গ্রাহকদের উপর ব্যাংকগুলো বিভিন্ন চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের উপর ব্যাংকগুলো কোন কোন খাতে চার্জ, ফি এবং কমিশন নিতে পারবে তার পরিমাণ ও হার নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন এই ফি এবং চার্জের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। শিগগিরই নতুন এই ফি এর শর্ত সব ব্যাংকের উপর কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এর মাধ্যমে ব্যাংকের গ্রাহকদের ব্যক্তিগত ও অন্য ব্যাংক হিসাব খোলা ও পরিচালনা, ঋণের ফি, বিভিন্ন ধরণের সার্টিফিকেট নেয়া, স্থানীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্য ও রেমিটেন্স-সহ নানা ক্ষেত্রে কি ধরণের ফি হতে পারে তা গ্রাহকরা জানতে পারবেন। প্রতিটি ব্যাংকে গ্রাহকদের চোখে পড়ে এমন অবস্থানে এই ফি নির্ধারণের সার্কুলারটি রাখার নিয়ম রয়েছে। গ্রাহকরা সেখান থেকেই এসব তথ্য জানতে পারবেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির বিবেচনায় নিয়েই এই হার নতুনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত হিসেব পরিচালনার ফি :

প্রজ্ঞাপন অনুসারে ব্যক্তিগত এবং বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাবের ক্ষেত্রে যেসব ক্ষেত্রে ফি আদায় করা যাবে সেগুলো হচ্ছে:

১. গ্রাহকদের সঞ্চয়ী হিসাব খোলার জন্য ৫০০ টাকা এবং চলতি হিসাবের জন্য ১০০০ টাকা জমা করতে হবে। তবে বিশেষ হিসাব খোলার ক্ষেত্রে এই শর্ত কার্যকর হবে না।

২. সঞ্চয়ী হিসাবে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা থাকলে কোন রক্ষণাবেক্ষণ ফি লাগবে না। তবে এর বেশি হলে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ১০০ টাকা, দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ২০০ টাকা, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২৫০ টাকা এবং এর চেয়ে বেশি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করতে পারবে ব্যাংকগুলো।

চলতি হিসাবের ক্ষেত্রে প্রতি ছয় মাসে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা এবং স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিট হিসাবের ক্ষেত্রে প্রতি ছয় মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নেয়া যাবে।

তবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাবের ক্ষেত্রে এই ফি নেয়া যাবে না।

৩. ব্যাংকের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় হিসাব স্থানান্তরের ক্ষেত্রে একই শহরে ৫০ টাকা এবং অন্য জেলায় ১০০ টাকা ফি আদায় করা যাবে।

৪. সঞ্চয়ী হিসাব সক্রিয় করতে কোন ধরণের ফি আদায় করা যাবে না।

৫. বিভিন্ন মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব ডিপিএস ও এফডিআর বা অন্য কোন মেয়াদী আমানত মেয়াদ পূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে কোন নগদায়ন ফি আরোপ করা যাবে না।

৬. হিসাব বন্ধ করার ক্ষেত্রে সঞ্চয়ী হিসাবে ২০০, চলতি হিসাবে ৩০০ এবং এসএনডি হিসাব বন্ধ করতে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা ফি নির্ধারিত হবে।

৭. চেক বই ইস্যু করতে খরচের ভিত্তিতে ফি নির্ধারিত হবে।

৮. বিভিন্ন ধরণের চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাবে ন্যূনতম ব্যালেন্স ফি, ইনসিডেন্টাল চার্জ, লেজার ফি, সার্ভিস চার্জ, কাউন্টার ট্রানজেকশন ফি বা অনুরূপ ফি আদায় করা যাবে না।

৯. বছরে দুবার হিসাবের স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ বা ব্যালেন্স কনফার্মেশন সার্টিফিকেট নেয়ার ক্ষেত্রে কোন ফি দিতে হবে না। দুবারের বেশি নিতে চাইলে প্রতিবার ১০০ টাকা করে দিতে হবে।

১০. সচ্ছলতা সনদ বা সলভেন্সি সার্টিফিকেট নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবার ২০০ টাকা করে ফি দিতে হবে।

১১. চেক ফেরতের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ফি দিতে হবে।

১২. বিও অ্যাকাউন্টের জন্য বিও সনদ পেতে ১০০ টাকা দিতে হবে।

১৩. পেমেন্ট অর্ডার স্থগিত করলে প্রতিবার অনুরোধে ৫০ টাকা দিতে হবে।

ঋণ নেবার খরচ:

এছাড়া ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রেও কোন কোন ক্ষেত্রে ফি আদায় করা যাবে এবং তাদের সর্বোচ্চ পরিমাণ কত হবে সে বিষয়েও পরিষ্কার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এই সার্কুলারে। এর মধ্যে রয়েছে-

১. ঋণ প্রসেসিং ফি হিসেবে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মঞ্জুরি হওয়া ঋণের ০.৫০% আদায় করতে পারবে ব্যাংক। তবে এর পরিমাণ ১৫ হাজার টাকার বেশি হবে। ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণের ক্ষেত্রে ০.৩০% ফি আদায় করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকার বেশি ফি নির্ধারণ করা যাবে না।

২. ঋণ আবেদন ফি নামে কোন ফি আদায় করা যাবে না।

৩. কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ এবং কৃষি খাতে ঋণ প্রসেসিং বা পুনর্গঠন কোন ফি আদায় করা যাবে না। এছাড়া অন্য ঋণের ক্ষেত্রে পুনর্গঠন ফি ০.২৪% আদায় করা যাবে। তবে এই পরিমাণ কখনোই ১০ হাজার টাকার বেশি হবে না।

৪. যে কোন ধরণের ঋণের ক্ষেত্রে সুদ বা মুনাফার হারের অতিরিক্ত কোন সার্ভিস চার্জ, ঋণ ব্যবস্থাপনা ফি, মনিটরিং বা সুপারভিশন চার্জ, ঝুঁকি প্রিমিয়াম বা যে কোন নামে অতিরিক্ত কোন চার্জ, ফি, কমিশন আদায় করা যাবে না।

৫. নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বকেয়া ঋণের সর্বোচ্চ ০.৫০% আর্লি সেটেলমেন্ট ফি হিসেবে আদায় করা যাবে। তবে কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতে ঋণ, চলতি ঋণ বা ডিমান্ড লোনের ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য হবে না।

এসব ক্ষেত্র ছাড়াও স্থানীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্য এবং রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে নির্ধারিত খাত সমূহে কত ফি দিতে হবে সে বিষয়গুলোও নির্দিষ্ট করা হয়েছে এই সার্কুলারে।

যে কারণে এই নির্দেশনা:

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকদের সুরক্ষা এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই প্রজ্ঞাপনটি দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে কারো একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হয়তো কোন লেনদেনই হয় না, তারপরও বিভিন্ন ধরণের চার্জ কেটে নেয় ব্যাংকগুলো। এগুলো বন্ধ করতেই ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ঢাকা ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফখরুল আবেদীন মিলন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগ গ্রাহক বান্ধবই হবে।

তিনি বলেন, ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যাংকের আলাদা আলাদা চার্ট থাকে। একেক ব্যাংক একেকভাবে ফি নির্ধারণ করে থাকে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সব ব্যাংকের জন্য একটি মাত্র সাধারণ চার্ট নির্ধারণ করার কারণে এখন সব ব্যাংকের ফি একই হবে। যার ফলে গ্রাহকরা সুবিধা পাবেন। এই পদক্ষেপের কারণে ব্যাংক কোন গ্রাহকের কাছ থেকে কোন ধরণের গোপন কোন চার্জ কাটতে পারবে না বলে জানান মি. আবেদীন।

তিনি বলেন, “এর ফলে ব্যাংক এবং গ্রাহকের মধ্যে স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হবে।”

তার মতে, গ্রাহকদের যে কোন ব্যাংকে হিসাব খোলার আগে ফি এবং চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তারপরই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। এ বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলামও। তিনি বলেন, ব্যাংকে হিসাব খুলতে গেলে ফি এবং চার্জ সম্পর্কে জেনে নেয়াটা গ্রাহকদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। এছাড়া হিসাব খোলার পর কোন কোন খাতে ব্যাংক গ্রাহকদের চার্জ কাটছে সে বিষয়েও ধারণা নিতে হবে। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে অটোমেশন চলে আসার কারণে এখন ব্যাংকের বিভিন্ন ধরণের অ্যাপস ব্যবহার করলে যেকোন ধরণের লেনদেন বা চার্জ কাটা হলে সে বিষয়ে মুহূর্তেই জানতে পারেন গ্রাহকরা। নির্ধারিত খাতের বাইরে যদি কোন ব্যাংক কোন চার্জ কাটে তাহলে সে বিষয়ে বাংলাদেশে ব্যাংকের নির্ধারিত বিভাগে অভিযোগ জানানো যাবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দল রয়েছে যারা এই নিদের্শনার ব্যত্যয় ঘটলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান মি. ইসলাম।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ব্যাংকের লেনদেনের সময় নির্ধারণ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকবে।

লেনদেন পরবর্তী অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা রাখা যাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই নির্দেশনা বহাল থাকবে ১৭ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত।

বুধবার (১৬ জুন) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলার দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, লেনদনের পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সুদানকে ৬৫ কোটি টাকা দিলো বাংলাদেশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দারিদ্র্য বিমোচনে সুদানের সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করতে ৬৫ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার(১৬ জুন) অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আইএমএফ-এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে অত্যধিক ঋণগ্রস্ত দরিদ্র রাষ্ট্র এবং ওআইসি সদস্যভুক্ত বন্ধুপ্রতীম দেশ সুদানের ঋণ মওকুফের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ৬৫ কোটি টাকা দিয়েছে। সরকার প্রত্যাশা করে ডেবিট রিলিফ হিসেবে বাংলাদেশের এ অর্থায়ন দারিদ্র্য বিমোচনে সুদানের সংগ্রাম আরও শক্তিশালী করবে।

গত বছরও আইএমএফ-এর উদ্যোগের অংশ হিসেবে আফ্রিকান দেশ সোমালিয়ার দারিদ্র্যমুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকার ৮ কোটি টাকার অধিক অর্থ দিয়েছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

গত ১০ বছরে এডিপি বাস্তবায়ন ৮৫ শতাংশ: পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

গত ১০ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপির) প্রায় ৮৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় মোট ১১ লাখ ৯৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকার এডিপির বিপরীতে খরচ হয়েছে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা।
শতাংশ হিসেবে এই বাস্তবায়নের হার ৮৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।

বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের উত্থাপিত লিখিত তথ্য পর্যালোচনা করে এ চিত্র পাওয়া যায়। এই হিসাবটিতে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের ১১ মাসের (মে/২১ পর্যন্ত) তথ্য এসেছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর শাওনের এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী গত ১০ বছরের এডিপি বাস্তবায়নে তথ্য তুলে ধরেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। বুধবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

এতে দেখা যায়, একটি পূর্ণাঙ্গ অর্থ বছর হিসেবে গত বছর ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এডিপি বাস্তবায়ন কম ছিল। গত অর্থ বছরে এডিপি ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়। চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সরকারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বের অন্য দেশের কারণে চলতি ও বিগত অর্থ বছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার কম। গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে। ওই অর্থ বছরে বাস্তবায়নের হার ৯৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অন্য অর্থ বছরগুলোর বাস্তবায়ন হার ছিল ৯০ শতাংশের বেশি।

পরিকল্পনামন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৪১ হাজার ৮০ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয় ৩৮ হাজার ২৩ কোটি (৯২.৫৬ শতাংশ)। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ৫৭ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয় ৫২ হাজার ৫১০ কোটি (৯১.৫০ শতাংশ)। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৬৩ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয় ৫৯ হাজার ৭৫৯ কোটি (৯৩.৩৯ শতাংশ)।

২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৭৮ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয় ৭১ হাজার ১৪৪ কোটি (৯১.৪০ শতাংশ)। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৯৩ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয় ৮৭ হাজার ৬৭ কোটি (৯২.৭২ শতাংশ)। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এক লাখ ১৯ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয় এক লাখ ৭ হাজার ৮৫ কোটি (৮৯.৭৬ শতাংশ)। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এক লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয় এক লাখ ৪৮ হাজার ৩০৬ কোটি (৯৪.১১ শতাংশ)।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এক লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয় এক লাখ ৬৭ হাজার ১৮৬ কোটি (৯৪.৬৬ শতাংশ)। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে দুই লাখ ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয় এক লাখ ৬১ হাজার ৭৪১ কোটি (৮০.৩৯ শতাংশ)। চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে দুই লাখ ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দের বিপরীতে ১১ মাসে (মে/২১ পর্যন্ত) খরচ হয় এক লাখ ২২ হাজার ১৩১ কোটি (৫৮.৩৬ শতাংশ)। সূত্র : বাংলা নিউজ২৪

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

৩৩১ কোটি টাকায় নৌযান কিনছে বিআইডব্লিউটিসি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

৩৩১ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকায় তিনটি যাত্রীবাহী নৌযান কিনছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।

বুধবার (১৬ জুন) ভার্চুয়াল ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের কাছ থেকে ২৩১ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭২৬ টাকায় ৩টি প্যাসেঞ্জার ক্রুজ ভ্যাসেল (যাত্রীবাহী নৌযান) সরবরাহ ও নির্মাণ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের (সিআরইসি) মঙ্গে স্বাক্ষরিত কর্মাশিয়াল কন্ট্রাক্টের পার্টিকুলার কন্ডিশন অব কন্ট্রাক্ট (পিসিসি) এবং পেমেন্ট সিডিউলের সাপ্লিমেন্টারি এগ্রিমেন্ট-২ তে ৯টি পিসিসি ক্লজ পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১৭৫ কোটি ৯৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।লেনদেনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে আসা পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি ৯৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার।

৬১ কোটি ৬ লাখ ৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে বিবিএস ক্যাবলস ।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অরিয়ন ফার্মা, কনফিডেন্স সিমেন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড, গ্রিন ডেল্টা, রিপাবলিক, লুব-রেফ ও সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ব্লক মার্কেটে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার ব্লক মার্কেটে মোট ৩৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৫২ লাখ ৫ হাজার ৫৩৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ১০ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

ন্যাশনাল ফিড মিল ৪ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

বিএটিবিসি ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এবি ব্যাংক, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, বিডি ফিন্যান্স, বার্জার পেইন্টস, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স,ডিবিএইচ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, এমারেল্ড অয়েল, ফরচুন সুজ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং, যমুনা অয়েল, কেডিএস এক্সেসরিজ,কেপিসিএল, কাট্টালি টেক্সটাইল, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, লুব-রেফ বিডি, এনআরবিসি ব্যাংক, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আরডি ফুড, সাফকো স্পিনিং, স্যালভো কেমিক্যাল, সী পার্ল বীচ, এসইএমএল লেকচার ইক্যুয়িটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, এসকে ট্রিমস, এসএস স্টিল, সামিট পাওয়ার, ট্রাস্ট ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ও ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ২৪ জুন আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ৩টায় রাজধানীতে বিমাটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় এজিএমের দিন ও রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে বিমাটি। গত বছর বিমাটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।

একই দিনে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিটকয়েনের দাম আবারও বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার আবারও বিটকয়েনের লেনদেনে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর এই টুইটের পরে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বিটকয়েনের দাম শীর্ষে পৌঁছেছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বিটকয়েনের মূল্য শতকরা নয় ভাগ বেড়ে এশিয়ায় ৩৯ হাজার ৮৩৮ দশমিক ৯২ ডলারে পৌঁছায় বলে ইকোনমিকস টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক গত রবিবার (১৩ জুন) এক টুইটে লেখেন, ভবিষ্যতে বিটকয়েন মাইনিংয়ে অন্তত যুক্তিসংগত পরিমাণ অর্থাৎ শতকরা ৫০ ভাগের বেশি বিদ্যুতের ব্যবহার পরিবেশবান্ধব উৎস থেকে ব্যবহার করা হবে- মাইনারদের কাছ থেকে এমন নিশ্চয়তা পেলে টেসলা আবার বিটকয়েন গ্রহণ করবে।

আর এই ঘোষণার পরে বিটকয়েনের মূল্য শতকরা নয় ভাগ বেড়ে যায়। এশিয়ায় এর মূল্য দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ৮৩৮ দশমিক ৯২ ডলার। তবে বছরের এ সময়ে এসে বিটকয়েনের দাম বছরের শুরুর তুলনায় শতকরা ৩৩ ভাগ বেশি থাকলেও বছরের সর্বোচ্চ মূল্য ৬০ হাজার ডলারের তুলনায় সেটি এখনও অনেকই কম।

এদিকে ক্রিপ্টো বিশ্লেষণী ওয়েবসাইট কয়েন গেকো’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ববি ওং এ দরবৃদ্ধির পেছনে ইলন মাস্কের প্রভাবের পাশাপাশি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান মাইক্রোস্ট্র্যাটেজি’র কথাও উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায়, বাজার আরেক সপ্তাহের জন্য সংশোধনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এর পরপরই ইলন মাস্কের টুইট বিটকয়েন ঘিরে আবেগের জায়গাটি পাল্টে দিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

কুইন সাউথের স্বয়ংক্রিয় ওয়ারহাউজ স্থাপন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি কুইন সাউথ টেক্সটাইল লিমিটেডের কারখানায় স্বয়ংক্রিয় ওয়ারহাউজ স্থাপন করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

নতুন এই স্বয়ংক্রিয় ওয়ারহাউজের আয়তন ৭,৪১০ বর্গ মিটার। এতে কোম্পানিটির মালামাল গুদাম জাতের ক্ষমতা ২৪০০ মেট্রিকটন বেড়ে ৪ হাজার মেট্রিকটন হয়েছে।

ওয়ার হাউজ স্থাপনের জন্য কোম্পানিটির স্থান সংকীর্ণতা দূর হলো বলে মনে করছে কোম্পানিটি। আগে এই সমস্যার জন্য কোম্পানিটি ৬৫ শতাংশ উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করতো।

নতুন এই স্বয়ংক্রিয় ওয়ারহাউজের জন্য কারখানার এই উৎপাদন ক্ষমতা ২৫% বেড়ে শত ভাগ হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ