সংসদে মহাসড়কে টোল আদায়ে বিল পাস

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায়ে সড়ক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বিল ‘মহাসড়ক বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদে বিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

শনিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠান এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার। গত ৪ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

১৯২৫ সালের হাইওয়ে অ্যাক্ট রহিত করে মহাসড়ক, নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং অবাধ, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ যান চলাচলের জন্য বিলটি পাসের কথা জানানো হয়েছে সংসদে। বিলের বিধানে উল্লেখ করা হয়েছে, এই আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।

বিলে বলা হয়েছে, আইনের অধীনে গেজেট প্রকাশ করে সরকার বলে দেবে কোন সড়ক বা মহাসড়কে কে প্রবেশ করবে, কে করবে না। কোনটা মহাসড়কের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পরিচালনা কেমন হবে। কোনগুলোর টোল নেওয়া হবে।

বিলে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব থেকে মহাসড়কের সম্ভাব্য ক্ষতি হ্রাসের জন্য মহাসড়ক নেটওয়ার্কের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সংসদে অর্থপাচারকারীদের তালিকা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সংসদে বিরোধীদলের এমপিদের কাছে দেশের টাকা বিদেশে পাচারকারীদের তালিকা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তালিকা দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শনিবার ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১ এর ওপর সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলের সদস্যরা বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ করেন।

তাদের অভিযোগের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, একটা দেশের অর্থনীতির মূল বিষয় হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। সবাই বলছে, আমরা অর্থনীতিতে ভালো করছি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের অর্থনীতিতে এগিয়ে আছি। যদি কেউ বলতে পারেন পিছিয়ে আছি, তবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এর দায় নেবো। আমরা অর্থনীতির একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি। আমাদের অর্জনগুলো বাদ দিলে আমরা এগুলো কীভাবে করতে পারলাম। কারা টাকা পাচার করছে তালিকা দিলে ব্যবস্থা নেবো। আপনারা পাচারকারীদের তালিকা দিন। অর্থপাচার আমি করি না, আপনারা তো করেন না। কারা পাচার করছে তালিকা না দিলে জানবো কীভাবে?

তিনি বলেন, আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল শতকরা ২৬ ভাগ। এখন গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে শতকরা ৭১ ভাগ হয়েছে। আমাদের এই সরকার যখন ২০০৮ সালে দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমানতের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। এখন সেই পরিমাণ সাড়ে ৬ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ১৪শ’ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ নিয়ে কথা হয়েছে, খেলাপি ঋণ আমাদের দেশ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে এখন সবচেয়ে কম। আমাদের আগের সরকার যখন দায়িত্বে ছিল, ২০০৬ সালে খেলাপি ঋণ ছিল ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। আমাদের বিদ্যমান খেলাপি ঋণের পরিমাণ সেপ্টেম্বর ২০২১ কোয়ার্টারে ১ লাখ ১ হজার ১৫০ কোটি টাকা, এটা ৮ দশমিক ১২ শতাংশ, সবচেয়ে নিচে আছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা ব্যাংক এখন লাভে আছে। লাভ বাড়ার কারণে করপোরেট ট্যাক্স যেখানে ২০০৬-২০০৭ সালে আমরা পেয়েছিলাম ২ হাজার ১৫ কোটি টাকা, এখন আমাদের করপোরেট টাক্স আসে শুধু ব্যাংকিং খাত থেকে আট হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতে যারা অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি। ই-কমার্সের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। আমরা যখনই জানতে পারি তখনই মামলা করি। চলমান মামলার সংখ্যা দুই লাখ ৪৩ হাজার ৫১৮টি। এই মামলা আগে আরও অনেক বেশি ছিল, এখন সেটা কমানো হয়েছে। আমি মনে করি যে, আপনারা যা বলছেন, যদি ব্যবস্থা নেওয়ার মতো হয় আমরা ব্যবস্থা নেবো, আমি তো নিশ্চুপ থাকবো না। আপনারা আমাদের সাহায্য করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

 

সেপ্টেম্বর মাসে ৬৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কোরবানির ঈদের পরের মাস আগস্টে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ছন্দঃপতন ঘটলেও সেপ্টেম্বর মাসে লেনদেন বেড়েছে। এ মাসে দৈনিক দুই হাজার ১৭১ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৬৫ হাজার ১৪১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ১৭১ কোটি টাকা, যা একক মাস ও দৈনিক লেনদেনে এ যাবৎকালে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আগের মাস আগস্টে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয় ৬২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। ওই মাসে দৈনিক লেনদেন হয় দুই হাজার সাত কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় গত মে মাসে। ওই মাসে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। আর দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। আর গত জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বর্তমানে ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা করছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার ২৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ গ্রাহক পাঁচ কোটি ৮১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯ জন। আর নারী গ্রাহক চার কোটি ৮০ লাখ ২৪ হাজার ৬৩০ জন। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৪২ হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে শহরে এজেন্ট ছয় লাখ ৩০ হাজার ৯৩২ জন। আর গ্রামের এজেন্ট পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৩১৩ জন।

শুধু অর্থ পাঠানোই নয়, অনেক নতুন নতুন সেবাও মিলছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান ও বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ (রেমিট্যান্স) বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় টাকা জমা পড়ে (ক্যাশ ইন) ১৯ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। আর ১৬ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়। এ মাসে কেনাকাটার বিল পরিশোধ হয় দুই হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে ব্যক্তির হিসাব থেকে আরেক ব্যক্তির হিসাবে ১৯ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা পাঠানো হয়। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে কর্মীদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয় দুই হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ হয় এক হাজার ৩৩১ কোটি টাকার। আর মোবাইলে টকটাইম কেনা হয় ৬৫১ কোটি টাকার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের আয় বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও প্রণোদনা শিল্প খাতের কোম্পানি দ্যা পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেডের চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ডের সভায় এ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর-২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩১ টাকা। গত বছরের এই প্রান্তিকে আয় ছিল ০.২৭ টাকা।

এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০.৫৯ টাকা। যা চলতি বছরের ৩০ জুন ছিল ৩০.২৮ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ০.৫৭ পয়েন্ট

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ০.৫৭ পয়েন্ট কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.৭৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৮.১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৫৭ পয়েন্ট বা ৩.০৪ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১.৬৫ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৬.৪৪ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৩.৯৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭.৩১ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৩.৪২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২১.৫৩ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ১৪.৫৫ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৬৫.১৫ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৩০ শতাংশ, চামড়া খাতের ৪১.৮৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৫৮.২৬ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৯৭.৪৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ঋণাত্বক ১৩০৬.০৭ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫১.৬৮ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.১৩ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২২.২৯ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৯৪.১৫ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ঋণাত্বক ৩২.৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এখন থেকে সনি’র পণ্য বেচবে স্মার্ট টেকনোলজি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এখন থেকে বাংলাদেশে জাপানের বহুজাতিক প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সনি’র ইলেকট্রনিক্স পণ্য এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিষেবা বিক্রি করবে দেশের আইসিটি খাতের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলোজি (বিডি) লিঃ।

শুক্রবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়। এসময় স্মার্ট টেকনোলোজি (বিডি) লিঃ-কে বাংলাদেশে সনি’র নতুন অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর (প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশক) ঘোষণা করেন সনি কর্পোরেশন দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট আতসুশি এন্দো।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার।

স্মার্ট টেকনোলজিকে নতুন প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশক ঘোষণা দিয়ে সনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট আতসুশি এন্দো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বহুজাতিক ব্র্যান্ডের হয়ে বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজি (বিডি) লিঃ, এখন থেকে বাংলাদেশে সনি’র কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্সের নেতৃত্ব দেবে। আমি বিশ্বাস করি স্মার্ট টেকনোলোজি-এর মাধ্যমে সনি বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।

স্মার্ট টেকনোলোজি (বিডি) লিঃ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা বাংলাদেশে আইসিটি পণ্য বাজারজাত করে আসছি। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬০ থেকে ৬৫টি ব্র্যান্ডের আইসিটি পণ্য আমরা বাজারজাত করছি। এক্ষেত্রে আমরা সবসময় আমাদের অংশীদারদের জন্য সিংহভাগ বাজার নিশ্চিত করতে চাই। সনি আমাদের এই পথচলায় একটি নতুন পালক।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার বলেন, আমি নিজে স্মার্ট টেকনোলোজি (বিডি) লিঃ-এর একজন লাইফটাইম কাস্টমার। বর্তমানে অনেক ক্রেতারা নকল এবং নিম্নমানের সনি পণ্য কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি নকল সনি এবং অবৈধ সকল সনি সাইনবোর্ড অপসারণ ও প্রচারণা বন্ধের জন্য। এখন থেকে জেনুইন সনি টেলিভিশন আমাদের দেশের গর্ব স্মার্ট টেকনোলোজি (বিডি) লিঃ-এর মাধ্যমে সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে আইসিটি খাতের অগ্রযাত্রায় পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজার তৈরি এবং গ্রাহকসেবা নিশ্চিতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে স্মার্ট টেকনোলজি। তাই সনি এই প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমি মনে করি। এসময় সনিকে বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপনের আহ্বানও জানান মোস্তাফা জব্বার। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেধাস্বত্ত্ব আইন বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানান, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় মেধাস্বত্ত্ব আইন চূড়ান্ত করতে সব প্রস্তুতি শেষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই আইন অনুমোদন পাবে বলেও জানান তিনি।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আরও জানান, “বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত এবং কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটিং এবং পরিষেবাগুলিকে আপগ্রেড করার জন্য জাপানের বৃহত্তর প্রযুক্তি কোম্পানি – সনি এবং বাংলাদেশের আইসিটি মার্কেট লিডার – স্মার্ট টেকনোলোজি (বিডি) লিঃ -এর এই যৌথ ব্যবসায়ীক পার্টনারশীপ বা বন্ধন একটি সঠিক এবং যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত; আমি বিশ্বাস করি, জাপানি উদ্যোক্তারা এদেশে আসছে, স্মার্ট টেকনোলোজি (বিডি) লিঃ -এর সেবার উপর বিশ্বাস করে, আস্থা রাখে এবং বিপণন ও প্রতিশ্রুতিতে নির্ভর করে। স্মার্ট টেকনোলোজি (বিডি) লিঃ আরও এগিয়ে যাবে, সনি কর্পোরেশন, স্মার্ট টেকনোলোজি (বিডি) লিঃ -কে আরও গতিশীল করবে, দেশে সনি’র ম্যানুফেক্চারিং প্লান্ট স্থাপন করে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, সারা বিশ্বে আমাদের গর্বের দেশ হবে বাংলাদেশ।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি’র সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ-উল মনির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় ওয়ান ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৫১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫০০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার।

৩০৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে-ফার্ষ্ট সিকিউনিটিজ ব্যাংকের ২৬৮ কোটি ৬৮ লাখ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১৭৭ কোটি ৮০ লাখ, এনআরবিসি ব্যাংকের ১৭৭ কোটি ১৭ লাখ, ফুরচুন সুজের ১৬৬ কোটি ৯৪ লাখ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫৭ কোটি ১২ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিসের ১৩২ কোটি ২১ লাখ, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ১২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৫ দিনে বাজার মূলধন কমেছে ১৫ হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ১৫ কোটি টাকা বেকমেছে। এসময় সেখানে সূচকগুলোও কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৩০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৬ হাজার ৯৯২ কোটি ৬১ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৯.৮২ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ১ হাজার ৯৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ৯.৮২ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩৯.৭৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৮৫২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৯২.০৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২৬০২ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৩৭.৯৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৪২ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ৩১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ১৪,৯৮১ কোটি টাকা বা ২.৬৭ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস