1. মুন্নু সিরামিকস
  2. স্কয়ার ফার্মা
  3. বীকন ফার্মা
  4. খুলনা পাওয়ার কোম্পানি
  5. লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট
  6. ওরিয়ন ইনফিইউশন
  7. ওরিয়ন ফার্মা
  8. ব্যাংক এশিয়া
  9. কহিনূর কেমিক্যালস
  10. গ্রামীনফোন লিমিটেড।

রেকর্ড পরিমাণ ৬ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন আমন সংগ্রহ: খাদ্যমন্ত্রী

razzakস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, এই বছর রেকর্ড পরিমাণ আমন সংগ্রহ করেছে। লক্ষ্যমাত্রাও ছিল রেকর্ড পরিমাণ। এবার আমনের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন।

এই সাফল্যের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সরকার কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে। যেন কৃষক ন্যায্যমূল্য পায়। এ কারণে এই প্রথমবারের মত সর্বোচ্চ পরিমাণ আমন সংগ্রহ হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা পুরোটাই ধান সংগ্রহের বিষয়ে চিন্তা করছি। যেহেতু ধনটা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা যায় এবং বাজারেও এর যথেষ্ট প্রভাব থাকে।

এছাড়া দুই মন্ত্রী কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দিনশেষে সূচকের সাথে বেড়েছে লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার সব ধরনের মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় ৭৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। সূচকটি ৭৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ২৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্যদিকে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ১৯ পয়েন্ট, আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ২৩ পয়েন্ট বেড়েছে।

ডিএসইতে আজ ৪২২ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত কার্যদিবস থেকে ৯৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা বেশি। গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩২৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

আজ ডিএসইতে ৩৫৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭০টির, কমেছে ৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে। সিএসইতে টাকার অংকে ১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

নতুন ইউনিট স্থাপন করবে ন্যাশনাল টিউবস

National_Tubes.jpg_220x220স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির কারখানা প্রাঙ্গনে একটি স্টিল স্ট্রাকচার অ্যান্ড ফেব্রিকেশন ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি উৎপাদনে বৈচিত্র আনার জন্য নতুন ইউনিট স্থাপন করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, নতুন ইউনিট স্থাপনের জন্য কোম্পানিটি ১ কোটি ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয় ধরেছে। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে ৬৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করবে।

কোম্পানিটি আরও জানায়, নতুন ইউনিট সম্পূর্ণভাবে চালু করার পর বছরে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন ফেব্রিকেশন উৎপাদন হবে। ফেব্রিকেশন ইউনিট থেকে বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আসবে।

ফেব্রিকেশন এবং গ্যালভানাইজিং কাজের জন্য সরকারের বিইজেডএ, ইপিজেড, পিডিবি, আরইবি, পিজিসিবি ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কাজের সুযোগ রয়েছে।

ন্যাশনাল টিউবস নতুন ইউনিটটি ৩ ধাপে স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

একনেকে গভীর সমুদ্রবন্দরসহ নয়টি প্রকল্পের অনুমোদন

ECNEC-1স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে সায় দিয়েছে সরকার। কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই অনুমোদনের মধ্য দিয়ে গভীর সমুদ্রবন্দরের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়নসহ ২৪ হাজার ১১৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সভায় গভীর সমুদ্রবন্দরের এই মেঘা প্রকল্প দ্রুতই কাজ শুরু করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস নিয়ে সকলকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার রাজধানীর শের-ই বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদন ও এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। নয়টি প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ১১৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারী তহবিল থেকে খরচ করা হবে ৬ হাজার ১৫১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এছাড়া বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা খরচ করা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মো. নুরুল আমিন, শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) সাহিন আহমেদ চৌধুরী, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গিস এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

মাতারবাড়ী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক কলেবর বাড়ছে। এ জন্য বিদ্যমান সমুদ্রবন্দরগুলো দিয়ে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই মাতারবাড়ীতে চতুর্থ বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর হবে। মাতারবাড়ীতে আমাদের অনেক সম্ভাবনাও রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ভুতুড়ে মুনাফা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ওয়ালটনের আইপিও

waltonস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে আসার জন্য অপেক্ষমাণ ওয়ালটন হাইটেক পার্কের আর্থিক রিপোর্টে ভুতুড়ে মুনাফার তথ্য মিলেছে। এছাড়া রয়েছে স্ববিরোধী ও সাংঘর্ষিক নানা তথ্য। এর ফলে শুরুতেই কোম্পানিটি বাজারে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক রিপোর্ট পুনঃনিরীক্ষা করা উচিত বলে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন। তারা বলছেন, এমনিতে শেয়ারবাজার নিয়ে সুবিধাবাদী প্রভাবশালী মহলের নানারকম প্রতারণা ও ধোঁকাবাজির শেষ নেই।

যে কারণে শেয়ারবাজার কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারছে না। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার প্রশ্নে এখানে সরকার তথা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) আরও সক্রিয় ও শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে।

সূত্র জানায়, কোম্পানির পণ্য উৎপাদন পর্যায়ে ট্যাক্স নেই। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভুতুড়ে মুনাফা বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে এ খাতের বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক নানাভাবে প্রশ্ন তুলেছেন।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, মনে হচ্ছে কোম্পানিটিতে কিছু ঝামেলা রয়েছে। কেননা কাট অব প্রাইজ নির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা অফার এসেছে। বিপরীতে সর্বনিম্ন অফার এসেছে মাত্র ১২ টাকা। এটি কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়।

এখানে ইস্যু ম্যানেজার ও অডিটররা কী করেছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি বলেন, এ ধরনের সন্দেহজনক কোম্পানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনকে তাদের পছন্দমতো অডিটর দিয়ে কোম্পানিটিকে পুনঃনিরীক্ষা করানো উচিত।

জানা গেছে, বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বেশি প্রিমিয়াম পেতে এক বছরেই ওয়ালটন হাইটেক পার্ক আয় বৃদ্ধির অস্বাভাবিক তথ্য তুলে ধরে। যেখানে আগের বছরের চেয়ে ২০১৮-১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ২৯১ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির মোট ৫ হাজার ১৭৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।

যার বড় অংশ বিক্রি দেখানো হয়েছে একই গ্রুপের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজার কাছে। এসব পণ্য বিক্রির বড় অংশ বাকিতে। এই বাকিতে বিক্রির অর্থই মুনাফা হিসেবে দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে আগ্রাসীভাবে পণ্য বিক্রি দেখানো হলেও বাস্তবে বিক্রির খরচ ওইভাবে বাড়েনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোম্পানিটির এই মুনাফা অলৌকিক এবং আজগুবি।

তাদের মতে, গত কয়েক বছরে শেয়ারবাজারে আসা বিভিন্ন কোম্পানি তাদের আর্থিক রিপোর্টকে এভাবেই ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। এ কারণে আজ শেয়ারবাজারের এই চরম দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

জানতে চাইলে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মো. মহিউদ্দিন আহমদে (এফসিএ) যুগান্তরকে বলেন, এক বছরে হঠাৎ করে কোম্পানির যে মুনাফা দেখানো হয়েছে, তা সন্দেহজনক। বাস্তবে এক বছরে এমন অস্বাভাবিক হারে মুনাফা হওয়ার পরিবেশ বাংলাদেশে আছে কিনা সেটি ভাবা উচিত।

ফলে এই আর্থিক রিপোর্ট সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি বলেন, সন্দেহের আরও কারণ হল, গত ৫ বছরে যেসব কোম্পানি বাজারে এসেছে, তাদের যে প্রজেকশন ছিল, বাস্তবে তার প্রতিফলন হয়নি। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্টে আগ্রাসী মার্কেটিংয়ের তথ্য এসেছে। কিন্তু মার্কেটিং কস্ট ওইভাবে বাড়েনি। এছাড়া তাদের প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্যও সন্দেহজনক। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্ট পুনঃনিরীক্ষা জরুরি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ ড. বাকী খলীলী যুগান্তরকে বলেন, ওয়ালটনের আইপিও নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুতর।

এ কারণে এ মুহূর্তে আইপিও স্থগিত করে কোম্পানির আর্থিক রিপোর্ট পুনর্নিরীক্ষা করা জরুরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় এক বছরে এ রকম মুনাফা করার সুযোগ নেই। যে কারণে এটি বাজারে আসলে শুধু দীর্ঘমেয়াদের জন্য নয়, স্বল্পমেয়াদেও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, বিএসইসি চাইলে পুনর্নিরীক্ষা করতে পারে। তবে সেটি বিডিংয়ের আগে করা উচিত ছিল। তাহলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোনো সন্দেহ থাকত না।

এদিকে উত্থাপিত এসব প্রশ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ালটনের হেড অব অ্যাকাউন্স ইয়াকুব আলী মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, ২০১৮ সালে দেশে বন্যা হয়েছিল। যে কারণে আমাদের ব্যবসা খারাপ গেছে। কিন্তু ২০১৯ সালে আমরা অটোমেশনে এসেছি। এ ক্ষেত্রে আমরা উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় পুরোটাই ব্যবহার করতে পেরেছি। কোম্পানির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান তথা ওয়ালটন প্লাজার কাছে বাকিতে পণ্য বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি দাবি করে বলেন, ওয়ালটন প্লাজার কাছে যে পণ্য বিক্রি করা হয় তার আংশিক মাত্র বাকি থাকে। এটি অস্বাভাবিক নয়।

শেয়ারবাজারে দেয়া কোম্পানির প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুসারে বিস্ময়করভাবে আগের বছরের চেয়ে শুধু ২০১৮-১৯ অর্থবছরেই তাদের মুনাফা ২৯০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।

আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। আগের বছর যা ছিল ৩৫২ কোটি টাকা। অথচ পণ্য বিক্রি বৃদ্ধির হার দেখানো হয়েছে ৮৯ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মানে হল- পণ্য বিক্রি কম, কিন্তু মুনাফা অনেক বেশি, যা সাংঘর্ষিক ও অস্বাভাবিক। কিন্তু এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তাদের মুনাফা ৫২ শতাংশ এবং টার্নওভার ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছিল। অন্যদিকে কোম্পানির মুনাফা বাড়লেও একই বছরে কোম্পানির ক্যাশ ১০২ কোটি টাকা কমেছে।

শতকরা হিসাবে যা ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। একই সময়ে কোম্পানির বিক্রি এবং রিসিভাবল আয়ের মধ্যে ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা পার্থক্য রয়েছে। এর মানে হল- কোম্পানি বেশিরভাগ পণ্যই বাকিতে বিক্রি করেছে। তাদের বেশিরভাগ পণ্যই ওয়ালটন হাইটেক পার্কের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজার কাছে বিক্রি করা হয়েছে।

কোম্পানিটির আর্থিক রিপোর্টে আরও বলা হয়, গত অর্থবছরে ওয়ালটন প্লাজার কাছে ১ হাজার ৬০২ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি বেড়েছে হাইটেক পার্কের। শতকরা হিসাবে যা ১৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ। একই বছরে ওয়ালটন প্লাজার কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটির রিসিভাবল অ্যামাউন্ট ছিল ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। আগের বছর যা ছিল ৪৪০ কোটি টাকা।

কোম্পানির প্রসপেক্টাসে আরও উল্লেখ করা হয়েছে- আলোচ্য বছরে ৫ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা টার্নওভার ছিল প্রতিষ্ঠানটির। আগের বছর যা ছিল ২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। এর মানে- ১২ মাসের ব্যবধানে কোম্পানির টার্নওভার ২ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা বেড়েছে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-১৯ সালে ৭২ দশমিক ৫২ শতাংশ রিফ্রিজারেটর বিক্রি হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা ১ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা, যা অবিশ্বাস্য।

কোম্পানিটির বিডিংয়ে মূল্য প্রস্তাবেও অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১০ টাকার শেয়ারে কোনো প্রতিষ্ঠান ১২ টাকা প্রস্তাব করেছে। আর কোনো প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব করেছে ৭৬৫ টাকা। এটি স্বাভাবিক নয়।

আর এই প্রক্রিয়ায় কোম্পানির কাট অফ প্রাইজ নির্ধারিত হয়েছে ৩১৫ টাকা। এ ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মাত্র ২৭ লাখ বা ১ শতাংশ শেয়ার কিনবে। ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ মেটাতে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে ওয়ালটন। তবে প্রিমিয়ামসহ এটি হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সূত্র : দৈনিক যুগান্তর

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিলট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৫০ কোটি টাকার ভ্যাট বকেয়া, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

nrbস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

৫০ কোটি ২৪ লাখ টাকার বকেয়া ভ্যাট অনাদায়ি থাকায় একটি ভবন নির্মাতা (বিল্ডিং স্ট্রাকচার) কারখানার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। ভ্যাট আইন অনুসারে বৃহস্পতিবার ৬১টি ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানটির নামে থাকা সব ধরনের অ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য (ফ্রিজ) করার নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির নাম মেসার্স বিলট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, কালামপুর, ধামরাই, মানিকগঞ্জ। এর ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর ০০০২৯৯০২৯০৪০৪। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হলেন এনায়েতুর রহমান।

ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আগে দুটি মামলা হয়। এর একটিতে ২৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং অন্যটিতে ২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ করা হয়। প্রথম মামলায় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি চারটি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা জমা দেয়। তবে বাকি ৫০ কোটি ২৪ লাখ টাকা জমা না দিয়ে তারা কাস্টমস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে আপিল করে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তাদের আপিল খারিজ করে দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই টাকা পরিশোধ করার জন্য ভ্যাট আইন অনুসারে পৃথকভাবে পরপর দুবার নোটিশ দেওয়া হয় ওই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতেও বকেয়া টাকা জমা না দেওয়ায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ৬১টি ব্যাংকে এই সংক্রান্ত নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের অনুলিপি এনবিআরের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ-কে বিষয়টি মনিটর করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে ১৫ দিন অপরিচালনযোগ্য থাকবে মর্মে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে ওই বকেয়ার টাকা পরিশোধ না করলে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কর্তন করে নির্ধারিত হিসাবে সরকারি কোষাগারে জমা করে ভ্যাট কর্তৃপক্ষকে জানাতেও অনুরোধ করা হয়।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়ায় বকেয়া ভ্যাট আদায় না হলে প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা বিআইএন লক করাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর