লা মেরিডিয়ানের ডিরেক্ট লিস্টিংয়ের ব্যাখ্যা চায় বিএসইসি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ডিরেক্ট লিস্টিং পদ্ধতিতে সরাসরি শেয়ারবাজারে আসতে চায় রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল লা মেরিডিয়ান ঢাকার পরিচালনাকারী বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পর্ষদ সভায় প্রতিষ্ঠানটির তালিকাভুক্তির বিষয়ে আলোচনা হওয়ারও কথা রয়েছে। তবে কোম্পানিটির ডিরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কিছু আইনি বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে ডিএসইর কাছে কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এ বিষয়ে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কমিশনের ২০১৬ সালের একটি নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকারের মালিকানাধীন ব্যতীত অন্য কোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে ডিরেক্ট লিস্টিংয়ের প্রভিশন কাজে লাগাতে পারবে না দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। অর্থাৎ বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যতীত কোনো বেসরকারি কোম্পানির ডিরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আইনি সুযোগ নেই।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বেস্ট হোল্ডিংসের ৫২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ মালিকানা রয়েছে ব্যক্তি ও কিছু প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির হাতে। আর বাকি ৪৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের হাতে। এর মধ্যে সোনালী ও জনতা ব্যাংকের কাছে রয়েছে ৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ হারে। আর অগ্রণী ব্যাংকের কাছে ৬ দশমিক ৬২ ও রূপালী ব্যাংকের কাছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে বেস্ট হোল্ডিংসের মূলধন সংগ্রহের প্রক্রিয়া ও ২০১৬ সালের আগস্ট থেকে ২০১৯ মেয়াদে নিট চলতি সম্পদের ঋণাত্মক মানও ডিরেক্ট লিস্টিং-সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানের পরিপন্থী। এছাড়া যে ৪ কোটি ৩৫ লাখ শেয়ার কোম্পানিটি বাজারে ছাড়তে চাইছে, তা তাদের মোট শেয়ারের মাত্র ৫ শতাংশ। এটিও আইনের পরিপন্থী। কমপ্লায়েন্স পরিপালনের জন্য কোম্পানিটিকে তাদের পরিশোধিত মূলধনের অন্তত ২৫ শতাংশ শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়তে হবে।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। আগের হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৬৮ পয়সা।

বেস্ট হোল্ডিংসের ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে রয়েছে রেস পোর্টফোলিও অ্যান্ড ইস্যু ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ব্যবসায়ীদের কাছে অদক্ষ সরকারি প্রশাসনই সবচেয়ে বড় সমস্যা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অদক্ষ সরকারি প্রশাসনকেই সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করেন এদেশের ব্যবসায়ীরা। ৭২ শতাংশ ব্যবসায়ী অদক্ষ সরকারি প্রশাসনকে শীর্ষ সমস্যা হিসেবে দেখছেন। তাঁদের দৃষ্টিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বড় সমস্যা হলো যথাক্রমে দুর্নীতি ও অর্থায়নের পরিবেশ। ৬৮ শতাংশ ব্যবসায়ী দুর্নীতিকে এবং ৬৬ শতাংশ ব্যবসায়ী সীমিত অর্থায়নের সুযোগকে বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ২০২০ সালের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রতিবেদন ও বাংলাদেশ ব্যবসায় পরিবেশ সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) পক্ষে স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এটি প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যবসায় পরিবেশ সমীক্ষা সিপিডির নিজস্ব প্রতিবেদন।

এবারে করোনার কারণে অন্যান্য বছরের মতো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়নি। তবে কোন দেশের কি সমস্যা তা জানতে ওই দেশের ব্যবসায়ীদের মতামত জরিপ করা হয়েছে। ডব্লিউইএফের পক্ষে বাংলাদেশে এই কাজটি করেছে সিপিডি। তারা ১০ কোটি টাকার ওপর সম্পদ আছে এমন ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীদের মতামত নিয়েছে। আজ এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবেদন দুটি প্রকাশ করেছে সিপিডি। এতে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও প্রতিযোগিতাসক্ষম করতে ১২টি বিষয়ের প্রতি জোর দেওয়ার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—সুশাসন, অবকাঠামো, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ, অর্থায়নের পরিবেশ, বৈদেশিক বাণিজ্য, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, ব্যবসায় পরিচালনা, নিরাপত্তা, ঝুঁকি ইত্যাদি।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে একেক সময় একেকটি সমস্যা প্রকট হয়ে দাঁড়ায়। এক সময় দুর্নীতি ছিল বড় সমস্যা। পরে অবকাঠামো বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন আবার ব্যবসায়ীরা অদক্ষ প্রশাসনকে বড় সমস্যা মনে করছেন।

বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও প্রতিযোগিতাসক্ষম করতে ১২টি বিষয়ের প্রতি জোর দেওয়ার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—সুশাসন, অবকাঠামো, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ, অর্থায়নের পরিবেশ, বৈদেশিক বাণিজ্য, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, ব্যবসায় পরিচালনা, নিরাপত্তা, ঝুঁকি ইত্যাদি।
বিজ্ঞাপন

প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সুদৃঢ় করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে গিয়ে যেন কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধি না হয়। তিনি আরও বলেন, দক্ষ সরকারি প্রশাসন তৈরি করতে হলে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রভাবমুক্তভাবে কাজ করতে দিতে হবে।

সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সুদৃঢ় করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে গিয়ে যেন কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধি না হয়। তিনি আরও বলেন, দক্ষ সরকারি প্রশাসন তৈরি করতে হলে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রভাবমুক্তভাবে কাজ করতে দিতে হবে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, দক্ষ ও উন্নয়নমুখী অর্থনীতির জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য করার পরিবেশ সহজ করতে হবে। প্রযুক্তির উৎকর্ষ বাড়াতে হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা ধরনের রূপান্তর প্রয়োজন। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

আইসিএসবির ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি)-এর সদস্যদের বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন

ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) ৫০ তম বিজয় দিবস ইনস্টিটিউটের প্রাঙ্গনে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। উদযাপনের শুরু হয় ভোরে সূর্য উদয়ের পর পরেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে।

ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট মোজাফফর আহমেদ এফসিএমএ, এফসিএস বলেন যে, বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিজয় দিবস, একটি তাৎপর্য পূর্ণ দিন যা শুধুমাত্র ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। স্বৈরাচারী পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য আমাদের মুক্তিকামী জনগণ তাদের সর্বাত্মক ত্যাগ স্বীকার করেছিল। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে আমরা গভীরভাবে স্মরণ করি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন দেখেছিল সেভাবেই আমরা আমাদের জাতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাব। স্বাধীনতার ৪৯ বছরে এদেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক জীবনে অনেক উন্নয়ন ঘটেছে।

এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় আইসিএসবির ঢাকা রিজিওনাল চ্যাপ্টার সাব কমিটি (ডিআরসি) ও মেম্বারস ওয়েল ফেয়ার এন্ড রিক্রিয়েশন সাব কমিটি এর যৌথ উদ্যোগে। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ সেলিম রেজা এফসিএস ও চেয়ারম্যান, মেম্বারস ওয়েল ফেয়ার এন্ড রিক্রিয়েশন সাব কমিটি, কাউন্সিল মেম্বার মোঃ শরিফ হাসান এফসিএস এবং ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ শামিবুর রহমান এফসিএস।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এবার চীন ও আমিরাতভিত্তিক ৪ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

ইরানের তেল বিক্রির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার অভিযোগে চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক চারটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন সরকার।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তেহরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করে আসছেন। ক্ষমতা ছাড়ার আগ মহূর্তেও তিনি সে নীতি অনুসরণ অব্যাহত রেখেছেন এবং দফায় দফায় ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছেন।

বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় চীনের দোংগাই ইন্টারন্যাশনাল শিপ ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, চীনের তেল কোম্পানি চায়না সাউথ-ইস্ট লিমিটেড, আমিরাতভিত্তিক আলফা টেক ট্রেডিং এফজেডই এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেট্রোলিয়্যান্স ট্রেডিং এফজেডই’র ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এছাড়া ইরানি তেল পরিবহনে ভূমিকা রাখার জন্য ভিয়েতনামের গ্যাস ও কেমিক্যালস ট্রান্সপোর্টেশন করপোরেশনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ইউরিয়া সার রপ্তানিতে বিসিআইসি ও নেপালের কেএসসিএল’র চুক্তি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেপাল সরকারকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার রপ্তানির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) ও নেপালের কৃষি সামগ্রি কম্পানি লিমিটেডের (কেএসসিএল) মাঝে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আমিন উল আহসান এবং কেএসসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেত্র বাহাদুর ভান্ডারি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব কে এম আলী আজম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বংশীধর মিশ্রসহ শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিআইসি এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও নেপাল সরকারের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং কেএসসিএল’র প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব কে এম আলী আজম বলেন, নেপালের জনগণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সহযোগিতার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব চাহিদা পূরণে সার আমদানি করলেও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ নেপালের জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ সার রপ্তানির চুক্তি করে বন্ধুত্বের হাত সম্প্রসারিত করেছে। বাংলাদেশ নেপালের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শিল্প সচিব বলেন, সার সহযোগিতার মাধ্যমে দু’ দেশের মধ্যে সহযোগিতার যে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে তাতে উভয় দেশ উপকৃত হবে। এ সহযোগিতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্র তার বক্তৃতায় সার সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। নেপাল ও বাংলাদেশকে পরস্পরের সত্যিকারের বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেপাল বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিল, আবার নেপালের যেকোনো দুর্যোগে বাংলাদেশ সবসময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। দু’ দেশের এ সম্পর্ককে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগানোর সময় এসেছে বলে তিনি মন্ত্রব্য করেন।

উল্লেখ্য, নেপালকে সার সহায়তা প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় ও নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আজ এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার কাফকো, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে নেপাল সরকারকে রপ্তানি করা হবে। ১ কোটি ২৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলারের সম পরিমাণ বাংলাদেশি প্রায় ১০৯ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮১২ টাকায় নেপাল এই সার ক্রয় করছে। সার সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে নেপাল-বাংলাদেশের সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় রচিত হলো। নেপালের সাথে আলোচনাধীন ‘প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ)’ স্বাক্ষরিত হলে শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বেগবান হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

৪২ শতাংশ পোশাক শ্রমিক পাননি করোনাকালীন প্রণোদনার অর্থ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

করোনার প্রভাব থেকে দেশের অর্থনীতিকে সুরক্ষায় শিল্পখাতের জন্য প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। ঘোষিত ওই প্রণোদনা প্যাকেজের অর্ধেকের বেশি নিয়েছে তৈরি পোশাক খাত। কিন্তু এর পরও ৪২ শতাংশ শ্রমিক বঞ্চিত হয়েছেন প্রণোদনার অর্থ থেকে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

‘তৈরি পোশাক খাতে করোনা ভাইরাস উদ্ভূত সংকট: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ভার্চুয়ালি উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নাজমুল হুদা মিনা ও নুরে আলম মিল্টন। এছাড়া পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ড. ইফতেখারুজ্জামান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাত মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) মাত্র ১০ শতাংশ অবদান রেখে প্রণোদনার অর্থের অর্ধেকের বেশি নিয়েছে। সরকার ১৯টি প্যাকেজের আওতায় সরকার ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৭ কোটি কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পায় পোশাক খাত।

অন্যদিকে শ্রমিকদের দোহাই দিয়ে এই প্রণোদনা নেওয়া হলেও বরাদ্ধের মাত্র ১৬ শতাংশ পেয়েছে শ্রমিকরা। এছাড়া পোশাক খাতের মোট ৩০ লাখ শ্রমিকের মধ্যে ৫৮ শতাংশ শ্রমিক প্রণোদনার অর্থ পেলেও ৪২ শতাংশ শ্রমিক এর কোনো সুবিধা পায়নি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চার দশকের এই শিল্প এখনো সরকার ও জনগণের টাকার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সংকট মোকাবেলায় মালিকরা নিজেদের আত্মমর্যাদা দেখাতে পারেননি।

প্রণোদনার টাকা পেলেও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে তেমন কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি শ্রম আইন না মেনে কারখানা লে-অফ করা হয়েছে। প্রণোদনার ক্ষুদ্র অংশ পেয়েছে শ্রমিক পক্ষ। এটি মাত্র ১৬ শতাংশ এবং তা বিতরণ করা হয়েছে বৈষম্যমূলক।

করোনার এমন সংকটের সময়ও ৬৪ কারখানার কারখানার ২১ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। তবে মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর চাপে একপর্যায়ে শিল্প পুলিশ ও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তর তথ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের আইপিও শেয়ার বিওতে জমা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের আইপিও শেয়ার লটারী বিজয়ীদের বিওতে প্রদান করা হয়েছে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

গত মঙ্গলবার এসব শেয়ার বরাদ্দকৃতদের বিও হিসাবে জমা দেয় সিডিবিএল।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এর আনুমোদন সাপেক্ষ মূল মার্কেটে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ফু-ওয়াং ফুডস এজিএমের সময় পরিবর্তন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক শিল্প খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) সময় পরিবর্তন করেছে। কোম্পানিটির এজিএম আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিচালনা বোর্ডের সভায় ২৪ তম এই এজিএমটির সময় অনিবার্যকারণ বশত সময় পরিবর্তন করা হয়। এজিএমটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে কোম্পানিটি ওইদিন সকাল ১০টায় এজিএমের ঘোষণা দিয়েছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

‘২০৩০ সালে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে’

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী বাজেটের আগেই রিজার্ভের অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। বিজয়ের মাসে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এটা জাতির জন্য বড় প্রাপ্তি। এটা কিভাবে আরও কার্যকরভাবে সর্বোত্তম বিনিয়োগ করা যায় সে বিষয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টাডি করছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ব্রিফিং এ তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে এ রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবো। এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমরা হিসাব করেই এটা ঠিক করেছি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ব্লক মার্কেটে ২৪ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার ব্লক মার্কেটে মোট ২৩ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৭৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

বেক্সিমকো ফার্মা ৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

স্কয়ার ফার্মা ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স,ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ড্রাগন সোয়েটার, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফাইন ফুডস, গ্রামীণফোন, আইএফআইসি, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস, মালেক স্পিনিং, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, এসকে ট্রিমস, এসএস স্টিল ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম