বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলারের মাইকফলকে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বৈশ্বিক মহামারি করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন (৪ হাজার ৩০০ কোটি) ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। ফলে বিজয়ের মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেক ইতিহাস গড়ল রিজার্ভ।

আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনশেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক শুন্য ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। সে হিসাবে বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে (প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে) সাড়ে ১০ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রবাসীরা প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠানোয় রিজার্ভ এ মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এ ছাড়া রিজার্ভে অবদান রাখছে রফতানি আয়ের ইতিবাচক ধারা এবং বিদেশি ঋণ-সহায়তা বৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩২.১১ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের গত ২৯ অক্টোবর এই রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। হিসেবে দেখা গেছে, গত একবছরে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার রিজার্ভ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার এ সময়ে রিজার্ভ বৃদ্ধি আমাদের জন্য স্বস্তির খবর। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুর্যোগ মোকাবিলার মতো অবস্থার চেয়ে বেশি আছে। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) অনলাইনে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজকের বৈঠকে ৮ প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের দু’টি ও বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টেবিলে চাল কেনার একটি প্রস্তাবের অুনমোদন দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ্‌ মোস্তফা কামাল জানান, টেবিলে উত্থাপিত ৫০ হাজার মেট্রিকটন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৬৮ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা। সুপারিশ করা দরদাতা হচ্ছে ভারতের বীরভূমের এমএসপিকে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি মেট্রিকটন চালের দাম ৩৯৭.৭১ মার্কিন ডলার। আর প্রতিকেজি চালের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ভ্যাট ছাড়া ৩৩.৭২ টাকা।

এর আগে গত ৩ ও ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে জন্য ৫০ হাজার করে এক লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তখন প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছিল ৩৪ টাকা ২৮ পয়সা ও ৩৫ টাকা ২৭ পয়সা। আর প্রতি টনে ক্রয়মূল্যে যথাক্রমে ৪০৪.৩৫ ও ৪১৬ মার্কিন ডলার। এছাড়া সুপারিশ করা দরদাতা হচ্ছে ভারতের মুম্বাইয়ের এমএস রিকা গ্লোবাল ইমপ্যাক্টস লিমিটেড ও পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের এমএসপিকে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

টানা ৫ বছর ‘এএএ’ ক্রেডিট রেটিং পেলো ওয়ালটন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শক্তিশালী আর্থিক সক্ষমতা ও তারল্য তহবিলের জন্য সর্বশেষ ২০২০ অর্থবছরেও ‘ট্রিপল এ’ ক্রেডিট রেটিং অর্জন করেছে ওয়ালটন। এই নিয়ে একটানা ৫ বছর ক্রেডিটের সর্বোচ্চ রেটিং ‘এএএ’ অর্জন করলো বাংলাদেশি এই ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট।  ইলেকট্রনিক্স  ও প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন শিল্পে বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সবমিলিয়ে একটি সফল মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি হিসেবে নিজের অবস্থান সুদৃঢ করছে ওয়ালটন।

‘ট্রিপল এ’ হলো কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিটের সর্বোচ্চ রেটিং, যা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অঙ্গীকার পূরণের সর্বোচ্চ সক্ষমতাসহ ব্যবসায়িক ও আর্থিক লেনদেনে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নির্দেশ করে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্যমতে, ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের (ইসিআরএল) কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ রেটিং এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

ওয়ালটনের ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম ত্রৈমাসিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্য বিবরণী পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই ক্রেডিট রেটিং দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, টানা ৫ বছর সর্বোচ্চ ক্রেডিটে রেটিং ‘ট্রিপল এ’ পাওয়া সত্যিই এক বিশাল অর্জন। এটা সম্ভব হয়েছে ওয়ালটনের অভিজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ, আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পরিচালন পদ্ধতি, বিশ্বমানের করপোরেট কালচার, মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সেবা ব্যবস্থাপনা, শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান, সর্বোচ্চ মানের মূলধন ব্যবস্থাপনা, আর্থিক অঙ্গীকার পূরণের সক্ষমতা ও শক্তিশালী তারল্য অবস্থানের কারণেই।  ওয়ালটনের এই কৃতিত্বের অংশীদার দেশের সব ক্রেতা এবং শুভাকাঙ্খীরা। তারা ওয়ালটন পণ্যের প্রতি আস্থা রাখছেন বলেই দেশ-বিদেশে একের পর এক সাফল্যের মাইলফলক অর্জন সম্ভব হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৫-১৬ থেকে শুরু করে সর্বশেষ অর্থবছর ২০১৯-২০ পর্যন্ত টানা ৫ বছর ধরে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং অর্জন করেছে ওয়ালটন।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ইপিএস নিয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানি।  দেশে সর্বপ্রথম ডাচ পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত ওয়ালটনের প্রতিটি শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।  তবে, আইপিওতে সাধারন বিনিয়োগকীদের কাছে কাট-অব প্রাইসের চেয়ে ২০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৫২ টাকায় শেয়ার ইস্যু করে ওয়ালটন। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ওয়ালটনের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। ওয়ালটন শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টির ফলে লেনদেন শুরুর দিন থেকে টানা আট কার্যদিবস কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। যা পুঁজিবাজার ইতিহাস বিরল।

সূত্রমতে, করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।  বর্তমানে ওয়ালটনের তৈরি প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের জার্মানি, পোল্যান্ড ও গ্রিসের মতো উন্নত বিশ্বের ৪০টি দেশে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮ পেলো এনার্জিপ্যাক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শিল্প উন্নয়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮’ অর্জন করেছে এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। সম্প্রতি, রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠানটির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক চৌধুরী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এম.পি এর কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

বাংলাদেশের প্রকৌশল শিল্পে ১৯৮২ সাল থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এনার্জিপ্যাক। এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড আইএসও ৯০০১:২০১৫ এবং ১৪০০১:২০১৫ সার্টিফায়েড এবং এর পণ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে গুণগতমান নিশ্চিত করে আসছে। বাংলাদেশের একমাত্র হাই ভোল্টেজ পাওয়ার টেস্টিং ল্যাবরেটরি শুধুমাত্র এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের রয়েছে, যা আইএসও ১৭০২৫ সার্টিফায়েড।

জাতীয় সমৃদ্ধি ও শিল্প উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য এনার্জিপ্যাক ইতিমধ্যে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ক্যটাগরিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (গোল্ড) অর্জন করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আমরা টেকনোলজিসের এজিএম অনুষ্ঠিত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আমরা টেকনোলজিস লিমিটেডের ৩১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এজিএমটি অনুষ্ঠিত হয়।

কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহমেদ, এমডি ও সিইও সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ, পরিচালক সৈয়দা মুনিরা আহমেদ, ফাহমিদা আহমেদ, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম, গ্রুপ প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. এনামুল হক, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান এবং কোম্পানি সচিব সৈয়দ মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ২০১৯-২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আইনে পরিণত হলো ব্রেক্সিট বাণিজ্য আইন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আইনে পরিণত হয়েছে ব্রিটেন ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের মধ্যকার ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সংসদ সদস্যরা সমর্থন দেওয়ায় এটি আইনে পরিণত হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিবিসি অনলাইন এ খবর প্রকাশ করেছে।

বুধবার ব্রিটেনের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে এই চুক্তিতে সমর্থন দিয়েছে।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর হয়। দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর বড়দিনের প্রাক্কালে বেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয় ব্রিটেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

এ চুক্তির ফলে ইউরোপের একক বাজার ও শুল্ক ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। চুক্তিতে সর্বসম্মতভাবে সমর্থন দেওয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, দেশের ভাগ্য এখন আমাদের হাতে।

যদিও বিরোধীরা বলছে, ইউরোপিয় ইউনিয়নে থাকার সময়ের চেয়ে খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে ব্রিটেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

টানা তিনদিন ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ব্যাংক হলিডে ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে গতকাল (৩১ ডিসেম্বর) থেকে টানা তিনদিন দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় লেনদেন বন্ধ থাকবে। এ তিনদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও লেনদেন হবে না। এ জন্য বন্ধ থাকবে শেয়ার বাজারের লেনদেনও। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে।

বুধবার ছিল চলতি বছরে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় লেনদেনের শেষ কার্যদিবস। ২০২১ সালের ১ ও ২ জানুয়ারি সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। ছুটির কারণে এ দু’দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে। এদিন চূড়ান্ত হিসাবের জন্য ব্যাংকগুলো খোলা থাকলেও কোনো ধরনের লেনদেন হবে না।

তবে এ সময় গ্রাহক অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) থেকে কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকগুলো পঞ্জিকা বছরের আর্থিক হিসাব শেষ করে। এ দিনে বিভিন্ন শাখা থেকে পাঠানো হিসাব একত্রিত করে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। যে কারণে এ দিনটিকে ‘ব্যাংক হলিডে’ হিসেবে ধরা হয়। এ দিন ব্যাংক খোলা থাকলেও কোনো ধরনের লেনদেন হয় না।

একইভাবে ১ জুলাইও ব্যাংক হলিডে হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। ওইদিন ব্যাংকগুলোতে অর্ধবার্ষিকী প্রতিবেদন করা হয়। দিনটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্যান্য ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন বা দাপ্তরিক কার্যক্রম করা হয় না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

জেএমআই সিরিঞ্জের ৩০% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতের প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেডের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর)। করোনার কারণে ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়। সভায় পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দেয়া হয়। টাকার অঙ্কে যা ৬ কোটি ৬৩ লাখ। এছাড়াও এসময় আরো পাঁচটি আলোচ্যসূচি (এজেন্ডা) অনুমোদিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির ৫০ দশমিক ২৩ শতাংশের মালিকানায় রয়েছে জাপানের বিশ্বখ্যাত কোম্পানি নিপ্রো করপোরেশন।

এজিএমে জানানো হয়, সমাপ্ত হিসাব বছরে (২০১৯-২০ অর্থবছর) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে  ৪ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৩ টাকা ১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২১ টাকা ৬৬ পয়সা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট বিক্রয় হয়েছে ১৯৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা; যা গত অর্থবছরের চাইতে ২০ কোটি টাকা বেশি।

সভায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাবেদ ইকবাল পাঠান বলেন, “গত চার বছর ধরে আমরা ৩০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছি। আগামী বছরগুলোর জন্য আরো বড় লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।”

জেএমআই সিরিঞ্জ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করেছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, “বিগত বছরগুলোতে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও কোম্পানির উৎপাদিত পণ্যের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে। যা আমেরিকা ও জাপানের মত দেশকে পেছনে ফেলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। করোনার এই দুঃসময়েও একদিনের জন্য কারখানা বন্ধ হয়নি। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। কর্মীদের কারও চাকুরিচ্যুত করা হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা করোনার টিকা দেয়ার কাজে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ (অটো ডিসেবল-এডি) উৎপাদন করতে সক্ষম। যার সুফল হিসেবে এরইমধ্যে আমরা ইন্দোনেশিয়াতে করোনা টিকা কার্যক্রমের জন্য দেড় কোটি সিরিঞ্জ রপ্তানি করেছি। পাকিস্তানে ২৬ লাখ সিরিঞ্জ রপ্তানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সাথে রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা চলছে।”

সরকার যদি করোনার টিকা দেয়ার জন্য এডি সিরিঞ্জ কেনার উদ্যোগ নেয়, তাহলে দেশকে প্রাধাণ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জ উৎপাদন ও সরবরাহ করতে প্রস্তুত থাকার কথাও জানান আব্দুর রাজ্জাক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্লক মার্কেটে যে সব কোম্পানির লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বছরের শেষ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটের ৫০টি কোম্পানির ১১০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ২৯১টি শেয়ার ১৪২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১০৯ কোটি ৭২ লাখ ২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৩ কোটি ২২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার আইএফআইসি ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনেটার।

এছাড়া এবি ব্যাংকের ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, এডিএন টেলিকমের ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ২ কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৩ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার টাকার, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৫ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার টাকার, ব্যাংক এশিয়ার ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮ হাজার টাকার, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১ কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার টাকার, বিডিকম অনলাইনের ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের ৪৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার, বিএসআরএম লিমিটেডের ৯৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ৯২ লাখ ৫২ হাজার টাকার, কপারটেকের ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৩০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার, ডমিনেজ স্টিলের ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ডরিন পাওয়ারের ৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, ইস্টার্ন কেবলসের ৩ কোটি ৪২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, জেনেক্সের ২৪ লাখ ২ হাজার টাকার, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ৫ লাখ টাকার, গ্রামীণফোনের ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার, গ্রীণডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭৬ লাখ টাকার, আইসিবির ১৯ লাখ ১১ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিমের ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ১ কোটি ৮৭ লাখ ৫ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩০ লাখ ৯২ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার, রবির ৫ কোটি ৪২ লাখ ১ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ৪০ লাখ ৮৬ হাজার টাকার, সাযহাম কটনের ১২ লাখ ৭১ হাজার টাকার, সায়হাম টেক্সটাইলের ২৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৩১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ২২ লাখ ১২ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ১০ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, ইউনিক হোটেলের ৪২ লাখ ৪৮ হাজার টাকার এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/