1. স্কয়ার ফার্মা
  2. বেক্সিমকো ফার্মা
  3. পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স
  4. বেক্সিমকো লিমিটেড
  5. স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যূরেন্স
  6. ইষ্টার্ণ ইন্স্যূরেন্স
  7. বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস
  8. সিলকো ফার্মা
  9. লাফার্জ হোলসিম
  10. গ্রামীনফোন লিমিটেড।

দিনশেষে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন আগের দিনের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এদিন সেখানে সবগুলো সূচকও বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সোমবার লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৭.৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান বেড়ে ৪২৭২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৬.৬৩ বেড়ে অবস্থান করছে ৯৯৩ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২২.১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪৪২ পয়েন্টে।

এদিন লেনদেন হয়েছে ৬৭২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৮০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৫৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৯২টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৬২টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ১০১টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স, বেক্সিমকো লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যূরেন্স, ইষ্টার্ণ ইন্স্যূরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, সিলকো ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম ও গ্রামীনফোন লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১৬৫.২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ১২২ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দরবেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ২৭টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড ও স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

চামড়ার সংগ্রহ কম সত্ত্বেও দামে কেন বিপর্যয়

tanaryস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

হারুনুর রশিদ নরসিংদীর বাসিন্দা। ঈদের দিন সন্ধ্যায় ঢাকার পোস্তায় প্রায় ১১০০ পিস গরুর কাঁচা চামড়া নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য।

এবারের চামড়ার সংগ্রহ অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় কম হওয়ায় ভেবেছিলেন লাভ তুলতে পারবেন ভালোই। কিন্তু পোস্তার চিত্র ওই আগের মতোই। চামড়া কম আসায় দাম বেশি দেওয়া তো দূরের কথা, গত বছরের চেয়ে এবার আরো কম দাম রাখা হচ্ছে।
সরকার গতবছর কোরবানির পশুর চামড়ার যে দাম নির্ধারণ করেছিল, এবার তার চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে দাম ধরা হয়েছে। অথচ সেই দামও পাচ্ছেন না মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়। সেখানে, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ধরা হয়। আর ঢাকার বাইরে ধরা হয় প্রতি বর্গফুট ২৮ থেকে ৩২ টাকা। সারা দেশে খাসির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকা।
একটি বড় আকারের গরুর চামড়া গড়ে ৩৫-৪০ বর্গফুট, মাঝারি আকারের গরুর চামড়া গড়ে ২৫-৩০ বর্গফুট এবং ছোট আকারের গরুর চামড়া গড়ে ১৫-২০ বর্গফুট হয়ে থাকে।

সেক্ষেত্রে সরকারের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বড় আকারের গরুর চামড়ার দাম পড়ার কথা ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা। মাঝারি গরুর চামড়ার দাম ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা। এবং ছোট আকারের গরুর চামড়ার দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা হওয়ার কথা। অথচ সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী গরুর যে চামড়ার দাম হওয়ার কথা ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, সেটার দাম চাওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা।

ঈদের দিন কম দাম ধরায় হারুনুর রশিদের মতো অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন, ভেবেছিলেন হয়তো ভালো দাম পাবেন। কিন্তু সেদিনের পরিস্থিতি আরো খারাপ। হারুনুর রশিদের কাছে ওই একই চামড়ার দাম সেদিন চাওয়া হয়েছে ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। আর ছাগলের চামড়ার জন্য কেউ কোনো দামই দিতে চায়নি। দিলেও ৫ টাকা, ১০ টাকার বেশি নয়।

প্রচণ্ড গরমে চামড়া নষ্ট হতে শুরু করায় এত চামড়া নিজের কাছে রাখারও অবস্থা নেই। এমন অবস্থায় পোস্তায় আসা অসংখ্য মৌসুমি ব্যবসায়ী তাদের কাছে থাকা কাঁচা চামড়াগুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় খুঁজে পাননি।

ট্যানারি মালিকদের দাবি করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর চামড়াজাত পণ্যের অর্ডার কম আসায় এবং রপ্তানি বন্ধ থাকায় প্রচুর কাঁচা চামড়া পড়ে রয়েছে। এজন্য তারা বেশি দাম দিতে চাইছে না। এমন অবস্থায় চামড়ার দরপতন ঠেকাতে ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে ২৯ জুলাই কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ধারণা করা হয় এতে চামড়ার চাহিদা বাড়বে এবং ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়ার দাম পাবেন।

কিন্তু বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শাহিন আহমেদ বলেন, বিশ্বে চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা অনেক কমে গেছে। এখন আর্টিফিশিয়াল লেদার বা পিউ লেদার চলে এসেছে। যেগুলো মোটামুটি টেকসই এবং দামেও কম। এছাড়া কাঁচা চামড়ার চাহিদা বলতে গেলে আন্তর্জাতিক বাজারে একেবারেই নেই। তাই তিন দশক পরে রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলেও, এতে ব্যবসায়ীরা কতটুকু লাভবান হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে।

শাহিন আহমেদ বলেন, ‘যেখানে রেডিমেড পণ্যের চাহিদা কমে গেছে সেখানে কাঁচা চামড়ার বাজার বলতে গেলে নেই। আর পণ্য যদি রপ্তানি করতে হয়, তার জন্য আরো আনুসাঙ্গিক লজিস্টিক সহায়তা প্রয়োজন হয়। এগুলো ভাবতে হবে।’

প্রশ্ন উঠেছে বাজারে যদি কাঁচা চামড়ার দাম এতো কম হয় তাহলে চামড়াজাত পণ্যের দাম এতো বেশি কেন?

এ ব্যাপারে চামড়াজাত পণ্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কাঁচা চামড়ার অনেকটাই কাটিংয়ে বাদ পড়ে যায় সেইসঙ্গে এগুলো সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করতে বড় অংকের খরচ হয়, মজুরিও লাগে অনেক বেশি। যার প্রভাব চামড়াজাত পণ্যের দামের ওপর পড়ে।

শাহিন আহমেদ বলেন, ‘একটি তৈরি পণ্যে চামড়ার পরিমাণ থাকে ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ। বাকি থাকে লাইনিং, লেয়ার, অ্যাডহেসিভ, সোলসহ অন্যান্য ম্যাটেরিয়াল। দামটা বাড়ে বাকি সেই ৭০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ ম্যাটেরিয়ালে।’

তবে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পকে এখনও সম্ভাবনাময় বলছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকার যে রপ্তানি অনুমোদন দিয়েছে সে বিষয়ে যদি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় তাহলে সম্ভাবনাময় এই খাত থেকে আয় করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আরও ২০ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ দিবে বিশ্ব ব্যাংক

worldস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে চলমান একটি প্রকল্পের আওতায়

শুক্রবার আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকরা এই ঋণের অনুমোদন দেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

চার কোটি ৫০ লাখ পরিবারের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলগত শস্য মজুদ ক্ষমতা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টন বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্টের’ বাড়তি এই অর্থায়ন করছে বিশ্ব ব্যাংক।

জলাবায়ু সৃষ্ট দুর্যোগ বা চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর মতো সঙ্কটময় পরিস্থিতির মতো কঠিন সময়ে খাদ্য অনিরাপত্তা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এর আওতায় আটটি জেলায় চাল ও গম সংরক্ষণের জন্য সরকারি উদ্যোগে আটটি আধুনিক মানের স্টিলের সাইলো কমপ্লেক্স নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া হবে। আশুগঞ্জ, মধুপুর ও ময়মনসিংহে চলমান নির্মাণকাজের বাইরে বাড়তি এই অর্থ দিয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে চালের সাইলো এবং চট্টগ্রাম ও মহেশ্বরপাশায় গমের সাইলো নির্মাণ করা হবে।

বাড়তি এই অর্থে পরিবারগুলোর জন্য দুর্যোগপরবর্তী চাহিদা মেটাতে শস্যের মজুদ বাড়ানো এবং খাদ্য মজুদ ও বাজার নজরদারিতে অনলাইন ব্যবস্থা (এফএসএমএমএস) চালুর মাধ্যমে খাদ্য মজুদ ব্যবস্থাপনার দক্ষতার উন্নয়ন করা হবে।

এই প্রকল্প সাইলো পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ করে নারীসহ সবার জন্য নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছে। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনিস বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ গ্রামে থাকেন, যেখানে জলবায়ু প্রতিনিয়ত তাদের জীবনযাত্রা, কল্যাণ ও খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করছে।

“দক্ষ বিতরণ ব্যবস্থাসহ এই আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর বা কোভিড-১৯ মহামারীর মতো চলমান কোনো সঙ্কটের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।”

প্রকল্পটির আওতায় এরই মধ্যে বায়ু ও পানি নিরোধক ফুড কন্টেইনার তৈরি করে দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় এলাকাগুলোর ৫ লাখ দরিদ্র কৃষক ও নারীপ্রধান নাজুক পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ওয়েষ্টার্ণ মেরিনের বোর্ড সভা স্থগিত

weastaernস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল শিল্প খাতের কোম্পানি মেরিন শিপইয়ার্ড  লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিক বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। গত ৩০ জুলাই সভাটি আহবান করা হয়েছিল। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটি ৩১ মার্চ ২০২০ সালের ৩য় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা সাড়ে ৩টা রাজধানীতে নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটির ৩য় প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/ইএস