ইউনাইটেড পাওয়ার সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সমাপ্ত সপ্তাহে দর পতনের শীর্ষে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১২.৭০ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ৩৬ কোটি ৩৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৭ কোটি ২৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

দর পতনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি সর্বমোট ৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩ হাজার টাকা।

প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স তৃতীয় স্থানে । গত সপ্তাহে শেয়ারটি সর্বোচ্চ দর কমেছে ১১.২৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি সর্বমোট ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৫ কোটি ৫২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

তালিকায় থাকা আরও কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এসইএমএল আইবিবিএল শরীয়াহ ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এসিআই লিমিটেড, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, শ্যামপুর সুগার মিলস, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইউনিলিভার কনজিউমার সাপ্তাহিক দর বাড়ার শীর্ষে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সমাপ্ত সপ্তাহে দর বাড়ার শীর্ষে রয়েছে ইউনিলিভিার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২৭.৬২ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহে শেয়ারটি সর্বমোট ১৭ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৩ কোটি ৫৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

দর বাড়ার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড।গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বচ্চ দর বেড়েছে ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি সর্বমোট ৩৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৭ কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

দ্য পেনিনসুলা চিটাগং গেইনারের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বচ্চো দর বেড়েছে ২২ দশমিক ০৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি সর্বমোট ২১ কোটি ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

তালিকায় থাকা  আরও কোম্পানিগুলো হচ্ছে- মিররাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, রংপুর ডাইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস, হামিদ ফেব্রিক্স, ন্যাশনাল ফিড, নাভানা সিএনজি এবং কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএস

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষমতার লাগাম টানা হবে পরিচালকদের

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

সংশোধনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন আরও কঠোর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পর্ষদের প্রভাব কমানো হবে। এজন্য পরিচালকের সংখ্যা, একই পরিবার থেকে পরিচালকের সংখ্যা ও শেয়ার ধারণের হার কমানো হচ্ছে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আমানতকারীদের ভেতর থেকে পরিচালকের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্ষদে উদ্যোক্তা পরিচালকদের ক্ষমতার লাগাম টানা হবে।

এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক আইনের একটি পূর্ণাঙ্গ কাঠামো তৈরি করেছিল বেশ আগেই। কিন্তু বিষয়টি আর বেশি দূর এগোয়নি। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নজিরবিহীন লুটপাটের কারণে ১১টি লাল তালিকায় পড়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানকে অবসায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফলে এ খাতের গ্রাহকদের মধ্যে আস্থার সংকট প্রকট হয়েছে।

প্রচলিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনটিও পূর্ণাঙ্গ নয়। খুবই সংক্ষিপ্ত আইন দিয়ে চলছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংককে যে কোনো ধরনের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিধি প্রণয়ন করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৩টিতে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর ঋণ ও আমানতের পরিমাণও বেড়েছে। এসব বিবেচনায় আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ লিজিং এবং ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। বিএলএফসিএর পক্ষ থেকেও আইনের একটি খসড়া তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংকে দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে তারা কাজ করছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ লিজিং এবং ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) সভাপতি ও আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে শৃঙ্খলা আনতে আইনটি সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানে পর্ষদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উদ্যোক্তা পরিচালকদের একক কর্তৃত্ব যাতে না থাকে সেজন্য আমানতকারী ও স্বতন্ত্র পরিচালক রাখার বিধান করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিচালকদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, সংশোধিত আইনটি অনেকটা ব্যাংক কোম্পানির আদলে হবে। বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনে অনেক শিথিলতা রয়েছে। সংশোধিত আইনে এটি থাকবে না। ব্যাংক কোম্পানি আইনে একক ব্যক্তি বা পরিবার বা কোনো গ্রুপের হাতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার বিধান রয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রয়েছে ২০ শতাংশ। প্রস্তাবিত খসড়ায় এই হার কমিয়ে ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করা হবে। ব্যাংকে একসঙ্গে একই পরিবারের পরিচালক থাকতে পারে সর্বোচ্চ ৩ জন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারে ৪ জন। সংশোধিত আইনে এই সংখ্যা কমিয়ে ২ জন করার প্রস্তাব করা হবে। ব্যাংকে একজন পরিচালক টানা তিন মেয়াদ (এক মেয়াদ তিন বছর) অর্থাৎ নয় বছর থাকতে পারে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। সংশোধিত আইনে টানা দুই মেয়াদ করা হচ্ছে। এক মেয়াদ তিন বছর করে টানা দুই মেয়াদে একজন পরিচালক ৬ বছর থাকতে পারবেন। এরপর এক মেয়াদ অর্থাৎ তিন বছর বিরতি দিয়ে আবার পরিচালক পদে ফিরে আসতে পারবেন।

ব্যাংকের পর্ষদে বর্তমান আইনে পরিচালকের সংখ্যার ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ নেই। ফলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ২০ থেকে ২৭ জন পরিচালকও রয়েছেন। এর আগের আইনে ব্যাংকের পর্ষদে পরিচালক সংখ্যা সর্বোচ্চ ৯ জনে নামিয়ে আনা হয়েছিল। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পর্ষদে পরিচালক থাকার ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ নেই। ফলে পর্ষদে পরিচালকের সংখ্যা অনেক বেশি। সংশোধিত আইনে পরিচালকের সংখ্যা কমিয়ে ১৫ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলা হবে।

ব্যাংকের পর্ষদে স্বাধীন ও আমানতকারীদের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ ৩ জন পরিচালক থাকতে পারেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো বিধি নেই। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাধীন ও আমানতকারীদের মধ্যে পরিচালকের সংখ্যা খুবই কম। সংশোধিত আইনে এ ধরনের পরিচালক রাখার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রাখা হবে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরিচালক পদে রাখার বিধান করা হবে।

এছাড়াও সংশোধিত আইনে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হবে। পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে ক্ষমতার বিভাজন আরও সুনির্দিষ্ট করা হবে। পরিচালকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ঋণ প্রস্তাব পর্ষদে উপস্থাপন করা হলে ওই প্রস্তাবের পক্ষে সংশ্লিষ্ট পরিচালক কোনো কথা বলতে পারবেন না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৫ কার্যদিবসে বাজার মূলধন ৮৭৪৫ কোটি টাকা বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮৭৪৫ কোটি টাকা বেড়েছে। এসময় গত সপ্তাহের তুলনায় সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৩৮৯৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৩৯০৯ কোটি ১০ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ০.২৮ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ৭৭৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ০.২৮ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬২৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকার উপরে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৫.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ১৬.৬৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২০৬টির, কমেছে ৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৩টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৮৭৪৫ কোটি টাকা বা ২.২৪ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

 

বন্ধ হচ্ছে শেয়ারবাজারের তিনটিসহ ছয় চিনিকল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

লোকসানের বোঝা কমাতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩টি চিনিকল সহ সরকারি ছয় চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। আপাতত এসব চিনিকলে চলতি ২০২০–২১ অর্থবছরের আখমাড়াই বন্ধ করা হয়েছে।

উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া চিনিকলগুলো হচ্ছে কুষ্টিয়া, পাবনা, পঞ্চগড়, শ্যামপুর (রংপুর), রংপুর ও সেতাবগঞ্জ (দিনাজপুর) চিনিকল। সব মিলিয়ে করপোরেশনের অধীনে রয়েছে ১৫টি চিনিকল। ছয়টি চিনিকল বন্ধ হলেও বাকি নয়টিতে আখমাড়াই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এমনকি ছয় চিনিকলের অধীনে থাকা চাষিদের আখ কিনবে করপোরেশন। সেই আখ চালু থাকা চিনিকলে মাড়াই হবে। বন্ধ হওয়া ছয় চিনিকলে ২ হাজার ৮৮৪ জন শ্রমিক কর্মচারী কর্মরত।

বিএসএফআইসির তিনটি প্রতিষ্ঠান—শ্যামপুর সুগার মিল, জিলবাংলা সুগার মিল ও রেনউইক যজ্ঞেশ্বর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। গতকাল শ্যামপুর সুগার মিল বিনিয়োগকারীদের জানায়, চলতি অর্থবছর তারা চিনি উৎপাদন করবে না। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উৎপাদন বন্ধের ঘোষণায় গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রায় ৫ শতাংশ বা ৩ টাকা কমে যায়। দাম নেমে আসে প্রায় ৫৯ টাকায়। ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানি লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশও দিতে পারে না। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে এটি নিম্নমানের কোম্পানি হিসেবে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত রয়েছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, ছয়টি চিনিকলে চলতি অর্থবছর আখমাড়াই স্থগিত থাকবে। তবে চাষিদের সব আখ কিনে নেবে সরকার। সেগুলো চালু থাকা চিনিকলে পাঠানো হবে। চিনিকলের কোনো শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হবে না। উৎপাদন বন্ধ থাকা কারখানার শ্রমিকদের পার্শ্ববর্তী চিনিকলে বদলি করা হবে। ফলে চিনিকল বন্ধ হলেও আখচাষি ও কারখানার কর্মীদের কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে বাংলাদেশ সুগার মিলস করপোরেশন গঠিত হয়। সংস্থাটির অধীনে ছিল ৭২টি প্রতিষ্ঠান। পরে আরও চারটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। তবে বিভিন্ন সময় ৫৯টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে করপোরেশনের অধীনে ১৫টি চিনিকল, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা ও তিনটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড