দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্প্রেসর উৎপাদন শুরু ওয়ালটনের

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কম্প্রেসর গবেষণায় সাফল্য দেখিয়েছেন ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের সবচেয়ে ‘সাইলেন্ট ও ডিউর‌্যাবল’ রেফ্রিজারেটর কম্প্রেসর উৎপাদন শুরু করেছে বাংলাদেশী ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। সেকেন্ড জেনারেশন বা দ্বিতীয় প্রজন্মের নতুন ওই দুইটি মডেল দেশের একমাত্র কম্প্রেসর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের কম্প্রেসর গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) বিভাগের নতুন উদ্ভাবন। শুধু ওয়ালটন নয়; দেশীয় শিল্প ও বাংলাদেশের জন্য এটি এক বিশাল মাইলফলক।

এ উপলক্ষ্যে গত সোমবার (৫ এপ্রিল, ২০২১) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হেডকোয়ার্টারে অনলাইন প্লাটফর্মে এক লঞ্চিং প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। সে সময় দ্বিতীয় প্রজন্মের ওই দুই মডেলের কম্প্রেসর উদ্বোধন করা হয়।

মডেল দুটির নাম- এইচভিওয়াই৯৪এএ এবং এইচভিওয়াইএক্স৯এএ।

প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। অনলাইনে আরো যুক্ত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বিভাগের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ইউসুফ আলী, ওয়ালটন কম্প্রেসর বিভাগের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রবিউল আলম, ওয়ালটন আরএন্ডডি বিভাগের চিফ কো-অর্ডিনেটর তাপস কুমার মজুমদার, কম্প্রেসর আরএন্ডডি বিভাগের প্রধান মীর মুজাহেদীন ইসলাম, কম্প্রেসর সিওও নাসির উদ্দিন মন্ডল, মেকানিক্যাল মেইনটেনেন্স বিভাগের প্রধান নিজাম উদ্দিন মজুমদার, ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেনেন্স বিভাগের প্রধান কামরুল হাসান, প্রসেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান কৃষ্ণানন্দ বৈরাগী, কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান তাহসিন হক, ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম প্রমুখ।

ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘কম্প্রেসর আরএন্ডডি টিমের উদ্ভাবিত দ্বিতীয় প্রজন্মের বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির কম্প্রেসর তৈরি ওয়ালটনের জন্য এক বিরাট সাফল্য। নিঃসন্দেহে এই সফলতা শুধু ওয়ালটনেরই নয়; দেশীয় ভারী প্রযুক্তি শিল্প ও বাংলাদেশের জন্যও এক বিশাল মাইলফলক।’
তিনি আরো বলেন, কম্প্রেসর উৎপাদন শিল্প বাংলাদেশের আরেকটি সম্ভাবনাময় খাত। রয়েছে বিশাল আন্তর্জাতিক বাজার। ওয়ালটনের টার্গেট- বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কম্প্রেসর রপ্তানিকারক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।

কম্প্রেসর বিভাগের সিইও রবিউল আলম বলেন, নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটনের তৈরি কম্প্রেসর ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির পরিমাণও বেশ ভালো। নতুন এই দুইটি মডেলের উদ্ভাবন ও উৎপাদন শুরু হওয়ায় রপ্তানির পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
কম্প্রেসর আরএন্ডডি বিভাগের প্রধান মীর মুজাহেদীন ইসলাম বলেন, বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির ‘সাইলেন্ট ও ডিউর‌্যাবল’ কম্প্রেসর ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ তৈরি করছে ওয়ালটন। উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে মান নিয়ন্ত্রণে অনুসরণ করা হচ্ছে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। কারখানায় রয়েছে আন্তর্জাতিকমানের মাননিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগার, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ল্যাব সরঞ্জাম ও মেশিনারিজ। ওয়ালটন কারখানায় তৈরি হচ্ছে মাদারবোর্ড। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত সর্বাধুনিক হেমি অ্যান-ইকোয়িক অ্যাকুইস্টিক চেম্বারের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে কম্প্রেসরের সর্বনি¤œ নয়েজ লেভেল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এশিয়ার ৮ম ও বিশ্বের ১৫তম কম্প্রেসর উৎপাদনকারি দেশ। দেশের একমাত্র কম্প্রেসর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। যার বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৪ মিলিয়ন। ২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদন সক্ষমতা ১০ মিলিয়নে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। শুরু থেকেই জার্মানভিত্তিক বিশ্বের একটি খ্যাতনামা কম্প্রেসর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ যন্ত্রাংশ নিচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

লকডাউনে পুনরায় চালু স্যামসাং’র গ্যালাক্সিশপবিডি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গ্রাহকদের গ্যালাক্সি ডিভাইস কেনার সুবিধার্থে স্যামসাং বাংলাদেশ পুনরায় চালু করেছে তাদের অনলাইন পোর্টাল- www.galaxyshopbd.com; গত বছর লকডাউনের সময় অনলাইন পোর্টালটি প্রথম চালু করা হয়েছিল। বর্তমান লকডাউনে গ্রাহকদের ডিভাইস কেনার সুবিধার্থে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল পুনরায় পোর্টালটি চালু করা হয়।

দেশের বাজারে যেসব গ্যালাক্সি ডিভাইস পাওয়া যায় তার সবগুলোই থাকছে এই ওয়েবসাইটে। ডিভাইসের ওপর চলমান অফারসমূহ (যদি থাকে) গ্রাহকরা পোর্টালে দেখতে পারবেন। এছাড়াও, পোর্টালে গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য থাকায় তা গ্রাহকদের পছন্দের ডিভাইস কেনার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকদের বিনামূল্যে ডেলিভারি প্রদান করবে স্যামসাং বাংলাদেশ। গ্রাহকরা বিকাশ, ক্যাশ অন ডেলিভারি, এবং বিভিন্ন ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়াও, নির্দিষ্ট ডিভাইস এর উপর থাকছে ইএমআই সুবিধা।

দ্রুত ডেলিভারি এবং সকল সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের অর্ডার পৌঁছে দিবে পছন্দসই রিটেইলাররা। কেনার সময় কোন সমস্যার মুখোমুখি হলে গ্রাহকরা স্যামসাং কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারবেন। কল সেন্টারের নাম্বার – ০৮০০০ ৩০০ ৩০০ (টোল ফ্রি)। সকল ধরণের পণ্য ও সেবা তথ্য এর জন্য ২৪/৭ কল সেন্টার চালু থাকবে। গ্রাহকরা চাইলে ই-মেইলের মাধ্যমেও কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারবেন। ই-মেইল অ্যাড্রেস হচ্ছে – feedback.bd@samsung.com

এ ব্যাপারে স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অফ মোবাইল মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, ‘লকডাউনের কারণে মানুষের ডিভাইস কেনাকাটায় যাতে কোন বাঁধা সৃষ্টি না হয়, আমরা তা নিশ্চিত করতে চেয়েছি। দেশব্যাপী কোভিড-১৯ এর প্রকোপ আবারও বাড়ছে। আমরা চাই মানুষ নিজ নিজ ঘরে নিরাপদে থাকুক এবং খুচরা দোকানে ডিভাইস কিনতে যাওয়া নিয়ে যেনো তাদের চিন্তা করতে না হয়। মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে স্যামসাং বাংলাদেশ সবসময় অভিনব পণ্য ও সেবা নিয়ে আসার চেষ্টা করে। তাই, মানুষের ডিভাইস কেনার অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করতে অনলাইন পোর্টালটি পুনরায় চালু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো যেনো তারা ঘরে থাকে, নিরাপদে থাকে এবং সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

৬৬ কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস থাকছে না : বিএসইসি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে ৬৬ কোম্পানির ফ্লোরপ্রাইস কাল থেকে উঠে যাচ্ছে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আজ বুধবারের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরপ্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে আটকে আছে, সেগুলোর মধ্য থেকে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফ্লোরপ্রাইসে আটকে থাকার কারণে এত দিন কোম্পানিগুলোর শেয়ারের লেনদেন হচ্ছিল না। এখন কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনযোগ্য করতে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়া হয়।

শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ সব কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোরপ্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়। যাতে ওই শেয়ার সেই দামের নিচে নামতে না পারে।

শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ সব কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোরপ্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়। যাতে ওই শেয়ার সেই দামের নিচে নামতে না পারে। এ ফ্লোরপ্রাইস বেঁধে দিয়েই মূলত গত বছরের ১৯ মার্চ সূচকের পতন থামানো হয়। এর আগে ১৮ মার্চ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকটি কমে ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে নেমে এসেছিল। তখন সরকারের সিদ্ধান্তে বিএসইসি শেয়ারের দামের ওপর ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করে।
ফ্লোরপ্রাইস আরোপের পর থেকে শতাধিক কোম্পানির শেয়ার ওই নির্ধারিত দামে আটকে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এসব কোম্পানির উল্লেখযোগ্য শেয়ারের লেনদেন হচ্ছিল না। তাই ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারকে লেনদেনযোগ্য করতে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

দিনভর সার্কিট ব্রেকারে ইনডেক্স এগ্রোর লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আইপিও পক্রিয়া শেষে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে ইনডেক্স অ্যাগ্রো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন আজ বুধবার হতে শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই দিনভর শেয়ারটির দর সর্বোচ্চ ৭৫ টাকায় লেনদেন হতে দেখা গেছে।

এদিন সকাল ১০ টায় এই শেয়ারটি লেনদেন শুরু হয়। ডিএসইতে এই শেয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকারে অর্থ্যাৎ ৭৫ টাকায় লেনদেন হয়। এসময় পর্যন্ত শেয়ারটি ১৭৯ বারে ১৯ হাজার ৭৩২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এর আগেই বরাদ্দকৃত আইপিও শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসেবে পাঠিয়েছে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন মোট ৬৭ লাখ ২৪ হাজার ৫৯০টি শেয়ার লেনদেন হয়।

দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা রবি আজিয়াটা লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকার।

তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ২২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- লংকা বাংলা ফাইন্যান্সের ১৬ কোটি ৭৪ লাখ, বেক্সিমকো ফার্মার ১৫ কোটি ৮৮ লাখ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ১৩ কোটি ৯১ লাখ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ১৩ কোটি ৪৯ লাখ, লাফার্জ হোলসিমের ১১ কোটি ৮৯ লাখ, আইএফআইসি ব্যাংকের ১১ কোটি ১০ লাখ ও বিএটিবিসি লিমিটেডের ১১ কোটি ৩ লাখ টাকা শেয়ার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

 

১.বেক্সিমকো লিমিটেড
২.রবি আজিয়াটা
৩.এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
৪.লংকা বাংলা ফাইন্যান্স
৫.বেক্সিমকো ফার্মা
৬.প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স
৭.প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স
৮.লাফার্জ হোলসিম
৯.আইএফআইসি ব্যাংক
১০.বিএটিবিসি লিমিটেড।

 

ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসইতে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বুধবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৫.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫,৩৩৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৯.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২১৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২২.৯২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০১১ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৮২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫০৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৪৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৯৯টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৪৩টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ১০২টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, রবি আজিয়াটা, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জ হোলসিম, আইএফআইসি ব্যাংক ও বিএটিবিসি লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১৭৩.১৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৪৩৪ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২১৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪০টির, কমেছে ২৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে রবি আজিয়াটা ও ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

চলতি বছর দেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ : আইএমএফ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চলতি বছর পাঁচ শতাংশ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।

এর আগে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেয় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মঙ্গলবার আইএমএফের সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস শীর্ষক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল এ বছরে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। নতুন এ প্রতিবেদনে ২০২২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে যাচ্ছে এর ফলে বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হবে যা আগের পূর্বাভাসের চেয়ে ০ দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।

এ বছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৫ শতাংশ, মালদ্বীপের ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ, শ্রীলংকার ৪ শতাংশ, নেপালের ২ দশমিক ৯ শতাংশ ও পাকিস্তানের ১ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলে আইএমএফ জানিয়েছে।

আইএমএফের এ পূর্বাভাস দেওয়া হয় বছরের ভিত্তিতে। এর আগে ৩১ মার্চ বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে প্রাক্কলন করা হয়।

যা তাদের গত অক্টোবরের প্রাক্কলনে ছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ আর জানুয়ারির প্রাক্কলনে ছিল ২ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক তার রিপোর্টে জানায় ভ্যাকসিন দেওয়ার সাফল্য আর বিশ্ব অর্থনীতি কতটা ঘুরে দাঁড়াবে তার ওপর ভর করে এ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৬ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

২ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ বৃহস্পতিবার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন আগামী ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রেকর্ড ডেটের কারণে বন্ধ থাকবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে- গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ও ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড।

এর আগে কোম্পানিগুলোর শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন শুরু করেছিল। আজ কোম্পানিগুলোর শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন শেষ হবে।

রেকর্ড ডেটের পর আগামী ১১ এপ্রিল থেকে কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন চালু হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

 

 

মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য অভিহিত করে সেদেশের কোম্পানিগুলোকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও একটি হাই-টেক পার্কে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন।

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আজ ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা আমেরিকান উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য শিল্প-কারখানা স্থাপনের সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি।’

বাংলাদেশ এখন দেশি-বিদেশী বিনিয়োগে আইসিটি শিল্পের জন্য ২৮টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে একটি হাই-টেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে আইসিটি খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উভয় দেশেরই পর্যাপ্ত নীতিগত সমর্থন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্সের দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি নিশা দেশাই বিসওয়াল, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ড: শেখ ফজলে ফাহিম, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এবং বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দ্রুত বর্ধনশীল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং ৪ বিলিয়ন ভোক্তার বিরাট আঞ্চলিক বাজারের সাথে বর্ধনশীল যোগাযোগ ব্যবস্থা-এ দেশেকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্যে পরিণত করেছে।’

তিনি বলেন, আমরা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য টেকসই ভৌত-অবকাঠামো, আইনী ও আর্থিক সুবিধা দিচ্ছি। আমার সরকার বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়ান ঘটাতে ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন করছে। আর আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথ যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই একটি শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আমাদের পাশে থেকেছে। এটা আমাদের রপ্তানীর সর্ববৃহৎ গন্তব্য, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, আমাদের দীর্ঘ-দিনের উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

বাংলাদেশ প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে, যার ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রপ্তানীকারকরা গড়ে ১৬ শতাংশ শুল্ক দেয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুতা, সয়াবিন ও গমের মতো শিল্প-কাঁচামাল ও ভোগ্য-পণ্য ক্রয় করি। বাংলাদেশে এই সব পণ্য বিনা-শুল্কে আমদানি হয়। বিদেশী সাহায্যের উপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের দেশের লাখো তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে আমাদের রূপকল্প ২০২১ এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এক্ষেত্রে সরকারি কাজে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার সক্ষম একটি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য আমি আমার আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদকে ধন্যবাদ দিতে চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৬০টি দেশে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আইসিটি পণ্য রপ্তানী করে। এই দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আইসিটি পণ্য রপ্তানী হয়। ইউএসএইড’এস প্রাইভেট সেক্টর এসেসমেন্ট ২০১৯ ফর বাংলাদেশ-এর মতে-আইসিটি শিল্প ২০২৫ সাল নাগাদ প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধনী আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের এই অংশ গ্রহণ বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ব্যাপারে তাদের ক্রমবর্ধমান ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। আমি আশা করছি, এটা আমাদের দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরো সম্প্রসারিত করতে সহায়ক হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সরকার আগামী দিনগুলোতে ইউএস-বাংলাদেশে বিজনেস কাউন্সিলের কর্মকা-ে অব্যহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, কাউন্সিলের যাত্রা এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন আমরা বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি।
তিনি আরও যোগ করেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদদের জীবন এবং ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ধ্বংসস্তুপের উপরে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য, শোষণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্যমুক্ত তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের অসমাপ্ত কাজ আমি হাতে নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, গত এক দশকে আমরা আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি। বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তি এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।‘কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীনও আমাদের অর্থনীতি দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে’, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তোরণে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করে। এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-আয়ের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। সূত্র : বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/