মার্জারের অনুমোদন পেল বিএসআরএম স্টীল রি-রোলিং

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ স্টীল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (বিএসআরএম লিমিটেড) সঙ্গে অ-তালিকাভুক্ত বিএসআরএম স্টীল মিলসের একত্রিকরণের (মার্জার) অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

সোমবার (৭ জুন) কমিশনের ৭৭৬তম নিয়মিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্জারের মাধ্যমে বিএসআরএম লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ২৩৬ কোটি ৭ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা হবে। এক্ষেত্রে বিএসআরএম লিমিটেড থেকে বিএসআরএম স্টীল মিলসের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ টাকা মূল্যেমানের ৩৯ কোটি ৪৪ লাখ শেয়ারের বিপরীতে ৬ কোটি ২৫ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে।

এক্ষেত্রে উচ্চ-আদালতের আদেশ অনুসারে কমিশন শেয়ারের বিনিময় রেশিও ১:০.২৮৮ হিসেবে শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন প্রদান করে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

অর্থপাচারের তথ্য নেই অর্থমন্ত্রীর কাছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের টাকা-বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের এমন অভিযোগের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘নামগুলো আমাদের দেন। কাজটি করলে আমাদের জন্য সহজ হবে। এখনো অনেকেই জেলে আছেন, বিচার হচ্ছে, আগে যেমন ঢালাওভাবে চলে যেত, এখন তেমন নেই। কারা টাকা নিয়ে যায়, লিস্ট আমার কাছে নেই।’

সোমবার (৭ জুন) সংসদে মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছাঁটাই প্রস্তাব তোলার সময় বিভিন্ন সংসদ সদস্যের সমালোচনার পর মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছাঁটাই প্রস্তাব তোলার সময় বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘স্কুলে অংকে ভালো ছিলাম। শিক্ষকরা আদর করতেন। কিন্তু বাজেটের অংকের হিসাব মেলাতে পারছি না। ঘাটতি কোথায়? কোথা থেকে টাকা আনব? প্রবৃদ্ধির কথা বলছি। করোনাকালীন সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে করোনা নিয়ন্ত্রণে। না হলে প্রবাস আয়, গার্মেন্ট খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রবৃদ্ধির জন্য লাফাচ্ছি। সূচের ফোটা দিলে বেলুনের মতো চুপসে যাবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ না হলে গার্মেন্ট আর প্রবাসী আয় কমে যাবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ না করলে ভয়ানক ধস নামবে। শেয়ারবাজার শুয়ে গেছে একেবারে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান…সত্য কথা বললে সরকারি দলের সদস্যরা বেজার হয়ে চিল্লাচিল্লি করবেন। দুর্নীতির কারণে আর্থিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা জিরো টলারেন্স। অর্থমন্ত্রী বললেন, অপ্রদর্শিত আয় নিয়ে। এটা সাংঘর্ষিক। দুর্নীতি, মাদক, অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে বিত্ত গড়ে তুললে তাকে সুযোগ দিয়ে ন্যায় করা হবে না। বেহাল দশা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হলে…করোনাকালীন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মেগা প্রকল্প বাদ দেন।’

বিএনপির আরেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, শেয়ারবাজার শুয়ে পড়ে। ’৯৬ সালে, ২০০৯ সালে শুয়ে পড়লো। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বললেন, তিনি শেয়ারবাজার বোঝেন না। শেয়ারবাজার ফটকা বাজার। সেই অর্থমন্ত্রী স্পষ্ট কথা বলতেন, দলের বিপক্ষে গেলেও বলতেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে পরিবারের হাতে ব্যাংক তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনগণের টাকার হরিলুট হচ্ছে। সংসদে ঋণ খেলাপির তালিকা দেয়া হলো। ৩০০ জন। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হলো? বিদেশে ১ লাখ কোটি টাকার ওপর চলে যাচ্ছে। ওভার আর আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে যাচ্ছে। এর বাইরে হুন্ডির পরিমাণ ধরলে আল্লাহ মাবুদ জানেন কত টাকা বিদেশে গেছে!’

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আর্থিক খাতে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্ব সঠিক। কর্তৃত্ব দুর্বল। ব্যাংকে কর্তৃত্ব নেই। কর্তৃত্ব না থাকলে অবাধে এসব হবে। এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংকের টাকা নিচ্ছেন। টাকা নিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ পাঠাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘দুদকের একটি অফিস কানাডায়, মালয়েশিয়ায়, অস্ট্রেলিয়ায় করুন। তাহলে দেখা যাবে কে কত টাকা নিয়েছেন। পি কে হালদার এত টাকা নিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক অডিট করলে চুরি করার সুযোগ থাকে না। অর্থমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে বসে কী করবেন। দোষ হয় মন্ত্রীর। অডিট করলে টাকা পাচার হয় না। ৯ মিনিটের জন্য পি কে হালদারকে ধরতে পারেনি। তাহলে ৯ ঘণ্টা আগে ধরতে পারলেন না কেন?’

জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘ব্যাংক খাত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্যাতিত এতিমদের মতো দেখার কেউ নেই, লুটপাট হচ্ছে। দুর্নীতি হচ্ছে। কিছুই হয় না। শাস্তি হয় না।’

এসবের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১২ বছরে ঋণের সুদহার ১২.১ ভাগ থেকে কমে ৭.৩ ভাগ হয়েছে। এখন ব্যাংকের শাখা দ্বিগুণ হয়েছে। চাহিদা বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে ব্রাঞ্চ হয়েছে। দেশের মানুষ সেবা পাচ্ছে। ২০০৬ সালে খেলাপি ঋণের হার ছিল ১৩.৬ শতাংশ। এখন ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৬ সালে টোটাল লোন আউটস্ট্যাডিং ছিল ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা, যা এখন আটগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।’

শেয়ারবাজারের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শেয়ারবাজার কেমন করে বসে গেল? শেয়ারবাজারে হয়তো লেনদেন নেই। শেয়ারবাজার সম্পর্কে তথ্য রাখেন না, হয়তো সেজন্য বলছেন। যদি ডাটা দেখি, যখন ক্ষমতায় আসি তখন শেয়ারবাজারে লেনদেন এক লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ছিল। তা এখন পাঁচগুণ বেড়েছে। গড় লেনদেন ছিল দৈনিক ২৮ কোটি টাকা, যা এখন ৩০ গুণ বেড়েছে। তাহলে ধসে গেল কেমন করে?’

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। ওই সব ছাঁটাই প্রস্তাব তোলার সময় বিরোধী সংসদ সদস্যরা বিদেশে টাকা পাচার, শেয়ারবাজারের অব্যবস্থাপনাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সমালোচনা করেন।

এসব সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা বিদেশে চলে যাবে, আপনাদের যেমন লাগে, আমারও লাগে। আমি অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমরা সবাই চাই, এগুলো বন্ধ করতে হবে। বন্ধ হচ্ছে। আগের মতো অবস্থা নেই। আগে সিমেন্টের নাম করে বালি আসতো। একটার নাম করে আরেকটা আসতো। আন্ডারইনভয়েসিং, ওভারইনভয়েসিং আগের মতো হয় না। একদম বন্ধ হয়ে গেছে বলবো না। পত্রপত্রিকায় দেখতে পাই না।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আগামী ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে ১৫টি আইন দেখতে পারবেন। এগুলো বন্ধ করার জন্য। আমি নিজে জানি কীভাবে এগুলো হয়। কারা করে জানি না। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, ইনএফেকটিভ ম্যানেজমেন্টের জন্য এগুলো হয়। আমরা সংস্কারমুখী কাজ করবো। নতুন নতুন আইন করবো। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেব। কোনো টলারেন্স নেই এখানে। টাকা এখন দেশে আসে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ২৭ লাখ ৩২ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট সংসদে পাস হয়েছে।

সোমবার (৭ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২১’ উত্থাপন করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। আগামী ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের কার্যক্রম নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের বেশি বরাদ্দ ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য এ সম্পূরক বিল আনা হয়।

বরাদ্দকৃত ব্যয়ের চাইতে কোনো মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যয় বৃদ্ধি হলে বা বরাদ্দকৃত টাকা খরচ করতে না পারলে তা অনুমোদন করতে যে বিল পাস করা হয় বা নতুন যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তাই মূলত সম্পূরক বিল।

এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্যরা আলোচনা করেন। এ সময় সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম প্রশ্নে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র এমপিদের নানান প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। উঠে আসে স্বাস্থ্যখাতের নানান অনিয়ম, দুর্নীতিও। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।

সম্পূরক বাজেটের উপর বিরোধীদল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের ১১ জন সংসদ সদস্য ১৯০টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। তবে সেগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লিয়াকত হোসেন খোকা, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা, মোশারফ হোসেন, গণফেরামের মোকাব্বির খান, স্বতন্ত্র রেজাউল করিম বাবলু।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ১৯টি মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক বাজেটটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুকূলে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে ১৯টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বরাদ্দ ১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৪৩টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বরাদ্দ ৪২ হাজার ৪৮১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে ২৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বরাদ্দ নিট দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।

সম্পূরক বাজেটে স্থানীয় সরকার বিভাগ সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। ১২৬টি চলমান এবং ৩১টি নতুন প্রকল্পে অর্থের সংস্থান করায় এ অতিরিক্ত বরাদ্দ পাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। আর সবচেয়ে কম ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। এ বিভাগের ১২টি চলমান প্রকল্পের অর্থের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ দরকার।

২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। মহামারির সঙ্কটে সেই গতিপথ ঠিক থাকেনি। সংশোধনে তা ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের সাধারণ বাজেট পেশ হয়। একই সাথে পেশ হয় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রপ্তানি খাতে নীতি সহায়তার সময়সীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রপ্তানি বাণিজ্যিক লেনদেন বিষয়ক নীতি সহায়তার সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে।

এতে বলা হয়েছে, নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসন সময় ২১০ দিন পর্যন্ত রাখা হয়েছে। প্রযোজ্য সুদ হারে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের সময়সীমা অতিরিক্ত ১৮০ দিন বাড়ানোর সুযোগ থাকছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণের অতিরিক্ত সময় ৯০ দিনের পরিবর্তে ১৮০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। এছড়া সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় স্থাপিত ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের দায় পরিশোধের নিমিত্তে ইডিএফ থেকে ১৮০ দিন সময়ের জন্য অর্থায়ন সুবিধা নেওয়া যাবে মর্মে সার্কুলারে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ২০২১ সালের ডিসেম্বর ৩১ পর্যন্ত সময়কালে বিজিএমইএ ও বিটিএমএ এর সদস্য মিলের জন্য ইডিএফ ঋণ সীমা মার্কিন ডলার ৩০ মিলিয়ন থাকছে। বৈদেশিক মুদ্রায় স্থানীয় সরবরাহ বিল ব্যাংকের নস্টো (নস্টো অ্যাকাউন্ট বা হিসাব হলো বিদেশে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দেশীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট) হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধ ব্যবস্থাও একই সময়ের জন্য বহাল থাকবে।

এ বিষয়ে ব্যাংক এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া ব্যবস্থা বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি আনবে। আশা করি, আলোচ্য সময়ে সহায়তায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চলমান পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের স্বস্তি দিতে কিছু নীতি সহায়তার সময়সীমা আগের মতো বাড়ানো হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের আইপিও আবেদন ৫ জুুলাই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন আগামী ৫ জুলাই শুরু হবে। আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা ১১ জুলাই পর্যন্ত এই আইপিও আবেদন জমা দিতে পারবেন। ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ব্যাংকটির ব্রান্ডিং এন্ড কমিউনিকেশ বিভাগের প্রধান আসাদুল্লাহ গালিব স্টকমার্কেটবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৫ হতে ১১ জুন পর্যন্ত আইপিও আবেদন জমা নেওয়া হবে। এই আইপিও আবেদনের সিডিউলসহ ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনটি আজকের পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে।

আইপিও আবেদনের সাথে এক লটের জন্য ৫০০ শেয়ারের দাম ৫০০০ টাকা করে জমা দিবেন আবেদনকারীরা।

গত ৯ মে অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৭৩তম কমিশন সভায় ব্যাংকটিকে এই আইপিও অনুমোদন দেয় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সূত্র অনুসারে, অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা দরে ১০০ কোটি টাকার ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে ব্যাংকটি।

শেয়ারবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেট ভ্যালু হয়েছে ১৩.১৮ টাকা। আর ওই বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯৪ টাকা। যা বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে হয়েছে ১.২৪ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

বেক্সিমকোর ৩৫৭ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর 

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) সরকারি ৩ প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৫৭ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। এলক্ষ্যে বেক্সিমকোর সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ১টি চুক্তি খুব শীঘ্রই হতে যাচ্ছে। এই চুক্তির আওতায় বেক্সিমকোর আইটি বিভাগ সরকারকে আইটি খাতে সহযোগিতা করবে।

সংবাদপত্রে এ সংক্রান্ত প্রকাশিত খবর ডিএসই জানতে চাইলে বেক্সিমকো জানায়, গতকাল ৬ জুন কোম্পানিটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠায় সংবাদমাধ্যমে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রবিবার দোহাটেক নিউ মিডিয়া ও ডটগভ সল্যুশন্স এলএলসি, ইউএসএ-এর সঙ্গে যৌথভাবে বেক্সিমকো লিমিটেড ৪৭.৫ কোটি টাকা মূল্যের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ’এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

এছাড়া ভারতের টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড ও বাংলাদেশের টেক ভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে ২৬১ কোটি টাকা মূল্যের অনলাইন খাদ্য ভান্ডার ও বাজার নজরদারি সিস্টেম প্রস্তুতের কাজ পেয়েছে বেক্সিমকো।

গত মাসে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের দুটি প্রকল্পের ৪৮ কোটি টাকার দায়িত্বের চুক্তি করেছে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেড। প্রথম প্রকল্পের অংশ হিসেবে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) একটি সাইবার রেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্লক মার্কেটে লেনদেন ৪০ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার ব্লক মার্কেটে মোট ৩২ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৪০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমো লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ১২ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

আলআরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ফরচুন সুজ ৩১ কোটি ৮১ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বিডি থাই, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, বিএসসিসিএল, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো ফার্মা, ডাচ বাংলা ব্যাংক, জিবিবি পাওয়ার, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, কাট্টালি টেক্সটাইল, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট, নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল পলিমার, এনআরবিসি ব্যাংক, অলিস্পিক, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রীড, প্রইম টেক্সটাইল, স্যালভো ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মা, সাউথইষ্ট ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, এসএস স্টীল, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ২০২০ সালের ঋণমান প্রকাশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের ঋণমান প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি এই রেটিং প্রকাশ করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, উক্ত সময় কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান এসেছে ‘এএ-’। আর স্বল্প মেয়াদি ঋণমান এসেছে ‘এসটি-২’।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদনও হালনাগাদ অন্যান্য আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে ইসিআরএল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

 

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ২৪৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন মোট ২কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার লেনদেন হয়।

দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা লংকা বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি টাকার।

তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফরচুন সুজ লিমিটেড ৫৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৫৪ কোটি ৬১ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ৪৫ কোটি ৫৫ লাখ, লুব-রেফ বিডির ৪২ কোটি ৪৬ লাখ, ইফাদ অটোসের ৪৬ কোটি ৩২ লাখ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৩২ কোটি ৩৫ লাখ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ২৮ কোটি ১৬ লাখ ও রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ২৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা শেয়ার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

উভয় শেয়ারবাজারে কমেছে সূচক ও লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের পতন হয়েছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে কমেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সোমবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬২.৩৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫,৯৭৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৯.৮৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৮৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৭.৪২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২১৯৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০৮২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৬৬৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৬৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৯৮টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২৪২টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, ফরচুন সুজ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, সাইফ পাওয়ারটেক, লুব-রেফ (বাংলাদেশ), ইফাদ অটোস, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, কাট্টালি টেক্সটাইল ও রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১৩১.২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৩১৫ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৮৭টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৫৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড ও পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা