ব্যাংকে শত শত কোটি টাকার লেনদেন; টাকার উৎস জানা নাই

new takaস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

কয়েকজন যুবলীগ নেতাসহ একাধিক ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে শত শত কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সম্প্রতি ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযানে যাদের নাম এসেছে এর মধ্যে ১২ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল আবারও দুই প্রকৌশলীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। দুই প্রকৌশলী হলেন- গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে এনবিআর। চিঠি পাওয়ার পর দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। লেনদেন স্থগিত থাকা ব্যক্তিদের বাইরেও বড় লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যক্তি অ্যাকাউন্টে বড় লেনদেন বা অর্থ ছাড়ের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাৎক্ষণিক তথ্য জানাতে বলেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, স্থগিতকৃত অ্যাকাউন্টে আয়ের কোনো বৈধ উৎস খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাতে অন্তত আটটি ব্যাংকে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থায়ী আমানত বা এফডিআরের টাকার আয়ের উৎস নেই। এসব অ্যাকাউন্টে সব ধরনের লেনদেন কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে ব্যাংকিং লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে।

বিএফআইইউ ও এনবিআর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। রিমান্ডে থাকা যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০০ কোটি টাকা আছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তার এফডিআরের বাইরে লেনদেন হতো প্রতি মাসে কয়েকশ কোটি টাকা। এসব অর্থের বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছে বিএফআইইউ। তবে ব্যাংকগুলোর পাঠানো প্রাথমিক তথ্যে আয়ের উৎস হিসেবে শুধু ব্যবসা দেখানো হয়েছে। সূত্র : বিডি প্রতিদিন

স্টকমার্কেটবিডি.কম/