৫ দিনে বাজারমূলধন বেড়েছে ৭,৯৫০ কোটি টাকা

index upস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৭,৯৫০ কোটি টাকা বা ২.০২ শতাংশ।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৩৩.৭৭ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৪১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৪৯২ কোটি ৬৭ লাখ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৩৬৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩৩.৭৭ শতাংশ বেশি।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৬.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২৯.৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৭৮ পয়েন্টে। তবে শরিয়াহ সূচক ২৯.৮০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪৪ পয়েন্টে।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৬০টির, কমেছে ৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির শেয়ার ও ইউনিট দর। আর ২টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এম

বাজেটে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটিয়েছে : ডিএসই

kamalস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নতুন বাজেটে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের শেয়ারবাজারের সংস্কারমূলক দিক নির্দেশনা ও একগুচ্ছ প্রণোদনা প্রদান করে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটিয়েছেন৷ উল্লেখযোগ্য প্রণোদনা সমূহের মধ্যে-

* স্টক ডিভিডেন্ড এর পরিবর্তে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানকে উৎসাহিত করার জন্য কোনো কোম্পানি স্টক ডিভিডিন্ড প্রদান করলে সংশিষ্ট কোম্পানিকে উক্ত স্টক ডিভিডেন্ডের উপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান।

* কোনো কোম্পানির কোনো আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার উপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান।

* পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি হতে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব।

* নিবাসী ও অনিবাসী সকল কোম্পানির ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ড আয়ের উপর একাধিকবার করারোপ রোধ করার বিধান কার্যকর করার প্রস্তাব।

* শেয়ারবাজারে কোন রুগ্ন কোম্পানিকে যদি কোন আর্থিক দিক থেকে সবল কোম্পানি আত্মীকরণ করতে চায় সেটা বিবেচনা করার প্রস্তাব।

শেয়ারবাজারকে সম্প্রসারণ ও গতিশীল করার জন্য সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নতুন অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে৷ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আশা করে যে, সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য যে সমস্ত প্রস্তাবাদি রাখা হয়েছে এতে বাজারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে৷ বেসরকারী খাত আরো শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে যা দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি আকৃষ্ট করবে৷

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি