ভারতে যাচ্ছে ২০০০ টন ইলিশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ২০০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা রপ্তানির অনুমোদন না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফলে ইলিশ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২১ সালে ইলিশ রপ্তানিকারকদের তালিকায় অপরিচিত অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। যদিও ইলিশ রপ্তানির জন্য রপ্তানি ট্রফি অর্জন করা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও তারা অনুমোদন পায়নি।

গত কয়েক বছর ধরে দেশের ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়ে আসছে সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভারতের ব্যবসায়ীরা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব ইলিশ মাছ নিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো হস্তান্তর হয় না।

আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখার উপসচিব তানিয়া ইসলাম রপ্তানিকারকদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন।

চলতি বছরের ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০ জন ব্যবসায়ী ৪০ টন করে মোট দুই হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করবেন। যশোর জেলার বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পেট্রাপোল হয়ে এসব ইলিশ ভারতে যাবে।

তিনি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ২০০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ৫০ জন রপ্তানিকারণ ৪০ টন করে ইলিশ রপ্তানির সুযোগ পাবেন। কোনো ব্যবসায়ী অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করতে পারবেন না।

২০১২ সাল থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানি করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে ১ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। চলতি বছর অনুমোদন দিয়েছে ২০০০ টন।

স্টকমার্কেটবিডি/

উন্নত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি খাতের বিকাশ: ওয়ালটনের এমডি

জুরিখে রোড শো’র সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি গোলাম মুর্শেদ

 

 

 

 

 

 

 

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট খ্যাত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম মুর্শেদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা। সে লক্ষ্য অর্জনে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতের পাশাপাশি প্রয়োজন ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি শিল্প খাতের বিকাশ। এ খাতে ওয়ালটন বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড, ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট। বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমান সরকারের দেওয়া অবকাঠামোগত সুবিধা ও নীতিগত সহায়তা কাজে লাগিয়ে ওয়ালটন এখন গ্লোবাল ব্র্যান্ড।’

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১) সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরের দি ডলডার গ্র‌্যান্ড হোটেলের বলরুমে রোড শো’র প্রথম দিনের সমাপনী অধিবেশনে ধন্যবাদ জ্ঞাপনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘ইনভেস্টর সামিট: বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটস’ শীর্ষক ওই রোড শো’র আয়োজন করে বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

রোড শো’তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি, বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি আব্দুর রউফ তালুকদার, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি এন এম জিয়াউল আলম, বেপজার এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইবরাহিম প্রমুখ।

গোলাম মুর্শেদ আরও বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পসমৃদ্ধ এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস শ্রম, দূরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা ও মেধায় বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন। জিডিপি বৃদ্ধি, দারিদ্র‌্য দূরীকরণ, জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার যোগান বৃদ্ধি, স্থিতিশীল পুঁজিবাজার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো ও নীতিগত উন্নয়নসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দারুণ সফলতা দেখাচ্ছে। অফুরন্ত সম্ভাবনার বাংলাদেশে সবাইকে আমন্ত্রণ।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘দি রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক রোড শো করছে বিএসইসি। এর আগে দুবাই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহরে রোড শো হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের পর পর্যায়ক্রমে ইংল‌্যান্ড, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও বিএসইসির রোড শো হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ড রোড শো’র অন্যতম সহযোগী ওয়ালটন। সুইজারল্যান্ড রোড শো’র দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব ২২ সেপ্টেম্বর জেনেভায় হবে।

রোড শোতে ওয়ালটনের নিজস্ব অত্যাধুনিক কারখানায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে একটি বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।

স্টকমার্কেটবিডি/

 

নিঃস্ব হওয়ার পরই সরকার পদক্ষেপ নেয়: হাইকোর্ট

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ডেসটিনি, ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালি ও এহসান গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পরই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধ চেয়ে রিটের শুনানিতে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা সুদ কারবারিদের তালিকা করার নির্দেশনা চেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক চৌধুরী।

শুনানিতে বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমার বাড়ি কেন অরক্ষিত? আমার বাড়ি মানে বাংলাদেশ। দেশের মানুষ দরজা জানালা বন্ধ করে শান্তিতে ঘুমাবে। কিন্তু আমার ঘর কেন অরক্ষিত? আমাদের দরজাগুলো কেন খোলা? মানুষের টাকা কেন লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে? এগুলো বন্ধ করা কাদের দায়িত্ব? এটা আমরা দেখতে চাই। আমরা এটা পরীক্ষা করতে চাই। আমরা এ বিষয়ে দেখেশুনে আদেশ দেবো।’

এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, ‘মাই লর্ড, সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা কিন্তু নয়। এহসান গ্রুপের তাকে গ্রেফতার করা হয়েছ; ই-ভ্যালির তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।’

তখন বিচারক সাইফুর রহমান বলেন, ‘সরকারতো ব্যবস্থা নিচ্ছে কিন্তু সেটা কখন? যখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম, আমার রেমিডিটা কোথায়। আমার টাকাটা নিয়ে গেল আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরতেছি। সে থানায় যাবে, জেলে যাবে যাক, কিন্তু আমার টাকাটা যে নিয়ে গেল সেটা কোথায়। আমরা মামলার করার পর চোর ধরা পড়ছে। চুরিতো ঠেকানো যাচ্ছে না।’

এই বিচারক আরও বলেন, ‘সরকারের কাজ কি? এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, তাদের আইনের শাসন সমস্ত কিছু…। সেখানে সরকার ঠিক মত কাজ করছে কি না আমরা দেখব।’

এই রিটের ওপর আরও শুনানির জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দিন রাখে বেঞ্চ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ব্লক মার্কেটে ২২ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার ব্লক মার্কেটে মোট ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৭২৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

গ্রামীণফোন ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এবি ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, আমান ফিড, বিএটিবিসি, বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, বিবিএস কেবলস, বেক্সিমকো ফার্মা, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল,ঢাকা ডাইং, ড্রাগন সোয়েটার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামিক ফিন্যান্স, যমুনা ব্যাংক, কাট্টালি টেক্সটাইল, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, লাফার্জহোলসিম, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু অ্যাগ্রো, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আরডি ফুড, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, সাইফ পাওয়ারটেক, স্যালভো কেমিক্যাল, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, সিলকো ফার্মা, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড পাওয়ার ও ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এসএমই উদ্যোক্তাদের ৪ শতাংশ সুদে ঋণ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্রাহকের চাহিদা সক্ষমতা বিবেচনায় সর্বনিম্ন ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে।

এসএমই ফাউন্ডেশন গঠিত ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এই ঋণ বিতরণ করবে এনআরবিসি ব্যাংক। ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ঋণ বিতরণের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। আগারগাঁও পর্যটন ভবন মিলনায়তনে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান ও এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই প্রণোদনা প্যাকেজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে কোভিড-১৯ এর ক্ষতি কাটিয়ে এসএমই খাত শক্তিশালী হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানকে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়াসহ অধিক পরিসরে দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজ সুষ্ঠুভাবে বিতরণ হলে সরকারের নির্বাচনী লক্ষ্য অনুযায়ী নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে দেশের লাখ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার ক্ষতি কাটিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতি সচল করতেই সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, গত অর্থবছরে একমাত্র শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিক সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ শতভাগ বিতরণ করে সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের ২০০ কোটি টাকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই বিতরণ শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সম্পাদিক চুক্তি অনুসারে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত যারা সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ পাননি, অগ্রাধিকারভুক্ত এসএমই সাব-সেক্টর এবং ক্লাস্টারের উদ্যোক্তা; নারী-উদ্যোক্তা; নতুন উদ্যোক্তা অর্থাৎ যারা এখনো ব্যাংক ঋণ পাননি; এবং পশ্চাদপদ ও উপজাতীয় অঞ্চল, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তারা সহজশর্তে এই ঋণ পাবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পাবে ৩৮ পণ্য

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

২০২১-২০২২ অর্থবছরে বস্ত্রখাতের ৫টি উপখাতসহ ৩৮টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পাবে। গত অর্থবছরের মতো এবারও ১% হতে ২০% হারে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য থাকছে। এর মধ্যে নতুভাবে যুক্ত ৪টি খাতে ৪% হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা হবে। এ সকল খাতের মধ্যে রয়েছে দেশে উৎপাদিত চা, বাইসাইকেল ও এর পার্টস, এমএস স্টিল প্রোডাক্টস এবং সিমেন্ট শিট।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সার্কুলার অনুযায়ী, এবার বিশেষায়িত অঞ্চলের (বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্ক) বিদ্যমান সহায়তার আওতা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান সুবিধা ছাড়াও বিশেষায়িত অঞ্চলের ‘এ’ টাইপ ও ‘বি’ টাইপ প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানির বিপরীতে ৪% হারে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য করা হয়েছে। বিশেষায়িত অঞ্চলের সকল ক্যাটাগরিভুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১% হারে রপ্তানি প্রনোদনা সহায়তা পাবে।

চলতি অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ৪% হারে নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া ফ্লোট গ্লাস শিট, ওপাল গ্লাসওয়্যার, কাস্ট আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য হাল্কা প্রকৌশল পণ্য খাতের আওতায় রপ্তানি ভতুর্কির জন্য বিবেচিত হবে। পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন পণ্য (কম্প্রেসার) এবং এইচসিএফসিমুক্ত রেফ্রিজারেটর ইলেক্ট্রনিক পণ্য হিসেবে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স খাতের আওতায় রপ্তানি ভতুর্কি প্রাপ্য হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, প্রযোজ্য সকলখাতে নগদ সহায়তা/রপ্তানি ভর্তুকি/প্রণোদনা সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রপ্তানির বিপরীতে নূনতম ৩০% দেশীয় মুল্য সংযোজন থাকতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বলেন, সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাবরের ন্যায় চলতি অর্থ বছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে নগদ সহায়তা পরিশোধ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে প্রণোদনা সহায়তা বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি প্রদান করবে। আলোচ্য সময়ে সহায়তায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সমস্যা কটিয়ে উঠতে পারবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের উদ্দোক্তার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সে কোম্পানি লিমিটেডের একজন উদ্দোক্তা শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

হাজী এম এ মালেক নামে এই উদ্যোক্তা তার হাতে থাকা ২১ হাজার ৫৭৫টি শেয়ার বিক্রয় করবেন। উনার হাতে বিমাটির মোট ২১ হাজার ৫৭৫টি শেয়ার রয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ কার্য দিনের মধ্যে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার চলমান বাজার দরে ডিএসই’র পাবলিক মার্কেটে বিক্রয় করবেন তিনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ভারতে স্বর্ণের দর পতন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বিগত ছয় মাসের মধ্যে ভারতে স্বর্ণের বাজারে দরপতন দেখা গেল। দেশটিতে ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫,৯০০ রুপিতে। তবে খুব বেশিদিন দরের এই নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের ধারণা, বরং দীপাবলির সময় ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২,০০০ রুপিতে পৌঁছতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে এটাই স্বর্ণ ক্রয়ের সুবর্ণ সুযোগ।

আইআইএফএল সিকিউরিটিজের কমোডিটি এবং কারেন্সি রিসার্চের ভাইস-প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হওয়ায় সোনার দাম কমেছে। কিন্তু বেশিদিন সেই ধারা বজায় থাকবে না।

বিশ্ব বাজারে বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম। যা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভারতে আসন্ন উৎসব এবং আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক এবং দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনার কারণে দামী ধাতুর চাহিদা বাড়বে। সেইসঙ্গে দামও বাড়বে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লভ্যাংশ পাঠিয়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটি নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। আর বোনাস শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে বিও হিসাবে পাঠিয়েছে।

সমাপ্ত হিসাব বছরে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

৬ হাউজকে সতর্ক করলো বিএসইসি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৬টি সিকিউরিটিজ হাউজকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিকিউরিটিজ হাউজগুলো হচ্ছে- এমিনেট সিকিউরিটিজ হাউজ, মেঘনা লাইফ সিকিউরিটিজ, গেটওয়ে ইক্যুয়িটি রিসোর্স, সালাম অ্যান্ড কোম্পানি, জিএমই সিকিউরিটিজ ও টাইমস সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

সিকিউরিটিজ হাউজগুলো যেন ভবিষ্যতে সিকিউরিটিজ সম্পর্তি সব আইন পরিপালন করে এই বিষয়ে বিএসইসি একটি সতর্কপত্র জারি করেছে বিএসইসি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/