বেক্সপাওয়ারের সাড়ে ৩ কোটি শেয়ার কিনল বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড তাদের সহযোগী কোম্পানি বেক্সিমকো পাওয়ারের (বেক্সপাওয়ার) সাড়ে তিন কোটি শেয়ার ৩৫ কোটি টাকায় কিনে নিয়েছে।

রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে বেক্সিমকো লিমিটেডের এই শেয়ার কেনার খবর জানানো হয়েছে।
নতুন করে সাড়ে তিন কোটি শেয়ার কেনায় বেক্সিমকো পাওয়ারের ৭৫ শতাংশের মালিকানা এখন বেক্সিমকো লিমিটেডের হাতে গেল। আগে মূল কোম্পানির হাতে ৪০ শতাংশের মালিকানা ছিল।

এই সাড়ে ৩ কোটি শেয়ার এতদিন ছিল বেক্সিমকো গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো হোল্ডিংসের হাতে। লেনদেনের ৩৫ কোটি টাকা বেক্সিমকো হোল্ডিংসই পেয়েছে।

বেক্সিমকো পাওয়ারের (বেক্সপাওয়ার) বাকি ২৫ শতাংশের মালিকানা রয়েছে সালমান এফ রহমান, এ এস এফ রহমান, নাজমুল হাসান এবং ও কে চৌধুরীর হাতে।

বেক্সিমকো পাওয়ার (বেক্সপাওয়ার) আবার তিস্তা সোলার লিমিটেড এবং করতোয়া সোলার লিমিটেড নামে দুটি কোম্পানির ৮০ শতাংশের মালিক।

তিস্তা সোলার লিমিটেড গাইবান্ধায় ২০০ মেগাওয়াট এবং করতোয়া সোলার লিমিটেড পঞ্চগড়ে ৩০ মেগাওয়ার ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে চুক্তি করেছে।

ওই দুই কোম্পানির বাকি ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে আছে চীনা কারিগরি অংশীদার কোম্পানির হাতে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

শেয়ারবাজার অভিযোগে মুকেশ আম্বানিকে জরিমানা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রায় ১৩ বছর আগে বেআইনিভাবে রিলায়েন্স পেট্রোলিয়ামের শেয়ার হাতবদলের অভিযোগে, বিলিয়নেয়ার মুকেশ আম্বানি এবং তার একীভূত রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৪০০ মিলিয়ন রুপি (৫.৫ মিলিয়ন ডলার) সম্মিলিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মুকেশ আম্বানির পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে নবি মুম্বাই এসিজেড এবং মুম্বাই এসিজেডকে। তাদের ক্ষেত্রে জরিমানার অংক যথাক্রমে ২০ কোটি ও ১০ কোটি রূপি। জরিমানার পর মুকেশ-রিলায়েন্স শিল্প পরিবারের সব ধরনের অনিয়মের দায় মুকেশের বলে ঈঙ্গিত করেন সেবির অ্যাডজুডিকেটিং অফিসার বি জে দিলীপ।

শুক্রবার দিলীপ বলেন, লগ্নিকারীরা জানতেন না যে আসলে এই আগাম লেনদেনের পেছনে রয়েছে খোদ রিলায়েন্সই। তারা ১২টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে বেআইনি লেনদেনে অংশ নিয়ে মুনাফা করেছিল। এতে আরপিএলের শেয়ারের দামে প্রভাব পড়েছিল এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন লগ্নিকারীরা।

২০০৭ সালের মার্চে রিলায়েন্স পেট্রোলিয়ামের ৪ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (আরআইএল)। ওই বছর নভেম্বরে শাখা সংস্থাটির শেয়ার আগাম বাজারে লেনদেন হয়। ২০০৯ সালে সেটিকে নিজেদের সঙ্গে মেশায় আরআইএল। এক্ষেত্রে আগাম লেনদেনের নিয়ম ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছিল সেবি। এ মামলা রিলায়েন্স সমঝোতার মাধ্যমে মেটাতে চাইলেও রাজি হয়নি তারা।

দীর্ঘ তদন্তের পরে ২০১৭ সালের মার্চে রিলায়েন্স এক বছর শেয়ারবাজারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ডেরিভেটিভ লেনদেন করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেয় সেবি। আরও ১২টি সংস্থাকেও এ নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ‘অন্যায়ভাবে মুনাফা করা’ ৪৪৭ কোটি রুপি ফেরত দিতেও বলা হয় রিলায়েন্সকে।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/