শ্রমিকদের করোনা সংবাদ নিয়ে বিজিএমইএর প্রতিবাদ

bgmeaস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

‘৯৬ পোশাকশ্রমিক করোনায় আক্রান্ত’ শীর্ষক একটি সংবাদের প্রতিবাদ করেছে বিজিএমইএ। সংবাদটি ৭ মে প্রকাশিত হয়েছিল।

বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন যেসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো যাচাইপূর্বক তথ্য নয়, সম্পূর্ণরূপে বিভ্রান্তিকর।

বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির বরাত দিয়ে যে তথ্যগুলো উপস্থাপিত হয়েছে, সেগুলো কোনো বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে গ্রহণ করে সংকলন করা হয়নি। এগুলো যাচাইযোগ্যও নয়। বরং সংগঠনটি সততা ও স্বচ্ছতার আশ্রয় না নিয়েই উৎস হিসেবে ঢালাওভাবে ২৫টি সংবাদপত্রের কথা বলেছে, যেগুলোর নামও উল্লেখ করেনি তারা।

বিজিএমইএ বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির দেওয়া এই তথ্যগুলোকে সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে অভিহিত করেছে। বিজিএমইএ মনে করে, বিভিন্ন মহলের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্য থেকেই সংগঠনটি এই তথ্যগুলো দিয়েছে।

বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ বলছে, যেটি অভিপ্রেত তা হলো, রোগীদের কথা ভাবা, তাঁরা কোন পেশা থেকে এসেছেন, তা জরুরি নয়।

স্টকমার্কেটবিডি/

দেশে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে ২ লাখ কোটি টাকা

low profit-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদন :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সম্প্রতি ‘অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুরো মে মাস লকডাউন থাকলে ক্ষতির পরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকা (গত অর্থবছরের জিডিপির প্রায় ৯ শতাংশ) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির তিনটি বড় খাত- কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত ধরে ক্ষতির অনুমিত হিসাব দেওয়া হয়েছে সমীক্ষা প্রতিবেদনে। হিসাবে লকডাউনের কারণে প্রতিদিন কৃষিতে ক্ষতি হচ্ছে ২০০ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শস্য উৎপাদন, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য সম্পদের উৎপাদন না কমলেও দেশি-বিদেশি অর্থনীতি অবরুদ্ধ থাকায় এসব উপখাতের উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্যের ওপর নিম্নমুখী প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

এর ফলে অর্থনীতিতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। আর শিল্প খাতে দিনে ক্ষতি হচ্ছে এক হাজার ১৩১ কোটি টাকা। উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে ক্ষতির মাত্রা প্রকট আকার ধারণ করেছে।

এ খাতে প্রতিদিনের অনুমিত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক হাজার ১৩১ কোটি টাকা। সেবা খাতে দিনে ২০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, ২০১৮-২০১৯ সালের জিডিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে স্বল্পমেয়াদি বা চলতি ক্ষতির পরিমাণ কত হবে তা হিসাব করার একটা প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ লকডাউন অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে। মে মাস শেষে অনুমিত ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই লাখ ১৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের মোট দেশীয় উৎপাদনের প্রায় ৯ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ট্রেনে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু

521219c027d95-onionস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে দুই দেশেই অবরুদ্ধ অবস্থার কারণে বেশ কিছুদিন ব্যাহত হওয়ার পর ভারত থেকে বাংলাদেশে মালবাহী ট্রেনে পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার পেঁয়াজবাহী প্রথম ট্রেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় রেলওয়ে।

দর্শনা-গেদে পয়েন্টে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাস্টমস ছাড়পত্র পেলে ৪২ বগি পেঁয়াজ সুবিধাজনক স্থানে আনলোড করা হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চারটি রেলওয়ে পয়েন্ট দিয়ে আরও কিছু মালবাহী ট্রেন নিত্যপণ্য নিয়ে আসবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী রূপ পাওয়ার পর এর বিস্তার ঠেকাতে দেড় মাস আগে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশই লকডাউন সৃষ্টি করে। এই সময়ে গণপরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইউএস বাংলার কার্গো সার্ভিস চালু

usaস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা রুটে প্রথম কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করলো ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।

শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে রফতানিযোগ্য পণ্য নিয়ে ইউএস-বাংলার বিএস-২১৩ কার্গো ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে সূবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় অবতরণ করে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, ব্যাংকক থেকে বিএস-২১৪ কার্গো ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে উড্ডয়ন করে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

করোনা দুর্যোগে দেশের আমদানি-রফতানিকে সচল রাখার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরকারের কাছে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে এবং সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ইউএস-বাংলাকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি প্রদান করে।

প্রাথমিকভাবে এশিয়ার দেশগুলোতে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, চীন, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কার্গো পরিবহনের পরিকল্পনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/