চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ২৫ তম এজিএম অনুষ্ঠিত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ২৬ তম বার্ষিক সাধারন সভা আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে অবস্থিত সিএসই এর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সিএসই-এর চেয়ারম্যান জনাব আসিফ ইব্রাহীম।

এবার সিএসই এর বার্ষিক সাধারন সভা বিএসইসি এর নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে।

এ বার্ষিক সাধারন সভায় সিএসই এর পরিচালক প্রফেসর এস এম সালামাত উল্লাহ ভুইয়া, জনাব এস. এম. আবু তৈয়ব, জনাব সোহেল মোহাম্মদ শাকুর, জনাব মো. লিয়াকত হোসেইন চৌধুরী,এফসিএ, এফিসিএমএ, ব্যারিষ্টার আনিতা গাজী ইসলাম, জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ তানভির, মেজর (অবঃ) এমদাদুল ইসলাম, জনাব মো: সিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মেদ মহিউদ্দিন, এফসিএমএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মো. গোলাম ফারুক এবং জনাব রাজীব সাহা এফসিএস, কোম্পানি সেক্রেটারি উপস্তিত ছিলেন।

উক্ত বার্ষিক সাধারন সভায় শেয়ারহোল্ডারগণ ২০২০-২০২১ সালের জন্য ৪% নগদ লভ্যাংশ প্রদানের জন্য আনুমোদন দেন এবং কোম্পানী আইন এর দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ লি. এর নাম পরিবর্তন করে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

শেয়ারহোল্ডারগণ প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: রেজাউল ইসলাম কে সিএসই এর পরিচালক হিসাবে নির্বাচিত করেন। এখানে উল্লেখ্য অ্যাডভোকেট মোহসেনউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ,চেয়ারম্যান, নির্বাচন পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য যে, এ বছর শেয়ারহোল্ডারদের নির্বাচনও ডিজিটাল প্ল্যাটর্ফম ব্যবহার করে সম্পন্ন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের উদ্বেগ খতিয়ে দেখছে ইইউ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি জানিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প-আরএমজি খাতে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু বিষয় ব্রাসেলস আরও খতিয়ে দেখছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে এক বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এ তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।

বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর ইইউর সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করার জন্য বাংলাদেশ উন্মুখ। তিনি করোনা মহামারিসহ উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ইইউর ভূমিকার প্রশংসা করেন। প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত ইউরোপের কিছু অংশে ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম খসড়া জিএসপি রেজুলেশন শিথিল করার জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় ইইউ রাষ্ট্রদূত জানান, তৈরি পোশাক শিল্প-আরএমজি খাতে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু বিষয় ব্রাসেলস আরও খতিয়ে দেখছে।

প্রতিমন্ত্রী জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি সৌর সংযোগ প্রকল্পের পাশাপাশি আঞ্চলিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোতে আরও সহযোগিতা করার জন্য ইউরোপীয় বিনিয়োগে আহ্বান জানান।

শাহরিয়ার আলম জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের অধীনে বাংলাদেশের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিএন) সুপারিশ বাস্তবায়নে গঠনমূলক সম্পৃক্ততার জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে উভয়েই শ্রম অধিকার ও অভিবাসন সংক্রান্ত কিছু বিষয়েও আলোচনা করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ব্যাংকের চাকরিপ্রার্থীদের বয়সেও ২১ মাস ছাড়

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনার কারণে ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের ২১ মাস ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা গত বছরের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে যাদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে বা হচ্ছে, তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্য হবেন। এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীরা করোনা মহামারির কারণে বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২১ মাসের ছাড় পাবেন। যা ব্যাংকের চাকরির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, যেসব ব্যাংক কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেসব ব্যাংককে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে নির্ধারণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। ব্যাংক কম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আবারও শীর্ষ করদাতার স্বীকৃতি পেল বিএটিবিসি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

২০২০-২০২১ কর বছরের অন্যতম শীর্ষ করদাতা হিসেবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিএটিবিসিকে সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিট (আয়কর)। আয়কর প্রদানে অবদান রাখায় ‘ম্যানুফ্যাকচারিং-অন্যান্য’ বিভাগে প্রতিষ্ঠানটিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহাম্মদ রহমাতুল মুনিম, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

বিএটিবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্জাদ মুনীম ও প্রতিষ্ঠানটির হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স শেখ শাবাব আহমেদ এ সম্মাননা গ্রহণ করেন

বিগত ২০২০-২১ কর বছরে বিএটি বাংলাদেশ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আয়কর হিসেবে জাতীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে। এর পাশাপাশি এই অর্থবছরে কোম্পানিটি প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক হিসেবে জমা দিয়েছে। সব মিলিয়ে কোম্পানিটি বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা সরকারি মোট অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয়ের প্রায় ১০ শতাংশ।

শীর্ষ করদাতার স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে বিএটিবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্জাদ মুনীম বলেন, ‘যেকোনো সম্মাননা পেলে তো ভালো লাগবেই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যেভাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে, বিশেষ করে যারা নিয়ম মেনে ব্যবসা করে আসছে তাদের উৎসাহিত করছে। এটা নিয়ে কিন্তু একটা সামাজিক আন্দোলন তৈরি হয়ে গেছে। বিএটি বাংলাদেশ অনেক বছর ধরে সর্বোচ্চ করদাতা হয়ে আসছে। এনবিআরের এই উদ্যোগ আমাদের জন্য ভালো অবদান রাখবে, যা জাতীয় অর্থনীতিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আগামীতে আরও বড় করদাতা তৈরিতে সাহায্য করবে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

অনিষ্পত্তীকৃত স্টক লভ্যাংশ জমা দিতে বিএসইসির নির্দেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে (সিএমএসএফ) অদাবীকৃত বা অনিষ্পত্তীকৃত কিংবা বরাদ্দ করা হয়নি এমন স্টক লভ্যাংশ অথবা বোনাস শেয়ার বা অদাবীকৃত রাইট শেয়ার জমা দিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে স্টক লভ্যাংশ বা শেয়ার জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বিএসইসির পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি জারি করা এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ও শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল বিধিমালার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, অদাবীকৃত বা অনিষ্পত্তীকৃত কিংবা বরাদ্দ করা হয়নি এমন স্টক লভ্যাংশ অথবা বোনাস শেয়ার বা অদাবীকৃত রাইট শেয়ার ঘোষণা, অনুমোদন কিংবা রেকর্ড ডেটের পর তিন বছর সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে এসব শেয়ার শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের বিও হিসাবে জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে জমা দেয়ার আগে অবশ্যই ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তর করে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি লভ্যাংশ বিতরণ প্রতিবেদন এবং এসব শেয়ারধারীর বিস্তারিত তথ্য কমিশন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কাছে জমা দিতে হবে। শেয়ার হস্তান্তরের আগে শেয়ারধারীদের ৩০ দিনের আগাম নোটিস দিতে হবে। নোটিসের সময়সীমা শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর কার্যক্রম শেষ করতে হবে। তবে শেয়ার হস্তান্তর কার্যক্রম আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

বিএসইসির এ চিঠির অনুলিপি শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট, ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের কোম্পানিসহ তালিকাভুক্ত সব কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, সব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল ও আইসিবিকে শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের বিও হিসাব খোলা ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির কাছ থেকে শেয়ার জমা করার বিষয়টি তদারক করা এবং কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিশনের কাছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জমা দেয়া তথ্যানুসারে, স্টক ও নগদ লভ্যাংশ মিলিয়ে এ পর্যন্ত পুঞ্জীভূত অপরিশোধিত লভ্যাংশের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯৪২ কোটি ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার ১০৩ টাকায়। এর মধ্যে স্টক লভ্যাংশ ১৯ হাজার ৯৮৬ কোটি ও নগদ লভ্যাংশ ৯৫৬ কোটি টাকা। মোট অপরিশোধিত লভ্যাংশের মধ্যে ১০ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকাই রয়েছে শীর্ষ ১০ কোম্পানির কাছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৮০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার অপরিশোধিত লভ্যাংশ রয়েছে তামাক খাতের বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএটিবিসি) কাছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা স্টক লভ্যাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ইভ্যালির ৩৬ হিসাবে ৩৮৯৮ কোটি টাকার লেনদেন

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যাংক ৩৬ হিসাবে ৩ হাজার ৮৯৮.৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই লেনদেন হয়। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে দাখিল করা বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনটি দাখিল করে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

এ বিষয়ে পৃথক তিনটি রিটের বিপরীতে প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

ইভ্যালির চেয়ারম্যান, এমডি এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ১৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৬৭টি হিসাবের আনুষঙ্গিক দলিলাদি বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিসাবগুলোতে লেনদেনের বিবরণী থেকে দেখা যায় যে, ইভ্যালি ডটকম লিমিটেড ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নামে প্রাপ্ত ৩৬টি হিসাবে (সঞ্চয়ী ,চলতি) মোট ৩৮৯৮.৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে জমা প্রায় ১৯৫৬.১৯ কোটি টাকা ও উত্তোলন হয়েছে প্রায় ১৯৪২.৬৩ কোটি টাকা।

এসব হিসাবে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত স্থিতির পরিমাণ ২.১৩ কোটি টাকা।

এ ছাড়া, আরও ১০টি হিসাব শনাক্ত হওয়ায় এ বছরের ১০ আগস্ট সিআইডির কাছে মোট ৭৭টি হিসাবের তথ্য পাঠানো হয়েছে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব হিসাব থেকে কার কার নামে কখন টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তাও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কী পদক্ষেপ নিয়েছে, ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি কী এবং ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট

নকিয়া ফোন এবার দেশেই উৎপাদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশে একসময় মুঠোফোন মানেই ছিল নকিয়া। কিন্তু একপর্যায়ে তারা বাজার হারিয়ে ফেলে। হারানো সেই বাজার ধরতে এবার বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে নকিয়া মুঠোফোন। এ লক্ষ্যে পোশাক খাতের স্থানীয় কোম্পানি ইউনিয়ন গ্রুপ দেশে নকিয়া ফোন উৎপাদনের জন্য কারখানা স্থাপন করছে।

জানা গেছে, নকিয়া ফোনের কারখানা নির্মাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইউনিয়ন গ্রুপ পর্যায়ক্রমে ৪ কোটি ডলার বা ৩৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ইতিমধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির পাঁচ একর জমিতে কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে চলছে নকিয়া ফোনের কিছু মডেলের উৎপাদন।

শিগগিরই আরও কয়েকটি মডেলের উৎপাদন শুরু হবে। এ জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন থেকে অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার ও বাংলাদেশের ইউনিয়ন গ্রুপের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার (বিডি) লিমিটেড। বিটিআরসি গত মার্চে তিন বছরের জন্য নকিয়া ফোন উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে।

এক দশক আগে ২০১০ সালেও স্মার্টফোনের দুনিয়ায় শীর্ষে ছিল ফিনল্যান্ডের নকিয়া। ২০১০ সালে বিশ্বে যত স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল, তার ৩৩ দশমিক ১ শতাংশই ছিল নকিয়ার।

ইউনিয়ন গ্রুপ জানিয়েছে, এই কারখানায় রয়েছে মোট ছয়টি প্রডাকশন লাইন। এর মধ্যে চারটি সংযোজন ও দুটি লাইন প্যাকেজিংয়ের। কারখানাটিতে কাজ করছেন ২০০ কর্মী। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কারখানায় মুঠোফোন সংযোজনের কাজ শুরু হয়। আপাতত নকিয়ার ৩.৪ মডেলের স্মার্টফোন তৈরি করা হচ্ছে। এই মডেলের ১০ থেকে ১২ হাজার ইউনিট মুঠোফোন বাজারে ছাড়া হয়েছে। এতে ভালো সাড়াও মিলেছে। কারখানায় এখন জি-১০ ও জি-২০ মডেলের স্মার্টফোন উৎপাদিত হচ্ছে। দৈনিক তৈরি হচ্ছে ৩০০-৫০০ ইউনিট মুঠোফোন।

এক দশক আগে ২০১০ সালেও স্মার্টফোনের দুনিয়ায় শীর্ষে ছিল ফিনল্যান্ডের নকিয়া। ২০১০ সালে বিশ্বে যত স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল, তার ৩৩ দশমিক ১ শতাংশই ছিল নকিয়ার। ওই বছরে নকিয়া যেখানে ১০ কোটি ইউনিট ফোন বিক্রি করেছিল, সেখানে অ্যাপলের ৪ কোটি ৭৫ লাখ আর স্যামসাংয়ের মাত্র ২ কোটি ৩০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার হস্থান্তরের ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইটি শিল্প খাতের কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের দুইজন উদ্দ্যোক্তা ও পরিচালক শেয়ার হস্থান্তরের ঘোষণা দিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

কোম্পানিটির পরিচালক চৌধুরী ফজলে ইমাম ২৫ লাখ শেয়ার উনার স্ত্রী নিলুফার ইমামের কাছে হস্থান্তর করবে। কোম্পানিটির এই পরিচালকের নিকট মোট ১,৪৭,৮৫,৮৩৫টি শেয়ার রয়েছে।

আর কোম্পানিটির উদ্দ্যোক্তা গুপা সাহা ৩ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার উনার মাতা দেবী রানী সাহার কাছে হস্থান্তর করবে। কোম্পানিটির এই উদ্দ্যোক্তার নিকট মোট ১৮ লাখ ৭২ হাজার শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইর অনুমতি সাপেক্ষে উপহার স্বরুপ এসব শেয়ার আগামী ৩০ দিনের মধ্যে হস্তান্তর সম্পন্ন করা হবে বলে ডিএসই সূত্রে জানা যায়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এজিএমের দিন পরিবর্তন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন পরিবর্তন করা হযেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ২১তম এজিএমটি আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। পরিচালনা বোর্ডের সভায় এই এজিএমটির অনিবার্যকারণ বশত দিন পরিবর্তন করা হয়। এজিএম অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে এই এজিএম তারিখ নির্ধারণ করা হয় গত ২৩ ডিসেম্বর । তবে এজিএম সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো ; ২য় ওয়ান ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১১৭ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ২৭ লাখ টাকার।

৪৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে-আইএফআইসি ব্যাংকের ৩৭ কোটি ৪৪ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিসের ৩৫ কোটি ৫৬ লাখ, ফার্ষ্ট সিকিউরিটিজ ব্যাংকের ২৭ কোটি ৫৫ লাখ, ফরচুন সুজের ২৬ কোটি ৭৭ লাখ, এনআরবিসি ব্যাংকের ২১ কোটি ৩৬ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ও ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস