কারখানা বন্ধ, নূরানী ডায়িং কারখানা পরিদর্শনে ডিএসই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি নূরানী ডায়িং এন্ড সোয়েটার লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

কোম্পানি জানায়, কোম্পানিটির কারখানা ও প্রধান অফিস বন্ধ থাকায় ডিএসই প্রতিনিধি দল কারখানা পরিদর্শন করতে পারে নাই।

সম্প্রতি কারখানাটি পরিদর্শন করে ডিএসই একটি প্রতিনিধি দল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের একজন উদ্দ্যোক্তা পরিচালক ২০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, একেএম শহীদ রেজা নামে এক উদ্দ্যোক্তা পরিচালক ব্যাংকটির ২০ লাখ শেয়ার বিক্রি করবেন। ঘোষণার সময় তার হাতে কোম্পানিটির ৫,০৮,০৩,৯৩১টি শেয়ার রয়েছে।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে পাবলিক মার্কেটে এই উদ্দ্যোক্তা পরিচালক উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বাৎসরিক বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ১৬ আগষ্ট আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ৩টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া রেকর্ড ডেট ও এজিএমের দিন ঘোষণা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে বিমাটি। গতবছর বিমাটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো, ২য় ওরিয়ন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১৫২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৬০ লাখ টাকার।

৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ন্যাশনাল পলিমারের ৫৪ কোটি ৩২ লাখ, জিপিএইচ ইস্পাত কমপ্লেক্সের ৫২ কোটি ৬১ লাখ, এসএস স্টিলসের ৪৭ কোটি ৭১ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিসের ৩৯ কোটি ৩২ লাখ, মালেক স্পিনিং মিলসের ৩৮ কোটি ৮ লাখ, বিএটিবিসির ৩৫ কোটি ৮৬ লাখ ও ফুয়াং সিরাকিমস লিমিটেডের ৩৫ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. ওরিয়ন ফার্মা
  3. আইএফআইসি ব্যাংক
  4. ন্যাশনাল পলিমার
  5. জিপিএইচ ইস্পাত কমপ্লেক্স
  6. এসএস স্টিল
  7. জেনেক্স ইনফোসিস
  8. মালেক স্পিনিং মিলস
  9. বিএটিবিসি
  10. ফুয়াং সিরাকিমস লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন ৩ হাজার কোটির কাছাকাছি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিন সোমবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২.০৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬৬২৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১২.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪৫২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২৩৯২ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৫১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৮১টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৭৩টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ২০টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল পলিমার, জিপিএইচ ইস্পাত কমপ্লেক্স, এসএস স্টিলস, জেনেক্স ইনফোসিস, মালেক স্পিনিং মিলস, বিএটিবিসি ও ফুয়াং সিরাকিমস লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১৩৫.৪৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৩২৩ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, কমেছে ১৪০টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। । গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেন হয়েছিল ৮১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ও ফার্ষ্ট জনতা মি. ফান্ড লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াবে বাংলাদেশ ও কাতার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশ ও কাতার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াবে। কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সোমবার (৯ আগস্ট) দোহার বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

কাতারের রাজধানী দোহায় রোববার (৮ আগস্ট) কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখির সঙ্গে কাতার বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের এ বৈঠক হয়।

বৈঠকের শুরুতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাদের দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশি কর্মীদের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন এবং কাতার থেকে এলএনজি আমদানির জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চার লাখ বাংলাদেশির কাতারে অভিবাসনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি করোনা মোকাবিলায় কাতার সরকারের সফলতাসহ সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকারের সুরক্ষায় কাতার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মীসহ নানা পর্যায়ের কর্মী নিয়োগের বিষয়েও আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাকালেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধির ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সুবিধাদির কথা উল্লেখ করে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দু’দেশের চেম্বার্স অব কমার্স এবং অন্যান্য পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ বিষয়ে ওয়েবিনার আয়োজনের প্রস্তাব করলে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাতারের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে উভয়েই বাংলাদেশ ও কাতারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে দোহায় দু’দেশের মধ্যে ফরেন অফিস কন্সালটেশনে দ্বি-পাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এফএম বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। কাতারের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে এশিয়া বিভাগের পরিচালক রাষ্ট্রদূত খালিদ ইবরাহিম আল হামার উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বিডি প্রতিদিন

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৫জি নেটওয়ার্ক দিতে ব্যয় ২২০৪ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে দেশের প্রতিটি গ্রামে আধুনিক প্রযুক্তিসেবা পৌঁছে দিতে ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।

এ লক্ষ্যে দুই হাজার ২০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড (টিবিএল)।

আগামী মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

শেরেবাংলা নগরের মন্ত্রিসভা কমিটি পরিষদ (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হবেন। পরে সভা শেষে যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে শহরাঞ্চলে বিদ্যমান টেলিটকের ৪জি নেটওয়ার্ক ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রসারিত করে গ্রামের মানুষকে সুলভমূল্যে দ্রুতগতির ৪জি ইন্টারনেটসেবা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সরকার ঘোষিত লক্ষ্য অনুসারে, ২০২১-২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে ৫জি প্রযুক্তি নির্ভর মোবাইলসেবা নিশ্চিত করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। টেলিটক সরকারের প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য বেসরকারি ও বিদেশি অপারেটর ব্যবসার উদ্দেশে সেবা দিয়ে থাকে। টেলিটক থাকায় বাকিদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। গ্রামে টেলিটকের ৫জি নেই। ২জি ও ৩জি আছে। বিদ্যমান অবকাঠামো কাজে লাগানো হবে। পাশাপাশি গ্রামে ৫জি দেওয়ার সরঞ্জামও কেনা হবে প্রকল্পের আওতায়।

টেলিটক সূত্র জানায়, ‘গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে টিবিএল।

মূলত চারটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে হাতে নেওয়া হয়েছে প্রকল্পটি। এগুলো হলো- দেশের প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক প্রযুক্তি সেবার আওতায় আনা, প্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি তরুণকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর, প্রতিটি সেবাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা ও সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়ে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল নিশ্চিত করা হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। শহর-গ্রাম নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ যেন আধুনিক প্রযুক্তি সেবার উপকারভোগী হয় তা নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্র জানায়, দেশের প্রায় ১০ কোটি জনগণ ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ হার গ্রামে সবচেয়ে বেশি। শহরের তুলনায় গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্রয়ক্ষমতা অনেকাংশে কম। ফলে ব্যক্তি মালিকানাধীন অন্যান্য মোবাইল অপারেটর প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ব্যবসায়িক ও মুনাফা বিবেচনায় নেটওয়ার্ক বিস্তারের মাধ্যমে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা দিতে চায় না। এ কারণে গ্রামের মানুষরা ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মূল কার্যক্রম হচ্ছে- নয় হাজার ৪১০ সেট টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম কেনা, তিন হাজার বিটিএস সাইট নির্মাণ, ট্রান্সমিশন হাবের জন্য ১০০ সাইট প্রস্তুতকরণ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি কেনা, কাস্টমার কেয়ার ও আসবাবপত্র কেনা।

সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে টেলিটকের ভয়েজ ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের কভারেজ অন্যান্য অপারেটরের তুলনায় সীমিত। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে কভারেজ খুবই কম। টেলিটকের মোট টাওয়ার বা সাইট সংখ্যা সাড়ে চার হাজার। এর মধ্যে ২জি বিটিএস যন্ত্রপাতি হলো সাড়ে চার হাজার, ৩জি বিটিএস তিন হাজার ৬২টি ও ৪জি বিটিএস এক হাজার ১০০টি, যা অন্যান্য প্রতিযোগীর তুলনায় অত্যন্ত কম।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

১৩৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ছে ব্র্যাক এনজিও

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্রঋণ দাতা প্রতিষ্ঠান ব্র্যাককে জিরো-কুপন বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি -এমআরএ। এর ফলে ব্র্যাক প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করতে পারবে। এটি হবে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণের ইতিহাসে বেসরকারি সংস্থার প্রথম জিরো কুপন বন্ড। এর আগে গত ৩ ফেব্রয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্র্যাককে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন দেয়। শনিবার ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার এমআরএর নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার তুষার ভৌমিকের কাছে বন্ড ইস্যুর অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমআরএ’র নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মণ চন্দ্র দেবনাথ, পরিচালক মুহাম্মদ মাজেদুল হক ও মো. নূরে আলম মেহেদি এবং ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক অসিত বরণ দাস।

জিরো-কুপন বন্ড হচ্ছে এক ধরনের ঋণ সিকিউরিটিজ, যার কোনো সুদহার থাকে না। ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে যা ইস্যু করা হয় এবং বিনিয়োগকারী মেয়াদ শেষে অভিহিত মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ পায়। ব্র্যাকের জিরো-কুপর বন্ডের মেয়াদ হবে দেড় থেকে পাঁচ বছর। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, করপোরেট এবং সম্পদশালী ব্যক্তিরা ১ কোটি টাকার একাধিক গুণিতক দিয়ে এই বন্ড কিনতে পারবেন। এই ইস্যুর লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে আরএসএ অ্যাডভাইজরি লিমিটেড এবং ট্রাস্টি হিসেবে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড কাজ করছে।

ব্র্যাকের সিএফও তুষার ভৌমিক বলেন, এতদিন গ্রাহকের সঞ্চয় এবং ব্যাংকের ঋণ ছিল ব্র্যাকের তহবিলের প্রধান উৎস। এখন বন্ড ইস্যু ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের তহবিলের বিকল্প উৎস হিসেবে যোগ হলো। এটি ক্ষুদ্রঋণ খাতের জন্য একটি বিরাট স্বীকৃতি।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বন্ডগুলোর মাধ্যমে ব্র্যাকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিতে বিনিয়োগের জন্য নন-লেন্ডার প্রতিষ্ঠানের পথ খুলবে। ব্র্যাক আশা করে, এই বন্ড সাশ্রয়ী আর্থিক সমাধান খোঁজা মানুষদের, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নতিতে কার্যকরভাবে সাহায্য করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আমানতের সুদ হার নির্ধারণ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঋণের সুদের পরে এবার আমানতের সুদ হার বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমানতের ওপর সুদ বা মুনাফা হার অতিমাত্রায় হ্রাস পেলে ভবিষ্যতে ব্যাংকে আমানতের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ফলে ব্যাংকে তিন মাস বা তার বেশি মেয়াদী আমানতের সুদ হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কোনোভাবেই কম হবে না। গত জুন মাসে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এর আগে ২০২০ সালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারে ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

রবিবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সার্কুলার অবিলম্বে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা ও ব্যাংকিং খাতে দায়-সম্পদের ভারসাম্যহীনতা রোধকল্পে তিন মাস ও তদূর্ধ্ব মেয়াদী আমানতের ওপর সুদ বা মুনাফা হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে: ব্যক্তি পর্যায়ের মেয়াদী আমানত এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকতা-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, অবসরোত্তর পাওনাসহ বিবিধ পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে গঠিত তহবিল বাবদ রক্ষিত যেকোনো পরিমাণ মেয়াদী আমানতের ওপর সুদ বা মুনাফা হার মূল্যস্ফীতি হার অপেক্ষা কোনোক্রমেই কম নির্ধারণ করা যাবে না; বর্ণিত আমানতের ওপর কোনো নির্দিষ্ট মাসে সুদ বা মুনাফা হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ওই মাসের অব্যবহিত তিন মাস আগের মূল্যস্ফীতি হারকে (বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ১২ মাস ভিত্তিক গড়) বিবেচনায় নিতে হবে। ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর সুদ বা মুনাফা হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদ/মুনাফা হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। ব্যাংক থেকে পাওয়া বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অধিকাংশ ব্যাংক কর্তৃক মেয়াদী আমানতের ওপর মূল্যস্ফীতি হারের চেয়ে কম হারে সুদ/মুনাফা প্রদান করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র আমানতকারীসহ অন্যান্য আমানতকারীদের একটি অংশ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যাংকে রক্ষিত আমানতের সুদ/মুনাফার ওপর নির্ভরশীল। ব্যাংকে রক্ষিত মেয়াদী আমানতের ওপর মূল্যস্ফীতি হারের চেয়ে কম হারে সুদ/মুনাফা প্রদান করায় আমানতকারীদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাছাড়া মেয়াদী আমানতের ওপর সুদ/মুনাফা হার অত্যধিক হ্রাস জনসাধারণের সঞ্চয় প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে। ফলে আমানতকারী কর্তৃক তাদের সঞ্চিত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখার পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ খাতসহ বিভিন্ন অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়ছে।

ব্যাংক-তহবিলের প্রধান উৎস হলো বিভিন্ন ধরনের আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত আমানত। আমানতের ওপর সুদ বা মুনাফা হার অতিমাত্রায় হ্রাস পেলে ভবিষ্যতে ব্যাংকের আমানতের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ফলে ব্যাংকের দায়-সম্পদ ব্যবস্থাপনায়ও ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য এ নির্দেশনা জারি করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/