সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি পেল বাংলাদেশসহ ২৫ দেশ

LabOURস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অবশেষে বাংলাদেশসহ ২৫ দেশ থেকে সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে সৌদি সিভিল এভিয়েশন জেনারেল অথরিটি। মহামারি করোনা সংকটের কারণে আটকে থাকা প্রবাসীরা সৌদি আরবে ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে এ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনো জানানো হয়নি।

যে ২৫টি দেশের প্রবাসীরা সৌদি আরব ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের নামও রয়েছে। তবে আপাতত এ সুযোগ পাচ্ছে না পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকারসহ আরো কয়েকটি দেশ।

কিছু শর্ত পূরণ করে ২৫টি দেশের নাগরিক সৌদি আরবে ফিরে যেতে পারবেন। শর্তগুলো হলোঃ

১. সৌদি আরব ভ্রমণ করতে হলে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট থেকে একটি ফরম পূরণ করে তার মধ্যে বিস্তারিত তথ্য লিখে নিচে সাক্ষর করতে হবে এবং আসার সময় এয়ারপোর্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ডেস্কে জমা দিতে হবে।

২. ভ্রমণ করার ৭ দিন পূর্ব থেকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। মূলত পিসিআর দেওয়ার ৪ দিন আগে থেকে এবং পিসিআর রিপোর্ট পাওয়ার তিন দিন পর পর্যন্ত।

৩. সৌদি আরবের টাটামন এবং তাওয়াক্বালনা অ্যাপস ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে হবে।

৪. অবশ্যই আসার ৮ ঘণ্টার মধ্যে টাটামন (tatamman) অ্যাপের মাধ্যমে বাসার অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে।

৫. কভিড ১৯ এর লক্ষণ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। যদি কোনো লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে সরাসরি ৯৩৭ নম্বরে ফোন করতে হবে অথবা সাধারণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

৬. আপনাকে টাটামন অ্যাপসের মাধ্যমে প্রতিদিনের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানাতে হবে এবং আপনি কোয়ারেন্টিন থাকাকালীন সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত ফরম অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

যে ২৫ দেশের আটকে থাকা প্রবাসীরা সৌদি আরবে ফিরে যেতে পারবেন দেশগুলো হলোঃ

সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন, লেবানন, কুয়েত, মিশর, তিউনিসিয়া, মরক্কো, চীন, ইংল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, গ্রীস, বাংলাদেশ, ফিলিফাইন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, ইথুপিয়া, কেনিয়া, নাইজেরিয়া।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ঢাকা-দোহা রুটে ইউএস বাংলার ৩ ফ্লাইট

usaস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে দোহা রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। ৩১ আগস্ট থেকে কোভিড-১৯ সময়কালীন সপ্তাহে দু’টি ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম আজ বুধবার বলেন, বাংলাদেশ ও কাতার সরকারের সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি ও ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশনা পালন করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বর্তমানে সোম ও শুক্রবার রাত ৭টা ৩০মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দোহার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। দোহা থেকে একই দিন স্থানীয় সময় ১১ টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসছে। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা থেকে দোহায় সোম, বুধ ও শুক্রবার ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-দোহা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

দোহা ছাড়াও বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে গুয়াংজু ও কুয়ালালামপুর রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, রাজশাহী,যশোর, সৈয়দপুর ও বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা।

কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে আটকে পড়া যাত্রীদের সুবিধার্থে ও কার্গো পরিবহনে স্পেশাল ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস আটকে পড়া যাত্রীদের সুবিধার্থে চেন্নাই, কলকাতা, দিল্লি, লাহোর, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, হ্যানয়, আবুধাবি, দুবাই, দোহা, মাসকাট ও ইউরোপের অন্যতম গন্তব্য ফ্রান্সের প্যারিসে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

ঢাকা-দোহা-ঢাকা ফ্লাইট সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য আপনার নিকটস্থ ট্রাভেল এজেন্ট অথবা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এর সেলস কাউন্টারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ঋণের টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থছাড়ে গতি ফিরেছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে। তবে এ ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এক ঋণের টাকা অন্য ঋণের দায় পরিশোধে বা সমন্বয়ে ব্যবহার করা যাবে না। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

ইতোপূর্বে জারীকৃত বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাহককে যে উদ্দেশ্যে ঋণ দেয়া হয়েছে বা হবে সে উদ্দেশ্যেই ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটরিং করার কথা বলা হয়েছে। অন্য প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কিস্তিভিত্তিক প্রকল্প ঋণের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী কিস্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী কিস্তি ছাড়করণের জন্য এবং কোনো ঋণের অর্থ মঞ্জুরীপত্রে বর্ণিত খাতের পরিবর্তে অন্য কোথাও ব্যবহূত হলে ব্যাংককে তার কারণ উদ্ঘাটনসহ তা রোধকল্পে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এ দুটি নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বুধবারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ দ্বারা গ্রাহকের বিদ্যমান অন্য কোনো ঋণের দায় পরিশোধ বা সমন্বয়ে ব্যবহূত হচ্ছে, যা ঋণ শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তাই ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার যথাযথ পরিপালন নিশ্চিতকল্পে একটি ঋণের অর্থ দিয়ে কোনোভাবেই অন্য কোনো ঋণের দায় পরিশোধ বা সমন্বয় করা যাবে না। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পরিবীক্ষণের কথাও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এনসিসি ব্যাংকের ৮ লাখ শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা

ncc1-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডের একজন উদ্দ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, আব্দুস সালাম নামে এই পরিচালক ৮ লাখ শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।

ঘোষণার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পাবলিক মার্কেট হতে এই উদ্যোক্তা পরিচালক উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ওয়ালটনের আইপিও আবেদন লটারির দিন পরিবর্তন

Walton Logoস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের প্রক্রিয়াতে থাকা ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আইপিও আবেদনের লটারির দিন পরিবর্তন করা হয়েছে।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব পার্থ প্রতিম দাস স্টকমার্কেটবিডি.কমকে জানান, কোম্পানিটি আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল প্লাটফর্মে এই লটারি করবে।

এর আগে কোম্পানিটি আজ ৩ সেপ্টেম্বর লটারির ড্র করার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে ৬ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে।

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ কোম্পানির আইপিওতে প্রায় ৩৮১ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এসব বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকা সংগ্রহ করা হবে। এই হিসাবে কোম্পানিটির চাহিদার তুলনায় ৯.৫৫ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

আবেদন চাহিদার তুলনায় বেশি জমা পড়ায় এই লটারি করবে কোম্পানিটি।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকা সংগ্রহ করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটির আইপিও লটারি আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।

জানা যায়, কোম্পানির আইপিওতে আবেদন গত ৯ আগস্ট শুরু হয়ে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলে।

গত ২৩ জুন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭২৯তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

কাট-অব প্রাইস ২৮৩ টাকা নির্ধারণ হলেও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনা করে কাট-অব প্রাইসের ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৫২ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক কর্তৃপক্ষ।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, ওয়ালটন হাইটেকের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ২৪৩.১৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য ১৩৮.৫৩ টাকায়। বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২৮.৪২ টাকা।

ওয়ালটন হাই-টেকের ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

তিন মাসে ওয়ালটনের ৭ লাখ ফ্রিজ বিক্রি

Walton Logoস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাস মহামারিতে স্থবির হয়ে পড়েছিল বিশ্ব অর্থনীতি। বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয় নি। এমন প্রতিকুল অবস্থায়ও দেশের রেফ্রিজারেটর বাজারে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এবারের ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদে প্রায় ৭ লাখ রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের। একই সময়ে অনলাইনে ফ্রিজ বিক্রিতে অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে ওয়ালটন।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। সারা বছর যে পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রি হয়, তার প্রায় অর্ধেকই হয় কোরবানির ঈদে। ফ্রিজ বিক্রেতারাও এ মৌসুম ঘিরে তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সাজান। কিন্তু চলতি বছর করোনার কারণে এ খাত প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তার মধ্যেও আশাতীত পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের। বরাবরের মতো সিংহভাগ ক্রেতা বাংলাদেশে তৈরি আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজে আস্থা রেখেছেন। ফলে ক্রেতা চাহিদা ও বিক্রিতে স্থানীয় বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজ বিশাল ব্যবধানে শীর্ষে রয়েছে।

ফ্রিজ ব্যবসায়ী এবং বিক্রেতাদের দেয়া তথ্য মতে, রমজানের ঈদ থেকে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত অর্থাৎ গত মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্থানীয় বাজারে প্রায় ১০ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে ৭ লাখ ফ্রিজই ওয়ালটনের। সারা দেশে ১৭ হাজারেরও বেশি আউটলেটের পাশাপাশি অনলাইনের ই-প্লাজা থেকে ক্রেতারা ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেছেন। করোনাকালে ই-প্লাজায় ফ্রিজ বিক্রি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে অনলাইনে ফ্রিজ বিক্রিতে ২,০০০ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ওয়ালটনের।

জানা গেছে, প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও ওয়ালটন ফ্রিজের অভাবনীয় বিক্রয় সাফল্যে বেশ কিছু বিষয় অবদান রেখেছে। যার মধ্যে অন্যতম ক্রেতাচাহিদা অনুযায়ী অসংখ্য মডেলের ফ্রিজ তৈরি, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের সংযোজন, আকর্ষণীয় ডিজাইন, আন্তর্জাতিক মান, সাশ্রয়ী দাম, কিস্তি সুবিধা, সর্বোচ্চ গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি, দ্রুত ও সহজলভ্য বিক্রয়োত্তর সেবা এবং ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে দেয়া বিভিন্ন সুবিধা উল্লেখযোগ্য।

এবারের কোরবানির ঈদে অনলাইনে ফ্রিজ বিক্রির অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এবং অনলাইন সেলস বিভাগের প্রধান মো. তানভীর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ ঘরবন্দি ছিলো। বৈশ্বিক এ দুর্যোগের মধ্যে তারা যাতে তার প্রয়োজনীয় পণ্যটি ঘরে বসে পেতে পারেন, এজন্য ওয়ালটন অনলাইন সেলসে কার্যক্রমে ব্যাপক জোর দিয়েছিলো। বাংলাদেশে ওয়ালটনের সর্ববৃহৎ অনলাইন সেলস নেটওয়ার্ক ই-প্লাজার (https://eplaza.waltonbd.com) মাধ্যমে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশব্যাপী পণ্য ডেলিভারি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ই-প্লাজা থেকে কেনা পণ্যে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ছিলো। যার ফলে ফ্রিজ, টিভি, হোম অ্যাপ্লায়েন্সহ অন্যান্য ওয়ালটন পণ্যের বিক্রি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, ফ্রিজ উৎপাদন ও বিপণনে আমরা মূলত দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছি। গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান উন্নতিকরণ। পাশাপাশি উৎপাদন পর্যায়ে ফাইভ এস, সিক্স সিগমা কাইজেনসহ আধুনিক টুলসের ব্যবহার তো আছেই। কোয়ালিটি কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে কিউএ, আইকিউসি, পিকিউসি, এবং ওকিউসি এর প্রতিটি ধাপেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে গ্রাহকদের কাছে বাজারের সেরা ফ্রিজটি পৌঁছে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজের উৎপাদন, গবেষণা ও উন্নয়ণ, মান নিয়ন্ত্রণসহ সব ধাপে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। ওয়ালটন ফ্রিজের কুলিং, স্ট্রাকচারাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ডিজাইনের নিয়মিত উন্নয়নের প্রভাবে ফ্রিজে যুক্ত হয়েছে টার্বো কুলিং, কুইক ফ্রিজিং এন্ড রিকভারি, লো এনার্জি কনজাম্পশন, প্রিসাইজ টেম্পারেচার ডিসট্রিবিউশন, আইওটি স্মার্ট ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজিং, লো থার্মাল কন্ডাক্টিভ ফোমিং সহ আধুনিক সব প্রযুক্তি। এছাড়াও রয়েছে মাল্টি হেড ফোমিং, লক রিং, অটোমেটেড ব্রেজিং, হিলিয়াম লিক ডিটেকশন সহ বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।

আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। ফলে আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ স্থানীয় বাজারে শীর্ষস্থানের পাশাপাশি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, স্থানীয় বাজারে তাদের রয়েছে শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৮০,৯০০ টাকার ভেতর। এর মধ্যে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিইসিএস টেকনোলজি সমৃদ্ধ থ্যালেটমুক্ত গ্যাসকেট, হানড্রেড পার্সেন্ট কপার কনডেনসার, ওয়াইড ভোল্টেজ ডিজাইন ও ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি। ফলে এসব ফ্রিজে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি কুল প্যাকসহ ডিপ ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে এই প্রথম এ প্রযুক্তির ফ্রিজার বাজারে এলো।

ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি, ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা, দেশব্যাপী বিস্তৃত ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা এবং সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এতসব সুবিধা থাকাতেই স্থানীয় বাজারে গ্রাহকপছন্দের শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ। ফলে করোনার মতো দুর্যোগের মধ্যেও ওয়ালটন ফ্রিজ বাম্পার সেল হয়েছে। যা এ খাতের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/