‘আমাদের অর্থনীতি এতো ভালো অবস্থানে যেটা চিন্তার বাইরে’

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনাভাইরাস অতিমারির মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতি যেখানে মন্দায় আছে, সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে এবং সঠিক পথেই এগুচ্ছে।

আজ বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী পরিষদ সভাশেষে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে। আতংকিত বা ভয়ের কিছু নেই-আমরা এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছি। এতো ভালো অবস্থায় আছি, যেটা চিন্তার বাইরে। বিশ্বাস করি-এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
সরকার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কোনোভাবেই আতংকিত নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সরকার অত্যন্ত আশান্বিত। বৈশ্বিক পর্যায়ে কোনো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের মতো ভালো নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে দেশের অর্থনীতির সব সূচকের প্রবৃদ্ধি আছে। এক প্রশ্নের উত্তরে মুস্তফা কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা হলো আমরা বাজেট পর্যালোচনা শুরু করব। প্রয়োজন অনুযায়ী যেখানে কাটছাট করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবমতে জুলাই-নভেম্বর এই পাঁচ মাসে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯২ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ওয়ালটনের এজিএম: ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর, ২০২০) সকাল সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ সভা হয়।

সভায় ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিতে কোম্পানি ঘোষিত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়।

এছাড়া সভায় কোম্পানির ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য সব কার্যক্রম, পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন, নিরীক্ষা প্রতিবেদন, আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালকদের অবসর ও পুনঃনিয়োগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিয়োগ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর নিয়োগ, নীরিক্ষক নিয়োগ ও সম্মানি নির্ধারণ এবং কমপ্লায়েন্স নীরিক্ষকের নিয়োগ অনুমোদন পায়।

সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পারফরমেন্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মন্তব্য করেন এবং এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এজিএমে সভাপতিত্ব করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, এস এম মাহবুবুল আলম, এস এম রেজাউল আলম, এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, তাহমিনা আফরোজ তান্না, রাইসা সিগমা হিমা, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, সামসুল আলম মল্লিক এফসিএ, অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম পিএইচডি, এফসিএস, অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ভুঁইয়া পিএইচডি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার ও আলমগীর আলম সরকার, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মোহাম্মদ ওমর ফারুক রিপন এফসিএ, কোম্পানি সচিব পার্থ প্রতিম দাশ এফসিএসসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে ওয়ালটনের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (বেসিক ইপিএস) হয়েছে ২৪ দশমিক ২১ টাকা। আর ডিলুটেড ইপিএস হয়েছে ২৪ দশমিক ১০ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫৯ দশমিক ৯৪ টাকা। আর পুনর্মূল্যায়নসহ এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬৪ দশমিক ৪৮ টাকা।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রথম বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ওয়ালটনের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেডের ৪০০ কোটি টাকার নন-কনভারটেবল সাবর্ডিনেটেড বন্ড প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।

আজ বুধবার বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রূবাইত উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭৫৪তম কমিশন সভায় এসব বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

এটি একটি নন কনভার্টেবল, তালিকাভুক্ত হবে না, সম্পূর্ণ অবসায়ন যোগ্য, ফ্লটিং রেটেড, সাবওর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি ৭ বছর পরে সম্পূর্ণ অবসায়ন হবে। এই বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে টায়ার টু ক্যাপিটাল বেইজের শর্ত পূরণ করা হবে।

বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা।

স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, ফান্ড এবং যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বন্ডের ট্রাস্টি এবং ম্যান্ডাটেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএস

 

ইনডেক্স এগ্রোর ৫০ কোটি টাকার আইপিও অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্টিজ লিমিটেডকে ৫০ কোটি টাকার প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দিল শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁয়ে অবস্থিত কমিশন ভবনে বিএসইসির ৭৫৪তম কমিশন সভায় এই আইপিওটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

কোম্পানিটির কাট অফ প্রাইস ৬২ টাকা নির্ধারণের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সাধারণ বিনিয়োগকারী কাট অফ প্রাইসের ২০ শতাংশ কম দরে আইপিও শেয়ার কিনতে পারবেন।

গত ১ নভেম্বর বেলা ৫ টায় ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এই বিডিং শুরু হয়। পরবর্তী ৩ দিন এই বিডিং চলে। বিডিং শেষ হয় ৪ নভেম্বর বেলা ৫টায়। বিডিং অংশ নেওয়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সুবিধাজনক দরে ক্রয় প্রস্তাব করে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৩৯ তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সূত্র মতে, কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত টাকায় নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৪৫ টাকা ৩ পয়সা এবং পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তির মূল্য ৪৪ টাকা ২ পয়সা দেখিয়েছে। আর এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৭ টাকা ৭ পয়সা হয়েছে।

আরো উল্লেখ্য, বিগত ৫ টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নীট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ওয়েটেড এভারেজ ইপিএস) ৫ টাকা ৬০ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে এএফসি ক্যাপিটাল ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড চালুর জন্য কাজ করছে ডিএসই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে মিল রেখে ডিএসই মূল বোর্ডের পাশাপাশি এসএমই বোর্ড এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড চালুর জন্য কাজ করছে। ডিএসই ইতোমধ্যে এসএমই বোর্ড চালুর জন্য কাজ শেষ করেছে। এর টেকনিক্যাল কাঠামো একদম শেষ পর্যায়ে। আমরা ইতিমধ্যে এসএমই কোম্পানি প্রসেস করছি।

অন্যদিকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড এর রুল সম্পন্ন হয়েছে রেগুলেশনস অচিরেই সম্পন্ন হবে।

এই দুটি বোর্ড চালু হলে শেয়ারবাজারের সভীরতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। ডিএসই ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী (ডিসেম্বর ১৩ থেকে ডিসেম্বর ২০ তারিখ) ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তাদের নিয়ে “কমপ্লায়েন্স এন্ড ইন্টারএক্টিভ ইস্যুস ফর ট্রেকহোল্ডারস” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে স্বাগত বক্তব্যে ডিএসই প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ এসব কথা বলেন।

উক্ত কর্মশালার প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করেন ডিএসই উপমহাব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, বিএসইসি’র পরিচালক মোঃ আবুল কালাম এবং নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির সিনিয়র ম্যানেজার মুহাম্মদ রনি ইসলাম।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে এপিআই ইউএটি চালুর চুক্তি স্বাক্ষর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড,ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং ডিরেক্ট এফএন লিমিটেড এর মধ্যে এপিআই ইউএটি চালুর জন্য ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত করা হয়৷

আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর)এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ডিএসই’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ, সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্ড সিইও মিসবাহ উদ্দিন আফান ইউসুফ এবং ডিরেক্টএফএন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ওয়ালিদ আল-বাল্লা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন৷ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র উপ মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুর রহমান, সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এর হেড অব রিসার্চ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট একেএম ফজলে রাব্বি, হেড অব ইনফরমেশন টেকনোলজি নজরুল ইসলাম, সিটি ব্রোকারেজ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রজেক্টের পরামর্শক নিজাম উদ্দিন আহমেহ এবং ডিরেক্টএফএন এর প্রতিনিধি আরমান আহমেদ খানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷ প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান সৈয়দ আল আমিন রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ পর্যন্ত ৫টি ব্রোকারেজ হাউজ ইতিমধ্যেই ডিএসইতে এপিআই ইউএটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে৷ আরো কয়েকটি ব্রোকরেজ হাউজ এই চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷

উল্লেখ্য যে, বিশ্বের অন্যান্য স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে সঙ্গতি রেখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে৷ এরই প্রেক্ষিতে ২৬টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করেছে৷

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আগামী জুন পর্যন্ত ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য চাহিদা পূরণ করেও আগামী বছরের জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে বলে তথ্য এসেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রির এক গবেষণা প্রতিবেদনে।

সেখানে বলা হয়েছে, দেশে এ বছর অতিবৃষ্টিতে কয়েক দফা বন্যায় ৩৫টি জেলার আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সারা বছরের উৎপাদন ও চাহিদা বিবেচনা করলে দেশে খাদ্য ঘাটতির ‘আপাতত কোনো আশঙ্কা নেই’।

ব্রি’র ঊর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা এম আব্দুল মোমিন বলেন, গত এক মাস ধরে দেশের ১৪টি কৃষি অঞ্চলে জরিপ করে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইনস্টিটিউট এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

“সারা দেশে চালের উৎপাদন কম এবং খাদ্য ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কার কথা যেভাবে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে, তা আদৌ ঠিক নয়।”

গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এ বছর আউশ, আমন ও বোরো মিলিয়ে মোট চাল উৎপাদন হবে ৩৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন টন।

“চাহিদা ও যোগানের অবস্থা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিসেম্বর ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত আভ্যন্তরীণ চালের চাহিদা মিটিয়ে ব্রির হিসাবে কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।”

আব্দুল মোমিন বলেন, মাথাপিছু দৈনিক ৪০৫ গ্রাম চাল ধরে সর্বমোট ১৬ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার জন্য এই হিসাব করা হয়েছে। এছাড়া মোট ধান উৎপাদনের ২৬ শতাংশ ‘নন-হিউম্যান কনজাম্পশনের’ বাৎসরিক চাহিদা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবিরের নেতৃত্বে এ গবেষণা দলে ছিলেন জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুর রউফ সরকার, সিদ্দিকুর রহমান, আব্দুল আজিজ, ইসমাইল হোসেন এবং প্রশাসন বিভাগের পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।

ব্রি বলছে, গত বছরের তুলনায় ১৪টি কৃষি অঞ্চলের মধ্যে এ বছর আমনের ফলন দিনাজপুরে ১১ দশমিক ১ শতাংশ, খুলনায় ৭ দশমিক ১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১ দশমিক ৩ শতাংশ, এবং যশোরে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বাকি ১০টি কৃষি অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বিভিন্ন হারে কমেছে। তবে এ বছর প্রতিটি কৃষি অঞ্চলে আমন আবাদের এলাকা গত বছরের তুলনায় কম ছিল।

এ বছর ৫ থেকে ৬ ধাপে মোট ৩৫ জেলা বন্যায় কবলিত হয়েছিল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় মোট ১ লাখ ৫০০০ হেক্টর জমির আমন আবাদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যে এলাকার বন্যা হয়নি, সেখানে ধানের ফলন প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কম, মাঝারি ও অতি বন্যাপ্রবণ এলাকায় ধানের ফলন যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ শতাংশ এবং ২৪ দশমিক ১ শতাংশ কম হয়েছে।

সব মিলিয়ে এবার আমন মৌসুমে চালের গড় ফলন হবে প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৩০ টন। যে এলাকায় বন্যা হয়নি সেখানে গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৬৯ টন। আর কম দুর্গত এলাকায় প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৪২ টন, মাঝারি দুর্গত এলাকায় হেক্টর প্রতি ২ দশমিক ১৮ টন এবং প্রবল বন্যা দুর্গত এলাকায় হেক্টর প্রতি ১ দশমিক ৯৪ টন ফলন হয়েছে।

সূত্র : বিডি নিউজ২৪

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

৯% সুদে ঋণ দিবে এনজিও

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঋণ নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রেও সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ। তবে ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণ পাবেন না কোনো গ্রাহক।

এমএফআইগুলোও এনজিও হিসেবে পরিচিত। তবে সব এনজিও এই ঋণ দিতে পারবে না। শুধু ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমআরএ) থেকে নিবন্ধন পাওয়া এনজিওগুলোই এ ঋণ দিতে পারবে। এমআরএ থেকে সনদ নেওয়া এনজিও এখন ৭০০টি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কয়েক দফা বৈঠক করে এ বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। নীতিমালাটির নাম ‘নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাব মোকাবিলায় সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের দ্রুত ঋণ দেওয়ার সহায়ক নীতিমালা’। সিএমএসএমই বলতে বোঝানো হয়েছে কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের। এসব উদ্যোক্তাকে চলতি মূলধনের চাহিদা পূরণ করা এই নীতিমালার উদ্দেশ্য।

এ বিষয়ে জানতে চাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম রুহুল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন কোনো মতামত না পেলে শিগগির এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টাকা দেবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেই টাকা ২ শতাংশ সুদে দেবে এমএফআই বা সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে। এনজিওগুলো পরে সেই টাকা ৯ শতাংশ সুদে গ্রাহকদের দেবে। তবে এনজিওগুলো সুদ পাবে ১৪ শতাংশ। গ্রাহকের ৯ শতাংশ সুদের বাইরে আরও ৫ শতাংশ সুদ সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ভর্তুকি হিসেবে দেবে এনজিওগুলোকে।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টাকা দেবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেই টাকা ২ শতাংশ সুদে দেবে এমএফআই বা সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে। এনজিওগুলো পরে সেই টাকা ৯ শতাংশ সুদে গ্রাহকদের দেবে। তবে এনজিওগুলো সুদ পাবে ১৪ শতাংশ। গ্রাহকের ৯ শতাংশ সুদের বাইরে আরও ৫ শতাংশ সুদ সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ভর্তুকি হিসেবে দেবে এনজিওগুলোকে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, একক বা গ্রুপ—যেভাবেই হোক না কেন, এই প্যাকেজের আওতায় কোনো গ্রাহক ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণ পাবে না। এর মধ্যে কুটির শিল্প পাবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ। এ ছাড়া অতি ক্ষুদ্র সর্বোচ্চ ৩০ লাখ এবং ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান পাবে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ। ঋণের টাকায় কোনো গ্রাহক তার আগে নেওয়া কোনো ঋণ সমন্বয় বা পরিশোধ করতে পারবেন না। গ্রাহক পর্যায়ে প্যাকেজের ৪০ শতাংশ ট্রেডিং খাতে এবং ৬০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে বিতরণ করতে হবে। আর উদ্যোক্তারা প্যাকেজের আওতায় ভর্তুকি সুবিধা পাবেন এক বছর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

আগামীকাল শুরু হচ্ছে মীর আকতারের আইপিও আবেদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মীর আকতার হোসেন লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন শুরু হচ্চে আগামীকাল ২৪ ডিসেম্বর। আগ্রহীরা বিনিয়োগকারীরা এই আইপিও আবেদন করতে পারবেন ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে এই আইপিও আবেদন করতে পারবে বিনিয়োগকারীরা। যা ৩০ ডিসেম্বর বেলা ৫ টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

গত ৪ নভেম্বর কোম্পানিটির ১২৫ কোটি টাকার আইপিও’র চূড়ান্ত অনুমোদ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি ইলেক্ট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ারের কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এই কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। অন্যদিকে পাবলিক ইস্যু রুলস অনুসারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কাটঅফ প্রাইসের চেয়ে ১০ শতাংশ কমে ৫৪ টাকায় কোম্পানিটির শেয়ার পাবেন।

গত ৪ অক্টোবর বেলা ৫ টায় মীর আকতার হোসেন লিমিটেডের এই বিডিং শুরু হয়। পরবর্তী ৩ দিন এই বিডিং চলে। বিডিং শেষ হয় ৭ অক্টোবর বেলা ৫টায়। বিডিং অংশ নেওয়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সুবিধাজনক দরে ক্রয় প্রস্তাব করেন।

এসময় বিডিররা সর্বোচ্চ ৯৮ টাকা ধরে কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়ের প্রস্তাব করে। আর সর্বনিম্ন দর প্রস্তাবটি আসে ১৪ টাকায়। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিডার দর হাকায় ৫০ টাকায়। বিডিংয়ে মোট ২৪৫জন বিডার দর প্রস্তাব করেন।

গত ১৩ আগষ্ট অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৩৫ তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

জানা গেছে, আলোচ্য কোম্পানিটি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৩৪ টাকা ৭১ পয়সা।

কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

কোম্পানিটি গত ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে একটি আইপিও রোড শো করে। সেখানে বিপুল সংখ্যক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করে।

মীর আকতার হোসাইন লিমিটেড হলো মীর গ্রুপের একটি কোম্পানি। এই কোম্পানিটি দেশে বড় বড় ধরণের অবকাঠামো, যেমন: রাস্তা, ব্রিজ, উচ্চতল ভবন ইত্যাদি নির্মাণ করে থাকে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এমএ হাসেম আর নেই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:
পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এমএ হাসেম মারা গেছেন।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এমএ হাসেম। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন

আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর)রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ হাসেমের ছেলে আজিজ আল কায়সার গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, কভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পরে বাবাকে ১১ ডিসেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর অক্সিজেন স্যাচুরেশন অনেক কমে গেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/