৬৩ কারখানা বন্ধ, ৩২ হাজার শ্রমিকের কাজ নেই : বাণিজ্যমন্ত্রী

tipuস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী জানিয়েছেন, গত বছরে বিজিএমইএ’র আওতাধীন ৬৩টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এতে ৩২ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। তবে বিকেএমইএ’র অধীনে থাকা কোনো কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়নি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে আজ টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা এমপি বেগম শামসুন নাহারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী আরও জানান, বিকেএমই’র অধীনে থাকা ২২শ’ কারখানার মধ্যে ৯২০টি সদস্যপদ নবায়ন করেছে। সদস্যপদ নবায়ন না করায় ১ হাজার ২৮০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রপ্তানি আদেশ পাওয়া সাপেক্ষে কারখানাসমূহ পুনরায় সক্রিয় হতে পারবে।

তিনি আরও জানান, চাকরি হারানো শ্রমিকগণের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচির আওতায় এই কর্মরত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এর অধীনে তৈরি পোশাক খাতে ভবিষ্যতে কাজ করবে এমন জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

বাংলাদেশ ও ভারতের বস্ত্রখাত একসঙ্গে এগিয়ে : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

golamস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের বস্ত্রখাত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্ট্রি ফোরাম (আইবিটিআইএফ)’ এর এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের বস্ত্র খাতের সম্প্রসারণ ও রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী প্রথম সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের বস্ত্রখাত বিশ্বব্যাপী আরও সম্প্রসারিত হবে। দুই দেশের বস্ত্র খাতের ব্যবসা বাণিজ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে আলোচনার মাধ্যমে তা দূর করা হবে। ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বিষয়ে আরও বিস্তর আলোচনা সাপেক্ষে দুই দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই সিদ্ধান্ত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, আমরা দুই দেশের যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে বস্ত্র খাতের সম্ভাবনা উন্মোচনের চেষ্টা করবো। এর ফলে দুই দেশেরই বস্ত্রখাতের সাথে সাথে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে। দু’দিনের আলোচনার মাধ্যমে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টেক্সটাইল ফোরাম’কিছু সিদ্ধান্তে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পেরেছে। যা বস্ত্রখাতের টেকসই উন্নয়নে এই ফোরাম সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য ঘাটতি দূর করতে সহায়তা করবে৷

তিনি বলেন, বস্ত্র খাতের উন্নয়নে এই ফোরাম প্রতিবছর খুব নিখুঁতভাবে আমদানি-রফতানির চিত্র পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে, যা উভয় দেশ তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। উভয় দেশের সংশ্লিষ্টরা ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমতে পৌছাতে পারবে। এছাড়াও বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশে খাতটির ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে।

ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বস্ত্র ও পাট খাতের উন্নয়নে দুই দেশ কাজ এক সঙ্গে কাজ করে যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ভারতীয় বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রী রবি কাপুর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, জুট ডাইভারসিফিকেশন এন্ড প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি)’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালামসহ বস্ত্র ও পাটখাত সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

বিদেশে অর্থ পাচারের ঘটনায় মামলা করবে দুদক

dudokস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের ঘটনায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার দৈনন্দিন সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবৈধভাবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের টাকা অথবা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে যারা অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এর পাশাপাশি অর্থ পাচারকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘যে বা যারা অবৈধভাবে ব্যাংকের বা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা পাচার করে বিদেশে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছেন, তাদের প্রত্যেককেই অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ইন্টারপোলসহ আন্তর্জাতিক সব আইনি টুলস-টেকনিক প্রয়োগ করে অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

সব শহরের বিদ্যুতের তার মাটির নিচে যাবে: নসরুল হামিদ

nasrulস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের সব শহরে ৫ বছরের মধ্যে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা (আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবল) গড়ে তোলা হবে। সৌন্দর্যের জন্য এটা করা হবে না৷ এ কাজের উদ্দেশ্য হলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা৷

বুধবার রাজধানীতে বিদ্যুৎ ভবনে আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপনে পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি কেআইএস গ্রুপের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

কোম্পানিটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিতরণ অঞ্চল সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ শহরে বিতরণ ব্যবস্থা মাটির নিচে নেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই, আর্থিক প্রাক্কলন ও প্রকল্প প্রস্তুতে পরামর্শ দেবে। পরামর্শক খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ১ বছর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে বিদ্যুতের তারের জন্য সব গাছের গলা কেটে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা করা যাবে না। এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়। বিদ্যুতের তার ভূ অভ্যন্তরে নিতে হবে। এই আইডিয়া প্রকৌশলীদের দেওয়া উচিত, কিন্তু দুঃখজনক এই পরিকল্পনা তাদের মাথা থেকে আসেনি। এই প্রকল্পের আলোচনার পর তিন বছর কেটে গেল, এটা দুঃখজনক।

সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, এক মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ যাতে না যায় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার চায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমস্ত সিলেট শহর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলের আওতায় আনা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে শহরাঞ্চলে বিতরণ ব্যবস্থা মাটির নিচে যাবে। অনেকে মনে করেন, এতে খরচ বেশি। কিন্ত তারা এটা ভাবেন না, এটার সুফল সম্পর্কে। এখন বিদ্যুৎ গেলেই বলা হয়, ওখানে কাক বসেছিলো, এটা নিয়মিত কথা। আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল হলে এই সংকট থাকবে না।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব সুলতান আহমেদ বলেন, দৃশ্যমান দূষণ রোধ করবে এই প্রকল্প। এতে করে দৃষ্টিনন্দন হবে শহরগুলো।

মেট্রো রেলের সার্বিক অগ্রগতি ৪২ শতাংশ : ওবায়দুল কাদের

obaidul-quader-sm-en20170615130453স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উড়াল সড়ক, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ও মেট্রোরেল প্রকল্পে চীনা নাগরিকরা কর্মরত রয়েছেন। তবে করোনাভাইরাস এসব প্রকল্পের অগ্রগতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালাচনা ও নাগরিক সেবা প্রদান বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে চীনা নাগরিকদের পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে চীনা নাগরিক বর্তমানে ৯৮০ জন কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে থেকে বাইরে (ছুটিতে) আছে ৩৩২। তিমধ্যে ছুটি থেকে ফিরে এসেছে ৩৩ জন। ৩৩ জনের মধ্যে আটজন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত, বাকিরা কোয়ারেন্টাইনে আছে। যদি আগামী দুই মাসের মধ্যে এই অচলাবস্থার (করোনাভাইরাস) অবসান হয় তাহলে আমাদের আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।

তিনি বলেন, আমাদের কাজ চলতে থাকবে যদি না এর মধ্যে ছুটি প্রলম্বিত হয়। তারা নববর্ষের ছুটিতে গেছে। আগামী ১০ তারিখে ১৪ নম্বর স্প্যান বসবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্মার কাজের অগ্রগতিতে কোনো সমস্যা নেই।

কাদের বলেন, দুই মাসের বেশি হলে কিছু সমস্যা হবে। চুক্তি যাদের সাথে তারা বিকল্প কোথা থেকে দেবে? মাস দুয়েকের মধ্যে অসুবিধা হবে না। ওদের অনুপস্থিতিতে সমস্যা হচ্ছে না, সমস্যা হবে দুই-আড়াই মাস পরে। জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি না হলে সব কয়টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে পদ্মা সেতুতে।

পদ্মা সেতুর অগ্রগতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেতুর সব মিলিয়ে অগ্রগতি ৭৭ শতাংশ, মূল সেতু ৮৬ শতাংশ এবং ২৩টি স্প্যান বসেছে।

মেট্রো রেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪২ শতাংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও ৬৮ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে কাজ ৩৬ শতাংশ হয়েছে। এখানে চীনা নাগরিক আছে ৫৮ জন, চীনে গেছে ৩১ জন। ফেরত এসেছে একজন, তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এখানে কোনো ইম্প্যাক্ট পড়বে না।

সড়ক ও জনপথে যেসব ঠিকাদার সময়মত কাজ শেষ করবে না এবং কাজ শুরু করতে গড়িমসি করবে তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

‘অবৈধ বিদেশিরা প্রতি বছর ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার করছে’

tibস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশে অবস্থারত অবৈধ বিদেশি কর্মীরা প্রতি বছর প্রায় ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। অবৈধভাবে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ফলে এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশে বিদেশিদের কর্মসংস্থান: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গবেষণা ও প্রতিবেদন প্রণয়ন করেছেন মনজুর-ই খোদা। আর গবেষণার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বৈধ ও অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রায় আড়াই লাখ বিদেশি কর্মী কাজ করেন। যার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী বৈধ কর্মী রয়েছেন ৯০ হাজার। এদের ন্যূনতম গড় মাসিক বেতন দেড় হাজার মার্কিন ডলার। সে হিসাবে বিদেশি কর্মীদের বার্ষিক আয় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অর্থ পাচার হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ৩০ শতাংশ স্থানীয় ব্যয় বাদে প্রায় ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে চলে যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, বৈধভাবে বিদেশে যায় মাত্র ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাকি অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হয়ে যায়। টাকার অংকে যা প্রায় ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যার মাধ্যমে সরকারের বার্ষিক রাজস্ব ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা।

সার্বিক বিষয়ে টিআইবির পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানিয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে যারা কাজ করতে আসেন তাদের ৫০ শতাংশই ভ্রমণ ভিসায় আসেন। এখানে কাজ যোগাড় করে আবার দেশে ফিরে যান। পরে আবার ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আসেন। বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা বেশি। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করছেন। এমনকি সরকারি প্রকল্পে যেসব বিদেশি কাজ করছেন তারাও ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাজ করছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

  1. লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট
  2. গোল্ডেন হার্ভেষ্ট এগ্রো
  3. বিবিএস ক্যাবলস
  4. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  5. এডিএন টেলিকম
  6. কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ
  7. এসএস স্টিলস
  8. নর্দার্ণ জুট মেনুফেকচারিং
  9. ওয়াটা কেমিক্যালস
  10. খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।

দিনশেষে লেনদেন ও সূচকের পতন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবারও মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় লেনদেনও কমেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে।

ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৪৬৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫১৯ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৪২০ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত কার্যদিবস থেকে ৩৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা কম। গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

আজ ডিএসইতে ৩৫৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ১৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টির।

এদিন লেনদেনে এগিয়ে থাকা কোম্পানিগুলো হলো – লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, গোল্ডেন হার্ভেষ্ট এগ্রো, বিবিএস ক্যাবলস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, এডিএন টেলিকম, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, এসএস স্টিলস, নর্দার্ণ জুট মেনুফেকচারিং, ওয়াটা কেমিক্যালস ও খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৫৮৭ পয়েন্টে। সিএসইতে টাকার অংকে ১৪ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

রিজেন্ট টেক্সটাইলের ২য় প্রান্তিকের আয় ৮ পয়সা

logo-regentস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৯) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২৯ পয়সা।

ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর,১৯) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৬৪ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ২০ পয়সা ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আরএকে সিরামিকসের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

RAK-CERAMIKস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিকস শিল্প খাতের কোম্পানি আরএকে সিরামিক লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০১৯ অর্থ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) এসেছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৭ টাকা ১৮ পয়সা।

আগামী ৩১ মার্চ কোম্পানিটির এজিএমের ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর রেকর্ড ২৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম