চলতি বছর ওয়ালটনের রপ্তানি লক্ষমাত্রা ১’শ মিলিয়ন ডলার

শ্রীমঙ্গলে ‘গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ’ এ অনুষ্ঠিত ‘ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সামিট- ২০২১’ এ বক্তব্য দিচ্ছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) গোলাম মুর্শেদ।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের বাজারে বৈশ্বিক ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য। প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নতুন রপ্তানি বাজার। সেইসঙ্গে বাড়ছে রপ্তানি ভলিউম। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্ববাজারে ১’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির টার্গেট নিয়েছে বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড ও ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১) সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ‘গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ’ এ অনুষ্ঠিত হয় ‘ওয়ালটন ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সামিট – ২০২১’। এতে চলতি অর্থবছর (২০২১-২২) বাংলাদেশ থেকে ১’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) গোলাম মুর্শেদ।

এ সময় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সামিটে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, মো. হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিট (আইবিইউ) এর প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান ও আমিন খান, ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ফিরোজ আলম, ওয়ালটন টিভি’র চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন, রেফ্রিজারেটরের সিবিও প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক, এয়ার কন্ডিশনারের সিবিও তানভীর রহমান, ওয়ালটন আইবিইউ শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ, সাঈদ আল ইমরান প্রমূখ।

সামিটে জানানো হয়, ওয়ালটনের অন্যতম লক্ষ্য এখন বিশ্বের সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠা। সেজন্য ওয়ালটন নির্ধারণ করেছে ‘ভিশন- গো গ্লোবাল ২০৩০’। এই লক্ষ্য অর্জনে রপ্তানি সম্প্রসারণের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন, চলতি অর্থবছরে ১’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির টার্গেট, বাজার সম্প্রসারণে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ইত্যাদি নির্ধারণে এই সামিটের উদ্যোগ নেয় ওয়ালটন আইবিইউ শাখা।

ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি ও বাজার সম্প্রসারণে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করায় সম্মেলনে আইবিইউ ্িটমকে অভিনন্দন জানান ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার মিলে ওয়ালটন পণ্যের প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। যা কিনা আগামী ৯ বছরের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে। তার দৃঢ় প্রত্যাশা- আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানি বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।

সম্মেলনে আইবিইউ শাখার প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম ‘ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস ইনিশিয়েটিভ ফর ২০২১’ পেশ করেন। এর আওতায় ওয়ালটনের ‘ভিশন- গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন ও চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানান।

কিম বলেন, ২০১৮ ও ১৯ সালে ছিলো ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানি পরিমাণ ছিলো এক মিলিয়ন ডলারেরও কম। কিন্তু ২০২০ সালে ওয়ালটনের রপ্তানি পরিমাণ বেড়ে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপের ৯টি দেশসহ ১৪টি দেশে ওয়ালটন পণ্যের নতুন রপ্তানি বাজার সৃষ্টি হয়েছে। সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে উঠার ভিশন অর্জনের লক্ষ্যে আইবিইউ টিম বিশ্ববাজারে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস ভলিউম বাড়ানোর উপর দিয়েছে অধিক গুরুত্ব।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের আহ্বান অর্থমন্ত্রীর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সারা বিশ্বের অর্থনীতি আজ হুমকির সম্মুখীন। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১-এ ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, পুরো বিশ্ব সম্প্রদায় এখন একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। অপ্রতাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯-এর প্রভাবে সারা বিশ্বের অর্থনীতি আজ হুমকির সম্মুখীন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো এর ব্যতিক্রম নয়। এমন একটি মুহূর্তে এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সবাই অবগত যে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩% সংকুচিত হয়েছে, যেখানে কমনওয়েলথভুক্ত অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে প্রায় ১০%, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হ্রাসের অন্যতম প্রধান নিয়ামক। দি ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এর একটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ২০২০ সালে গ্লোবাল ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট হ্রাস পেয়েছে ৪২%। আর এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমনওয়েলথ অর্থনীতি ৫০% এরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পটভূমিতে, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই একটি শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে বের করাই আমাদের আজকের এই সভার মহৎ উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের আইএমএফ-এর অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে গড় ৪.৪% শতাংশের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। সেসময়ে অল্প কয়েকটি ইতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী, মহামারি প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব অর্থনীতিতে কমনওয়েলথ দেশগুলোর ভূমিকা মাত্র ১৩%, বৈশ্বিক এফডিআইয়ের মাত্র ২০% এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের ১৪%। কমনওয়েলথ বাণিজ্যে ৫৪টি দেশের মোট বাণিজ্যে মাত্র ১৮%। তারপরও যুক্তরাজ্যের মোট বাণিজ্যের মাত্র ৯.১ শতাংশ রয়েছে সমস্ত কমনওয়েলথ দেশগুলোর। এই পরিসংখ্যানগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, বাণিজ্য সম্পর্কিত কমনওয়েলথের বিদ্যমান নীতি এবং কৌশলগুলো কমনওয়েলথ দেশগুলোর জন্য সন্তোষজনক নয়।

তিনি আরও বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করার পাশাপাশি আমরা কমনওয়েলথের গৌরবময় অতীত ফিরে পেতে পারি।

সভায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী এবং বাণিজ্য বোর্ডের সভাপতি এলিজাবেথ ট্রাসসহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।

সবাই কমনওয়েলথভুক্ত দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনোয়োগ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করতে একসঙ্গে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার দর বাড়ার তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র শিল্প খাতের কোম্পানি দেশ গার্মেন্টস লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো কারণ বা তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি শেয়ারটির দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। তবে দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় দেশ গার্মেন্টস লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্য সংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য কোম্পানিটির কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

৬ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে সিএনজি ফিলিং স্টেশন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকবে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।’

বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা।

বিদ্যুতের দৈনিক পিক-আওয়ারে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার বিষয়টি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে গত ১৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়- ‘বিদ্যুতের দৈনিক পিক-আওয়ারে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখতে হবে।’

এমতাবস্থায় ওই সিদ্ধান্তের আলোকে বিদ্যুতের দৈনিক পিক-আওয়ারে (বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত) সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা ও এ বিষয়টি কমপক্ষে তিনটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে। সূত্র: জাগো নিউজ

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ কোম্পানি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের বৃহত্তম ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ব্যবসায়ীক খাত নিয়ে প্রকাশিত ফরচুন ম্যাগাজিন।

ফরচুনের বার্ষিক ‘গ্লোবাল ৫০০’ সমীক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কোম্পানিগুলোর আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। শীর্ষ ১০ বৃহত্তম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টিই যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের।

চলুন দেখে নেওয়া যাক ২০২১ সালে এসে বিশ্বের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় জায়গা করে নিতে পেরেছে কারা-

১. ওয়ালমার্ট

দেশ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আয়: ৫২,৪০০ কোটি মার্কিন ডলার।

টানা অষ্টম বছরের মতো এই তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ওয়ালমার্ট।
ছবি: সিইও ম্যাগাজিন ডটকম

স্যাম ওয়ালটনের হাতে প্রতিষ্ঠিত এই সুপার মার্কেট ফ্র্যাঞ্চাইজি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর একটি। ১৯৬২ সালে একটি পারিবারিক স্টোর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করা এ কোম্পানির এখন বিশ্বব্যাপী ২৪টি দেশে ২৩ লাখেরও বেশি কর্মচারী রয়েছে।

২. চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গ্রিড

দেশ: চীন
আয়: ৩৮,৪০০ কোটি মার্কিন ডলার।

চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক ইউটিলিটি কর্পোরেশন কেবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানই না, এটি চীনের বৃহত্তম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি।

বেইজিং ভিত্তিক এই রাষ্ট্রায়ত্ত গ্রিড কোম্পানির নির্মাণ ও বিভিন্ন অংশের পরিচালনায় নিয়োজিত আছে প্রায় নয় লাখ কর্মচারী।

বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর একটি হওয়া সত্ত্বেও গত বছরের শুরুর দিকে রাজস্বে টান পড়েছিল এই রাষ্ট্রীয় সংস্থার। করোনাভাইরাসের উত্থানের পর মুনাফা ৮১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল তাদের।

৩. অ্যামাজন

দেশ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আয়: ২৮,১০০ কোটি মার্কিন ডলার

করোনাকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বে অ্যামাজনের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে। লকডাউনের সময় এসব দেশের সিংহভাগ নাগরিকই নির্ভর করেছে অ্যামাজনের ডেলিভারির উপর।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি মানুষের কেনাকাটার ধরণই বদলে দিয়েছে সম্পূর্ণরূপে। ১৯৯৪ সালে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে শুধু শক্তিশালীই হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
ছবি: সিইও ম্যাগাজিন ডটকম

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস সিইও হিসাবে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন সম্প্রতি। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অ্যান্ডি জ্যাসি।

৪. চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম

দেশ: চীন
আয়: ৩৭,৯০০ কোটি মার্কিন ডলার।

চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম এমনিতে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল কোম্পানি হলেও বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম কোম্পানিই বনে গেছে এটি।
ছবি: সিইও ম্যাগাজিন ডটকম

এই শীর্ষস্থানীয় চীনা কোম্পানির মোট ৩০টি দেশে তেল ও গ্যাসের মজুদ রয়েছে। যে কারণে আন্তর্জাতিক পেট্রোলিয়াম শিল্পেও এটি একটি প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩৩ বছর বয়সী এই প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১৩ সাল থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন সিইও ঝু জিপিং।

৫. সিনোপেক গ্রুপ

দেশ: চীন
আয়: ৪০,০০০ মার্কিন ডলার।

সিনোপেক গ্রুপও তেল ও গ্যাস ব্যবসার সাথে জড়িত।

১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চীনা কোম্পানি একটি কার্বন-নিরপেক্ষ ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছে। বর্তমানে হাইড্রোজেন উৎপাদনের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে তারা। ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ লাখ টন পরিবেশ-বান্ধব হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সিনোপেক।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর একটি হিসেবে স্বীকৃত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান এবছর ফরচুনের র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ নিচে নেমে গিয়েছে।

৬. অ্যাপল

দেশ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আয়: ২৬,০০০ মার্কিন ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ টেক কোম্পানির মধ্যে বর্তমানে অ্যাপল দ্বিতীয়। অ্যাপল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিমালিকানাধানী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি।

১৯৭৬ সালে স্টিভ জবসের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করার পর গত পাঁচ দশকে অনেক দূর এগিয়েছে এই টেক কোম্পানি। বন্ধু এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ উজনিয়াকের বাসায় বসে জবসের কম্পিউটার তৈরির মাধ্যমে উদ্ভব হওয়া অ্যাপলের বর্তমান মূল্যমান দুই লাখ কোটি মার্কিন ডলারের চেয়েও বেশি।

পূর্বে বহুবার বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি, রাজস্বের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেক কোম্পানিসহ নানান তকমা পেয়েছে খ্যাতনামা এই কোম্পানিটি।

৭. সিভিএস হেলথ

দেশ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আয়: ২৫,৭০০ কোটি মার্কিন ডলার

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিভিএস হেলথ স্বাস্থ্য শিল্পে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানি।

ফরচুনের গ্লোবাল ৫০০’র মধ্যে এটিই প্রথম কোম্পানি যার সিইও একজন নারী। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন ক্যারেন লিঞ্চ। ফরচুনের মহিলা সিইও’র র‍্যাঙ্কিংয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই সবার উপরে অবস্থান করছেন এই মার্কিনী।

৮. ইউনাইটেড হেলথ গ্রুপ

দেশ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
রাজস্ব: ২৪,২০০ কোটি মার্কিন ডলার

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত ইউনাইটেড হেলথ গ্রুপ স্বাস্থ্যসেবা পণ্য এবং স্বাস্থ্য বীমা পরিষেবা প্রদান করে থাকে।

৪৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও স্যার অ্যান্ড্রু উইটি। এই ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির।

৯. টয়োটা মোটর

দেশ: জাপান
আয়: ২৭,৫০০ কোটি মার্কিন ডলার।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে একটি স্বনামধন্য অটোমোবাইল ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃত হলেও টয়োটা কিন্তু আসলে যাত্রা শুরু করেছিল টেক্সটাইল ব্যবসার মাধ্যমে। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠাতা সাকিচি টয়োডার হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল এই জাপানি কোম্পানিটি।

প্রায় এক শতাব্দী পরে, টয়োটা মোটর এখন জাপানের বৃহত্তম কোম্পানি এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি। ২০২০ সালে টয়োটার বিশ্বব্যাপী বিক্রির হার ১০.৫ শতাংশ কমে গেলেও সেবছর তারা মোট ৯৫ লাখ গাড়ি উত্পাদন করেছে। যার মানে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান টয়োটা।

১০. ভক্সওয়াগন

দেশ: জার্মানি
আয়: ২৮,৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।

দ্বিতীয় গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই তালিকায় জায়গা পাওয়া ভক্সওয়াগন জার্মানির সবচেয়ে বড় কোম্পানি।

২০২০ সালে মোট ৮৯ লাখ গাড়ি উৎপাদন করলেও পূর্বের বছরের তুলনার এর উৎপাদন কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ।

১৯৩৭ সালে জার্মান লেবার ফ্রন্ট (নাৎসি পার্টির অধীনস্থ একটি সংগঠন) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি ভক্সওয়াগন বিটলসহ অনেক বিখ্যাত গাড়ির জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

সূত্র: সিইও ম্যাগাজিন ডটকম

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইবনে সিনা ফার্মার বাৎসরিক বোর্ড সভা আহ্বান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রসায়ন ও ঔষধ খাতের কোম্পানি দ্যা ইবনে সিনা ফার্মাসিটিউক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ২১ সেপ্টেম্বর আহ্বান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন বেলা সাড়ে তিনটায় রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির নিজেদের প্রধান ভবনে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং)আইন-২০১৫ ১৯/১ ধারা অনুযায়ী, এ বোর্ড সভায় গত ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড।

এ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে কোম্পানিটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/জেড

আবারও ভিসা-ইকামার মেয়াদ বাড়াল সৌদি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বিদেশি শ্রমিকদের ভিসা ও আবাসিক অনুমোদনের (ইকামা) মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি আরব। এজন্য কোনো বাড়তি ফি দিতে হবে না।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়, ভিসা ও আবাসিক অনুমোদন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে, মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কাউকে পাসপোর্ট অধিদফতরে যেতে হবে না।

বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের ইকামার পাশাপাশি ভিজিট, এক্সিট ও রি-এন্ট্রি ভিসার মেয়াদও আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে সৌদির পাসপোর্ট অধিদফতর।

করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশে আটকে পড়া অভিবাসীদের ইকামার পাশাপাশি ভিজিট, এক্সিট ও রি-এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি আরবের জেনারেল ডিরেস্টরেট অব পাসপোর্ট (জাওয়াজাত)।

সৌদি আরবে অবস্থানকারী বিদেশি, যাদের আগমন কিংবা বহির্গমন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তারা এ সুযোগ নিতে পারবেন।

মেয়াদবৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি হবে এভাবে: প্রথমত, করোনার কারণে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকা দেশগুলোতে অবস্থানরত প্রবাসীদের ইকামা, এক্সিট ও রি-এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ বাড়বে। দ্বিতীয়ত, সেসব দেশে থাকা ভ্রমণকারীদের ভিজিট ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে।

এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ থাকার ফলে অনেক মানুষ বিদেশে আটকা পড়েছেন। তারা সৌদি আরবে ফিরতে পারেননি যথাসময়ে। ফলে এ নীতি কার্যকর হবে বিদেশি শ্রমিক ও গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকদের জন্যও।

এ ছাড়া যেসব বিদেশি সৌদি আরব ত্যাগ করতে পারেননি অথচ তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারাও এ সুযোগ নিতে পারবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বার্জার, ওয়ালটন, আইসিবি’র ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার নির্দেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নিয়ম অনুযায়ী আগামী এক বছরের মধ্যে বার্জার পেইন্টস, ওয়ালটন হাইটেক ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ’র (আইসিবি) অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার শেয়ারবাজারে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গতকাল রবিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০১৫ সালের বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) আইন অনুযায়ী একটি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের সমান অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়তে হবে।

ঢাকা স্টক একচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রির শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার, আইসিবি’র ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ ও বার্জার পেইন্টসের ৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়া হয়েছে।

আগামী এক বছরের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক শেয়ার শেয়ারবাজারে ছাড়তে হবে।

তবে তারা এক মাসে এক শতাংশের বেশি শেয়ার বাজারে ছাড়তে পারবে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ভারতীয়দের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের পরামর্শ হাইকমিশনারের

ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ভারতকে তার মানসিকতা পরিবর্তন করে বাংলাদেশের বাজার ও উৎপাদন সক্ষমতার সুবিধা নেওয়া এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তার মতে, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সুযোগ হিসেবে নেওয়া এবং বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত ভারতের। খবর ইকোনমিক টাইমসের।

সম্প্রতি ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় থিংক ট্যাংক অনন্ত অ্যাস্পেন সেন্টারের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, উন্নত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ব্যবসা (দ্বিপাক্ষিক) সম্পর্ককে আরো স্থিতিস্থাপক করে তুলতে পারে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে অন্তত সাড়ে তিনশ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত রয়েছে, যারা ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) করেছে। দোরাইস্বামী বলেন, আমাদের অটোমোবাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মৎস্য চাষের মতো দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রগুলোকে লক্ষ্য বানাতে হবে।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, জ্বালানি হচ্ছে আঞ্চলিক সহযোগিতার পরিচালক। বাংলাদেশ জ্বালানি-উদ্বৃত্ত নয়। এটি সমাধানের অংশ হতে হবে ভারতকে। সেখানে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নের বিশাল সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের অবকাঠামো পরিবেশ ভালোই সুবিধাজনক।

বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে প্রতিবন্ধক শ্রেণিতে ধরা হতো, কিন্তু বর্তমান (ভারতীয়) সরকার (বাংলাদেশকে) সেই তালিকা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। বাংলাদেশে ভারতীয় ব্যবসা অবশ্যই আরও বেশি কিছু করতে পারে। সেক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও সিঙ্গেল উইন্ডো ক্লিয়ারেন্স।

সভার সভাপতি ও অনন্ত অ্যাস্পেন সেন্টারের চেয়ারম্যান নওশাব ফোর্বস বলেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের জন্য খুবই মূল্যবান। তিনি বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে গেছে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা পাকিস্তান ও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক শিল্প সেখানে। (বাংলাদেশের) ৩৬ শতাংশ কর্মী নারী এবং তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।

ভারতীয় এ শিল্পপতির মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে সক্রিয় বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে ভারতের সামনে বড় সুযোগ রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এনসিসি ব্যাংকের তিন উদ্দ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডের তিনজন উদ্দ্যোক্তা শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, আসলাম উল করিম নামে এক উদ্দ্যোক্তা ব্যাংকটির ৫০ হাজার বিক্রয় করবেন।

মো: রাশেদ পাশা নামে আরেক উদ্দ্যোক্তা ব্যাংকটির ১ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার বিক্রয় করবেন।

এছাড়া এমএ কাসেম নামে আরেকজন উদ্দ্যোক্তা ব্যাংকটির ৩ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার বিক্রয় করবেন।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে পাবলিক মার্কেট হতে এই উদ্দ্যোক্তা উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রয় করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি