দেশি-বিদেশি অর্থায়নে বন্ধ পাটকল চালু চায় সংসদীয় কমিটি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের পাটখাতকে রক্ষার জন্য দেশি-বিদেশি অর্থায়নে পাটকলগুলো আধুনিকায়ন ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন্ধ পাটকলগুলোকে চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় সংসদীয় কমিটি।

এজন্য সরকারের আয়ত্বে রেখেই দেশি বিদেশি অর্থ সংগ্রহ করার মাধ্যমে বন্ধ পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সচল রাখতে সরকার প্রধানকে অনুরোধ করার জন্য সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ব পাটশিল্প তথা বিজেএমসিকে একটি কার্যকর ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করতে মৌলিক সংস্কার কর্মসূচি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি।

সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র ১১তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হক। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শাজাহান খান, শামসুন নাহার, মো. আনোয়ার হোসেন (হেলাল) বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে বন্ধ ঘোষিত পাটকল শ্রকিমদের প্রতিনিধি এবং বিজিএমসির প্রতিনিধির উপস্থিত ছিলেন।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে পাটকল শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। বৈঠকে বন্ধ ঘোষিত পাটকল শ্রমিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চলমান মামলা প্রত্যাহার বা নিষ্পত্তি করে অবসায়নকৃত শ্রমিক কর্মচারিদের জরুরিভিত্তিতে সমস্ত পাওনাদি পরিশোধ করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে কমিটি। বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সিরাজগঞ্জে এনআরবিসি ব্যাংকের ৮২তম শাখার যাত্রা শুরু

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সকল ধরণের আধুনিক ব্যাংকিং সেবা নিয়ে সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোল বাজারে শুরু করেছে ব্যাংকিং কার্যক্রম।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর)  ভিডিও কনফারেন্সে এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্বোধন করা হয়।

সম্মানিত পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান এ এম সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ৮২তম শাখার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে উদ্বোধনী  অনুষ্ঠানে যুক্ত  ছিলেন  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী  মো. মুখতার হোসেন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক মো. নুরুল হাবিব, শিয়ালকোল শাখার ব্যবস্থাপক হিমাদ্রী শেখর, সম্মানিত  গ্রাহকবৃন্দ, ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের সম্মৃদ্ধি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এনআরবিসি ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সেবার মধ্যে রয়েছে ভূমি রেজিস্ট্রেশন ফি, বিআরটিএ’র ফি আদায়, রেমিটেন্স সেবা, নগদ লেনদেন সুবিধা, ফান্ড ট্রান্সফার, ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ) বিল গ্রহণ, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সেবা, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়াও , গ্রাহকের ব্যাংকিং কার্যক্রমকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে এনআরবিসি ব্যাংক নিয়ে এসেছে অ্যাপ সুবিধা ‘এনআরবিসি প্লানেট’। এছাড়া, এনআরবিসি প্লানেট অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহক সহজেই যেকোন বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে পারবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম

চা শিল্পে নতুন সম্ভাবনা বিশেষায়িত গ্রিন ও জিবিওপি টি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

জেলার বাহুবল উপজেলার বৃন্দাবন চা বাগানে উৎপাদিত নিরাপদ ও বিশেষায়িত গ্রিন ও জিবিওপি টি, চা শিল্পে এক নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক নিলামে সর্বোচ্চ মূল্যে গ্রিন টি ও জিবিওপি টি বিক্রি করে এ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। ওই নিলামে বৃন্দাবন চা বাগানের নিজস্ব তৈরী গ্রিন টি প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ পঞ্চাশ টাকা ও স্পেশাল জিবিওপি টি প্রতি কেজি ৮শত ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এমন অভূতপূর্ব সাফল্যে চা শিল্পে দেখা দিয়েছে নতুন উদ্দীপনা।

বৃন্দাবন চা বাগানের ব্যবস্থাপক নাছির উদ্দিন খান জানান, তারা নিরাপদ ও বিশেষায়িত চা তৈরীতে দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে আসায় এই সফলতা পেয়েছেন। নিলামে তাদের বিষমুক্ত নিরাপদ চা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন ‘আমরা এই চা উৎপাদনের লক্ষ্যে পরিবেশ বান্ধব বালাই দমন প্রযুক্তি ২০১৮ সাল থেকে ব্যবহার করে আসছি।

আমাদের বাগানের পাশাপাশি গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে বিশেষায়িত চা উৎপাদনের এই ধারা আরও কয়েকটি বাগানে শুরু হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলঙ্কা কিংবা ভারতের মতো বাংলাদেশের নিরাপদ বিশেষায়িত চা’ও নিকট ভবিষ্যতে সমগ্র বিশ্বে সুনাম অর্জন করবে বলে আমরা আশাবাদী।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের তৈরী গ্রিণ টি ও বে¬ক টি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে নিলামে সর্বোচ্চ ধরে বিক্রি হওয়ায় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। এমন সাফল্যে বিষমুক্ত নিরাপদ ও বিশেষায়িত চা তৈরীতে আমার আগ্রহ বেড়ে গেল। ভবিষ্যতে বিশাল আকারে চা তৈরীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। সূত্র : বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

এডিএন টেলিকমের ৭ম ইজিম ও ১৭তম এজিএম অনুষ্ঠিত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

তথ্য-প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এডিএন টেলিকম লিমিটেডের এর ৭ম ইজিএম ও ১৭তম এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ডিসেম্বর) ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ারমার্কেটে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এটিই এডিএন টেলিকম-এর  প্রথম ইজিএম ও এজিএম, যেখানে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও শেয়ারহোল্ডারগণ ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হন।

এডিএন টেলিকম লিমিটেড এর সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব আসিফ মাহমুদ-এর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন, কোম্পানি সচিব জনাব মোঃ মনির হোসেন। সভায় আইপিও ফান্ড ইউটিলাইজেশন এর সময়বর্ধন, বিগত অর্থ বছরে কোম্পানির আয় ব্যায়ের হিসাব ও অন্যান্য  পূর্ব নির্ধারিত এজেন্ডাসমূহের ওপর বিস্তারিত আলোচনা ছাড়াও সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণের সম্মতিক্রমে ১৫% ক্যাশ ডিভিডেন্ট ঘোষণা করা হয়।

উক্ত সভায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জনাব মোঃ মঈনুল ইসলাম, জনাব মোঃ মাহফুজ আলী সোহেল, জনাব নিয়াজ আহমেদ, জনাব ওয়াকার আহমদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব গোলাম রসুল ও জনাব খন্দকার আতিক-ই-রব্বানী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব হেনরী হিলটন,  বোর্ডের সম্মানিত উপদেষ্টা মহোদয় জনাব জহির আহমেদ সহ কোম্পানির চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার জনাব মোহাম্মদ আবদুল আলীম উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইউনিক হোটেলের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্টস লিমিটেড এর ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আজ বৃহস্পতিবার(২৪ই ডিসেম্বর)সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপার্সন মিসেস সেলিনা আলী। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলী।

সভায় শেয়ারহোল্ডারগন ২০১৯-২০ সালের সমাপ্ত বছরের হিসাবের ভিত্তিতে ১০% নগদ লভ্যাংশ (সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য) অনুমোদন করেন।

ভাচুর্য়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিতব্য ১৯ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সহ যুক্ত ছিলেন স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদ সাত্তার ও স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন এফসিএ, মনোনীত পরিচালক ডঃ চোধুরী নাফিজ সারাফাত, মোঃ খালেদ নূর, গাজী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, গোলাম সরোয়ার এফসিএ, এবং কোম্পানী সচিব মোঃ শরীফ হাসান, এলএলবি, এফসিএস। এছাড়াও সভায় ছিলেন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জনি কুমার গুপ্ত এফসিএ, অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা প্রধান মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এফসিএ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উক্ত সভায় শেয়ারহোল্ডারগনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলী কোম্পানীর বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং শেয়ার হোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

‘গ্রিন হাইওয়ে’ প্রকল্পে ভারতকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ভারতের রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যে নিরাপদ সবুজ সড়ক (গ্রিন হাইওয়ে) করিডোর তৈরি করা হবে। এর জন্য ৫০ কোটি ডলারের একাটি ঋণ প্রকল্পে স্বাক্ষর করেছে ভারত ও বিশ্বব্যাংক। গত মঙ্গলবার এ প্রকল্পে স্বাক্ষর করে তারা। এ প্রকল্পটি নিরাপদ ও সবুজ প্রযুক্তি বিকাশের ক্ষেত্রে দেশটির সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলবে।

‘গ্রিন ন্যাশনাল হাইওয়ে করিডোর’ প্রকল্পের আওতায় মোট ৭৮৩ কি.মি রাস্তা তৈরি করবে ভারত। স্থানীয় উপকরণ ও বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পজাত পণ্যের সঙ্গে নিরাপদ এবং সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত হবে এ হাইওয়ে। এ প্রকল্পটি মহাসড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সহায়তা করবে।

ভারতে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জুনাইদ আহমদ বলেন, একটি দেশের বিকাশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সংযোগ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য সংযোগ। ভারতের ভবিষ্যত উন্নয়নের কৌশল বাস্তবায়নে এই দুটি সংযোগ মাধ্যমকে একত্রিত করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে এই চার রাজ্যের রাস্তা ব্যবহারকারীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন সরবরাহ সম্ভব হবে। এ ছাড়া বাজার ও পরিষেবাগুলির সঙ্গেও মানুষ সংযুক্ত হবে। এটি নির্মাণ সামগ্রী এবং পানির দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্লভ প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় কমাতে দৃষ্টান্ত রাখবে। পাশপাশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করতেও সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।

ভারতের জাতীয় মহাসড়কগুলিতে দেশের চলাচলকারী যানবাহনের প্রায় ৪০ শতাংশ যানবাহন চলাচল করে। তবে, এই মহাসড়কের বেশ কয়েকটি বিভাগে অপর্যাপ্ত লোড নেওয়ার ক্ষমতা, দুর্বল কাঠামোর জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এ প্রকল্পটি বর্তমান কাঠামোকে আরো শক্তিশালী ও প্রশস্ত করবে।

এ রাস্তায় নতুন ফুটপাথ নির্মাণ, পানি নিষ্কাশন সুবিধা এবং বাইপাস নির্মাণ, জংশন উন্নতি, এবং রাস্তা সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলিও যোগ করা হবে। যেহেতু অবকাঠামোগত বিনিয়োগগুলি জলবায়ুর ওপর নির্ভরশীল, তাই জাতীয় হাইওয়ে নেটওয়ার্কের প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তার দুর্যোগ ঝুঁকি মূল্যায়ন করে নকশা ও বাস্তবায়ন করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বসুন্ধরা পেপার মিলসের ২৭তম এজিএম অনুষ্ঠিত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেড কোয়ার্টার-২ থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা পেপার মিলসের ঊর্ধ্বতন ও বিকল্প পরিচালক এ আর রশীদি।

এসময় এ আর রশীদি বলেন, বৈশ্বিক প্রাণঘাতী মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে দেশের অন্যান্য শিল্পের মতো কাগজশিল্পেও এর বিরুপ প্রভাব পড়েছে। কাগজশিল্পের চূড়ান্ত চাহিদার মৌসুমে দেশব্যাপী তথা বিশ্বব্যাপী লকডাউনের ব্যাপক প্রভাব এ কোম্পানিতেও পড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় কাগজের বিক্রি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। কিন্তু অক্লান্ত পরিশ্রম, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন করে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ব্যাপক ক্ষতি রোধ করতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নতুন-নতুন পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বৈশ্বিক এ মহামারী মোকাবিলায় বসুন্ধরা পেপার মিলসের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তথা জনগণের স্বার্থে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

প্রচুর প্রতিযোগিতার মধ্যেও বাজারের ৩০ শতাংশ শেয়ার বসুন্ধরা পেপার মিলসের দখলে আছে বলেও এসময় জানানো হয়। একই সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান ধরে রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এ আর রশীদি।

প্রতিষ্ঠানটির ২৭তম এজিএমে বিগত ২০১৯-২০ সালের কোম্পানির পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী, নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণী ও প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে কোম্পানির উদ্যোক্তারা, পরিচালকবৃন্দ ও প্রাক-গণ প্রস্তাবে অংশগ্রহণকারী শেয়ারহোল্ডাররা ছাড়া সব সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে।

শেয়ারহোল্ডাররা কোভিড-১৯ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আলোচ্য বছরে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণাকে কোম্পানির সাফল্যের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন। স্বার্থ রক্ষা, উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ, ধারবাহিকভাবে মুনাফা অর্জন ও কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রফতানি বৃদ্ধির জন্য উপস্থিত শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে ধন্যবাদ জানান। সবশেষে উপস্থিত শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির সার্বিক সাফল্য এবং কোম্পানির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

বার্ষিক সাধারণ সভায় নিরপেক্ষ পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, পরিচালক ইমরুল হাসান, পরিচালক নাজমুল আলম ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রধান (অর্থ ও হিসাব) কামরুল হাসান এবং কোম্পানি সচিব এম মাজেদুল ইসলামসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও বিধিবদ্ধ নিরীক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বড় কোনো শক্তি শেয়ারবাজার নিয়ে খেলতে পারবে না : বিএসইসি চেয়ারম্যান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে শেয়ারবাজার টেকসই হবে। এরপর বড় কোনো শক্তি বাজার নিয়ে খেলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএসইসির সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য প্রতিদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে আর ভয় নেই। আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এই স্থিতিশীলতা আরো জোরালো হবে।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান কমিশন অনেক সক্রিয়। হঠাৎ করে কোন শক্তি যেন শেয়ারবাজারকে ফেলে দিতে না পারে সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজ করছি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আইপিও দিচ্ছি, আরো আইপিও দেব। এতে শেয়ারবাজারের গভীরতা বাড়ছে। তবে যদি কখনো দেখা যায় এতে বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাহলে আমরা তা পরিবর্তন করবো।

তিনি বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন কোভিড-১৯ শুরু হয়েছে। তখন শেয়ারবাজার আড়াই মাস বন্ধ ছিল। এর মধ্যেও আমরা কাজ করেছি। মূলত অর্থনীতিকে সচল রাখতে কাজ করেছি।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আরও বলেন, সরকার কোভিডের সময়ে সাপ্লাই চেইনে যে দূরদর্শিতা দেখিয়েছেন তা আমরা এখন বিভিন্ন সূচকের মাধ্যমে দেখতে পারছি। আমরা অর্থনৈতিকভাবে সফলতা পাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা তো ফেরেস্তা না যে আমাদের ভুল হবে না। আমাদের ভুলগুলো মিডিয়া ধরিয়ে দেবে এটাই প্রত্যাশা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

প্যানেল আলোচনায় ছিলেন বিডি ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স আ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান, সিএমজেএফ সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল ও সেক্রেটারি মনির হোসেন।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

বক্তারা বলেন, জযেন্ট স্টকে লক্ষাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত থাকলেও স্টক মার্কেটে শতাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্তি। এ সব কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে হলে নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালু করতে হবে। বিশেষ করে নন লিস্টেড ও লিস্টেড কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্সের পার্থক্য কমাতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্যবসায় একচেটিয়া মনোবৃত্তি’, চীনে আলিবাবার বিরুদ্ধে তদন্ত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ব্যবসায় একচেটিয়া আধিপত্য নিশ্চিত করতে ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবার অন্যায্য চর্চা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চীন।

আজ বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এসএএমআর) এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছে।

এসএএমআর এর আগে বিক্রেতাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মগুলোতে পণ্য দিতে বাধা দিতে পারে এমন বিশেষ চুক্তিতে বাধ্য করার ব্যাপারে আলিবাবাকে সতর্ক করেছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সামনের দিনগুলোতে চীনের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো আলিবাবার আর্থিক প্রযুক্তি বিষয়ক শাখা প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট গ্রুপের সঙ্গেও বসবে।

বিবিসি জানিয়েছে, একচেটিয়া ব্যবসার মনোবৃত্তি নিয়ে এসএএমআরের এ তদন্তের কেন্দ্রে থাকবে ‘দুটোর মধ্যে একটা বেছে নাও’ চর্চা। এতে মার্চেন্ট বা বিক্রেতাকে যে বিশেষ সহযোগিতা চুক্তি করতে হয়, তা তাদেরকে অন্য প্ল্যাটফর্মে পণ্য দেওয়া থেকে বিরত রাখে বলে অভিযোগ রয়েছে।

আলিবাবা ও টেনসেন্টের মতো চীনা টেক জায়ান্টগুলো সম্প্রতি দেশটির সরকারের ব্যাপক নজরদারির মুখে পড়েছে। কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান আকার ও ক্ষমতা বেইজিংয়ের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এসব কোম্পানি যেভাবে লাখ লাখ ব্যবহারকারীকে এক জায়গায় নিয়ে আসছে এবং কেনাকাটা, লেনদেনসহ চীনের দৈনন্দিন জীবনে তাদের যে প্রভাব রয়েছে তা নিয়ে চীনের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলো বেশ চিন্তিত।

নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলো গত মাসে অ্যান্ট গ্রুপকে তাদের শেয়ার বাজারে নিবন্ধন স্থগিত রাখতেও বাধ্য করে। অ্যান্ট গ্রুপ আগে আলিপে নামে পরিচিত ছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/