সাজানো পরিকল্পনায় যে ছোট্ট ভুল ছিল হ্যাকারদের

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

২০১৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মচারীর কাছে একটি নির্দোষ ই-মেইল যায়। ই–মেইলটি করেছিলেন রাসেল আহলাম নামের একজন চাকরিপ্রার্থী। একটি ওয়েবসাইট থেকে তাঁর জীবনবৃত্তান্ত এবং কভার লেটার ডাউনলোডের জন্য একটি আমন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত ছিল ওই ই-মেইলে। বাস্তবে রাসেলের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। তিনি কেবল একটি প্রচ্ছদ নাম, যা লাজারাস গ্রুপ ব্যবহার করেছিল।

২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়ে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক আগে থেকে রিজার্ভ চুরির প্লট তৈরি করছিল উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার গ্রুপ লাজারাস। আর ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্কে ঢুকতে ভুয়া ই-মেইল পাঠিয়েছিল তারা। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্তে এমনটাই উঠে আসে। তদন্তে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে ই-মেইলটি যায়। অন্তত একজন ফাঁদে পা দেন, ডাউনলোড করে ফেলেন। ই–মেইলের ভাইরাস ঢুকে পড়ে তার কম্পিউটারে। ব্যাংকের সিস্টেমে একবার ঢুকে লাজারাস গ্রুপ গোপনে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে চলে যায়। ডিজিটাল ভল্ট থেকে শুরু করে যাবতীয় রিজার্ভের তথ্য নিয়ে কাজ শুরু করে। এরপর চুপ হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, এক বছর আগে কম্পিউটারে ঢুকে তারা কেন এত দিন বসে থাকল। আসলে অর্থ নিয়ে সরে যাওয়ার জন্য তাদের একটি নিরাপদ রুটের প্রয়োজন ছিল।

এবার আসে জুপিটার স্ট্রিটের নাম। ফিলিপাইনের ম্যানিলার একটি ব্যস্ততম এলাকা। দেশের অন্যতম বৃহত্তম ব্যাংক আরসিবিসির একটি শাখা রয়েছে এখানে। ২০১৫ সালের মে মাসে হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকতে পারার কয়েক মাস পর এখানে চারটি ব্যাংক হিসাব খোলে। অ্যাকাউন্টগুলো খুলতে অনেক ভুয়া কাগজের আশ্রয় নিয়েছিল তারা। তবে কেন যেন বিষয়টি কারও নজরে পড়েনি। হ্যাকাররা হিসাবগুলোতে ৫০০ ডলার করে রেখেছিল। হিসাবগুলো দিয়ে কোনো লেনদেনই হয়নি। ২০১৬ সালে মূল সাইবার হামলা চালানোর আগে লাজারাস হ্যাকার গ্রুপ পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে। তবে তাদের জন্য আরেকটি কঠিন কাজ ছিল তা হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ তলার প্রিন্টার। বাংলাদেশ ব্যাংক তার অ্যাকাউন্ট থেকে সব ট্রান্সফার রেকর্ড করার জন্য একটি পেপার ব্যাক-আপ সিস্টেম তৈরি করেছিল, যা হ্যাকারদের কাজ তাৎক্ষণিকভাবে জেনে ফেলার একটি ঝুঁকি তৈরি করেছিল। তাই তারা প্রিন্টারের সফটওয়্যার হ্যাক করে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এবার শুরু হয় আসল কাজ।

বৃহস্পতিবার রাতে নিউইয়র্ক ফেডকে ৩৫টি বার্তা পাঠিয়ে ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার স্থানান্তরের আদেশ দেয়। হ্যাকারদের সব কাজই পরিকল্পনামাফিক ছিল। তবে হলিউডের সিনেমার মতো ছোট্ট একটি ভুল করে ফেলেছিল হ্যাকাররা। হ্যাকাররা এই টাকা পাঠায় আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিটের শাখায়। ম্যানিলায় শত শত ব্যাংক রয়েছে, যা হ্যাকাররা ব্যবহার করতে পারত, তবে তারা বেছে নিল জুপিটার স্ট্রিটের ব্যাংক শাখাকে। এমনকি এর পেছনে তাদের বহু ব্যয়ও করতে হয়েছে। ভুলটা হয় এখানেই। ফেডকে পাঠানো একটি আদেশে ব্যবহৃত ঠিকানায় ‘জুপিটার’ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত ছিল, এটি যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপ করা ইরানের একটি জাহাজের নাম ছিল। তাই এই নাম এলেই অটোমেটিক সংকেত যায় ফেডে। আদেশ স্থগিত করা হয়। বেশির ভাগ লেনদেনই আর সম্পন্ন হয় না। কেবল ১০ কোটি ১০ লাখ ডলারের ৫টি লেনদেন সম্পন্ন হয়।

এর মধ্যে ২০ মিলিয়ন ডলার শালিকা ফাউন্ডেশন নামের একটি শ্রীলঙ্কার দাতব্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত হয়েছিল। এখানেও যে ভুলটা হয়, তা হলো শালিকা ফাউন্ডেশনের বানান ভুল হয় হ্যাকারদের। ফাউন্ডেশন বানানটি ভুল করেছিল তারা। ফলে ওই লেনদেনও বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ হ্যাকাররা সরাতে পারে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম

‘রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর শেয়ারের অর্থ কোথায় যাচ্ছে’

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে কিন্তু এই শেয়ারের অর্থ কোথায় যাচ্ছে সেটা কেউ জানে না বলে জানিয়েছেন বক্তারা।

সোমবার (২১ জুন) কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও ভোক্তাকণ্ঠ আয়োজিত জ্বালানি রূপান্তরে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা শীর্ষক এক ওয়েবমিনারে এ তথ্য জানান বক্তারা।

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে এবং ভোক্তাকণ্ঠ সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান ও ক্যাব সংগঠক সৈয়দ মিজানুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক মনজুরুল আহসান।

লিখিত বক্তব্যে মনজুরুল আহসান বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো শেয়ার বিক্রি করে বেসরকারি মালিকানায় দেওয়া হচ্ছে। এ কোম্পানিগুলোর অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে কিন্তু এই শেয়ারের অর্থ কোথায় যাচ্ছে সেটা কেউ জানে না। বিগত বছরগুলোতে ভোক্তা সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে যে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো প্রয়োজন নেই, বরং তা কমানো যেতে পারে। অথচ বিগত ১১ বছরে ১০ দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে।

তিনি বলেন, পিডিবি ভেঙ্গে দুটি কোম্পানি হওয়ায় জনবল বাবদ ব্যয় বেড়েছে। তারা যে তথ্য-উপাত্ত দেয় তাতে এই বিষয়গুলো দেখা। কিন্তু অনিয়মের অনেক খবর আড়ালে থেকে যাচ্ছে।

ক্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঠিক দাম ও মানে পাওয়া আমাদের অধিকার। একই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি ও সংবিধান নিশ্চিত করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি ও অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, বিগত ১১ বছরে ১০ দফায় বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১১৮ শতাংশ। এই পাইকারি দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে ভোক্তা পর্যায়ে।

সভাপতির বক্তব্যে গোলাম রহমান বলেন, আমাদের জ্বালানি খাতে সুশাসনের অভাব রয়েছে। যতক্ষণ না সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় ততক্ষণ আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

বাম্পার ফলন সত্ত্বেও চালের দাম কেন বাড়ছে : খাদ্যমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জুনের মধ্যে মিল মালিকদের কাছ থেকে চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাদের তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, অন্যথায় মিল মালিকদের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২১ জুন) সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ ২০২১ এর খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে ৭৫ শতাংশ বোরো সংগ্রহ নিশ্চিত করে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে ধান ও চাল সংগ্রহের যে নির্দেশনা জারি হয়েছে সে মোতাবেক সংগ্রহ অভিযান সফল করতে হবে।

এসময় চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চৈত্র-বৈশাখ মাসে দেশে চালের দাম বাড়েনি, দেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও এখন চালের দাম কেন বাড়ছে তা খতিয়ে দেখতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

‘এবছর ধান ও চালের দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। মিল মালিকরা ইচ্ছামতো চালের দাম বাড়াবেন সেটা মোটেই কাম্য না। বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চালের দাম সহনীয় রাখতে সরকারের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ’

খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আবদুল আজিজ মোল্লার সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম সভায় বক্তৃতা করেন।

খাদ্য অধিদপ্তরের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ফুড ডেলিভ্যারি অ্যাপে খাবারের দাম ৪৪ শতাংশ খরচ বেশি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

মহামারি করোনাভাইরাস প্যানডেমিকে ফুড ডেলিভ্যারি অ্যাপের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এটা ভোক্তাদের জন্য বেশ ব্যয়বহুল। সরাসরি এবং অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে খাবার কেনার ব্যয় তুলনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ডেলিভারু, উবারইটস এবং জাস্টইটস অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে সরাসরি পণ্য ক্রয়ের তুলনায় গড়ে ২৩ শতাংশ অর্থ বেশি লাগে। এ বিষয়ে অ্যাপ কোম্পানিগুলো বলছে, অ্যাপের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ভোক্তাদের থেকে তারা যে কমিশন নিচ্ছেন সেটি বৈধ।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ফুড ডেলিভ্যারি অ্যাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল ডেলিভারু অ্যাপ। এখানে একজন ভোক্তাকে সরাসরি পণ্য কেনার ব্যয়ের থেকে গড়ে ৩১ শতাংশ টাকা বেশি ব্যয় করতে হয়। পক্ষান্তরে উবারইটসে লাগে ২৫ শতাংশ বেশি। আর জাস্টইটসে ৭ শতাংশ বেশি খরচ হয় ভোক্তার।

সবচেয়ে বেশি খরচ হয়ে ছিল মেক্সিকার রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডারের ক্ষেত্রে। সেখানে গ্রাহককে ৪৪ শতাংশ বেশি টাকা ব্যয় করতে হয়েছিল ডেলিভ্যারু অ্যাপের মাধ্যমে খাবার আনাতে।

অ্যাপে সাধারণত খাবারের মূল্য নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্টগুলো এবং প্রায় তারা সার্ভিস চার্জের জন্য খাবারের দাম বাড়িয়ে দেন।

ডেলিভ্যারি বয়ের ফি:

ডেলিভ্যারু জানিয়েছে, তারা সাধারণত রেস্টুরেন্টগুলোকে অনলাইনে ও সরাসরি তাদের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে দাম একই রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করে। তারপর আমরা এর সাথে ডেলিভ্যারি চার্জ যুক্ত করি। এর মধ্যে কমিশন, ডেলিভ্যারি বয়ের ফি ও অ্যাপ আপগ্রেডের খরচ থাকে।

আর জাস্টইট বলছে, তারা যে কমিশন নির্ধারণ করেন সেটির সাথে আমাদের পার্টনারা একমত পোষণ করেন। আর উবারইটস বলছে, তারা ভোক্তাদের কাছে সবচেয়ে ভালো রেস্টুরেন্টের সেরা খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, ভোক্তারা করোনা প্যানডেমিকের সময়ে গ্রোসারি পণ্য কেনার ক্ষেত্রে জাস্টইট, উবারইটস ও ডেলিভ্যারু অ্যাপ ব্যবহার করেছে। সেক্ষেত্রে জাস্টউট ৩৯ শতাংশ, উবাইটস ২৫ শতাংশ ও ডেলিভ্যারু ২০ শতাংশ ব্যবহার করা হয়।

এক্ষেত্রে ভোক্তাদের অভিযোগ তারা নির্ধারিত সময়ের পরে পণ্য পেয়েছে। পাশাপাশি ঠাণ্ডা খাবার দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পণ্য হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর ডেলিভ্যারু অ্যাপে ৫৩ শতাংশ, জাস্টইট-এ ৪৬ শতাংশ এবং উবারইটস-এ ৪২ শতাংশ গ্রাহক অভিযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলার কথা উল্লেখ করেছেন।

এসব বিষয়ে অ্যাপগুলো বলছে, তারা সব অভিযোগ বেশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ব্লক মার্কেটে ৫১ কোম্পানির লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৫১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১ কোটি ৫৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ১৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

বেক্সিমকো ফার্মা ১৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

বিডি ফিন্যান্স ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এসিআই, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যারামিট সিমেন্ট, বিএটিবিসি, বিবিএস কেবলস, বেক্সিমকো, ব্রাক ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল,বেক্সিমকো ফার্মা, সিটি ব্যাংক, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, ডেসকো, ড্রাগন সোয়েটার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ই-জেনারেশন, জিবিবি পাওয়ার, জেনেক্স ইনফোসিস, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, হামিদ ফেব্রিক্স, কর্নফুলী ইন্স্যুরেন্স, কেয়া কসমেটিকস, কাট্টালি টেক্সটাইল, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, লুব-রেফ বিডি, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, ম্যারিকো, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, নিউ লাইন ক্লোথিং ক্লোথিংস, ন্যাশনাল ফিড মিল, নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবিসি ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, পপুলার লাইফ, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আরডি ফুড, রেনেটা, রূপালী ব্যাংক, স্যালভো কেমিক্যাল, এসকে ট্রিমস, স্কয়ার ফার্মা, সামিট পাওয়ার ও তাওফিকা ফুডস লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

প্রিমিয়ার ব্যাংকের দুই পরিচালকের শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের দুইজন উদ্দ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, ইয়াং চেন মিন ও নায়িয়ান হারুন নামে এই দুই পরিচালক ব্যাংকটির যথাক্রমে ৩২ লাখ ৩ হাজার ৪৪২টি ও ৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০০টি শেয়ার বিক্রয় করবেন।

তাদের হাতে ব্যাংকটি যথাক্রমে ৩,১৩,২৩,৩৮৫টি ও ২,১৯,৮৫,৪৬৩টি শেয়ার রয়েছে।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে চলমান বাজার ধরে ডিএসইর পাবলিক মার্কেটে এই পরিচালক উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রয় করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার।

৬০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ, ফরচুন সুজের ৫০ কোটি ৫০ লাখ, বিবিএস ক্যাবলসের ৪০ কোটি ৪৪ লাখ, এনআরবিসি ব্যাংকের ৩৮ কোটি ২২ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ৩৬ কোটি ৭৬ লাখ, এসকে ট্রিমসের ৩৩ কোটি ৭৮ লাখ ও ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেডের ৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. মালেক স্পিনিং মিলস
  3. ন্যাশনাল ফিড মিল
  4. ম্যাকসন স্পিনিং
  5. ফরচুন সুজ
  6. বিবিএস ক্যাবলস
  7. এনআরবিসি ব্যাংক
  8. ওরিয়ন ফার্মা
  9. এসকে ট্রিমস
  10. ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেড।

দিনশেষে সূচকের বড় উত্থানে বেড়েছে লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচক অনেকটাই বেড়েছে। তবে এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বড় উত্থান হয়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সোমবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬,১২৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৮.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩০৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৫৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২২২০ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০৪৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৮৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২২৪ টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১১৯টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ২৯টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, মালেক স্পিনিং মিলস, ন্যাশনাল ফিড মিল, ম্যাকসন স্পিনিং, ফরচুন সুজ, বিবিএস ক্যাবলস, এনআরবিসি ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, এসকে ট্রিমস ও ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১৭৮.৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৫টির, কমেছে ৯৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্স ফার্মা ও ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের আইপিও শেয়ার বন্টন অনুষ্ঠিত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে আইপিও প্রক্রিয়াধীন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রো-রাটা (pro-rata) ভিত্তিতে আইপিও শেয়ার বন্টন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১ টায় খিলক্ষেতে অবস্থিত ডিএসই টাওয়ারে স্টক এক্সচেঞ্জের ইলেক্ট্রনিক সাবক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড শেয়ার প্রো-রাটা (pro-rata) ভিত্তিতে বরাদ্দ করা হয়। এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির সিইও রাশেদ বিন আমান। এসময় ইস্যু ম্যানেজারসহ সিডিবিএল, ডিএসই, সিএসইর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্তিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির সাবলীল একটি সঞ্চালন করেন ডিএসইর লিষ্টিং এফেয়ার্স বিভাগের রবিউল ইসলাম।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির সিইও রাশেদ বিন আমান বলেন, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স একটি প্রযুক্তি নির্ভর কোম্পানি। দেশে আমরাই প্রথম প্রযুক্তি নির্ভর বিমা পরিচালনা করছি। আমরা ডিএসইর নতুন পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্তি হতে পেরে আনন্দিত।

তিনি জানান, আইপিওতে আসার আগেই বিমাটি মুনাফা বেড়েছে। গত বছর আমাদের মুনাফা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসেই বিমার মুনাফা আরো ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

উল্লেখ্য যে, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিঃ ইএসএস এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রো-রাটার ভিত্তিতে শেয়ার বরাদ্দর জন্য প্রথম কোম্পানি।

সম্প্রতি এই কোম্পানিটির আইপিও শেয়ার বরাদ্দের সাবস্ক্রিপশন অনুষ্ঠিত হয়।

কোম্পানি সূত্র জানা যায়, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের আইপিও সাবস্ক্রিপশন শুরু হয় ৩০ মে। আর বিনিয়োগকারীরা এই আবেদন জমা নেওয়া হয় ৩ জুন পর্যন্ত।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর আগাঁরগায়ে অবস্থিত প্রধান অফিসে কমিশনের ৭৫২তম নিয়মিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে শেয়ারবাজারে ১.৯ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। বিমানিটি ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে শেয়ার ইস্যু করবে।

উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি সরকারী ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী বিমাটির শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৫.৩৩ টাকা। এ সময় বীমাটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫.৩৩ কোটি টাকা।

বিমাটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও অগ্রণী এক্যুইটি এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড