আনলিমা ইয়ার্নের লভ্যাংশ ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আনলিমা ইয়ার্ন লিমিটেড গত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদেরকে ২ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। তবে উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা কোনো লভ্যাংশ পাবেন না।

আজ শনিবার (২৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয় কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ৫ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১৪ পয়সা।

গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১০ টাকা ৮৩ পয়সা।

আগামী ২০ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ নভেম্বর।

স্টকমার্কেটবিডি/

বিএসআরএম স্টিলসের লভ্যাংশ ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল শিল্প খাতের কোম্পানি বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে এর মধ্যে ১০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শনিবার অনুষ্ঠিত ৩০ জুন ২০২১ সালের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড।

এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮.১০ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৬২.৩৮ টাকা।

আগামী ২৩ ডিসেম্বর কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ নভেম্বর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিংয়ের লভ্যাংশ ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল শিল্প খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ স্টিস রি-রোলিং মিলস লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে এর মধ্যে ১০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শনিবার অনুষ্ঠিত ৩০ জুন ২০২১ সালের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড।

এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮.৯৬ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১২৭.৫৬ টাকা।

আগামী ২৩ ডিসেম্বর কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ নভেম্বর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

জেএমআই থেকে ১ কোটি ৩৩ লাখ সিরিঞ্জ নেবে ইউনিসেফ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনার সংক্রমণপ্রতিরোধী গণটিকাদান কর্মসূচির জন্য দেশিয় প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেডের কাছ থেকে সিরিঞ্জ কিনছে জাতিসংঘের শিশু উন্নয়ন তহবিল (ইউনিসেফ)। এজন্য আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জেএমআইকে চাহিদাপত্র দিয়েছে ইউনিসেফ। এর মধ্যে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ সিরিঞ্জ সরবরাহের জন্য জেএমআইয়ের সঙ্গে ক্রয় চুক্তি সই করেছে সংস্থাটি।

চুক্তি অনুযায়ী ৩১ জুলাই ২০২২ সালের মধ্যে সিরিঞ্জগুলো সরবরাহ করতে হবে জেএমআইকে। এছাড়াও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত জেএমআই-এর কাছ থেকে ১ কোটি ৯ লাখ ৮ হাজার সিরিঞ্জ কিনে নিয়েছে ইউনিসেফ।

করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ এক ধরনের বিশেষায়িত পণ্য, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পিকিউএস সনদ নিয়ে বিশ্বের অল্প সংখ্যক প্রতিষ্ঠান উত্পাদন করে থাকে। করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী এ পণ্যটির সরবরাহ সংকট চলছে। দেশের একমাত্র এডি সিরিঞ্জ তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড।

২০১২ সাল থেকে জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেসের রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদ। যার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দিনে গড়ে ২০ লাখ সিরিঞ্জ বানাতে পারে। সে হিসাবে মাসে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ছয় কোটি পিস।

গত জুনে বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মার্কেটস অ্যান্ড রিসার্চ ডট বিজ প্রকাশিত গবেষণায় ২০২০ সালের গ্লোবাল অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ ইনজেক্টর মার্কেট-এ আধিপত্যকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম ওঠে আসে জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেড-এর। এছাড়াও চলতি বছরের মার্চে নিউ ইয়র্ক রির্পোটসের এক প্রতিবেদনেও গ্লোবাল মার্কেট লিডারদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত এডি সিরিঞ্জ।

করোনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশেও যেখানে সিরিঞ্জের অভাবে টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, সেখানে অনেকটাই নিশ্চিন্ত বাংলাদেশ। দেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচির শুরুতে তিন কোটি ৩০ লাখ সিরিঞ্জ নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করেছে জেএমআই গ্রুপ। আরও প্রায় ২৮ কোটি সিরিঞ্জ কেনার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে গত ২২ সেপ্টেম্বর জেএমআই থেকে ১১ কোটি সিরিঞ্জ কেনায় অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

দেশের চাহিদা পূরণ, শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা জাতিসংঘের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফকে সরবরাহ করাসহ করোনার টিকাদানের জন্য জেএমআইয়ের সিরিঞ্জ রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

জেএমআই গ্রুপের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সারা দেশে চলা গণটিকাদান কর্মসূচিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সময়মতো ৬৪ জেলায় নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে সিরিঞ্জ পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা। কেননা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সবচেয়ে বড় কার্যক্রমে অংশীদার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে চায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে জাপানের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান নিপ্রো করপোরেশনের বিনিয়োগ। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সাল থেকে সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) নিরবচ্ছিন্নভাবে সিরিঞ্জ সরবরাহ করে আসছে। বিগত ১৫ বছর ধরে দেশে এক দিন থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদানে সব সিরিঞ্জ সরবরাহ করেছে জেএমআই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

 

ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা

ওয়ালটন কম্প্রেসর কারখানায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, বেসরকারি শিল্পখাতের জন্য সরকার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিখাতে ওয়ালটন সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে। তাদের প্রোডাক্ট ডাইভারসিটি অনেক। তারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করছে। তারা সব ধরনের যন্ত্রাংশও তৈরি করছে। ওয়ালটন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমি নিশ্চিত খুব শিগগিরই রপ্তানি খাতে ইলেকট্রনিক্স শিল্প গার্মেন্টস শিল্পকে ওভারটেক করবে।
শনিবার (২৩ অক্টোবর, ২০২১) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান। সে সময় তিনি ১ লাখ ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানির সাফল্য উদযাপনে বিশালাকার কেক কাটেন।

ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শাহ আলম সরোয়ার, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার একান্ত সচিব জাহিদুল ইসলাম ভূঞা প্রমুখ।

শনিবার সকালে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম রেজাউল আলম, এস এম মঞ্জুরুল আলম ও সাবিহা জারিন অরনা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ শফিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন সরদার, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডিএমডি হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিএমডি লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অবঃ) শাহাদাত আলম, উদয় হাকিম, তানভীর রহমান, আনিসুর রহমান মল্লিক, ফিরোজ আলম, ইউসুফ আলী, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, আমিন খান ও ইয়াসির আল ইমরান, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, নির্বাহী পরিচালক শাহজাদা সেলিম, আবদুল্লাহ আল মামুন, জাহিদুল আলম, শাহজালাল হোসেন লিমন, মহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে সালমান এফ রহমান আরো বলেন, ওয়ালটন যখন বলে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’, তখন সেটা সত্যিই মেইড ইন বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ণ) খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ালটন এক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ করছে। বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে তাদের আরএন্ডডি খুবই সমৃদ্ধ।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ইলেকট্রনিক্স শিল্পই বাংলাদেশের ভবিষ্যত। ওয়ালটন পণ্য এখন বিশ্বের ৪০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের রেফ্রিজারেটর মার্কেটের ৭৫ শতাংশ ওয়ালটনের। এসির প্রায় ৫০ শতাংশ আর টিভির ৪০ শতাংশ মার্কেট ওয়ালটনের। এর অর্থ মানুষ ওয়ালটন পণ্যের প্রতি আস্থা ও ভরসা রাখছে।

ওয়ালটন কারখানায় ১ লাখ ফ্রিজ রপ্তানির সাফল্য উদযাপনে কেক কাটছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

এর আগে কারখানা প্রাঙ্গনে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে অতিথিরা ওয়ালটনের মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, রেফ্রিজটারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, এলইডি টেলিভিশন, কম্পিউটার-ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আইফোন ১৩ সিরিজ নিয়ে এলো গ্রামীণফোন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গ্রাহকদের জন্য আইফোন সর্বশ্রেষ্ঠ লাইনআপ নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন, যার মধ্যে রয়েছে সৃজনী ও রুচির প্রশ্নে অনন্য আইফোন ১৩ প্রো, আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স, আইফোন ১৩ এবং আইফোন ১৩ মিনি।

আগাগোড়া নতুন আঙ্গিকে সাজানো আইফোন ১৩ প্রো এবং আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ব্যবহারকারীদের দিচ্ছে আইফোনের সর্বকালের সেরা প্রো ক্যামেরা সিস্টেম, “প্রো -মোশান” সমৃদ্ধ সুপার রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লে, উন্নত ব্যাটারি লাইফ এবং অ্যাপলের ডিজাইনকৃত ফাইভ-কোর জিপিইউ সম্বলিত এ১৫ বায়োনিক চিপ। মসৃণ এবং টেকসই ডিজাইনের আইফোন ১৩ ও আইফোন ১৩ মিনি’তে ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন আইফোনের সর্বকালের সেরা ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম এবং শক্তিশালী এ১৫ বায়োনিক চিপ।

গ্রামীণফোন এ আইফোন ১৩ সিরিজের হ্যান্ডসেট প্রি-অর্ডারে থাকছে ৩৬ মাস পর্যন্ত নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক এর ক্রেডিট কার্ডে ০% ইএমআই তে ক্রয়ের সুবিধা, থাকছে ফ্রি ১৪ জিবি ৪জি ইন্টারনেট (মেয়াদ ১৪ দিন) সহ বিভিন্ন জিপি গিফট আইটেম, জিপি ষ্টার প্ল্যাটিনাম প্লাস স্ট্যাটাস এবং বিভিন্ন জিপি ষ্টার পার্টনার এর ডিসকাউন্ট কুপন।

এছাড়াও থাকছে ডিভাইস ইন্সুরেন্স সাবস্ক্রিপশন এ ২০% ডিসকাউন্ট এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড এ ইএমআই ক্যাশব্যাক অফার
আজ ২২ অক্টোবর থেকে গ্রাহকগণ আইফোন ১৩ সিরিজ এর হ্যান্ডসেট প্রি-অর্ডার করতে পারবেন, যা তাদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে ২৯ অক্টোবর ‘২১ থেকে। প্রি-অর্ডার, মূল্যতালিকা ও প্রাপ্যতা-সহ বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন grameenphone.com অথবা কিউ-আর কোডটি স্ক্যান করুন:

গ্রামীণফোন লিমিটেড টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৮০ মিলিয়ন এরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘‘চলো বহুদূর’’ এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দৃষ্টি শক্তিহীনদের জন্য ইজেনারেশনের ‘সফটওয়্যার আলো’

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ এবং দেশের তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানি ইজেনারেশন দৃষ্টি শক্তিহীন মানুষের জন্য তৈরি করেছে ‘সফটওয়্যার আলো’ নামে স্ক্রিন রিডার সফটওয়্যার। ‘‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ (ইবিএলআইসিটি)” প্রকল্পের অধীনে দৃষ্টি শক্তিহীন মানুষকে কম্পিউটার এবং গ্যাজেটস সক্রিয় ভাবে চালানো এবং পরিচালনা করতে সক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে- এই “সফটওয়্যার আলো” তৈরি করেছে ইজেনারেশন।

এর মাধ্যমে এসব দৃষ্টি শক্তিহীন মানুষগুলো ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের পদচিহ্ন বা অবদান রাখতে সক্ষম হবে। জানা যায়, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের সাড়ে সাত লাখ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নতুন জীবন শুরু করতে এবং সমাজে সক্রিয় অবদান রাখতে সাহায্য করবে।

এই সফটওয়্যার আরও কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করতে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য হলো, দৃষ্টিশক্তিহীনদের কাছ থেকে তাদের মতামত ও প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে তাদের সমস্যার সমাধানসহ এ সফটওয়্যারটিকে আরও কার্যকর করা।

প্রতিষ্ঠানটিবলছে, এটি দৃষ্টি শক্তিহীনদের জন্য আশার আলো নিয়ে আসবে।

এ সময় জানানো হয়, সফটওয়্যার আলো-ব্যবহার করে অন্ধ ব্যক্তি সহজেই কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে। এই সফটওয়্যারটি কম্পিউটারের স্ক্রিনে ভাসমান আইকনের নাম এবং নথির বাংলা লেখা পড়বে। কম্পিউটার ইন্টারফেসের বোতাম বা আইকন বাংলাভাষা চিহ্নিত করবে, একই সাথে কমান্ড ও দেওয়া যাবে -এর মাধ্যমে। তাইখুবসহজেইতারাকম্পিউটারবামোবাইলডিভাইসব্যবহারকরতেপারবে।

উক্তকর্মশালায় ইজেনারেশন লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আশরাফুল ইসলাম , ইজেনারেশন লিমিটেড এর এআইএবংএনএলপি বিভাগের জেষ্ঠ্য পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল হুদা,, ইবিএলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মাহবুব করিম, বিসিসি পরিচালক প্রকৌশলী এনামুল কবির, ইজেনারেশন লিমিটেডের অপারেশনস অ্যান্ড সেলস বিভাগের বিভাগের পরিচালক এমরান আব্দুল্লাহ, এটুআই অ্যাক্সেসিবিলিটি কনসালটেন্ট ভাস্কর ভট্টাচার্য, ইজেনারেশন লিমিটেডের ইমার্জিং টেকনোলজিস লিউশনের প্রধান রাকিব মাহমুদ শোয়েব উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

টানা তৃতীয় মাসের মতো বেড়েছে মূল্যস্ফীতি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশে গত সেপ্টেম্বরে টানা তৃতীয় মাসের মতো মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ফলে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বাড়ছে এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ দশমিক ৫৯ হয়েছে, যেটি আগস্টে ৫ দশমিক ৫৪ ছিল।

চাহিদা পুনরুদ্ধার, নজিরবিহীন শিপিং চার্জ এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে বৈশ্বিক বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে এবং বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে।

খাদ্য নয়, এমন পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার সেপ্টেম্বরে ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ দশমিক ১৯ হয়েছে। আগস্টে এটি ৬ দশমিক ১৩ ছিল। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ দশমিক ২১ হয়েছে, যেটি আগস্টে ৫ দশমিক ১৬ ছিলো।

বিবিএস একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চাল, ডিম, গম, রসুন, পিঁয়াজ, আদা ও হলুদের দাম গত মাসে বেড়েছে। গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগস্টের ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। একইভাবে, খাদ্য নয়- এমন পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ হয়েছে।

তবে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগস্টের ৪ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে।

শহরাঞ্চলে খাদ্য নয়, এমন পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার আগস্টের ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক শীর্ষ অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদেরকে মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হবে। কারণ এটি ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে এবং তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের আভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রিত মূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’

তিনি জানান, সারা বিশ্বেই মূল্যস্ফীতি বাড়ছে এবং সম্ভবত বাংলাদেশ একই ধারায় যুক্ত হয়েছে।

‘সেপ্টেম্বরে সকল ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তবে খুব বেশি পরিমাণে নয়’, যোগ করেন তিনি।

উচ্চ মাত্রার মূল্যস্ফীতি সরাসরি নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রভাবিত করবে। ইতোমধ্যেই তারা মহামারির শুরু থেকে আয় কমে যাওয়া নিয়ে সমস্যায় আছেন। গত অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ৫ দশমিক ৫ শতাংশের চেয়ে সামান্য পরিমাণে বেশি, ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হারে স্থিতিশীল ছিলো।

ইতোমধ্যে চাপে থাকা সাপ্লাই চেইন সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় মূল্যের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
এর সঙ্গে বিনিময় মূল্য কমে যাওয়া যুক্ত হয়ে সমস্যা আরো জটিল আকার ধারণ করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

জাহাজভাঙা শিল্পে শীর্ষস্থান ধরে রাখল বাংলাদেশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সব মিলিয়ে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বিশ্বব্যাপী জাহাজ ভাঙা হয় ৫৮২টি। এর মধ্যে বাংলাদেশে ভাঙা হয় ১৯৭টি (প্রায় ৩৪ শতাংশ)।

করোনার প্রথম বছর অন্যান্য খাতের ন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জাহাজভাঙা শিল্পও। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে চলতি বছর কয়েক দফা লকডাউনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি এ শিল্পে। ফলে চলতি বছর প্রথম দুই প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন) মতো তৃতীয় প্রান্তিকেও (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জাহাজভাঙায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।

এ সময় দেশে আগের বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ১৭০ শতাংশ বেশি জাহাজ ভাঙা হয়।

জাহাজভাঙা ও এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করা বেলজিয়ামভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘শিপ ব্রেকিং প্ল্যাটফর্ম’-এর সর্বশেষ প্রান্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী জাহাজ ভাঙা হয়েছে ১২০টি। এর মধ্যে ৪১টি বা ৩৪ শতাংশ ভাঙা হয়েছে বাংলাদেশের ইয়ার্ডগুলোতে। আর ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী জাহাজ ভাঙা হয়েছিল ১৭০টি। এর মধ্যে বাংলাদেশে ভাঙা হয়েছিল ২৪টি জাহাজ। অর্থাৎ ওই সময় মাত্র ১৪ শতাংশ ভাঙা হয়েছিল বাংলাদেশে।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের বলেন, গত কয়েক বছরে দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে অনেক বেশি। এতে দেশে রডের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাড়তি রড তৈরির কাঁচামালের যোগান দিতে দেশে জাহাজ ভাঙার পরিমাণ বেড়েছে। পরিমাণের দিক থেকে গত কয়েক বছর ধরে জাহাজভাঙা শিল্পে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, করোনার প্রথম বছর জাহাজভাঙা শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও চলতি বছরে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। এই বছর লকডাউনের সময়ও জাহাজ ভাঙার কাজ অব্যাহত ছিল। ফলে বছরের গত ৯ মাসে জাহাজভাঙা শিল্পে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে, ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী জাহাজ ভাঙা হয়েছিল ৯৬টি। আর প্রথম তিন মাসে ভাঙা হয় ১৬৬টি জাহাজ। অর্থাৎ ছয় মাসে মোট জাহাজ ভাঙা হয়েছিল ২৬৪টি। এর মধ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২০টি ভাঙা হয়েছিল বাংলাদেশের ইয়ার্ডগুলোতে। আর প্রথম তিন মাসে ভাঙা হয়েছিল ৫৪টি। অর্থাৎ গত বছর প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা হয় ৭৪টি।

সব মিলিয়ে চলতি বছর ৯ মাসে বিশ্বব্যাপী জাহাজ ভাঙা হয় ৫৮২টি। এর মধ্যে বাংলাদেশে ভাঙা হয় ১৯৭টি বা প্রায় ৩৪ শতাংশ। আর গত বছর ৯ মাসে বিশ্বব্যাপী জাহাজ ভাঙা হয় ৩৩৪টি। এর মধ্যে বাংলাদেশের ইয়ার্ডগুলোতে ভাঙা হয়েছিল ৯৮টি বা ২৯ শতাংশ। এ হিসাবে চলতি বছর ৯ মাসে (জানুয়ারি-জুন) বাংলাদেশে জাহাজভাঙা বেড়েছে ৯৯টি।

সংস্থাটির তথ্যমতে, গত বছর প্রথম ৯ মাসে জাহাজভাঙায় শীর্ষে ছিল ভারত। তবে চলতি বছর দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে গেছে দেশটি। এ সময় দেশটিতে জাহাজ ভাঙা হয়েছে ১৫৫টি। এছাড়া চলতি বছর প্রথম ৯ মাসে পাকিস্তানে জাহাজ ভাঙা হয়েছে ৮৭টি, তুরস্কে ৬৭টি, চীনে পাঁচটি ও ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ৭১টি।

শিপ ব্রেকিং প্ল্যাটফর্মের তথ্যমতে, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী জাহাজ ভাঙা হয় ৬৩০টি। এর মধ্যে ভারতে ভাঙা হয়েছে ২০৩টি, বাংলাদেশে ১৪৪টি, পাকিস্তানে ৯৯টি, তুরস্কে ৯৪টি, চীনে ২০টি ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬০টি। আর ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী জাহাজ ভাঙা হয় ৬৭৬টি। এর মধ্যে বাংলাদেশেই ভাঙা হয়েছিল ২৩৬টি। এছাড়া ভারতে ২০০টি, তুরস্কে ১০৭টি, পাকিস্তানে ৩৫টি, চীনে ২৯টি ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬৯টি জাহাজ ভাঙা হয়।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছর জাহাজভাঙায় পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। ওই সময় বিশ্বব্যাপী জাহাজভাঙার পরিমাণ ছিল প্রায় এক কোটি ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭০৪ টন। এর মধ্যে বাংলাদেশে জাহাজভাঙার পরিমাণ ছিল ৬৯ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭৪ টন। এতে পরিমাণের দিক থেকে টানা ছয় বছর শীর্ষস্থান ধরে রাখে বাংলাদেশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক বছর ধরেই অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ীসহ বড় বেশকিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলছে। পাশাপাশি আবাসন খাতেও মন্দা কাটতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে দেশে রডের চাহিদা বেড়ে যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পেও লোহার ব্যবহার বেড়েছে। এ চাহিদা পূরণে অন্যতম ভূমিকা রাখে জাহাজভাঙা শিল্প। ফলে এ শিল্পে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। সূত্র : টিবিএস নিউজ

স্টকমার্কেটবিডি.কম/