অবশেষে বেঁধে দেওয়া হলো ঋণের সুদহার। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত সব ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৯ শতাংশ। তবে ঋণটি খেলাপি হলে অতিরিক্ত ২ শতাংশ দণ্ড সুদ আরোপ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। এ ছাড়া প্রিশিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদহার অপরিবর্তিত থাকবে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। তবে ঋণের সুদহার বেঁধে দেওয়া হলেও ব্যক্তি আমানতের সুদহার নিয়ে সার্কুলারে কিছুই বলা হয়নি। ব্যাংক কম্পানি আইন-১৯৯১-এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে এ সার্কুলার জারি করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, লক্ষ করা গেছে যে বর্তমানে ব্যাংকের ঋণের উচ্চ সুদহার দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পসহ ব্যবসা ও সেবা খাতের বিকাশে প্রধান অন্তরায় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকের সুদহার উচ্চমাত্রায় হলে সংশ্লিষ্ট শিল্প, ব্যবসা ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ঋণগ্রহীতারা যথাসময়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলে। ফলে ব্যাংকিং খাতে ঋণ শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এবং সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্যান্য সব খাতে অশ্রেণীকৃত ঋণের ওপর সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
আরো বলা হয়, কোনো ঋণের ওপর ৯ শতাংশ হারে সুদ ধার্য করার পরও যদি সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়, সে ক্ষেত্রে যে সময়কালের জন্য খেলাপি হবে অর্থাৎ মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে খেলাপি কিস্তি এবং চলতি মূলধন ঋণের ক্ষেত্রে মোট খেলাপিঋণের ওপর সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে। চলতি বছর থেকে ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির মধ্যে এসএমইর ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ শিল্প খাতে দেওয়া সব ঋণ স্থিতি পূর্ববর্তী তিন বছরের চেয়ে কম হতে পারবে না।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ৩০ ডিসেম্বর জানিয়েছিলেন, এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত সব ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ এবং আমানতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদহার কার্যকর করা হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর