গোপন পিন ও এটিএম কার্ড ছাড়াই টাকা মিলবে বুথে

booth1457084911স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে যুগে যুগে অর্থ লেনদেনে ব্যাংকিং খাত বিভিন্ন প্রশংসনীয় পন্থা অবলম্বন করেছে। এবার গোপন পিন ও এটিএমন কার্ড ছাড়াই শুধু আঙুলের ছাপে টাকা তোলার সহজ উপায় আবিষ্কার হলো। ‘জনতা সোলার এটিএম’ নামের এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন কলকাতার একদল গবেষক।

যেটাতে, কষ্ট করে আর পিন নম্বর মনে রাখার দরকার হবে না।

এটিএম কার্ডেরও প্রয়োজন পড়বে না। তাই যত্ন করে সেই কার্ড রাখার প্রয়োজনও হবে না। যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি বা সারা দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে, সেখানে এই এটিএম চালানো যাবে অনায়াসেই, শুধুমাত্র সৌরবিদ্যুৎ থাকলেই চলবে।

আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ’ এর এক গবেষণাপত্রে সম্প্রতি এমনই এক আকিষ্কারের কথা উঠে আসে। দ্রুতই ভারতে চালু হতে যাচ্ছে এ এটিএম।

এ নিয়ে গবেষক শান্তিপদ গণচৌধুরী জানান, জনতা সোলার এটিএম যেহেতু চালানো হবে সৌরশক্তিতে, তাই বিদ্যুত্শক্তির সাশ্রয় হবে। তা ছাড়া কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছালেও, সেখানে সৌরশক্তিতে চলা এ এটিএমকে পৌঁছে দেওয়া যাবে। যা অত্যন্ত সাশ্রীয়। যেমন বিদ্যুৎ খরচ কম, তেমনই কম মূল্যে পাওয়া যাবে এটিএম। সূত্র : আনন্দবাজার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩১.৮৬ শতাংশ

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে। এসময় সূচক আগের সপ্তাহের অবস্থান থেকে নেমে এসেছে। বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ৩১ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৪৬১ কোটি ৫১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনের থেকে ৩১.৮৬ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল (ডিএসই) ২ হাজার ১৪৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ২৯২ কোটি ৩০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৪২৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৫.০৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৩০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২২.৭৪ পয়েন্ট কমে ১১৯৭ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৩.১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮১৮ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৫৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির শেয়ার ও ইউনিট দর। আর ৩টির কোনো লেনদেন হয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

‘মানি মার্কেটের সঙ্গে শেয়ারবাজারের সমন্বয়হীনতায় কমিশনের কি করার থাকে’

khairulস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মানি মার্কেটের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার অভাব তাহলে কমিশনের কি করার থাকে বলে মন্তব্য করেছেন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর স্কাই সিটি হোটেলে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেন, শেয়ারবাজারের সঙ্গে মানি মার্কেট ও অর্থনীতির উন্নয়নের সর্ম্পক্য সরল রেখার মতো না। এই সর্ম্পক্য অত্যান্ত জটিল। তাই বলব আপনারা (সাংবাদিকেরা) সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে দেখেন, গত কয়েক মাসের সূচকের পতনে রেগুলেটরের কোন ভূমিকা আছে কিনা। আজকে যদি ১১-১২ শতাংশ হারে ডিপোজিট চাওয়া হয়, ৪০ হাজার কোটি টাকার জায়গায় যদি ৬৪ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র চাওয়া হয়, যদি মানি মার্কেটের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার অভাব থাকে, তাহলে কমিশনের কি করার থাকে। তারপরেও আমরা অনেকগুলো বিষয় অ্যাড্রেস করেছি। আমাদের কাজ হলো প্রত্যেকের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে বাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদেরকে শক্তিশালী করার জন্য একদিকে যেমন বিনিয়োগ শিক্ষার দরকার, অন্যদিকে আইন-কানুন সর্ম্পক্যে জানানো, স্টক এক্সচেঞ্জের কি দায়িত্ব, মার্চেন্ট ব্যাংকের কি দায়িত্ব ইত্যাদি জানানো দরকার। প্রয়োজনে কমিশন থেকে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ে লেখালেখি করা সাংবাদিকদের বসার জায়গা নেই। তাদের জন্য অফিসের দরকার। কিন্তু আমাদের সামর্থ্য সীমিত। এক্ষেত্রে সমস্ত অংশীজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান করব। যাতে সাংবাদিকেরা বসার জায়গা পায়। সেখানে শুধু তারা বসে গল্প করবে না, যাতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির অগ্রগতির স্বার্থে, শেয়ারবাজারের উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে তারা যাতে অগ্রনি ভূমিকা রাখতে পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সাংবাদিকদের পাশে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে সত্যকে সত্য বলার মতো শুধু সৎ সাহস না, সত্যকে সত্য বলার মতো যে জ্ঞান অর্জনের দরকার, তা অর্জন করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান ও শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ প্রমূখ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা, খন্দকার কামালউজ্জামান, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান, সিএসইর পরিচালক ছায়েদুর রহমান, শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সিএমজেএফের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেলসহ সংগঠনটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড