বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে স্থানীয় গার্মেন্টস মালিকদের দোষে। ব্যবসায়ীদের পরামর্শ নিয়েই এটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিজেদের প্রতিযোগিতা ও কম দামে পণ্য বিক্রির কারণেই গত তিন মাসে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তৈরি পোশক রফতানিতে প্রবাহ কমেছে।’
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গার্মেন্টস শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে আলোচনার পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘‘আমরা নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। এনআরবির চেয়ারম্যান ও অর্থসচিব সমস্যাগুলোর বিষয়ে শুনেছেন। সমস্যাগুলোর সমাধানে তারা কাজ করবেন।
তিনি বলেন, আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পে যে ‘নেগেটিভ গ্রোথ’ সেটা কীভাবে বাড়ে, সেজন্য নেতারা পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা (এনবিআর ও অর্থ বিভাগ) কাজ করবেন। কিছু সমস্যা আমাদের হয় ক্লিয়ারেন্সের জন্য, জাহাজীকরণের জন্য অনেক সময় লাগে, বন্দরে দীর্ঘ সময় থাকে। এছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে। এসব ব্যাপারে কথা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কথা, সবগুলোই বিবেচনায় নিয়ে এ ব্যাপারে কাজ করে আমরা ব্যবস্থা নেবো। মূলত আলোচনা হয়েছে রেডিমেট গার্মেন্টসের গত তিন মাসে যে ‘নেগেটিভ গ্রোথ’ সেখান থেকে কীভাবে ফিরে আসতে পারি।”
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডলারের দাম নিয়ে যে সমস্যা, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেটা নিয়ে কী করা যায়, ব্যাংকগুলোর ডলার কেনা-বেচার মধ্যে যে পার্থক্য, সেটাও আমাদের ব্যবসায়ী নেতারা তুলে ধরেছেন। ডলারের রিভ্যালুয়েশনের কথা বলেছি। সেগুলো তারা দেখবেন। আর ব্যাংক ইন্টারেস্ট একটি বড় ফ্যাক্টর— বিশেষ করে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) একনেকের বৈঠকে বিশাল আলোচনা হয়েছে, কীভাবে সেটি কমানো যায়। কারণ ১২ থেকে ১৪ শতাংশ প্রাইভেট ব্যাংকগুলো এই ইন্টারেস্ট দেয়। সেটা কীভাবে কমানো যায়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/