প্রান্তিকে (জানু-মার্চ, ১৯) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৭ টাকাা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.৩৮ টাকা। এ হিসাবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির আয় বেড়েছে।

এছাড়া (জুলাই ১৮-মার্চ, ১৯) এ ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৬ টাকাা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.০৭ টাকা। এ হিসাবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির আয় বেড়েছে।

এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৫.০৯ টাকা। যা ২০১৮ সালের ৩০ জুন ছিল ৫৩.৬১ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম

ইরান থেকে তেল আমাদানি বন্ধের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের

oilস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশগুলোকে খুব শিগগিরিই আমদানি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গেলো বছর কয়েকটি আমদানিকারক দেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও আবার তা পুনর্বহাল করা হচ্ছে বলেও জানায় যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার শিথিলতা আর কার্যকর রাখতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে ২০১৫ সালে ইরানের জ্বালানি খাতে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ইতালি ও গ্রিসকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশ বেড়েছে জ্বালানির দর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

৮ম বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম সেমিনার ২৭ এপ্রিল

888888888888888888888স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আগামী ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম সেমিনারের ৮ম আসর। বেক্সিমকোর পরিবেশনায় আয়োজিত এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে। সেমিনারটির এ বছরের থিম হলো “ডিজিটাল যুগে মানব সংযোগ স্থাপন।”

এ দিন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক যুগ উদযাপন করা হবে। দিনটি যথাযথভাবে পালন করার জন্য নানাবিধ আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম সেমিনার-২০১৯ এ এবার থাকছে ৩টি কী-নোট সেশন, ৫টি প্যানেল ডিসকাশন, ১টি ইনসাইট সেশন, ১টি অ্যাক্টিভিটি সেশন এবং ৩টি ব্রেকআউট সেশন।
২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সেমিনারটি দেশীয় ব্যবসায়িক ও কর্পোরেট প্রফেশনালদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারের কী-নোট বক্তা হিসেবে থাকবেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর-এর একাডেমিক ডিরেক্টর (এক্সেকিউটিভ ডিরেক্টর) এবং মার্কেটিং-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর প্রেম এন শামদাসানি, পিএইচডি; অগিল্ভি অ্যান্ড ম্যাথার ওয়ার্ল্ডওয়াইড-এর ব্র্যান্ড ও ইনোভেশন বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সিসিও এবং কলিন্স-এর সিসিও ও কো-ফাউন্ডার ব্রায়ান কলিন্স; এবং ফোর্বস মার্কেটিং উইক-এর কলাম লেখক ও ম্যাকিনজে লিডারশিপ প্রোগ্রাম-এর ডিন থমাস বারটা। তিনি বেস্টসেলিং মার্কেটিং লিডারশিপ প্রোগ্রাম বই “দ্য টুয়েল্ভ পাওয়ারস অব এ মার্কেটিং লিডার”-এর লেখক হিসেবেও সুপরিচিত।

সেমিনারের ৫টি প্যানেল ডিসকাশনের বিষয়বস্তু হচ্ছে ব্র্যান্ডের ডিজিটাল পরিবর্তন সাধন; ব্র্যান্ডের জন্য কোনটি গুরুত্বপূর্ণ – অবস্থান নির্ণয় নাকি উদ্দেশ্য-আদৌ কি এগুলো গুরুত্বপূর্ণ?; তথ্য-সৃজনশীলতা-গোপনীয়তা-মূল্য সৃষ্টি: আকর্ষণটি কোথায়?

‘নাউ মোমেন্ট’ তথা মুহূর্ত-ভিত্তিক যুগে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী বিতর্ক; এবং কেন টেকসই উন্নয়নের যুদ্ধে ব্র্যান্ডগুলোকে নেতৃত্বস্থান গ্রহণ করা উচিত?

সেমিনারটিতে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকে “দ্য টুয়েল্ভ পাওয়ারস অব এ মার্কেটিং লিডার” বইটির একটি করে সৌজন্য কপি পাবেন।

সেমিনারটিতে অংশগ্রহণের জন্য ভিজিট করুন http://bbf.digital/bbfseminar2019 সূত্র: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

জ্বালানি খাতে সমম্বিত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সম্মত ব্রুনাই

8888স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

জ্বালানি খাতে সমম্বিত সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ব্রুনাই। আজ মঙ্গলবার দেশ দুটির এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বার্থে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার যোগান দিতে বাংলাদেশে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহসহ সরকার-টু-সরকার (জিটুজি) চুক্তির আওতায় দুই দেশ জ্বালানি খাতে সমম্বিত সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৩৫তম বার্ষিকীতে সুলতান বলকিয়াহর আমন্ত্রণে ব্রুনাই দারুস সালামে তিন দিনের সরকারী সফর শেষে শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন।

যৌথ বিবৃতি আরও বলা হয়, পেট্রোকেমিক্যাল, সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান, কারিগরি সহযোগিতা ও সক্ষমতা উন্নয়নের মতো খাতে দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমম্বিত সহযোগিতায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ সম্মত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতা বিনিয়োগের সম্ভাবনার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বিশেষ করে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, জ্বালানি, আইসিটি, জাহাজ নির্মাণ, ম্যানুফ্যাকচারিং,পর্যটন অবকাঠামো, ব্লু ইকোনমি এবং পাট শিল্পের মতো খাতে পারস্পরিক বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সম্মত হয়েছেন।

ব্রুনাই দারুসসালাম বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী ‘হালাল ফুড মার্কেটে’ প্রবেশের সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। হালাল ফুড শিল্পে ব্রুনাইয়ের দক্ষতা প্রমাণিত।

পারস্পরিক চুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষ প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নে স্বাস্থ খাতে সহযোগিতা আরো জোরদার করবে উভয় দেশ। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ, হেলথ কেয়ার প্রফেশনাল নিয়োগ ও ওষুধ উৎপাদন ও বাণিজ্যের পাশাপাশি বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতায় সম্মত হয়েছে।

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগে কার্যকর সুযোগ সুবিধা দিতে আর্থিক কার্যক্রম জোরদারে দুই দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতি উভয় পক্ষ জোর দিয়েছে।

অভিন্ন স্বার্থ এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, পরিবেশগত সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে জাতিসংঘ, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি), কমনওয়েলথ এবং আশিয়ান আঞ্চলিক ফোরামসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহযোগিতা আরো জোরদারে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। আশিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে অব্যাহত চেষ্টার প্রতি দুই নেতা সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং এই সম্পর্ক উন্নয়নে পারস্পরিক লাভবান হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে তারা সম্মত হয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের মানবিক সহযোগিতা প্রদান এবং তাদের প্রত্যাবাসন উদ্যেগের প্রতি ব্রুনাই দারুস সালাম সমর্থন দিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ায় পাশাপাশি তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বতঃস্ফুর্ত প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টার জন্য ব্রুনাই বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য সুলতানের সরকার এবং কক্সবাজারে ফিল্ড হাসপাতালে জরুরি ওষুধ ও স্বাস্থ উপকরণ সরবরাহ এবং আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য ইয়াং ডি পারতুন অফ ব্রুনাই দারুসসালামের প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবৃদ্ধি লাভ এবং সামাজিক খাতে অসামান্য সাফল্য অর্জন করায় ব্রুনাইয়ের সুলতান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত করা ও স্বীকৃতি লাভ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ নির্ধারিত যোগ্যতার মানদণ্ড সফলভাবে পূরণ করায় অভিনন্দন জানান।

ব্রুনাই দারুসালাম খাদ্য ও কৃষি খাতে বাংলাদেশের সফলতা স্বীকার করেছে এবং কৃষি, মৎস্যচাষ এবং গবাদি পশু পালন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছে।

উভয়পক্ষ কৃষি ও খাদ্য পণ্য খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্ভাবনা অন্বেষণ করবে এবং জাতীয় উন্নয়ন অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে সহযোগিতা করবে।

নেতৃবৃন্দ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা স্বীকার করে সর্বাধিক রপ্তানি সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে নিজ নিজ দেশের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে সক্রিয় বিনিময় উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তারা সক্রিয়ভাবে যথাযথ ব্যবস্থার অধীনে একটি অগ্রাধিকার বাণিজ্য ব্যবস্থার সম্ভাবনা বিবেচনা করবেন এবং এ লক্ষ্যে একটি যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।

দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নেতারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তারা এ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তাদের সহযোগিতা জোরদার করার উপায় অন্বেষণ করার ওপর জোর দিয়েছেন। সূত্র: বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

‘কোথায় পতন হচ্ছে? শেয়ারবাজার ঠিকই আছে’

kamalস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মনে করেন, দেশের শেয়ারবাজার ঠিকই আছে। তাঁর মতে, এ বাজার খারাপ অবস্থানে নেই, বরং সাংবাদিকেরা বাজার নিয়ে নানাভাবে ভয় দেখাচ্ছেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) গিয়ে সংস্থাটির শীর্ষ কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাংক-আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বসন্তকালীন বৈঠক শেষে গত রোববারই অর্থমন্ত্রী দেশে ফেরেন। এরপর গতকাল সোমবার সরকারি ছুটির দিনে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে তিনি বিএসইসি কার্যালয়ে যান

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএসইসির সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছেন ঠিকই, তবে বিশেষ কোনো অ্যাজেন্ডা নেই তাঁর। ছুটির দিনে কেন এই বৈঠকের আয়োজন হলো—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাই তো পত্রিকায় লিখছেন, শেয়ারবাজার নেই, বাংলাদেশ নেই, কোথায় সে রকম ঘটনা ঘটেছে?’

এদিকে বাজারে টানা পতনের প্রতিবাদে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মতিঝিলে বিক্ষোভ করছেন বিনিয়োগকারীরা। গত এক মাসের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় আড়াই শ পয়েন্ট। আর তিন মাসের ব্যবধানে সূচকটি কমেছে ৬২৬ পয়েন্ট। এ সময় লেনদেনও হাজার কোটি টাকা থেকে কমে নেমে এসেছে সাড়ে তিন শ কোটি টাকায়।

তিন মাস ধরে বাজারে পতন হচ্ছে এবং গত ২০ বছরে এত লম্বা সময় বাজার খারাপ ছিল না—এ তথ্য তুলে ধরে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোথায় পতন হচ্ছে? সূচক ছিল ৪ হাজার ৫০০ পয়েন্ট, হয়ে গিয়েছিল ৫ হাজার ৯০০ পয়েন্ট। বাজারে কাউকে জোর করে নিয়ে আসা যাবে না। কেউ ইচ্ছে হলে আসবেন, নইলে আসবেন না। সূচক যে অবস্থায় আছে, আমরা খারাপ দেখি না।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বাজার চলে আপনাদের দ্বারা। কিন্তু যেভাবে চালাচ্ছেন—মনে হয় বাজারই নেই। সূচক ৫ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৩০০ পয়েন্ট হলে কী এমন হয়ে যায় বলুন তো!’ এ সময় মন্ত্রী কিছু উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, জাপানে ১৯৮৯ সালে যে সূচক ছিল ৩৯ হাজার পয়েন্ট, ২০০৭ সালে তা নেমে আসে ৭ হাজার পয়েন্টে। যুক্তরাষ্ট্রেও ১৭ হাজার থেকে ৭ হাজার পয়েন্টে নেমে আসে সূচক।

দুনিয়ার সব জায়গাতেই এ রকম হয়—এমন মন্তব্য করে মুস্তফা কামাল আবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা ভয় দেখাচ্ছেন। ভয় দেখালে তো হবে না। মুশকিল হচ্ছে আমাদের বাজারটা অন্যদের মতো নয়। অন্যদের বাজারে যাঁরা আসেন, বুঝে-শুনেই আসেন। আমাদের বাজারে জেনে-বুঝে আসা লোক কম।’

বৈঠক শেষে বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খাইরুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাজারে আস্থার সংকট থাকা উচিত না। বাজারের অংশগ্রহণকারী হয়ে কেউ যদি আস্থার সংকটের কথা বলে থাকেন, তাহলে তিনি অন্যায় কাজ করেছেন। কারও পারসেপশন (ধারণা) দিয়ে বাজারকে প্রভাবিত করা উচিত না। এমন কিছু এখন ঘটেনি, যার জন্য আস্থার সংকট হবে।

বাজার নিয়ে যা-তা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে খায়রুল হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারতেও সূচকের পতন হয়। কিন্তু সেসব দেশে কেউ বিক্ষোভ করে না।
১৯৯৬ ও ২০১০ সালের বাজার ধসের পেছনের লোকদের খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী। বাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভালো কেউ বাজারে আসবে না। এলে খারাপগুলোর সঙ্গে মিশে ভালোগুলোও খারাপ হয়ে যাবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

এমএল ডায়িংয়ের ৩য় প্রান্তিকের বোর্ড সভা ৩০ এপ্রিল

ML Dyingস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র শিল্প খাতের কোম্পানি এমএল ডায়িং লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ৩০ এপ্রিল আহবান করা হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটির ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা তিনটায় রাজধানীর গুলশান অবস্থিত নিজস্ব অফিসে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

এ সভায় কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি