স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
নিত্যপণ্যের বাজারে চাল, ব্রয়লার মুরগি ও আদা-রসুনের দাম কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের। এছাড়া আবার বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। ডাল, চিনি, আটা, ছোলা ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেড়েছে মাছের দাম। গরু ও খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।
গত কয়েকদিন রাজধানীর কাওরান বাজার, ফকিরাপুল বাজার গোঁড়ান বাজার, মুগদা বড় বাজার ও যাত্রাবাড়ী বাজার বাজার থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ইফতারিতে বেশি ব্যবহার হয়, এমন সব দেশী-বিদেশী ফল বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। বিশেষ করে দেশী তরমুজের দাম বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে নগরবাসীর। বাজারে চালের দাম কমে সরু চাল হিসেবে খ্যাত মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৭-৬৫, মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা ৫২-৫৮ এবং মোটামানের স্বর্ণা চায়না ইরি চাল ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া দাম কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম কমে প্রতিকেজি আদা ৭০-১৫০, রসুন ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা পর্যায়ে। এছাড়া দাম বেড়ে সয়াবিন তেল লুজ প্রতিলিটার ১২২-১২৬, সয়াবিন তেল বোতল পাঁচ লিটার ৬৩০-৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া দেশী পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩৫-৪৫ এবং পেঁয়াজ আমদানি ৩২-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যেও বেশিরভাগ মুদিপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বরং ধান কাটা শুরু হওয়ায় কমেছে চালের দাম। ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম বাড়লে সামনে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফকিরাপুল বাজারের ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক কর্মকান্ড হ্র্সা পাওয়ার কারণে পেঁয়াজসহ দুএকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে দাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার দাম কমে আসবে।
ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, আবার বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। ঈস্খঢ়হু তাপদাহের কারণে সবজি উৎপাদন কমে গেছে। এ কারণে দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, মুলা ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, সজনে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫ টাকা দাম বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কাঁচামরিচের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। খিরা ৫০ থেকে টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা দাম কমে সোনালি (কক) মুরগি ২৩০ থেকে ২২০ টাকায় ও ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় ও লেয়ার মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০-৬০০ টাকায়। এছাড়া সব ধরনের মাছ এখন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, শিং মাছ (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) ৮৫০ থেকে ১০০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/