পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয় ভাবছে সরকার : অর্থমন্ত্রী

kamalস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পেঁয়াজ আমদানিতে পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে যেটা আছে। যদি রাজস্ব খাতে কোনো কিছু করার থাকে অবশ্যই ছাড় দেওয়া হবে। অতিতেও বিবেচনা করা হয়েছে এখনও বিবেচনা করা হবে।

আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির বন্ধের খবরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ কমানোর জন্য। তারপরও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে জনগণ দুর্ভোগে পড়ছে।

এ দুর্ভোগ লাঘবে কি পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনগণের দুরদশা বাড়ুক এটা আমরা চাই না। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমরা কেউই এ প্রত্যাশা করি না। আমাদের হাতে যেটা আছে। যদি রাজস্ব খাতে কোনো কিছু করার থাকে অবশ্যই ছাড় দেওয়া হবে। অতিতেও বিবেচনা করা হয়েছে এখনও বিবেচনা করা হবে।

ব্যবসায়ীদের অসৎ উদ্দেশ্যকে আপনি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কীভাবে দেখবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রথমতো আমি ব্যবসায়ী ছিলাম সেটা আপনি কি করে জানলেন। আমি একজন চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলাম। পাশাপাশি একটি অডিটফার্মের মালিক সেখানে কাজ করাকে কোনো জাতের ব্যবসা বলবেন। দ্বিতীয় এ মুহুর্ত থেকে গত ১০ বছরে আমার কোন ব্যবসা আপনার নজরে পড়েছে। এ তথ্য কোথায় পেলেন। আমি ব্যবসায়ী ছিলাম এখনো ব্যবসা থাকতে পারি? আমি এখন মন্ত্রী, মন্ত্রী হলে ব্যবসা করতে পারে না। এটা ইলিগ্যাল। আর আমি ব্যবসা করিও না। ভালোভাবে আপনারা সবাই জানেন। আমি সব কিছু বিক্রি করে বহু আগেই পরিষ্কার।

অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য কি ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার একটু অংশ ছিল। যদি কোনো কারণে রাজস্ব বাড়িয়ে দেই। সে কারণে যদি দাম বাড়ে সেটার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় দায়ী। আর বাকি অংশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ। আমার মনে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দেখাশুনা করছে। অতীতেও সমস্যা হয়েছিল পড়ে তা সমাধান হয়েছে। আর ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু বলা লাগবে না। এখন যে আলোচনা হয়েছে তাই পরিষ্কার মেসেজ।

এডিবি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবি তো সারা বছরই কাজ করে। আর আমরা করি বছরে একবার। তারা বছরে একাধিকবার করে। তারা আমাদের সম্পর্কে খারাপ বলেনি ভালোই বলেছে। আমরা কাজ শুরু করেছি। তারা বলেছে আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক আট হবে। এডিবি তাদের ওভারভিউতে বলেছে, বাংলাদেশ ধীরে হলেও শুরু করেছে।

আমরা ধীরে হলেও এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সে কাজটি করবো। আমরা পাঁচ দশমিক দুই গতবছর বলেছিলাম। সেটা আমরা পাঁচ দশমিক ২৪ অর্জন করেছি। এবছর আমাদের আশা গতবছর আমরা যেটা করতে পারিনি আট দশমিক দুই শতাংশ। তবে এবছর আমাদের আশা বাজেটে যে প্রক্ষাপণ করা হয়েছে সেটা অর্জন করতে পারবো।

সেস্বপ্ন পূরণ করতে আমরা কাজ করছি। দেশের সব মানুষ তাদের সব কিছু উজার করে দিয়ে এ দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ছয় দশমিক আট শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি যদি করতে পারি তাহলে আমরা সাউথ এশিয়া না সাউথ ইস্ট এশিয়ার সব দেশের মধ্যে আমরা তিন নম্বরে থাকবো। আর গত বছর যেটা ছিল পাঁচ দশমিক ২৪ সেটাও এ অঞ্চলের মধ্যে সবার উপরে। এখন এবছরও ছয় দশমিক আট সেটা বিবেচনা করেন তাহলে আমাদের উপরে থাকে মাত্র ভারত আর চীন। আমি মনে করি আমরা ভালোভাবে এগুচ্ছি। এটি আমাদের জন্য কম অর্জন নয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টকে জরিমানা করলো বিএসইসি

bsecস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আইন ভঙ্গের দায়ে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একই সভায় আইন লঙ্ঘন করায় তিনটি ব্রোকারজকে সতর্ক বার্তা দিয়েছে কমিশন।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, কোম্পানিটির গ্রাহক মো. সবুজ হাওলাদার কমিশনে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে কমিশনের এসআরআই বিভাগ তদন্ত করে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে সিকিউরিজি আইন ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে।

(ক) কোম্পানি তার গ্রাহকের এবং তাদের সরবরাহকৃত তথ্য ও নথিপত্র উপযুক্তভাবে শনাক্ত ও যাচাই না করেই ২৪৬টি হিসাব খুলে বিধি ২৬(১) অব ডিপজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩ ও রুল ৭.৩.৩ অব সিডিবিএল বাই ল’স ভঙ্গ করেছে।

(খ) কোম্পানি একটি অমনিবাস হিসাবের বিপরীতে স্বতন্ত্র বিও হিসাব না খুলে এবং একটি বিও হিসাব নং ১০৬৫৭৬০০৬১২১৫১৩৯ এর বিপরীতে ৩০৭টি হিসাব পরিচালিত করে বিএসইসি ডাইরেক্টিভ নং এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/১৪২ তারিখ; ডিসেম্বর, ৩০ ২০১২ ভঙ্গ করেছে।

(গ) কোম্পানি তার গ্রাহকের এবং তাদের সরবরাহকৃত তথ্য নথিপত্র উপযুক্তভাবে শনাক্ত ও যাচাই না করে ৩০৫টি হিসাব খুলে বিধি ২৬(১) অব ডিপজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩ ও রুল ৭.৩.৩ অব সিডিবিএল বাই ল’স ভঙ্গ করেছে।

(ঘ) কোম্পানি একটি অমনিবাস হিসাব/বিও হিসাব ব্যবহার করে ২টি হিসাবের বেশি হিসাব হতে আইপিওতে আবেদনের মাধ্যমে কন্ডিশন ৯ অব দ্যা কনসেন্ট লেটার অব আমান কটন ফাইবার্স লিমিটেড (এসিএফএল) অ্যান্ড বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড (বিপিএমএল) হুইচ ইমপোসড আন্ডার ২সিসি অব দ্যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ ভঙ্গ করেছে।

উল্লেখ্য, এসআরআই বিভাগের পরিদর্শন প্রতিবেদনে মো. সবুজ হাওলাদার কর্তৃক কোম্পানির কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তার সহযোগে বেআইনিভাবে হিসাব খোলার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড কর্তৃক হিসাবসমূহ বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও কোম্পানি মো. সবুজ হাওলাদারের নামে জিডি ও মামলা করেছে যা এখনো বিচারাধীন আছে।

সিকিউরিটি সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের জন্য কমিশন আজকের সভায় এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এই জরিমানার অর্থ আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ে আদায় না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে সনদ বাতিল ও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এএফসি হেলথের আইপিও অনুমোদন

bsecস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ফিক্সড প্রাইজ পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পেয়েছে এএফসি হেলথ লিমিটেড।

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত   নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪০তম নিয়মিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সূত্র মতে, কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। যা দিয়ে মেশিনারিজ ও ইক্যুপমেন্ট ক্রয় এবং আইপিও খরচ পরিচালনা করা হবে।

কোম্পানিটির  ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) রয়েছে ১৩ টাকা ১৩ পয়সা।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল ও সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আইন ভঙ্গের দায়ে তিন কোম্পানিকে সতর্ক

bsecস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কমিশনের ৭৪০তম নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে কমিশন কোন তিন প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে তা উল্লেখ নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ড্রাগন গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দাবি

dragonস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রভিডেন্ট ফান্ড, সার্ভিস বেনিফিট, অর্জিত ছুটির টাকাসহ সব আইনানুগ পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছে ড্রাগন গ্রুপের শ্রমিকরা।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান ড্রাগন ইম্পেরিয়াল সোয়েটার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুরুল মইন বলেন, ‘ড্রাগন কারখানা বন্ধ হয়েছিল ২৬ মার্চ। মালিক আমাদের বলেছিলেন, কুমিল্লায় কারখানা স্থানান্তরিত হবে। কুমিল্লা এখান থেকে ৪০ কিলোমিটারের বেশি দূরে। শ্রমিকরা কুমিল্লার কারখানা জয়েন করতে বাধ্য না। শ্রমিকরা না গেলে তাদের আইনানুগ পাওনা দিয়ে দিতে হবে বলে মালিককে আমরা জানাই। মালিক মে মাসের ১২ তারিখ নোটিশ দিয়ে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। ’

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা প্রতিদিন কারখানার গেটে গিয়ে কাজের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন কিন্তু তারা কাজ করতে পারেননি। আমরা তখন মালিককে বললাম শ্রমিকদের কী হবে? মালিক বলেন, শ্রমিকদের তালিকা দেন। শ্রম দপ্তরের লোকজন বলে, সবুর করেন, আলোচনা হচ্ছে। এর একটি সমাধান হবে। ’

তিনি বলেন, ‘গতকাল মালিকের পক্ষ থেকেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বললেন, ৭ শতাংশ করে শ্রমিকরা যে টাকা জমা রেখেছেন, তা ফেরত দেবেন মালিক। শ্রমিকরা করোনা ভাইরাসের সময় সরকারের যে প্রণোদনার টাকা পেয়েছিল বেতন হিসেবে, সে টাকা কেটে রেখে শ্রমিকের জমা করা টাকা শ্রমিককে ফেরত দেবে। শ্রমিকরা প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি মাসে ৭ শতাংশ করে টাকা দিয়েছে আর মালিকের ৮ শতাংশ টাকা দেওয়ার কথা। মালিকের টাকা মালিক দেবে, আর এর সঙ্গে শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা যুক্ত হবে। সুদে-আসলে শ্রমিকের সব টাকা ফেরত দিতে হবে। ’

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানান এ নেতা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

করোনাকালে দেশে নতুন কোটিপতি ৩ হাজার ৪১২ জন

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনা মহামারিকালেও দেশে নতুন করে কোটিপতির সংখ্যা ৩ হাজার ৪১২ জন বেড়েছে। গত মার্চ থেকে জুন এই তিন মাসে ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারীর এই সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুন শেষে ব্যাংক খাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। মার্চ শেষে এই সংখ্যা ৮২ হাজার ৬২৫ জন ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর ব্যাংকে কোটিপতির সংখ্যা কমে যায়। তখন ৩০ সেপ্টেম্বর কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা কমে ৭৯ হাজার ৮৭৭ জন হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন ( করোনাকাল) হঠাৎ বেড়ে যায় এই সংখ্যা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত এক বছরে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ৫ হাজার ৬৪১ জন। এর মধ্যে করোনাকালেই বেড়েছে ৩ হাজার ৪১২ জন।

যদিও করোনার কারণে দেশের অনেক পরিবারের আয় কমেছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে জানানো হয়, করোনার কারণে দেশে শতকরা ৭২.৬ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে। সেসব পরিবারের বাৎসরিক আয় ১ লাখ টাকার কম, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মতে করোনাকালে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। কিন্তু বড় লোক বা ধনীদের আয় বেড়েছে। ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারী বেড়ে যাওয়া তারই প্রমাণ।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশের কোটি কোটি লোক নিঃস্ব হয়েছে বলেই করোনাকালীন সময়ও সাড়ে তিন হাজার মানুষ নতুন করে কোটিপতি হয়েছেন। ব্যাংক থেকে লুট করা একটি শ্রেণি কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। আবার তারাই হয়তো ব্যাংকে টাকা রাখছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দেশের অর্থনীতি তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

PMস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কম-বেশি (তুলনামূলক) ভালো অবস্থানে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বাজেট ঘোষণা করেছি, জানি না আমরা কতদূর করতে পারব (বাজেট বাস্তবায়ন), তবে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। যদি সবকিছু ভালোভাবে যায় তাহলে আমরা সম্পূর্ণ অর্জন করতে সক্ষম হব। যদি তা না হয় তবে সেটি আমরা দেখব…আমরা পিছপা হব না। আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে জাতীয় বাজেট দিয়েছি।’

বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রবাসীরা কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং তাদের অনেককে দেশে ফিরতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে, এ মহামারিতে রেমিট্যান্স কমে যেতে পারে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে।

‘আমাদের রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৩৯.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, রেমিট্যান্সের জন্য আমরা ২ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছি, আমাদের বিদেশি রিজার্ভ এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে,’ বলেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরে বাজেটের ঘাটতি পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও, সরকার এবার বাজেটের ঘাটতি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা এটি ১০ শতাংশ করতাম, তবে তা প্রয়োজন হয়নি।’

তিনি বলেন, করোনা সংকটের প্রথম থেকেই সরকার সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চেয়েছে। সীমিত আকারে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজও ঘোষণা করেছে সরকার।

কোভিড-১৯ মহামারি ছাড়াও সরকারকে কিছু প্রাকৃতিক বিপর্যয়েরও মুখোমুখি হতে হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কারণে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পেরেছি।’

‘দেশে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার পূর্বাভাস ছিল এবং এখনও কিছু নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী ভাঙন আরও খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি, আমরা চেষ্টা করছি,’ বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের পাশাপাশি তার দল দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

সংকটের এ সময়ে জনগণের সহায়তায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টার জন্য সরকারি কর্মকর্তা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষক লীগের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সংকটময় মুহূর্তে সাধারণ মানুষের কল্যাণ নিয়ে চিন্তা করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্য কোনো দল ক্ষমতায় থাকলে তারা কখনই এ কাজ করত না। এর পরিবর্তে, তারা এ সংকটকে পুঁজি করে কিছু সুযোগ-সুবিধা অর্জনের চেষ্টা করত। কিন্তু আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কঠোর পরিশ্রম করছি।’

তিনি বলেন, ‘এটিই আওয়ামী লীগের নীতি, জাতির পিতা যা আমাদের শিখিয়েছেন।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সকল কর্মসূচি স্থগিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের নিরাপত্তা ও জীবন সবার আগে এবং এ কারণেই সরকার সকল কর্মসূচি ভার্চুয়ালি পালন করছে।

সূত্র : ইউএনবি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/জেড

ই-কমার্সের মাধ্যমে কম দামে বিক্রি করা হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

tipuস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমাদের ৫ লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে। আর এক মাস সময় পেলেই আমরা বিকল্প বাজার থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আনতে পারব। আর টিসিবির পাশাপাশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কম দামে বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা অলরেডি মিয়ানমার, চীন ও তুরস্কের সঙ্গে কথা বলেছি। এক মাস সময় পেলেই সেখান থেকে পেঁয়াজ আনতে পারব। আর এক মাসের জন্য যে পরিমাণ প্রয়োজন, সেটা আমাদের মজুদ আছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এক মাস কষ্ট সহ্য করতে হবে। বর্ডারে আটকে থাকা পেঁয়াজ দু’একদিনের মধ্যে প্রবেশ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য জেল-জরিমানা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে ১২/১৩শ টন পেঁয়াজ লোড হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে আসবে। একমাস আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে দুই কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রথমত, ভারত হঠাৎ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় দেশের বাজারে চাপ বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, ‘পেনিক বায়িং’ তথা আতঙ্কিত হয়ে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা।

তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার। এ পেঁয়াজ টিসিবির পাশাপাশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কম দামে বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্লক মার্কেটে লেনদেন ১০ কোটি টাকার

blockস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৮টি কোম্পানির পৌনে ১০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৯ লাখ ৫৮ হাজার ১৪৪টি শেয়ার ৫১ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৯ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২ কোটি ২১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ম্যারিকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকার মুন্নু সিরামিকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের।

এছাড়া এসকে ট্রিমসের ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকার, সী পার্লের ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকার, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১১ লাখ ১১ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১৩ লাখ ৮ হাজার টাকার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ২ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ২০ লাখ ১৩ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ৩৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ১১ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকার এবং বারাকা পাওয়ারের ৫৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ