বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো : জাপানি রাষ্ট্রদূত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। দেশটি বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এরই ধারবাহিকতায় নিরাপদ খাদ্যের ক্ষেত্রে জাপান আমাদের কারিগরি সহায়তা দেবে।

আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি জাইকার মধ্যে ট্যাকনিকেল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। খাদ্যে ভেজাল ও দূষণ রোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নজর অ্যাপসের মাধ্যমে অত্যাধুনিক মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, সাম্প্রতিক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখার মতো। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপান সরকারের জাইকা বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর অডিটোরিয়াম হলে এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ, ই, মি. নাওকি ইতো। অনুষ্ঠানের রেকর্ড অব ডিসকাসনে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম এবং জাইকার প্রতিনিধি মি. ইয়োহু হাইকাওয়া।

অনুষ্ঠানের বক্তারা জানান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করছে। দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাই কর্তৃপক্ষের মূল লক্ষ। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত তিনটি বিধিমালা ও আটটি প্রবিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

সেইসঙ্গে কাজের গতি বাড়াতে জনবলও বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, জনবলের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ১০২ জন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদে দক্ষ জনবল নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। জনসচেতনতার জন্য উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার ও ক্যারাভান রোড শোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ই আর ডি এর অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার। সূত্র : কালের কন্ঠ

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

সরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সংশোধিত মুদ্রানীতির আওতায়, সরকারি খাতে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আগের ৪৪.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩১.৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্যে সরকারিখাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। হয়। শেষ ছয় মাসে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কম হবে এমন ধারণার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশোধিত মুদ্রানীতির আলোকে এ পরিবর্তন আনা হয়।

সংশোধিত মুদ্রানীতির আওতায়, সরকারি খাতে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আগের ৪৪.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩১.৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক উদার মুদ্রানীতি বজায় রেখে বেসরকারি খাতে ঋণ-প্রবৃদ্ধি ১৪.৮ শতাংশে রাখলেও; দেশে করোনা মহামারির অভিঘাতে ঋণ চাহিদা ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

এব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. হাবিবুর রহমান জানান, সঞ্চয়ী মাধ্যমগুলো (সঞ্চয়পত্র, বন্ড) বিক্রির চাপ বেশি থাকায় সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হয়। ফলে, ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ আরও কমবে। সাম্প্রতিক বিক্রির প্রবণতা ইতোমধ্যেই সেদিকে ইঙ্গিত করছে বলেও জানান তিনি। “আমাদের ধারণা, আগামী ছয় মাসে সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে যে পরিমাণ ঋণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল- তা পূরণ করতে পারবে না”

হাবিবুর রহমান বলেন, এরপরও, আর্থিকখাতের বাজারে পর্যাপ্ত তারল্য ধরে রাখার স্বার্থেই উদার মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে মুল্যস্ফীতির চাপ দেখা দিলে, তখন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ২০২০ সালের জুলাই- নভেম্বর মেয়াদে ব্যাংকিং খাত থেকে ৩,১২৪ কোটি টাকা ঋণ নেয় সরকার। গতবছরের একই মেয়াদে এর পরিমাণ ছিল ৪০,৬৪৬ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে; বাজেটে ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ৮৪,৯৮০ কোটি টাকা রাখা হলেও, গৃহীত ঋণের পরিমাণ ছিল তার থেকেও অনেক কম। অন্যদিকে, ২০২০ সালের জুলাই- নভেম্বর মেয়াদে জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রির মোট পরিমাণ ছিল ১৯,০৪৪ কোটি টাকা। আগের বছরের একই মেয়াদে যার পরিমাণ ছিল ৫,৮৪১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সংশোধিত মুদ্রানীতি বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মূল্যস্ফীতি চলতি অর্থবছরের ৫.৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রাতেই থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে। তবে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়ার আভাস দিয়ে জানানো হয়, এরফলে স্থানীয় পর্যায়ের মুল্যস্ফীতিতেও সামান্য প্রভাব পড়তে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রেলে যুক্ত হচ্ছে ১৩০ কিমি গতির ৪০ ইঞ্জিন: রেলমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলে যুক্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা উচ্চগতি সম্পন্ন ৪০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন। যার গতি হবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। দ্রুতগতির এসব ইঞ্জিন আসা শুরু হবে আগামী মাসেই (মার্চ)। পাশাপাশি কোরিয়া থেকে আনা হবে উচ্চগতি সম্পন্ন ৮টি মিটারগেজ ইঞ্জিন। এছাড়া কক্সবাজারের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ শুরু হবে আগামী বছরের শেষে (২০২২ সালে)।

আজ বুধবার মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক হাসান-উজ-জামান, অর্থ সম্পাদক এমদাদুল হক খান, দপ্তর সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রুদ্র মিজান, ক্রীড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফ বাবলু, প্রশিক্ষণ ও তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুদ্র রাসেল ও কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম সাত্তার রনি।

ক্র্যাব নেতাদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে রেল যোগাযোগ বাড়াতে আরও চারটি বড় রেল স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে। চলতি অর্থ-বছরেই ৫০টি জরাজীর্ণ রেল স্টেশন সংস্কার ও আধুনিয়াকনের কাজ বাস্তবায়ন হবে। যেসব স্টেশনের ফ্ল্যাটফর্মগুলো নিচু আছে সেগুলো উঁচু করা হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যেদিন পদ্মাসেতু উদ্বোধন হবে; ওই দিনই ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেল চলাচলও শুরু হবে। ঢাকা-যশোর পদ্মা লিংক রেললাইনে কোন গেট থাকবে না। সবগুলো ওভারপাস ও আন্ডার পাস থাকছে। পদ্মার কাজ সম্পন্ন হলে সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ নতুন মাত্রা যোগ হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা কমাতে কাজ করছি। আমরা ক্ষতিপূরণের পরিমানা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করেছি। রেল তার নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই রেল ক্রসিংগুলোতে দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছে।

কমলাপুর রেলস্টেশনকে আরও আধুনিক করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৩৩ প্রকল্পে ফোর্থ লাইন, থার্ড লাইন ও ডাবল লাইনের কাজ চলছে। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে টঙ্গী পর্যন্ত চার লাইন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন আগামী বছরই চালু হবে বলে আমরা আশা করছি। যমুনা রেল সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ-সাতক্ষীরা-খুলনা রেল লাইনের স্থাপনের ফিজিভিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকল্পে জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ চলছে। রেলের চলমান এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রেলে অভাবনীয় পরিবর্তন আসবে।

তিনি বলেন, এক সময় মানুষের ট্রেনের প্রতি আগ্রহ ছিল না। বর্তমানে রেলের উন্নয়নের ফলে মানুষের আগ্রহ ও আস্থা বেড়েছে এবং রেলে যাত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে।

ক্রাইম রিপোর্টারদের নিয়ে একসঙ্গে হয়ে কাজ করার আশ্বাস দিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, আগামীতে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন হলে প্রয়োজেনে ট্রেন দিয়ে তিনি সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমে প্রকাশ করে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিচিতি আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমি ক্রাইম রিপোর্টাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। আপনারা আমাদের ভালো কাজগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরেন। আগামী ক্র্যাবের যে কোন কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার প্রতিশ্রুতি নেন রেলপথ মন্ত্রী।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

করোনার মধ্যেও সাত মাসে ২ লাখ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনার মধ্যেও দেশের পণ্য রপ্তানি খুব একটা খারাপ করছে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ২ হাজার ২৬৭ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কম।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তাদের তথ্যানুযায়ী, গত জানুয়ারিতে ৩৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছিল ৩৬১ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে গত জানুয়ারিতে রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্য, হস্তশিল্প, রাসায়নিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি কমেছে। বড় এই খাতগুলোর প্রভাবে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ১ হাজার ৮৪০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, দেশীয় মুদ্রায় যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সমান। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম।

তৈরি পোশাকের মধ্যে নিটের রপ্তানি ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও ওভেন পোশাকের কমেছে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৯৯৮ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ৯৪৪ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে।

করোনা শুরুর পর থেকেই ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়ায় পোশাক রপ্তানি কমতে থাকে। মাঝে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও আবার ধস নামে। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ক্রয়াদেশ আসার গতি শ্লথ বলে দাবি করেছেন পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৫৯ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ৫২ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ৩০ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ৩১ কোটি ডলারের প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

জানুয়ারি মাসে বিও হিসাব বেড়েছে ৮২ হাজার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে প্রায় ৮২ হাজার নতুন বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব খুলেছেন বিনিয়োগকারীরা।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সেন্ট্রাল ডিপজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৫২ হাজার ১৬৮টি। আর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৭টি। সেই হিসেবে বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৮১ হাজার ৮২৯টি।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে অবস্থানকারী বিনিয়োগকারীরা নতুন করে ৭৬ হাজার ৩৮৯টি বিও হিসাব খুলেছেন। এর মাধ্যমে ডিসেম্বর মাসের শেষ দিন দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৬টি। আর জানুয়ারি মাসের শেষে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৫টি।

জানুয়ারি মাসে বিদেশি অবস্থানকারী বিনিয়োগকারীরা নতুন করে ৫ হাজার ৫৭০টি বিও হিসাব খুলেছে। ডিসেম্বর মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫৯টিতে। জানুয়ারি মাসের শেষে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৪২৯টি।

ডিসেম্বর মাসের শেষে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৯টি। আর জানুয়ারি মাস শেষে পুরুষদের বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪১ হাজার ১০৭টি। ফলে এক মাসের ব্যবধানে পুরুষ বিও হিসাব বেড়েছে ৬৩ হাজার ১৩৮টি।

ডিসেম্বর মাসের শেষ দিন নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৪টি। আর জানুয়ারি মাসের শেষে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৭টি। ফলে এক মাসের ব্যবধানে নারী বিও হিসাব বেড়েছে ১৮ হাজার ৪৩৩টি।

এদিকে, ডিসেম্বর মাসের শেষ দিন কোম্পানি বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৮৩৫টি। আর জানুয়ারি মাসের শেষে কোম্পানি বিও হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৩টি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

চাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চাল, চিনি ও তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গণসমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে মজুদদার ও সিণ্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, পিডিবি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার করোনার এই সময় চাল-চিনি-তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে সারাদেশের মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে তামাশা করেছে। কারণ করোনায় মানুষের আয় কমেছে। তার মধ্যে সরকার চাল-চিনি-তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে পথে নামিয়েছে। বর্তমান সরকার অসাধু বণিকদের সরকারে পরিণত হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বণিক সমিতির নেতারা মন্ত্রী থাকার কারণে জনগণকে জিম্মি করে অবৈধভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছে। আর সাধারণ গরীব শ্রেণীর মানুষেরা উচ্চমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

১৩৫০ কোটি টাকার জিরো কূপন বন্ড অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ব্যাককে ১৩৫০ কোটি টাকার বন্ড প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বুধবার বিএসইসির ৭৬০ তম কমিশন সভায় এসব বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এটি একটি ফুলি রেডিমেবল নন কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ড।

এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি টাকা।

বন্ডটির ট্রাস্টি এবং লিড এরেন্জার হিসেবে কাজ করছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড ও আরএসএ ক্যাপিটাল লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

মিয়ানমার থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানি স্থগিত: অর্থমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মিয়ানমারে সরকার পরিবর্তনের কারণে দেশটি থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির প্রস্তাব স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আজ বুধবার বিকেলে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বিষয়টি জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু, সম্প্রতি দেশটির ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ায় আপাতত আমরা আমদানি স্থগিত করেছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের এখন চাল রপ্তানির আগ্রহ আছে কিনা বা আমরাও এ পরিস্থিতিতে কীভাবে আমদানি করবো, এসব বিষয় বিবেচনা করে চাল আমদানি নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘জরুরিভাবে মিয়ানমার থেকে আমাদের অনেক সময় আমদানি করতে হয়। এর আগেও আমরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছি।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ৯২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা রবির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার।

৫৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- মীর আখতার, বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জ হোলসিম, এনার্জী প্যাক, সামিট পাওয়ার ও স্কয়ার ফার্মা লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কোম্পানির আর্থিক তথ্য যাচাইয়ের রাজস্ব বোর্ডের সহায়তা চায় বিএসইসি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকভুক্তির আবেদন করা কোম্পানিগুলোর আর্থিক তথ্য, বিশেষ করে বিক্রির তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহায়তায় এ যাচাই করতে চায় বিএসইসি। এজন্য সম্প্রতি একজন ফোকাল পয়েন্ট মনোনয়ন করার জন্য এনবিআরকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আইপিওতে আবেদন করা কোম্পানির প্রসপেক্টাস বিক্রির যে তথ্য দেয়া হয়েছে সেটি সঠিক কিনা তা এনবিআরের কাছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের জমা দেয়া ভ্যাট রিটার্ন ও আয়কর রিটার্নের তথ্যের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। এক্ষেত্রে এনবিআরের কাছে থাকা বিক্রির তথ্যের সঙ্গে আইপিও প্রসপেক্টাসের দেয়া তথ্যের গরমিল থাকলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

পাশাপাশি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) তৈরি করা ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (ডিভিএস) মাধ্যমেও আইপিওর জন্য আবেদন করা কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন যথার্থ কিনা সেটি যাচাই-বাছাই করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কমিশন। এক্ষেত্রে কমিশনের উদ্দেশ্যে হচ্ছে যেকোনো উপায়ে আইপিওতে আসার সময় কোম্পানিগুলোর অতিরঞ্জিত ও অসত্য তথ্য প্রদানের সুযোগ বন্ধ করা।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, আইপিওর জন্য আবেদন করা কোম্পানির বিক্রির তথ্যের যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য এনবিআরের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এজন্য এনবিআরকে একজন ফোকাল পয়েন্ট মনোনীত করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া ডিভিএস সিস্টেমের মাধ্যমেও আর্থিক তথ্য যাচাইয়ের বিষয়টি কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, আইপিওতে আসার সময় কোম্পানিগুলোর অতিরঞ্জিত আর্থিক তথ্য প্রদানের প্রবণতা দীর্ঘদিনের। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অতিরঞ্জিত ও অসত্য তথ্য দেখিয়ে আইপিওতে আসার কয়েক বছরের মধ্যেই কোম্পানির প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসে। আর এতে প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখে পড়ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/