জামিনে মুক্ত পেলেন ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন

emon-300x300.x55394স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা এক মামলায় গ্রেফতারের চার মাস পর জামিনে মুক্ত পেলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে গতকালই তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পান।

রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগ এনে গত মে মাসের শুরুতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ২৫(১)(খ), ৩১ ও ৩৫ ধারায় র্যাব ঢাকার রমনা থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিল।

ওই মামলায় গত ৬ মে মিনহাজ মান্নানকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওইদিন রাতেই তাকে রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরদিন আদালতে তুললে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

যদিও এ মামলায় মিনহাজ মান্নানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছিল না। স্রেফ প্রধান অভিযুক্তদের সঙ্গে ফেসবুক ফ্রেন্ড হিসেবে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, মিনহাজ মান্নান হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এক অভিযুক্তের সঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী চ্যাটিং করেছেন। তবে ওই চ্যাটিংয়ের কথাগুলো কী ছিল, তা মামলার এজাহারে উল্লেখ নেই।

মিনহাজ মান্নান ছাড়াও র্যাবের দায়ের করা এ মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী মুশতাক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন।

মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন- আসিফ মহিউদ্দিন, তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, আসিফ ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, সালেহ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কারখানায় ২৮ দিনের মধ্যে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ

bidaস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শিল্প কারখানায় বিনিয়োগকারীদের ২৮ দিনের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ দেবে সরকার; তাও অনলাইনে করা আবেদনের মাধ্যমে। সশরীরে আবেদনপত্র নিয়ে বিদ্যুত সংস্থাগুলোর কাছে দৌড়াতে হবে না ব্যবসায়ীদের। আগামী এক মাসের মধ্যে এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিদ্যুত বিতরণকারী চার কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এ সমঝোতার আওতায় বিদ্যুত বিতরণকারীদের বিদ্যুত সংযোগসংক্রান্ত সেবা পাওয়া যাবে বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার (ওএসএস) থেকে। মঙ্গলবার বিডার কার্যালয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর আগে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) সঙ্গে বিডার সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বিদ্যুত সচিব সুলতান আহমেদ, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মইন উদ্দিন, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শফিক উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিডা বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) বা এক দরজায় সেবার মাধ্যমে মোট ৩৫ সংস্থার ১৫৪টি সেবা দিতে কাজ করছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়া ওএসএসে এখন পর্যন্ত যুক্ত হয়েছে ২১টি সেবা। ৩৫টি সংস্থার মধ্যে ১৬টির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বিডা। আরও ১৬টি সেবা ওএসএসের আওতায় আনার কাজ চলছে। ওএসএস বিধিমালায় কোন সেবা কত দিনে দিতে হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। না দিতে পারলে সেটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার চাকরির অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। বিধিমালায় বিদ্যুত সংযোগ ২৮ দিনের মধ্যে দেয়ার কথা রয়েছে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা সূচক বা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে বিদ্যুত সংযোগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশ ভাল করবে। কারণ, বিদ্যুত বিভাগ এ ক্ষেত্রে উদ্যোগী। তিনি বলেন, ‘সবাইকে আমাদের তাগিদ দিতে হয়। বিদ্যুত বিভাগ উল্টো তৈরি হয়ে আমাদের তাগিদ দিচ্ছে।’

সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, সরকারী সংস্থার মধ্যে সমঝোতা হওয়া বড় কিছু নয়। জরুরী হলো সেবাটি দেয়া। এ ক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা রয়েছে। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিনিয়োগকারীরা সহজে, কোন ঝক্কি ছাড়া তাড়াতাড়ি সেবা চান। এতে তাদের ব্যবসার খরচ কমে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা হলেও কয়েকটি সেবা এখনও অনলাইনে আসেনি।

বিদ্যুত সচিব সুলতান উদ্দিন বলেন, বিদ্যুত সংযোগ নিয়ে এখন আর সমস্যা নেই। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে। এখন নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুত সরবরাহে জোর দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় মানুষ ভুলেই যাবে যে বিদ্যুত নিয়ে কোন সমস্যা ছিল।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বেক্সিমকো সিনের শেয়ারহোল্ডারদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ

beximcoস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সদ্য লেনদেন স্থগিত হওয়া বেক্সিমকো সিনথেটিক্স লিমিটেডের বিনিয়োগকারীদের টাকা দেয়ার বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নির্দেশনাগুলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় কয়েকটি হিসাবের ভিত্তিতে এই শেয়ারের দাম নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।

যেসব হিসাবের ভিত্তিতে শেয়ারের দাম নির্ধারণ হবে সেগুলো হলো-

১. সর্বশেষ লেনদেনকৃত দর
২. সর্বশেষ ৬ মাসের ওয়েটেড এভারেজ দর
৩. সর্বশেষ আর্থিক হিসাব অনুযায়ি শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য।

আইন অনুযায়ি, স্বেচ্ছা তালিকাচ্যুতির জন্য উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত সব শেয়ার কিনে নেওয়ার জন্য স্কিম তৈরী করতে হবে। এজন্য মার্চেন্ট ব্যাংকার নিয়োগ দিতে হবে। যার মাধ্যমে পুরো শেয়ার ক্রয়ের বিষয়টি সম্পন্ন হবে। তবে কেউ চাইলে শেয়ার বিক্রি না করে রেখেও দিতে পারবে।

বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের তালিকাচ্যুতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিদ্যমান আইনে সেই সুযোগ আছে কিনা। ডিএসইর আইনে বলা হয়েছে, ৩টি কারণে স্বেচ্ছা তালিকাচ্যুতি হতে পারবে।

এরমধ্যে ৫২ (১) এর (এ)তে বলা হয়েছে, গত ১ বছর স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার লেনদেন না হলে।
(বি) যদি উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ধারন ৯০ শতাংশের বেশি হয়।
(সি) যদি কোন অতালিকাভুক্ত কোম্পানি ৯০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারন করে।

বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের ক্ষেত্রে এই ৩টি শর্তের কোনটিই পূরণ হচ্ছে না। কোম্পানিটির শেয়ার সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) লেনদেন হয়েছে, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ারধারন ৯০ শতাংশের থেকে কম এবং কোন কোম্পানির হাতেই ৯০ শতাংশ শেয়ার ধারন নেই। যে কারণে বিদ্যমান আইনে তালিকাচ্যুতি হওয়ার সুযোগ নেই। তবে কমিশন চাইলে অনেক কিছুই সম্ভব। ২সিসি এর ক্ষমতাবলে কোম্পানিটিকেতালিকাচ্যুতির সুযোগ করে দিতে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

অগ্রনী ইন্স্যূরেন্সের বোর্ড সভা ১৪ সেপ্টেম্বর

agriniস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্সুরেন্স খাতের কোম্পানি অগ্রনী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটির বোর্ড সভা ওইদিন বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। একই সভায় ৩১ মার্চ, ২০২০ সমাপ্ত সময়ের প্রথম  এবং ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত সময়ের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

তালিকাচ্যূত হতে চায় বেক্সিমকো সিনথেটিক্স

beximcoস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের বেক্সিমকো সিনথেটিক্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজার থেকে ডিলিস্ট (তালিকাচূত্য) হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ এবং দীর্ঘ মেয়াদি পূঞ্জীভূত লোকসানে থাকায় পরিচালনা পর্ষদ মনে করছে শেয়ারবাজার থেকে ডিলিস্ট হওয়া উচিৎ।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের পর থেকে বেক্সিমকো সিনথেটিক্স আর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারেনি। ওই সময় থেকে কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনা করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। স্বল্প মূল্যে কোম্পানিটি বিদেশ থেকে ড্রওন টেক্সারাইজিং ইয়ার্ন (ডিটিওয়াই) আমদানি করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং দেশেও উৎপাদনের জন্য ইয়ার্ন সহজলভ্য ছিল না। একারণে কোম্পানিটি গত সাত বছর পরযাপ্ত উৎপাদন করতে পারেনি। এবং ওই সময় থেকে কোম্পানিটি প্রচুর লোকসানের মুখে পড়েছে।

এর ফলে গত কয়েক বছরে কোম্পানির শেয়ার দর ফেসভ্যালুর নিচে লেনদেন হয়েছে। শেষ পরযন্ত কোম্পানিটি তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দিনশেষে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় লেনদেনও বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে।

মঙ্গলবার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই–৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৭৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়েছে।

মঙ্গলবার ডিএসইতে এক হাজার ১৯০ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ২১৪ কোটি ২ লাখ টাকা বেশি। গতকাল লেনদেন হয়েছিল ৯৭৬ কোটি ১২ লাখ টাকার।

আজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২১৬ পয়েন্টে। টাকার অংকে সিএসইতে ৩৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সিএসইতে ২৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে ১২৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৩টির। আর ৪২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এক্সপ্রেস ইন্স্যূরেন্সের বাৎসরিক বোর্ড সভা আহবান

EXPRESSস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান এক্সপ্রেস  ইন্সুরেন্স লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর  আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন বেলা ৩টায় রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত  নিজস্ব কার্যলয়ে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বোর্ড সভায় ৩০ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০১৯ সালের নিরীক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় লভ্যাংশ ঘোষণা আসতে পারে। এসভায় এজিএমের তারিখ ও রেকর্ড ডেট  ঘোষণা করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/ইএসএ

‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ খুলতে আইন সংশোধনের প্রস্তাব

tipuস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিশ্বব্যাংকের ব্যবসায় পরিবেশের সূচকে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে ‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ খোলার সুযোগ রেখে জাতীয় সংসদে কোম্পানি আইন সংসদের প্রস্তাব উঠেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সোমবার সংসদে বিলটি উত্থাপনকালে বিরোধিতা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম। তবে কণ্ঠভোটে সেই আপত্তি নাচক হয়ে যায়।

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এর আগে বিল সংসদে উত্থাপন না করার প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

কোম্পানি আইন অনুযায়ী, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি পরিচালিত হয় পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে। এই পর্ষদ বা বোর্ডের পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। তবে প্রস্তাবিত আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘এক ব্যক্তির কোম্পানি’ হলো সেই কোম্পানি, যার বোর্ডে সদস্য থাকবেন কেবল একজন।

এই বিধানের বিরোধিতা করেন মোঃ ফখরুল ইমাম। তিনি বিলটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মন্ত্রিসভায় ব্যবসায়ীরা থাকায় এমন আইন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি এক ব্যক্তির সংজ্ঞা হিসেবে ‘একজন প্রাকৃতিক স্বত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি’ স্পষ্ট করার দাবি করেন।

জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বিষয়গুলো সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা করা হবে বলে জানান। একইসঙ্গে তিনি নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তুলে ধরে জানান, ব্যবসায়ী মন্ত্রী হিসেবে হয়তো আমার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তবে কারও কাছে তিনি হাত পাতবেন না বলেই ব্যবসা করেন। আমার ৭০ বছর বয়সের মধ্যে ৫৪ বছরই সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে রয়েছেন। ঢাকায় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন পদে থেকে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছি। বিলটি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের কোম্পানি আছে। দেশে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সরকার এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তির কোম্পানির পরিশোধিত শেয়ার মূলধন হবে অন্যূন ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১০ কোটি টাকা। অব্যবহিত পূর্ববর্তী অর্থবছরের বার্ষিক টার্নওভার অন্যূন দুই কোটি টাকা এবং ১০০ কোটি টাকা হবে। পরিশোধিত শেয়ার মূলধন এবং বার্ষিক টার্নওভারের বেশি হলে শর্তপূরণ সাপেক্ষে এক ব্যক্তির কোম্পানিকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বা ক্ষেত্রমত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা যাবে। এক ব্যক্তির কোম্পানিকে বছরে কমপক্ষে একটি পরিচালক সভা করতে হবে।

বিলে বিধান অনুযায়ী, পরিচালক এবং প্রধান ব্যক্তি একজন থাকবেন বলে এ ধরনের কোম্পানি পর্ষদ সভা করা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নিয়মের ছাড় পাবে। একমাত্র সদস্য মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি সব শেয়ারের স্বত্বাধিকারী হবেন। কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারীর ব্যক্তিগত উপস্থিতি এবং কমিশনের মাধ্যমে দলিলে স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, কোম্পানি উঠে গেলে পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোম্পানি আইন সংশোধন করে অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধনের বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমান আইনে ১৪ দিনের নোটিসে বোর্ড মিটিং করার বিধান আছে। এটাকে ২১ দিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে বিলে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিনিয়োগ পক্রিয়া সহজ করার সুপারিশ যুক্তরাজ্যের

bidaস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সমস্যা সমাধানে একগুচ্ছ সুপারিশ তুলে ধরে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কাছে চিঠি দিয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। সম্প্রতি বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। পরে ওই চিঠি বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান অর্থ সচিবের নিকট পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

চিঠিতে ব্রিটিশ হাইকমিশন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কতিপয় সমস্যা সমাধানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এক্ষেত্রে কমিশনের সুপারিশগুলো হচ্ছে- দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং এডহক পরিবর্তন না করা। ডাবল ট্যাক্সেসন ট্রিটির সুবিধা সহজ ও দ্রুতকরণ, কোম্পানির প্রচারণামূলক কার্যক্রম বাজেট ০.৫ শতাংশে সীমিত রাখার বিধান পর্যালোচনা করা।

এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বন্দরসমূহের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, প্রক্রিয়াগত জটিলতা (ট্যাক্সের ক্ষেত্রে) নিরসন, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্দীপনা বা প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান, পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়া দ্রুততরকরণের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

নৌকা ও স্পিডবোটের ব্যবসায় নামল আরএফএল

Photo_1_RFL_introduces_boat.JPGস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অন্য অনেক পণ্যের পাশাপাশি এবার নৌকা ও স্পিডবোটের ব্যবসায় নেমেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আরএফএল। বর্তমানে সাপোর্ট ব্র্যান্ডের পাঁচটি মডেলের নৌকা এবং একটি মডেলের স্পিডবোট বাজারে এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। একেকটি নৌকার দাম ১১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। নৌকার ধারণক্ষমতা ৪ থেকে ৩০ জন। আর ১০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতার স্পিডবোটের দাম ৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

নরসিংদীর ডাঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গত রবিবার ফাইবার গ্লাসের (ফাইবার রিইনফোর্সড প্লাস্টিক বা এফআরপি) তৈরি ‘সাপোর্ট’ ব্রান্ডের নৌকা ও স্পিডবোটের আনুষ্ঠানিক বাজারজাত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সাপোর্ট ব্র্যান্ডের পাঁচটি মডেলের নৌকা এবং একটি মডেলের স্পিডবোট বাজারে এনেছে আরএফএল। একেকটি নৌকার দাম ১১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। নৌকার ধারণক্ষমতা ৪ থেকে ৩০ জন। আর ১০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতার স্পিডবোটের দাম ৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে আর এন পাল বলেন, ‘নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে কাঠের নৌকা বেশি প্রচলিত হলেও এটি বেশি দিন টেকে না। পানিতে বেশি সময় থাকলে কাঠের গুণগত মানও নষ্ট হয়। ঘন ঘন সংস্কারের কারণে ব্যবহারকারীর অতিরিক্ত খরচ হয়। এ কারণে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে আমরা ফাইবার গ্লাসের নৌকা বাজারে এনেছি।’

আরএফএল গ্রুপ দাবি করেছে, সাপোর্ট ব্রান্ডের নৌকা মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী। সহজে মেরামতযোগ্য। এটি কাঠের নৌকার তুলনায় দ্রুত চলে। বারবার রং করার প্রয়োজন নেই। মরিচাপ্রতিরোধী ও সহজে ডোবে না। ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি এই নৌকা ওজনে হালকা হওয়ায় সহজে পরিবহন করা যায়।

সাপোর্ট ব্র্যান্ডের নৌকার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) এ আর শামসুর রহমান জানান, নরসিংদীর ডাঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের নিজস্ব কারখানায় আরএফএলের নৌকা ও স্পিডবোট তৈরি করা হয়। তিনি বলেন, যাত্রী পারাপার, মালামাল পরিবহন, পার্কে ব্যবহার, মাছের খাবার দিতে ও মাছ ধরতে সাপোর্ট ব্র্যান্ডের নৌকা ও স্পিডবোট ব্যবহার করা যাবে। ভবিষ্যতে আরএফএলের ইয়ট (প্রমোদতরি) ও ইঞ্জিনের বড় নৌকা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

আরএফএল গ্রুপ জানায়, অনুমোদিত ডিলার, বেস্ট বাই ও ইজিবিল্ডের বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে সাপোর্ট ব্র্যান্ডের নৌকা ও স্পিডবোট বিক্রি হবে। ক্রেতারা নৌকা ও স্পিডবোটে এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম