উচ্চ খেলাপিঋণের কারণে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণে (সিএআর) ব্যর্থ হয়েছে ১২ ব্যাংক। গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৫৫৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি ৫ ব্যাংকের ঘাটতিই ১০ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা।
এ সময়ে ব্যাংকিং খাতে সামগ্রিক মূলধন পর্যাপ্ততার হার (সিআরএআর) সামান্য হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগের প্রান্তিক সেপ্টেম্বর শেষে ১২ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল ১৭ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা।
আগের প্রান্তিকে এবি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি থাকলেও এ প্রান্তিকে শ্রেণীকৃত ঋণের বিপরীতে প্রভিশন ঘাটতি মূলধনের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়ে (রেগুলেটরি ফরবেয়ারেন্স) নিয়ন্ত্রক সহনশীলতার সুবিধা নিয়ে মূলধন সংরক্ষন করেছে।
খেলাপি ঋণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই মূলধন ঘাটতি বাড়ে। কিন্তু এবছর খেলাপি কমলেও মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। এবিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এবারের খেলাপি কমার কারণ হল ঋণের পুন:তফসিল।
সে কারণেই মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। তাছাড়া মূলধনের পর্যাপ্ততা বাড়াতে হলে পরিচালন মুনাফা বাড়াতে হয় অথবা, নতুন আমানত বাড়াতে হয় অথবা লভ্যাংশ কমাতে হয়। এর কোনোটাই ঘটেনি। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে মূলধন ঘাটতি বৃদ্ধি খুবই স্বাভাবিক।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/