গ্যাস রুশ কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া যাবে না: আনু মুহাম্মদ

Anu_Muhammadস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ভোলা গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। বাপেক্স দক্ষতার সঙ্গে গ্যাস অনুসন্ধান করেছে। যখন এটি উত্তোলনের সময়ে এসেছে, তখন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রুশ কোম্পানিকে। কোনোভাবেই দেশের গ্যাস রুশ কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া যাবে না।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ সোমবার বিকেলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে আনু মুহম্মদ এসব কথা বলেন। ‘সুন্দরবন থেকে কক্সবাজার: ভারত-চীন-জাপানের উপকূলবিনাশী সকল প্রকল্প’ বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ঢাকা মহানগর কমিটি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এর আগেও গাজপ্রমের (রাশিয়ার সংস্থা) সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। দেখা গেছে, বাংলাদেশের সংস্থার চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ টাকা লাগে তাদের। এরপরই গাজপ্রম দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারেনি। তাদের কাজের জটিলতাগুলো পরে বাপেক্সকে শেষ করতে হয়েছে। অদক্ষতার, দীর্ঘসূত্রতার পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও তাদের কাজ দেওয়ার কারণ কী?

আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের সরকার যদি জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকত, তাহলে এ ধরনের চুক্তি করতে পারত না। কোনোভাবেই বাংলাদেশের গ্যাস রাশিয়ান কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া যাবে না।

দেশে একের পর এক জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি হচ্ছে মন্তব্য করে আনু মুহাম্মদ বলেন, কমিশনভোগীদের আধিপত্যে দেশের জন্য ভয়াবহ সব চুক্তি হচ্ছে। চুক্তিগুলো যাতে অবাধে করা যায়, সে জন্য ২০১০ সালে দায়মুক্তি একটা আইন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় যা যা করবে, তা নিয়ে আদালতে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। ওই আইনের অধীনে কোনো দরপত্র ছাড়াই রাশিয়ান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। এর আগে চীনা, ভারতীয়, মার্কিন, রাশিয়ান, জাপানি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। এসব কোম্পানির এজেন্টদের যারা এই দেশে আছে, তারাই সরকার চালাচ্ছে।

আনু মুহাম্মদ বলেন, গ্যাসের অভাব থাকার যুক্তি দিয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করে বাংলাদেশকে ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কয়লাভিত্তিক, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যেগুলো করা হচ্ছে, তা বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য নয়। এটি করা হচ্ছে কমিশনভোগীদের সুবিধার জন্য।

সভাপতির বক্তব্যে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক জুলফিকার আলী বলেন, সরকার যদি এই জায়গা থেকে পিছু না হটে, দেশের সম্পদ কাজে না লাগিয়ে বিদেশিদের লুটপাটের সুযোগ তৈরি করে দেয়, তাহলে বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হবে। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

tipuস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শিগগির পেঁয়াজের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে ভারতের নাসিকে পেঁয়াজের দাম ৩৬ থেকে ৩৭ রুপিতে নেমে এসেছে। এবার তাদের প্রয়োজনেই তারা পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করবে। এছাড়া ইতোমধ্যে ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এর পাশাপাশি নিজেদের পেঁয়াজ ওঠা শুরু হলে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমে আসবে দাম।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে সফররত কানাডার সাচকাচোয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী এইচই ডাভিড মারিটের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পেঁয়াজের দাম এবার অনেক বেড়েছে। হয়তো পরো পেঁয়াজ উঠলে সেটা কমে যাবে। কিন্তু দামটা এতটা কমা ঠিক হবে না, যাতে করে কৃষক দাম পায়। ভোক্তার বিষয়টা যেমন নজরে রাখতে হবে, তেমনি কৃষকদের বিষয়টাও দেখতে হবে। ফাইনালি আমরা যদি পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হতে পারি, তাহলে আমাদের সমস্যা থেকেই যাবে। আমাদের পেঁয়াজের ঘাটতি আট থেকে নয় লাখ টন। বছরের পর বছর যদি পরের ওপর নির্ভর করতে হয়, তাহলে যখনই ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেবে, তখনই সমস্যা দেখা দেবে। তাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে কৃষকদের দাম পেতে হবে। দাম না পেলে তারা পেঁয়াজ উৎপাদন করবেন না।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে তারপরও দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজ ফুল স্পিডে এখনও আসেনি। আমি গত ২৪ তারিখে পেঁয়াজ অঞ্চলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বোঝা গেছে আগামী মাসের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহে ফুল স্পিডে পেঁয়াজ ওঠা শুরু করবে। সে সময়টায় পেঁয়াজের দাম কমবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে এডিবি’র ৪২ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন

adbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের পরিবহন সংযোগ এবং বহুমুখী পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রজেক্ট রেডিনেস ফাইনেন্সিং (পিআরএফ)-এর জন্য ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে।

বন্দর, স্থলবন্দর এবং সীমান্ত পারাপার পয়েন্টগুলোর সড়ক ও রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রগুলোতে পিআরএফ প্রকল্প প্রস্তুতিতে এবং অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো এবং অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনালসহ সড়ক ও রেল যোগাযোগের ইন্টারমডেল ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় সহায়তা করবে।

এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটি বাইপাস, সংযোগ সড়ক এবং বিকল্প সড়কসহ করিডোরকে আরও শক্তিশালীকরণে এবং নিরাপত্তা, ট্র্যাফিক পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণসহ খাতগুলোর ব্যাপক উন্নয়নে সহায়তা করবে।

এতে মোট ব্যয় হবে ৫৭ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে সরকার ১৫ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে। পিআরএফ ২০২৪ এর মধ্যে শেষে হবে।

এডিবি পরিবহণ বিশেষজ্ঞ কাউরু কাসাহারা বলেন, বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো যা দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উন্নয়নে সহায়ক।

এডিবি’র পরিবহন সংযোগ উন্নয়ন প্রস্তুতিমূলক সুবিধা সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশদ নকশা এবং সড়ক ও রেল প্রকল্পের প্রস্তুতিতে সরকারকে সহায়তা করার জন্য অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজগুলোর সাহায্যে দ্রুত বর্ধমান পরিবহণ চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

মেলায় সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা পাচ্ছে ১০ প্রতিষ্ঠান

nrbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সদ্য সমাপ্ত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট (ভ্যালু এডেড ট্যাক্স) বা মূসক (মূল্য সংযোজন কর) কর্তৃপক্ষ এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা প্রদান করবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পশ্চিমের ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খান বলেন, বাণিজ্য মেলা থেকে হিসাব মত ভ্যাট আদায়ে আমরা কাজ করছি। সেরা ভ্যাট দাতাদের সম্মাননা দেয়া হবে।

রাজস্ব ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট সূত্র জানায়, এবারে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা নির্বাচিত হয়েছে ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এরপর রয়েছে এসকেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড ও সারা লাইফ স্টাইল লিমিটেড।

এই তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ও ৩২ লাখ ৫ হাজার লাখ টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেছে।

মেলার অন্যান্য যারা সম্মাননা পাবে- র‍্যাংগস ইলেকট্রনিকস্ লিমিটেড, হাতিল কম্প্লেক্স লিমিটেড, মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ফিট এলিগেন্স লিমিটেড, নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড এবং বংগ বেকারস লিমিটেড।

এই মেলায় সর্বমোট ভ্যাট আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। মেলায় অধিকাংশ পণ্যে খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য।

গত বছর মেলায় এই ভ্যাট আহরণ হয়েছিল ৭ কোটি ২ লাখ টাকা।

এবারের মেলা স্টলের সংখ্যা ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় ভ্যাট কর্তৃপক্ষের নজরদারি সত্ত্বেও ভ্যাট আহরণ কিছুটা কম হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সারা দেশে জুয়া খেলা বন্ধ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

courtস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সারা দেশে টাকা বা অন্য কিছুর বিনিময়ে তাস, ডাইস, হাউজি খেলাসহ সব ধরনের জুয়া খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে সকল ক্লাবকে ‘পাবলিক প্লেস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্লাবসহ জনসমাগম স্থানে জুয়ার উপকরণ পাওয়া গেলে তা জব্দ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ ধরনের খেলার অনুমতি দাতা, খেলার আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দিয়েছেন। ঢাকা ক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন শহরের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনে এ রায় দেওয়া হয়েছে।

আদালত বলেছেন, যেসব খেলার ফলাফল দক্ষতার বদলে ‘চান্স’ বা ভাগ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়, সেগুলোই জুয়া খেলা। হাউজি, ডাইস, থ্রি কার্ড, ফ্লাস, ওয়ান টেনসহ এ জাতীয় অন্যান্য খেলা দক্ষতার পরিবর্তে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল। আইনে এসব খেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব খেলার আয়োজন করা অপরাধ। যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত, তারা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী।

আদালত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে বলেন, বর্তমান সরকার ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করছে। আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়, এই অভিযানের মূখ্য উদ্দেশ্যে হচ্ছে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলাকে নিরুৎসাহিত করা।

হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি সম্পন্ন হয় গত ২৩ জানুয়ারি। এরপর ২৮ জানুয়ারি রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ওইদিন রায় ঘোষিত হয়নি। এ অবস্থায় আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। ১৩ ক্লাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

যে ১৩টি ক্লাবের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করা হয় সেগুলো হলো- ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব (ঢাকা), লেডিস ক্লাব (ঢাকা), ক্যাডেট কলেজ ক্লাব (গুলশান-১), নারায়ণঞ্জ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।

ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ-১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ-১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট-১৮৬৭ অনুযায়ী জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদে সরকারকে গণিকাবৃত্তি(পতিতাবৃত্তি) ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্র ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ তখন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিট আবেদন করা হয়। এই রিট আবেদনে আদালত জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করেছেন।

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, এই রায় দেখার পর তা নিয়ে ঢাকা ক্লাব কর্তৃডক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সরকারী ব্যাংক আসার খবরেও নেতিবাচক শেয়ারবাজার

low profit-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পাঁচ ব্যাংক থেকে সরকারের টাকা তোলার উদ্যোগের পরও শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আজ সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩০ পয়েন্ট।

গতকাল রবিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারি পাঁচ ব্যাংককে শেয়ারবাজারে আনতে এক সভা করেন। সেখানে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেয়ার ছাড়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে, যাতে অক্টোবরের মধ্যে বাজারে শেয়ার ছাড়া সম্ভব হয়। যে পাঁচ ব্যাংককে নিয়ে এ সভা হয় সেগুলো হলো রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), অগ্রণী, জনতা ও সোনালী ব্যাংক। এর মধ্যে রূপালী ব্যাংক তালিকাভুক্ত হওয়ায় ব্যাংকটির আরও কিছু শেয়ার সবার আগে ছাড়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাজারে আনা হবে বিডিবিএল, অগ্রণী, জনতা ও সোনালী ব্যাংককে। ধাপে ধাপে ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ সিদ্ধান্তের পর আজ লেনদেনের শুরুতে সূচক বাড়তে দেখা যায় শেয়ারবাজারে। তবে লেনদেনের শেষ পর্যায়ে গিয়ে সূচক কমতে দেখা যায়।

ডিএসইতে আজ লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। আজ লেনদেন হয়েছে ৩৪০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার । গত কার্যদিবস লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৩টির দর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

বিশ্বের সর্ববৃহৎ গাড়ির কারখানা বন্ধ ঘোষণা

00000স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দক্ষিণ কোরিয়ার উলসানে অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুন্দাই তাদের উৎপাদন কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে যন্ত্রাংশ না আসায় প্রতিষ্ঠানটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত শুক্রবার কোম্পানিটি এর কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়। ২৫ হাজার শ্রমিককে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। তবে এসময়ে শ্রমিকদের আংশিক বেতন দেবে বলে জানিয়েছে হুন্দাই।
হুন্দাইয়ের এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন বিশ্লেষকরা। এর প্রভাব সারা বিশ্বে পড়বে বলে জানিয়েছেন তারা। শুধু তাই নয়, কারখানা বন্ধ রাখার কারণে হুন্দাই অবর্ণণীয় আর্থিক ক্ষতিতে পড়বে বলেও সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকদের মতে, কারখানা বন্ধ থাকার কারণে হুন্দাইয়ের যে আর্থিক লোকসান হবে তা রীতিমতো বিস্ময়কর হবে। এক হিসাবে দেখা গেছে, যদি পাঁচ দিনও কারখানাটি বন্ধ থাকে, তাহলে এর জন্য ৬০০ বিলিয়ন ওন (দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা) বা ৫০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার লোকসান গুনতে হবে হুন্দাইকে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

  1. লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট
  2. এসকে ট্রিমস
  3. ওরিয়ন ইনফিউশন
  4. বীকন ফার্মা
  5. এডিএন টেলিকম
  6. এসএস স্টিলস
  7. ওআইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড
  8. ইন্দো বাংলা ফার্মা
  9. গোল্ডেন হার্ভেষ্ট এগ্রো
  10. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে কমেছে। এদিন সেখানে সব সূচকও কমেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন ও সূচক কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে।

এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩.২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই সূচক ৩.৮৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০১৬ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ০.৮৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪৯১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৫৩ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৬টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৬৩টির দর।

দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে –লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, এসকে ট্রিমস, ওরিয়ন ইনফিউশন, বীকন ফার্মা, এডিএন টেলিকম, এসএস স্টিলস, ওআইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড, ইন্দো বাংলা ফার্মা, গোল্ডেন হার্ভেষ্ট এগ্রো ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড।

এদিকে সোমবার দিনশেষে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে।

সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ১১৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির শেয়ার দর।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

সেখানে লেনদেনের শীর্ষ রয়েছে স্কয়ার ফার্মা ও কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণমান প্রকাশ

alif-Industryস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের খাতের কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দীর্ঘমেয়াদি মান নির্ধারণ হয়েছে ‘এ’। সোমবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি এই রেটিং প্রকাশ করেছে ইমাজিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। একই সময় কোম্পানিটির স্বল্পমেয়াদি ঋণমান নির্ধারণ হয়েছে ‘এসটি ৩’।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন ও হালনাগাদ অন্যান্য আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে ইসিআরএল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বিএ