আকাশ-স্যামসাং যৌথ ক্যাম্পেইন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গ্রাহকদের টিভি দেখার সুযোগ আরও বাড়িয়ে দিতে দেশের একমাত্র বৈধ ডিটিএইচ সেবাদাতা ব্র্যান্ড আকাশ ও দক্ষিণ কোরিয় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এক যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় স্যামসাংয়ের ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনার ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স এবং ইলেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের নির্ধারিত শোরুমে ইউএইচডি কিংবা কিউএলইডি টিভির বান্ডল অফারে আকাশ সাশ্রয়ী মূল্যে কেনা যাবে।

রবিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা হোটেলে চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্সের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার লুৎফর রহমান, হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মুহাম্মদ আবুল খায়ের চৌধুরী, হেড অব সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল গণি, স্যামসাংয়ের চিফ ম্যানেজার প্রডাক্ট প্ল্যানিং মোহাম্মদ জুলফিকার আলী, ইলেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. শহিদ আহমেদ আব্দুল্লাহ, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্সের অপারেশন ডিরেক্টর ফিরোজ মোহাম্মদ।

চার কোম্পানির মধ্যে স্বাক্ষরিত কৌশলগত চুক্তি অনুযায়ী, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্সের ৪০টি বিক্রয়কেন্দ্রে এবং ইলেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের ৪৬টি বিক্রয়কেন্দ্রে নতুন বান্ডল অফারটি পাওয়া যাবে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দুই মাসব্যাপী এ অফার চলবে।

এই অফারের আওতায় গ্রাহকরা স্যামসাংয়ের ইউএইচডি অথবা কিউএলইডি টিভির সঙ্গে আকাশ সংযোগের উপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় পাবেন। একইসঙ্গে প্রথম রিচার্জে ১০০% ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকরা আকাশ অ্যাকাউন্টে। রিচার্জের পরিমাণ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে আকাশ অ্যাকাউন্টে।

বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্সের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার লুৎফর রহমান বলেন, “প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাহিদাতেও এসেছে নানামুখী পরিবর্তন। এখন মানুষ সাধারণ মানের টিভি দেখতে আগ্রহী নয়। তাঁরা চায় ঝকঝকে ছবি, স্পষ্ট শব্দ ও দ্রুত পারফর্ম করে এমন ধরণের টিভি দেখতে। শুধু আধুনিক টিভি সেট সে নিশ্চয়তা দেয় না। তার সঙ্গে দরকার আধুনিক প্রযুক্তির সংযোগও। দেশে প্রথমবারের মত বৈধভাবে সে সুযোগ নিয়ে এসেছে আকাশ।”

বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্সের হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মুহাম্মদ আবুল খায়ের চৌধুরী ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে বলেন, “আকাশ শহর ও গ্রামের গ্রাহকদের সমান অগ্রাধিকার দেয়। গহীন পার্বত্য অঞ্চল ও ছিটমহলেও পৌঁছে গেছে আকাশ। স্যামসাং, ইলেক্ট্রা ও ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্সের সঙ্গে এ পার্টনারশিপের ফলে সকল শ্রেণির গ্রাহক বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।”

দেশে সব শ্রেণীর গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আকাশ। প্রান্তিক মানুষের জন্য টিভি দেখার সুযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করছে দেশের একমাত্র বৈধ ডিরেক্ট-টু-হোম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি। সংযোগ ও মাসিক সাবস্ক্রিপশন মূল্য সর্বোচ্চ কমানোর পাশাপাশি বিভিন্ন অফার এবং পার্টনারশিপের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য আকাশ সংযোগ আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার চেষ্টা চলছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে ফিড নিয়ে ২০১৯ সালের বছরের মে মাসে সেবা প্রদান শুরু করে আকাশ ডিটিএইচ। আকাশ বেসিক ও রেগুলার সংযোগের এককালীন মূল্য যথাক্রমে ৩ হাজার ৯৯৯ টাকা ও ৪ হাজার ৪৯৯ টাকা। উভয় সংযোগেই মাসিক ৩৯৯ টাকার প্যাকেজ সাবস্ক্রিপশনে ১২০টির বেশি চ্যানেল এবং ২৪৯ টাকার প্যাকেজে ৭০টির বেশি চ্যানেল দেখা যাবে। দেশের ৬৪টি জেলায় ৮ হাজারের বেশি অনুমোদিত খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে আকাশ সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

১৫ বছর ধরে বিশ্বে এক নম্বর টেলিভিশন স্যামসাং। সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে কোম্পানিটির ৩০টি সার্ভিস সেন্টার এবং ৯টি সার্ভিস ভ্যান রয়েছে। সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘন্টা কল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গ্রাহকদের বাসায় ওয়াল মাউন্টসহ ফ্রি ইনস্টলেশন করে দেয়া হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস ২১ পয়সা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সদ্য আইপিও প্রক্রিয়া শেষ হওয়া বীমা খাতের কোম্পানি দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২০-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা।

আগের হিসাবে এ সমেয় বিমাটি শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২৭ পয়সা।

বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর,২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮৩ পয়সা। আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে কোম্পানিটির ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ৫০ পয়সা।

এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২.৪৫ টাকা। আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে কোম্পানিটির এনএভি হয়েছে ১১.৪৭ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

২১২৫ কোটি ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামীতে করোনাভাইরাস মোকাবিলা এবং আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বাংলাদেশকে ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা (২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। পাঁচ বছর গ্রেস দিয়ে ৩০ বছরে বাংলাদেশকে এ ঋণ শোধ করতে হবে।

গত শুক্রবার এ ঋণ অনুমোদন দেয় বলে শনিবার জানিয়েছে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়। থার্ড প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেয়া হবে।

বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে। সেই হিসাবে কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি, বিশেষ করে উৎপাদনশীল খাতে।

এদিকে করোনা দরিদ্র ও নারীদের বড় ধরনের বিপদের মুখে ফেলেছে। এ অর্থায়ন করোনায় ক্ষতির শিকার আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের কর্মসংস্থান তৈরিতে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ৫ সমঝোতা স্মারক সই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতার সম্পর্ক বিস্তৃত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে আগামী দিনে কানেক্টিভিটি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যৌথ সহযোগিতা বিস্তৃত করার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা হয়েছে। এটি ছিল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি স্তর থেকে নতুন আরেকটি স্তরে উন্নীত করার বৈঠক।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করা এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি আবারও জোর দিয়েছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বাংলাদেশের যত কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োজন, ভারত তা দেবে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে পৃথক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ ছাড়া আটটি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, তিস্তা চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত হত্যার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে ধরেন এবং সীমান্ত হত্যা সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এর জবাবে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সীমান্তে হাট তৈরি করা গেলে এ সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে।

ড. মোমেন বলেন, দু’দেশের মধ্যে যেসব অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে, তার সবই দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। সেইসঙ্গে এ অঞ্চলের উন্নয়নে দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করতেও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু তিস্তা নয়, ছয়টি যৌথ নদীর ন্যায্য হিস্যার বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছেন। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিস্তা চুক্তিটি দ্রুত স্বাক্ষরে ভারত আন্তরিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত মনে করে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।

ড. মোমেন বলেন, দু’দেশের মধ্যে যেসব অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে তার সবগুলোই দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।

ড. মোমেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফর আমাদের জন্য গর্বের ও গৌরবের। শুধু ভারত নয়, বিগত দশ দিনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা বাংলাদেশ সফর করেছেন। এ ছাড়া ষাটেরও অধিক দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তারা বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রগতিতে অভিভূত বলেও জানিয়েছেন। গত দশ দিনের আয়োজন আমাদের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য।

তিনি আরও বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।

শ্রিংলার ব্রিফিং: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এই ঐতিহাসিক সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর দু’দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও আস্থার সম্পর্কের প্রতিফলন। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকের আলোচনাতেও আগামী দিনে সহযোগিতার সম্পর্ক বিস্তৃত করার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। আগামীতে অর্থনৈতিক ও কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে যৌথ সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটাসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যৌথ সহযোগিতা বিস্তৃত করার বিষয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই বৈঠক বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি স্তর থেকে নতুন একটি স্তরে উন্নীত করবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তিস্তার পানি বণ্টনসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত যৌথ নদীর পানির অংশীদারিত্ব নিয়ে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়- ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ কথা জানিয়েছেন।

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা ও তথ্য আদান-প্রদান চলছে বলেও জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। এ প্রসঙ্গে তিনি কিছুদিন আগে দিল্লিতে পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ে বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।

কানেক্টিভিটি বিষয়ে আলোচনার ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানান, দুই দেশের মধ্যে সড়ক, রেল, নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ যোগাযোগ সুবিধা আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি সার্ক, বিমসটেক ও বিবিআইএন জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃসড়ক যোগাযোগ স্থাপনে যৌথভাবে কাজ করতেও একমত হয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্যই সবচেয়ে বেশি ভিসা ইস্যু করে। কভিড-১৯ এর মধ্যেও মেডিকেল ও বিজনেস ভিসা স্বাভাবিক নিয়মেই দেওয়া হচ্ছে। কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির অবসান হলে ভ্রমণ ভিসাও চালু হবে। তিনি জানান, ভারতে বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা সুবিধা আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ভারত এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই চিন্তাভাবনা করছে।

রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিকে ভারত সব সময় শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখে। রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু গুরুত্ব দিয়ে আলোচিত হয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্যও ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং আগামী দিনে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যৌথ সহযোগিতার সম্পর্ক আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

যেসব সমঝোতা স্মারক ও উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা: সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন ও প্রশমনে সহযোগিতা, ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক্ক বাধা দূর করতে সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়ার (আইএনসিসি) সহযোগিতা, বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিজিএসটি) সেন্টারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম, কোর্সওয়্যার ও রেফারেন্স বই সরবরাহ, প্রশিক্ষণ এবং রাজশাহীতে কলেজ মাঠের উন্নয়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন।

এ ছাড়া শিলাইদহের সংস্কারকৃত কুঠিবাড়ী, মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত স্বাধীনতা সড়ক, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসমাধি, ভারতের উপহার ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল, তিনটি সীমান্ত হাট উদ্বোধন এবং স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

মোদির ঢাকা ত্যাগ: ভারতের প্রধানমন্ত্রী গত রাতে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ৩১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন মোট ৪৩ লাখ ৫৯ হাজার ২৪০টি শেয়ার লেনদেন হয়।

দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার।

তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ১৯ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- রবি আজিয়াটার ১২ কোটি ৩৬ লাখ, লংকা বাংলা ফাইন্যান্সের ১১ কোটি ৩২ লাখ, রহিমা ফুডের ১০ কোটি ৯২ লাখ, লাফার্জ হোলসিমের ১০ কোটি ২৮ লাখ, এনআরবিসি ব্যাংকের ৯ কোটি ৫৬ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ৭ কোটি ২৫ লাখ ও জেবিবি পাওয়ার লিমিটেডের ৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা শেয়ার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

১.বেক্সিমকো লিমিটেড
২.বেক্সিমকো ফার্মা
৩.প্রিমিয়ার ব্যাংক
৪.রবি আজিয়াট
৫.লংকা বাংলা ফাইন্যান্স
৬.রহিমা ফুড
৭.লাফার্জ হোলসিম
৮.এনআরবিসি ব্যাংক
৯.স্কয়ার ফার্মা
১০.জেবিবি পাওয়ার লিমিটেড।

ডিএসইতে ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিন শেষে সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিন সেখানে গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

রবিবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫,৩৪৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ০.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২১৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১.২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০২২ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮২ কোটি টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৮৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

এর আগে ২০২০ সালে ২৬ জুলাই ডিএসইতে ৩৭১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসইতে আজ ৩৫০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৩৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৮৪টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ১৩২টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, প্রিমিয়ার ব্যাংক, রবি আজিয়াটা, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, রহিমা ফুড, লাফার্জ হোলসিম, এনআরবিসি ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা ও জেবিবি পাওয়ার লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৫৩.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৪৭৮ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২১২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ৬২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ১২ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে মেরিকো ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৪৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আকার ৫০০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫৫০ কোটি ডলার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ এই তহবিলে যুক্ত হয়েছে আরও ৫০ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় সব মিলিয়ে তহবিলটির আকার দাঁড়াল ৪৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে ইডিএফ থেকে দেওয়া ঋণের সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। তখন থেকে রপ্তানিকারকেরা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে এই তহবিলের ঋণ পাচ্ছেন। করোনার প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকদের বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে এই সুবিধা দিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে বৈদেশিক মুদ্রায় স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ গঠিত হয়। মাত্র ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার নিয়ে এ তহবিলের যাত্রা শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার তা ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইডিএফ থেকে ঋণ নেওয়া রপ্তানিকারকের সংখ্যা বর্তমানে ১ হাজার ৬৭০ জন। মোট ঋণ ৪৯২ কোটি ১০ লাখ ডলার। ঋণ পেয়েছেন বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বিকেএমইএ, ডাইং ইয়ার্ন, প্যাকেজিং, চামড়াশিল্প, প্লাস্টিকশিল্পসহ রপ্তানিমুখী খাতের উদ্যোক্তারা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

শাহজালাল ব্যাংকের শেয়ার কিনবেন উদ্দ্যোক্তা পরিচালক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের একজন উদ্দ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, আর্টস্টিক ডিজাইন লিমিটেডের এ.কে. আজাদ নামে এই উদ্দ্যোক্তা পরিচালক কোম্পানিটির ১০ লাখ শেয়ার ক্রয় করবেন।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে এই পরিচালক উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার পাবলিক মার্কেটে ক্রয় করবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

 

দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন শুরু ২৯ মার্চ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরু হবে আগামীকাল ২৯ মার্চ থেকে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন দেশের উভয় শেয়ারবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ কোম্পানির লেনদেন।

‘এন’ ক্যাটাগরির আওতায় লেনদেন শুরু করা কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড- “DGIC” এবং ডিএসইতে কোম্পানি কোড- ২৫৭৫০ নির্ধারণ হয়েছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটির আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/