সপ্তাহের ব্যবধানে পিই কমেছে ০.১৩ পয়েন্ট

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে (৩১ জানুয়ারি-০৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.০৯ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৭.৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.১৩ পয়েন্ট বা ০.৭২ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮.২৭ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৯.৯৪ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬.৫২ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭.৫৯ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৭.৯২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৭.৮৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৫২.৩৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ২৬.০২ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১০.৪৪ শতাংশ, চামড়া খাতের (-)১৩.৪৪ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩০.১৯ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৫৯.৫৬ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৪৭.২১ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৬৯.৫৭ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.৭৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৫.১৪ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১২২.৭৭ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৮.৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

জুনের মধ্যে বসছে ১০ হাজার ইএফডি মেশিন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি বছরের জুনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার ইলেকট্রনিক ফিসকেল ডিভাইস (ইএফডি) বসানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

শুক্রবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ইএফডিএমএস (ইলেকট্রনিক ফিসকেল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) এর প্রথম লটারি ড্র অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিন হাজার, মার্চের মধ্যে চার হাজার এবং জুনের মধ্যে দশহাজার ইএফডি মেশিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসানো হবে। আমরা এর জন্য ব্যাপক প্রচারণা চলানোর প্রস্তুতি নিয়েছি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরেরও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন বসানো হবে।

১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যারা ইএফডি মেশিন থেকে কেনাকাটা করেছেন, তাদের নিয়ে আজকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রথম লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ইএফডি থেকে পণ্য কেনার পর গ্রাহকরা যে রিসিট পেয়েছেন, সেটাই কুপন হিসেবে গণ্য করে লটারি করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটি অনাস্থার জায়গা ছিল দীর্ঘদিন ধরে। জনগণ যে ভ্যাট দিচ্ছেন তার টাকা সরকারি কোষাগারে ঠিকমতো জমা হচ্ছে কি-না। দীর্ঘদিন ধরে এটা নিয়ে অস্বস্তির জায়গা ছিল আমাদের। এই অনাস্থা ইএফডি মেশিন আসার পর কেটে গেছে। মাত্র আমরা শুরু করেছি । আরও অনেক দূর এগোতে হবে আমাদের’।

তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে অনুরোধ আপনারা ভ্যাট দিন। আমরা আপনাদের ভ্যাট প্রদান সহজ করে দিব। যত বেশি ভ্যাট আসবে, তত বেশি ভ্যাট হার কমাতে পারবো। আমরা ভ্যাট দেয়াকে আনন্দের পরিবেশে নিয়ে আসবো’।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও জানান, ইএফডি মেশিন ছাড়াও ভ্যাট আদায় হচ্ছে । সেটা হয়তো এতটা স্বচ্ছ নয়। স্বচ্ছতার জন্য ইএফডি মেশিন চালু করা হয়েছে।

ইলেক্ট্রনিক ফিসকেল ডিভাইস (ইএফডি) এর প্রথম এ লটারিতে মোট ১০১টি পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথম পুরস্কার বিজয়ী এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী পান ২৫ হাজার টাকা (৫টি)। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজয়ীসহ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত মোট ১০১টি পুরস্কার পান বিজয়ীরা। প্রথম পুরস্কার হিসেবে কর মুক্ত এক লাখ টাকা পেয়েছেন 02221GEMMWAK039 নাম্বার কুপন, দ্বিতীয় পুরস্কার 001820SPXYAOH781, তৃতীয় পুরস্কার 002120DXEDECM637 নাম্বার কুপন।

লটারির ড্র ঘোষণার ৩ কর্মদিবসের মধ্যে কুপনের নাম্বার রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল।

লটারিতে বিজয়ীকে যে কোন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে পুরস্কারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। যে মাসে লটারি ড্র হবে সে মাসের শেষ কার্যদিবসের মধ্যে পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ ফেব্রয়ারি মাসে যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের কুপনগুলো যেকোনো কমিশনারেটে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরস্কার প্রাপ্তির আবেদন করতে হবে।

এছাড়া পুরস্কার পেতে কোনো সমস্যা হলে ০১৯৬৩৬৩৬৫৫৪ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন , জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (নীরিক্ষা ও গোয়েন্দা) জাকিয়া সুলতানা, এনবিআর সদস্য (বোর্ড প্রশাসন) ফয়জুর রহমান, সদস্য (কর নীতি) আলমগীর হোসেন, ইএফডি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান শিকদার সদস্য কর নীতি ও আইসিটি গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২৫ আগস্ট ইএফডি উদ্বোধনের পর প্রথম পর্যায়ে ১১৭টি, দ্বিতীয় পর্যায় ১০৬১টি, তৃতীয় পর্যায়ে ২৯৩টিসহ এক হাজার ৪৭১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ও এসডিসি মেশিন বসানো হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

ই-জেনারেশনের আবেদন ৪০ গুণ : লটারি ৭ ফেব্রুয়ারি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ই-জেনারেশন লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনে চাহিদার তুলনায় প্রায় ৪০.৭৬ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এই আইপিও আবেদনের লটারি আগামী রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এই লটারি। সিএসই ও কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটির আইপিও’র মাধ্যমে বাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহের কথা। কিন্তু কোম্পানিটির মোট আবেদন জমা পড়েছে ৬১১ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার; যা কোম্পানিটির চাহিমার তুলনায় প্রায় ৪০.৭৬ গুণ বেশি আবেদন।

এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৬ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড ছাড়া যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৭২ কোটি ৯ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়েছে।

এর আগে গত ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারী পরযন্ত কোম্পানিটির আইপিও আবেদন সম্পন্ন হয়।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৫তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১০ টাকা ইস্যু মূল্যের ১ কোটি ৫০ লাখ সাধারণ শেয়ার বিক্রি করে ১৫ কোটি টাকা তুলবে। এই টাকায় বাণিজ্যিক স্পেস ক্রয়, লোন পরিশোধ, ডিজিটাল হেলথকেয়ার প্লাটফর্ম উন্নয়ন এবং আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করবে।

৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) রয়েছে ২০ টাকা ৫৬ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মূলধন ও সূচক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা কমেছে। এসময় গত সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন ও সূচক দুটোই কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭৫২ কোটি ৪২ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৬০১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৩৭.৬৩ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ৭৫০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৩৭.৬৩ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২০৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার উপরে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৬.৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৪৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৭.৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১৭৩ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ১৯.০৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২৬১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৬৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ২১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৯টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৪ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা বা ০.৯৭ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ