শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

pmস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শ্রমিক-মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান মে দিবস উপলক্ষে দেওয়া পৃথক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, মহান মে দিবস শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অবিস্মরণীয় দিন। এ দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের মেহনতি মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে’। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।

বর্তমান সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পোশাক শিল্পসহ ৩৮টি শিল্প খাতের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করেছি। শ্রমঘন গার্মেন্টস শিল্প খাতের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১,৬৬২ টাকা থেকে ৫ হাজার ৩ শ টাকায় উন্নীত করেছি।

ইতোমধ্যে শ্রম আইন যুগোপযোগী করে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি আশা করি মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক এবং মালিক উভয়ই সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে কল-কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরও নিবেদিত হবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

১০ মে’র মধ্যেই শুরু হবে শেয়ারবাজারের লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিনিয়োগকারী, ব্রোকারদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় ১০ মে থেকে লেনদেন চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ।

করোনাভাইরাস মাহামারী ঠেকাতে সরকারি ছুটির সাথে সঙ্গতি রেখে ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের দুই শেয়ারবাজার।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন সাংবাদিককে বলেন, আমরা তাই ১০ মে থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে বাংলাদেশ শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমতি লাগবে লেনদেন চালু করতে গেলে।সেজন্য যোগাযোগ করা হবে।

তিনি জানান, সব ঠিক থাকলে, দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক না হলে আমরা ১০ তারিখ থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু করব।

ডিএসইর আরেক পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, যদি সরকারি বন্ধ শেষ হয়ে যায়, তাহলে ৭ মে থেকেই শেয়ারবাজার চালু হয়ে যাবে। আর যদি বন্ধ আরও বাড়ে তখন দেশের পরিস্থিতি এখন যেমন আছে তেমন থাকলে, আরও খারাপ না হলে বন্ধের মধ্যেই ১০ তারিখ থেকে লেনদেন চালু করার চেষ্টা করছি আমরা।

এই বন্ধের মধ্যেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান লেনদেন চালুর পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৩ রুটে চলবে কাঁচামালবাহী বিশেষ ট্রেন চালু

rail-bd-20180222111425স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আজ শুক্রবার থেকে দেশের ৩টি রুটে কাঁচামালবাহী বিশেষ ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে সরকার। রোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের যোগান ঠিক রাখতে এসব ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আজ শুক্রবার থেকে লাগেজ ভ্যান দিয়ে মালবাহী এই ট্রেনগুলো চালু হবে। বৃহস্পতিবার রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঢাকা–চট্টগ্রাম ও ঢাকা–জামালপুর পথে প্রতিদিন লাগেজ ভ্যান চলাচল করবে। আর তিনদিন চলবে ঢাকা–যশোর পথে। কী পরিমাণ মালামাল ব্যবসায়ীরা আনতে চান তার ওপর নির্ভর করবে ট্রেন কতটা লম্বা হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি। প্রথম দফায় ছুটি ঘোষণার পর পরই গত ২৫ মার্চ থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। এ সময় কিছু কিছু মালবাহী ট্রেন চালু রাখা হয়। এসব ট্রেন দিয়ে মূলত সরকারের খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল আনা নেওয়া হতো।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, লাগেজ ভ্যান ট্রেনের মাধ্যমে শাক-সবজি, ফলমূলের পাশাপাশি মাছ-মুরগিও আনা নেওয়া করা যাবে।

আগে বিভিন্ন মেইল ও লোকাল ট্রেনে যাত্রীবাহী বগির সঙ্গে এক বা একাধিক লাগেজ ভ্যান যুক্ত করে দিয়ে মালামাল পরিবহন করা হতো। এখন এসব ভ্যান জোড়া দিয়ে একটা পার্শ্বেল ট্রেন বানিয়ে চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার উদ্যোগ

new takaস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাজার থেকে পুরনো টাকা তুলে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছেড়ে বাজার থেকে পুরনো টাকা তুলে নেয়া হবে। এর পরও নগদ টাকার প্রয়োজন হলে আরো ৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাজার থেকে ব্যবহূত পুরনো নোটগুলো তুলে নেয়া দরকার। সবদিক বিবেচনা করেই নতুন নোট ছাপানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যদিও এবারের ঈদুল ফিতরে নতুন টাকার চাহিদা কম থাকবে।

সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ৬০ হাজার কোটি ইউয়ান মূল্যমানের কাগুজে নোট পুড়িয়ে ফেলেছিল চীন। পৃথিবীর অনেক দেশই চীনের পথ অনুসরণ করেছে।

বাজারে নতুন নোট ছেড়ে ব্যবহূত নোট তুলে নিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। এবার বাংলাদেশ ব্যাংকও এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশে টাকা ছাপানো ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। বিভাগটির তথ্যমতে, আগে থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ১ হাজার টাকার বিপুল পরিমাণ নোট মজুদ ছিল। ফলে নতুন করে ১ হাজার টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে না। এবার সবচেয়ে বেশি ছাপানো হবে ৫০০, ২০০, ১০০, ৫০, ২০ ও ১০ টাকার নোট। এর মধ্যে ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে ৩৭ কোটি। এ হিসাবে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যমানের ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হবে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে চালু করা ২০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে ২০ কোটি। এছাড়া ৩৫ কোটি নোট ছাপানো হচ্ছে ১০০ টাকার। তবে সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ছাপানো হচ্ছে ৫০, ২০ ও ১০ টাকার নোট।

ব্যাংকাররা বলেন, করোনা কাগুজে নোটের মাধ্যমে গণহারে ছড়ানোর বিষয়টি প্রমাণিত নয়। তার পরও সতর্কতা হিসেবে বিশ্বের অনেক দেশই বাজার থেকে পুরনো নোট তুলে নিয়ে নতুন নোট ছাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও সেই পথে হাটছে। এটা ভালো উদ্যোগ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা মূল্যের কাগুজে নোট প্রচলিত রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে কাগুজে নোটের চাহিদা ১ লাখ ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ থাকে। তবে করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট দুর্যোগে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই নগদ টাকা তুলতে ব্যাংকে বাড়তে থাকে গ্রাহকদের ভিড়। মার্চ থেকে গ্রাহকদের এ ভিড় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। বিপরীতে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার প্রবণতা কমেছে প্রায় ৯০ শতাংশ। ব্যাংকগুলোকে চাহিদা অনুযায়ী নগদ টাকা সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও।

করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট বিপর্যয় থেকে উত্তরণে কৃষক, ছোট-বড় শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে এসব প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩৮ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে। সে হিসাবে অর্থনীতিতে এই ৩৮ হাজার কোটি টাকা নতুন করে যুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডিমান্ড-সাপ্লাই নীতি অনুসরণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সারা বছরই বাজারে নোট সরবরাহ করে। প্রতি ঈদের আগেই বাজারে নতুন টাকা ছাড়া হয়। তবে এবারের ঈদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট দুর্যোগ ও অন্য সবদিক পর্যালোচনা করেই বাজারে নতুন নোট ছাড়া হবে। তিনি বলেন, গত ঈদেও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছেড়েছিল। এবার এর পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এক যুগে সবচেয়ে বেশি সংকুচিত মার্কিন অর্থনীতি

usaস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয়েছে মার্কিন অর্থনীতি।করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লকডাউন জারি করায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে দেশটিতে।এটাই এ সংকোচনের কারণ।

সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের বৃহত্তম এই অর্থনীতি বার্ষিক ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছে।২০১৪ সালের পর এই প্রথম সংকুচিত হলো মার্কিন অর্থনীতি।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি নির্ধারকেরা বলছেন, করোনা মহামারি যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে অভূতপূর্ব মানব ও অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অনেক পরিবারকে সরাসরি অর্থ প্রদানসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মার্কিন সরকার। ফেডারেল রিজার্ভও সুদের হারকে শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনাসহ অনেক জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ঘুঁরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, চলমান সংকট অর্থনীতির ওপর ‘ব্যাপক ভার’ চাপিয়ে দিয়েছে।

পাওয়েল বলেন,’কেউ যদি বলেন, আরও কিছু করার দরকার আছে কি না। আমার উত্তর হবে—হ্যাঁ।’
করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির যে হাল

মার্চের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছেন। মার্কিন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এবং ভোক্তাদের আস্থা ঐতিহাসিক পর্যায়ে কমে গেছে।পূর্বাভাসকারী ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের মধ্যে অর্থনীতি ৩০ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।

মুডি এনালেটিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্দি বলছেন, এমনটা আর হয়নি, অভূতর্পূর্ব। অর্থনীতি একেবারে সমতলে চলে গেছে।

মার্কিন অর্থনীতির সংকোচন করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী মন্দার একটি অংশ। চীনের অর্থনীতি পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। ১৯৯২ সালের পর যা সর্বোচ্চ ত্রয়মাসিক সংকোচন। গতকাল জার্মানিও শুনিয়েছে হতাশার কথা। জার্মানি বলছে যে তার অর্থনীতি এই বছর রেকর্ড ৬ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।

করোনা মহামারির শুরু হওয়ার আগে চলতি বছর মার্কিন অর্থনীতিতে ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। এপ্রিলের মাঝে এসে সব পাল্টে গেছে। বিশ্বের প্রায় ৯৫ ভাগ দেশেই লকডাউন জারি রয়েছে। যদিও কিছু কিছু দেশ একটু একটু করে লকডাউন উঠিয়ে নিচ্ছে, তবে সামনে অনেক দেশে তা বহাল থাকবে। সূত্র : দৈনিক পত্রিকা

স্টকমার্কেটবিডি. কম/

ছুটির মধ্যে সঞ্চয়পত্র কেনা ও মুনাফা তোলা যাবে প্রতিদিন

soncoyস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সাধারণ ছুটির মধ্যে প্রতিদিন সঞ্চয়পত্র ক্রয়, মুনাফা উত্তোলন ও পুনঃবিনিয়োগও করতে পারবেন গ্রাহক। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, করোনার বিস্তার রোধে সাধারণ ছুটিতে বিভিন্ন ব্যাংকিং লেনদেন-কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিভিন্ন জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেট মেয়াদপূর্তিতে নগদায়ন এবং কুপনের অর্থ পরিশোধের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এখন থেকে সঞ্চয়পত্রের যাবতীয় লেনদেন কার্যক্রম (বিক্রয়, নগদায়ন ও পুনর্ভরণসহ) চালু থাকবে।

সাধারণ ছুটি চলাকালীন প্রতিদিন সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। পাশাপাশি মুনাফা উত্তোলন ও পুনঃবিনিয়োগও করতে পারবে গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট।

করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ঘোষিত সাধারণ ছুটি শুরুর পর থেকেই নতুন করে কেউ আর সঞ্চয়পত্র কিনতে পারতেন না। পরে গেল সপ্তাহে দু’দিন বুধ ও বৃহস্পতিবার লেনদেন করার সুযোগ পান গ্রাহকরা। তবে বেশ কিছু দিন সঞ্চয়পত্রের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহক মুনাফার টাকা উত্তোলন করতে পারেননি।

একই সঙ্গে নতুন করে সঞ্চয়পত্র কেনা ও পুনঃবিনিয়োগেরও সুযোগ হয়নি। তাই গ্রাহকের কথা চিন্তা করে ছুটির মধ্যে সঞ্চয়পত্রের কার্যক্রম প্রতিদিন করার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লকডাউনের পর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

Benapolস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ফের শুরু হলো। লকডাউনের কারণে এত দিন বাণিজ্য বন্ধ ছিল। এ নিয়ে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকেরা বাণিজ্য শুরু করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় লকডাউনের কারণে দুই দেশের পণ্যবাহী ট্রাক কোথায় এসে পণ্য খালাস ও উত্তোলন করবে। যদিও এই আমদানি-রপ্তানি পণ্য উভয় দেশের পেট্রাপোল ও বেনাপোল সীমান্তের পার্কিং লটে ওঠানো-নামানো হতো । লকডাউনের আগে সেখানে নামানো হতো উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানির পণ্য। কিন্তু করোনার কারণে দুই দেশের পণ্যবাহী ট্রাকের পার্কিং লটে বন্ধ হয়ে যায় পণ্য নামানো-ওঠানোর কাজ।

এরপর দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকদের দাবির মুখে অবশেষে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশ সরকার পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে আমদানি-রপ্তানির পণ্য ট্রাক থেকে নামানো ও ওঠানোর কাজ উভয় দেশের জিরো পয়েন্টে বা নো-ম্যানস ল্যান্ডে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

সেই লক্ষ্যে গতকাল দুপুরে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে শুরু হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশর মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। আজ দুপুরে উভয় দেশের ক্লিয়ারিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে শুরু হয় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রেকিট বেনকাইজারের ১ম প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ

rekitস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত রসায়ন ও ঔষধ শিল্প খাতের কোম্পানি রেকিট বেনকাইজার লিমিটেড চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এই প্রান্তিকে (জানু-মার্চ, ২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪.০৪ টাকাা। গত বছরের এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৫.৪৬ টাকা। এ হিসাবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির আয় বেড়েছে।

এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬৬.৬৮ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম

গ্লাক্সোস্মিথক্লিনের ১ম প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ

glaxo-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত রসায়ন ও ঔষধ শিল্প খাতের কোম্পানি গ্লাক্সোস্মিথক্লিন লিমিটেড চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এই প্রান্তিকে (জানু-মার্চ, ২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪.৯৭ টাকাা। গত বছরের এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১.০৬ টাকা। এ হিসাবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির আয় বেড়েছে।

এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪৭.১২ টাকা। যা গত ৩১ ডিসেম্বর ছিল ১১৫.১৬ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম

জেএমআই সিরিঞ্জের ৯ মাসের ইপিএস ৩.৬৩ টাকা

JMI-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত রসায়ন ও ঔষধ শিল্প খাতের কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জ এন্ড মেডিক্যাল  ডিভাইস সার্ভিসেস লিমিটেড   চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এই প্রান্তিকে (জানু-মার্চ, ২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৪ টাকাা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.০৮ টাকা। এ হিসাবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির আয় কমেছে।

এছাড়া (জুলাই ১৯-মার্চ, ২০) এ ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৬৩ টাকাা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২.৪৪ টাকা। এ হিসাবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির আয় বেড়েছে।

এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১৭.১১ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম