১ম প্রান্তিকে ওয়ালটন পণ্য বিক্রিতে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে পণ্য বিক্রয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারাবাহিকতায় ফিরে এসেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ওয়ালটনের টেলিভিশন, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মুনাফা হয়েছে ৪০১ কোটি টাকা। বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্যও।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রকাশিত চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে কোভিড-১৯ বা করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের মোট বিক্রি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকায়। এর মধ্যে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটনের টিভি, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রি ১৩.৫ শতাংশের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ শেষে পুর্নমূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনভিপিএস) বেড়ে ২৭৮ টাকা ৪৮ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ২৬১.৯২ টাকা। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট অপারেটিং ক্যাশফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪২.৩১ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ৭.৫৭ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ২৬ পয়সা।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা হয়েছে ৪০১ কোটি ৭১ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৩ টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে অর্জিত মুনাফার খুব কাছাকাছি। চলতি বছর সামগ্রিক অর্থনীতির ক্ষতি ও প্রতিকূল পরিস্থিতি বিবেচনায় ওয়ালটন প্রথম প্রান্তিকে যথেষ্ট ভালো মুনাফা অর্জন করেছে বলে মনে করেন আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, করোনায় লকডাইনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বন্যা হয়। সার্বিকভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামগ্রিক অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতায়। এদিকে জুনের প্রায় শেষে লকডাউন উঠতেই ওয়ালটন দ্রুত ব্যবসায়ের স্বাভাবিক ধারায় ফিরে এসে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সফল হয়েছে মনে করেন তারা।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, এক প্রান্তিকেই এতো বিশাল পরিমাণ মুনাফা অর্জনের রেকর্ড অন্য কোনো তালিকাভুক্ত দেশীয় কোম্পানির নেই।

ব্যবসায়ে স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসার বিষয়ে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, করোনা মহামারিতে শুধু ইলেকট্রনিক্স খাতই নয়; দেশের প্রতিটি খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি মন্থর হয়ে পড়েছিলো। তবে লকডাউন শেষে দেশের সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। করোনার প্রভাব কাটিয়ে ওয়ালটনের পণ্য বিক্রিতে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ফিরে এসেছে। একই সময়ে রপ্তানি বাণিজ্যও বেড়েছে। নতুন করে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে না গেলে সব ধরনের পণ্যে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। সর্বশেষ সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এমন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। তবে উদ্যোক্তা পরিচালকরা পাবেন ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য এ বছরের ২৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ডিএসইতে ওপেনিং-ক্লোজিং সেশন শুরু হবে ১৯ নভেম্বর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রি-ওপেন সেশন, ওপেনিং সেশন, ক্লোজিং সেশন এবং পোস্ট ক্লোজিং সেশন চালু হবে আগামী ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে। শেয়ারবাজারে সকল স্টেকহোল্ডারদের সফলভাবে ইউএটি এবং বাজারের সচেতনতা সম্পন্ন হওয়ায় নতুন করে আধা ঘন্টা সময় বাড়ালো।

আজ মঙ্গলবার (১৭নভেম্বর) ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তথ্য মতে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ২০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে প্রি-ওপেন সেশন, ওপেনিং সেশন, ক্লোজিং সেশন এবং পোষ্ট ক্লোজিং সেশন স্টেকহোল্ডারদের ইউএটি এবং বাজারের সচেতনতা সম্পন্ন করা সাপেক্ষে চালু করার জন্য অনুমোদন করেছে। ডিএসই কমিশনকে অবহিত এবং অন্যান্য কার্য সম্পাদন পূর্বক ১৯ নভেম্বর, ২০২০ তারিখের মধ্যে এই সেশনগুলো চালু করবে। ডিএসইর প্রি-ওপেনিং ও ওপেনিং সেশন হবে সকাল ৯:৪৫ থেকে সকাল ১০ টা। এ সেশনে বিনিয়োগকারীরা শুধু শেয়ার কেনা বা বেচার আদেশ দিতে পারবেন। এই সেশনে একটি আইডিয়াল ওপেনিং প্রাইস নির্ধারণ করা হবে। সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্রেতা এবং বিক্রেতা যেই প্রাইসে থাকবে সেটাই হবে ওপেনিং প্রাইস। নিয়মিত সময়ে যেয়ে এই ওপেনিং প্রাইসে লেনদেনটি সম্পন্ন হবে। পরিবর্তীতে স্বাভাবিক নিয়মে নিয়মিত সেশনটি চালু থাকবে।

এদিকে, দুপুর আড়াইটায় স্বাভাবিক লেনদেন শেষ হওয়ার পর শুরু হবে ক্লোজিং ও পোস্ট ক্লোজিং সেশন। এর ব্যাপ্তি হবে ১০ মিনিট। এ সময়ে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে কোনো শেয়ার দর প্রস্তাব করতে পারবেন না। শুধু ক্লোজিং প্রাইসে শেয়ার কেনা বা বেচার সুযোগ পাবেন। এ সেশন শেষ হবে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএস

আবুধাবি থেকে তেল আবিব ফ্লাইট চালু করবে আমিরাতের ইতিহাদ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক চুক্তি স্বাক্ষরের পর আগামী বছর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি থেকে সরাসরি তেলআবিবগামী ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছে আমিরাতের বিমান সংস্থা ইতিহাদ এয়ারওয়েজ।

গতকাল সোমবার (১৬ নভেম্বর) ইতিহাদ এয়ারওয়েজের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আবুধাবি ও ইসরায়েল আগামী ২৮ মার্চ থেকে ফ্লাইট চালু করবে। এতে উভয় দেশের অধিবাসীরা ইসরায়েলের ঐতিহাসিক স্থাপনা, সমুদ্র সৈকত, রেস্টুরেন্ট ও রাত্রিযাপনের সুযোগ পাবে। ইতিহাদের ওয়েবসাইটে টিকেট পাওয়া যাবে।

ফ্লাইট চালুর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে সংস্থাটি টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে। ভিডিওতে বিভিন্ন ভ্রমণ স্পট ও প্রতীকি চিহ্ন অঙ্কন করা হয়। তাতে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের বিতর্কিত ‘সেকেন্ড ট্যাম্পল’ -এর প্রতীকও দেওয়া হয়। অবশ্য আরবি সংবাদ ও যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমালোচনা তীব্র হলে ভিডিওটি মুছে ফেলা হয়।

ইহুদিদের দ্বিতীয় ট্যাম্পলটি রোমানরা খ্রিস্টপূর্ব ৭০ অব্দে ধ্বংস করে। ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে এর ধ্বংসাবশেষ বর্তমানের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের নিচে আছে। জেরুজালেম শহরের অন্যান্য স্থাপনার মতো এর ধ্বংসাবশেষ মোটেও বিদ্যামান নেই। ইহুদিধর্মাবলম্বীরা এটিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখেন।

ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের কাছে পরিচিত ট্যাম্পল মাউন্টকে জেরুজালেমের খ্রিস্টানরা অভিশপ্ত মনে করে ময়লা-আবর্জনার স্থান হিসেবে ব্যবহার করত। উমাইয়া খেলাফত পর্যন্ত স্থানটি এমনি চলতে থাকে। সপ্তম শতাব্দিতে উমাইয়া খলিফা কুব্বা সাখরা ও আল আকসা মসজিদ পুননির্মাণ করেন।

সূত্র : আল জাজিরা

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএস

শেয়ারবাজারের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা চায় বিএসইসি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারের তহবিল সঙ্কট চলছে জানিয়ে তা কাটিয়ে উঠতে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিটিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এই হতবিলের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং আইসিবিসহ স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য চাওয়া হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংককে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, শেয়ারবাজারে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে আইসিবিসহ অন্যান্য বাজার মধ্যস্থতাকারী তথা মার্চেন্ট ব্যাংকার, স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলারের মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করাসহ সার্বিক সক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিশেষ তহবিলে তিন শতাংশ থেকে চার চার সুদে ১০ বছর মেয়াদী ঋণ দেবে। এ তহবিলের বিনিয়োগের সুদের হার হবে চার শতাংশ যার এক শতাংশ সিংকিং ফান্ডে জমা থাকবে।

সিংকিং ফান্ড এমন একটি তহবিল যা দায় পরিশোধ অথবা সম্পদক পরিবর্তনে কাজে লাগানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, এই তহবিলের মাধ্যমে উত্তেলিত অর্থ মার্চেন্ট ব্যাংকার, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলার কতৃক ইস্যুকৃত করপোরেট বন্ড/ডেট সিকিউরিটিজে (যার কুপন হার হবে ছয় থেকে সাত শতাংশ) বিনিয়োগ করা হবে।

এতে বলা হয়েছে, গঠিত এ তহবিলের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে আইসিবি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এই তহবিল গঠন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বাজারে তারল্য ও লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে। এটা শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায়ও কয়েকগুণ বাড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. ব্র্যাক ব্যাংক
  3. বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট
  4. এশিয়া ইন্স্যুরেন্স
  5. গ্রামীন ওয়ান : স্কিম টু
  6. স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস
  7. এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মি. ফান্ড
  8. ইসলামী ইনস্যুরেন্স
  9. এসোসিয়েটেড অক্সিজেন
  10. আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

ডিএসইতে ৭৯০ ও সিএসইতে ২২ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের সূচক বাড়লেও লেনদেন স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন ও সূচক উভয় কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়

মঙ্গলবার লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৯০৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৩.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১২৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭.২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭০৪ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯০ কোটি ৯১ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ৭৯০ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৪৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৪৯টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১২৭টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৭১টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো, ব্র্যাক ব্যাংক, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, গ্রামীন ওয়ান : স্কিম টু, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইসলামী ইনস্যুরেন্স, এসোসিয়েটেড অক্সিজেন ও আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১১৫.৩৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ০৪৬ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ১০১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেড ও লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএস

ব্লক মার্কেটে লেনদেন হযেছে ৩৭ কোটি টাকার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে মোট ৩১ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৬৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ব্রাক ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ১৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

গ্রামীণফোণ ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ৪ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এবি ব্যাংক, আমান ফিড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বিডি ল্যাম্পস, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, কনফিডেন্স সিমেন্ট, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ডিবিএইচ, দেশবন্ধু পলিমার, ইস্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স, গ্রামীণফোন, জনতা ইন্স্যুরেন্স, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, ‍মুন্নু সিরামিক, ন্যাশনাল ফিড, নিটল ইন্স্যুরেন্স, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস, ওরিয়ন ফার্মা, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিমটেক্স, এসওক ট্রিমস, সোনালী পেপার, স্কয়ার ফার্মা ও ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

একনেকে ৭৫০৫ কোটি টাকার ৫টি প্রকল্প অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সাত হাজার ৫০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা খরচে পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে সরকার দেবে সাত হাজার ৪২৬ কোটি ৬১ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী/সচিবরা একনেক সভায় অংশ নেন। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পরিকল্পনা বিভাগের সচিবের তথ্যমতে, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে চারটিই স্থানীয় সরকার বিভাগ/স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এবং একটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। আর প্রকল্পগুলোর মধ্যে তিনটি প্রকল্প নতুন এবং দুটির সংশোধিত।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সচিব জানান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন হতে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলাধীন গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ৭৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

বাকি চারটি প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ/স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের। সেগুলোর মধ্যে ‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে পাঁচ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ‘খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্যব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্পে খরচ হবে ৩৯৩ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ৩১৪ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। আর বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সিটি করপোরেশন দেবে ৭৮ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার টাকা।

স্থানীয় সরকার বিভাগ/স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত দুটি প্রকল্পের মধ্যে ‘গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৯৫০ কোটি থেকে সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের জুনে। এর সময় বাড়িয়ে করা হলো ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।

আর ‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। প্রকল্পটির খরচ ১২৬ কোটি ৫৯ লাখ ৯২ হাজার থেকে সংশোধন করে বাড়ানো হয়েছে ২২৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের মার্চে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সংশোধনীতে এর মেয়াদ বাড়িয়ে করা হলো ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

একনেক সভায় অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী মো. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও সদস্যরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ব্যবসায়িক হিসাব খোলার সুযোগ পেলেন ছোট উদ্যোক্তারা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায়ী ও ছোট উদ্যোক্তারা এখন খুচরা ব্যবসায়িক হিসাব খুলতে পারবেন। ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা (এমএফএস) ও অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো (পিএসপি) এই হিসাব খুলবে। হিসাব খোলার সময় ব্যবসায়িক পেশাজীবী সনদ জমা দিতে হবে।

এসব হিসাবের মাধ্যমে কত টাকা লেনদেন করা যাবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল সোমবার ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ প্রচলনের নতুন এ সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়েছে। এর ফলে নগদ অর্থের লেনদেন কমে ‘ডিজিটাল পেমেন্ট ইকো সিস্টেম’ গড়ে ওঠার আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শুধু শ্রমনির্ভর অতি ক্ষুদ্র ও ভাসমান উদ্যোক্তা, প্রান্তিক পর্যায়ের বিক্রেতা ও সেবা প্রদানকারী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পণ্য ও সেবা বিক্রেতারা এই হিসাব খুলতে পারবেন। ব্যাংক, এমএফএস ও পিএসপিকে সরাসরি বা কর্মকর্তার মাধ্যমে এই হিসাব খুলতে হবে। তবে কোনো এজেন্ট এই হিসাব খুলতে পারবে না।

ব্যাংক ও এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় খুচরা ব্যবসায়িক হিসাব খোলার আগে গ্রাহকের পেশা ও হিসাব খোলার যোগ্যতা নিশ্চিত হতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা পেশাজীবী সমিতি প্রদত্ত গ্রাহকের পেশার সত্যায়ন নিতে হবে। যাঁরা ডিজিটাল গ্রাহক তথ্য ফরম বা ই-কেওয়াইসি ব্যবহার করে হিসাব খুলবেন, তাঁদের মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের সীমা ১০ লাখ টাকা। এককালীন স্থিতিও ১০ লাখ টাকার বেশি হবে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আজ থেকে বাজারে ১০ টাকার নতুন নোট

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাজারে আসছে ১০ টাকার নতুন নোট। মঙ্গলবার থেকে এই নোট ছাড়া হচ্ছে। এই তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

নতুন নোটে নিরাপত্তা সুতা আগেরটি অপেক্ষায় উন্নত এবং এর কারিগরি প্রযুক্তিও নতুন, যা জালকরণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

বিদ্যমান ১০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের রঙ এবং ডিজাইন অপরিবর্তিত রেখে নিরাপত্তা কাগজ ও নোটের সম্মুখভাগের বামপাশের নিরাপত্তা সুতা পরিবর্তন করা হয়েছে নতুন নোটে।

নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত। এ ছাড়া নতুন সংযোজিত নিরাপত্তা সুতাটি ২ মিমি প্রশস্ত এবং এতে বাংলায় স্বচ্ছভাবে ‘$১০ (দশ) টাকা’ সরাসরি এবং উল্টোভাবে লেখা রয়েছে, যা নিরাপত্তা সুতার দৃশ্যমান অংশে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অবস্থান করবে। নতুন নিরাপত্তা সুতাটি নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সহজে উঠানো সম্ভব হবে না। নোটটি বিভিন্ন দিকে ঘুরালে বা কাত করলে সুতার রঙ ম্যাজেন্টা হতে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য অধিকতর সুদৃঢ় করা এবং নোট জালকরণ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে এ নোট ছাড়া হচ্ছে।

এই নোট আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে পাওয়া যাবে এবং পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও ইস্যু করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/