মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে জন প্রতি খরচ লাখ টাকারও কম

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে এক লাখ টাকারও কম খরচ হবে বলে আশা করছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। আগামী মাস থেকেই কর্মী যাওয়া শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

মালয়েশিয়া সফর শেষে ঢাকায় ফিরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এই আশার কথা জানান। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে ইমরান আহমদ বলেন, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশি কর্মীর যাওয়া-আসার টিকিটসহ মালয়েশিয়া প্রান্তের খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। এখানে কর্মীর খরচ বলতে পাসপোর্ট তৈরি, বিএমইটি ফি, কল্যাণ বোর্ডের সদস্য ফি, মেডিক্যাল ফি ও রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ।

মন্ত্রী বলেন, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ডাটাবেইস থেকেই কর্মী পাঠানো হবে। আগের মতো কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না। সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিই কর্মী পাঠাতে পারবে। মালয়েশিয়া যেতে দালালদের টাকা না দিতেও তিনি অনুরোধ জানান।

কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, আগে সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় এক লাখ ৬০ হাজার বা এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা যা-ই থাকুক না কেন, এখন তা থেকে অনেক কমে আসবে। দুই দেশের এজেন্সি যৌথভাবে কাজ করবে। ব্যয়ের বেশির ভাগ খরচই নিয়োগকর্তা বহন করবেন।

ইমরান আহমদ বলেন, ‘আগে বিমানভাড়া আমাদের কর্মীরা দিতেন, যার কারণে ওই ব্যয় ছিল। এবার আশা করি, খরচ অনেক অনেক কমে যাবে। আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সির চার্জ যা-ই হোক, সেটা আমাদের কর্মীদের ওপর পড়বে। মালয়েশিয়ার অংশেরটা নিয়োগকর্তা দেবেন। সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা নেই।’

মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া প্রান্তের খরচের মধ্যে আছে রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উড়োজাহাজভাড়া, আবাসন ও কর্মে নিয়োগ। নতুন চুক্তি অনুযায়ী কর্মীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচও নিয়োগকর্তা বহন করবেন। নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন।

মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইনস্যুরেন্সসংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিনসংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বীমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবেন।

ইমরান আহমদ বলেন, তিন বছর আগে সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই সিন্ডিকেট থাকছে না। আর কর্মী পাঠাতে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট কিংবা গ্রুপিং করার সুযোগ থাকবে না।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা মূল লক্ষ্য। যাঁদের বৈধ রিক্রুটমেন্ট লাইসেন্স আছে শুধু তাঁরাই কর্মী পাঠাতে পারবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ফারইস্ট লাইফের সিইওকে অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিষিদ্ধ

ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উল্লাহ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উল্লাহকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বীমা উন্নয়ন ও কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

বীমা কোম্পানিগুলোর উদ্দেশে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সংস্থাটি। প্রজ্ঞাপনটি সব লাইফ ও নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স বিগত কয়েক বছরে ব্যাপক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, আর্থিক অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়েছে। হেমায়েত উল্লাহ ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফারইস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোম্পানিটিতে এ সময় তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, তিনি বীমা আইন, ২০১০ ও বীমা আইনের বিভিন্ন বিধিবিধান অনুযায়ী কোম্পানি পরিচালনা করার জন্য দায়ী থাকবেন। তার নিয়োগপত্রে সুস্পষ্টভাবে এ বিষয়ে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু তার দায়িত্বকালীন সময়ে কোম্পানিতে ব্যাপক অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসব নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে, যার জন্য তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী। হেমায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগ দখলে রেখে এবং মিথ্যা তথ্যসংবলিত সম্পদ বিবরণী দাখিলের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে। তার বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার পাচ্ছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার-২০২০’ দেওয়া হবে। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম মিলনায়তনে তার হাতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার-২০২০’ তুলে দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন গভর্নর ফজলে কবির। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অধ্যাপক মাহমুদ ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে অর্থনীতিতে বিএ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ইসলামাবাদের কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে রেকর্ড নম্বর প্রাপ্ত হয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ ও ১৯৬৫ সালে ড. মাহমুদ রেকর্ড নম্বর প্রাপ্ত হয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।

ড. মাহমুদ ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন; ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান এবং ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের সিনিয়র কান্ট্রি উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।

এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ এই সম্মাননা দিয়েছে। সেবার মৌলিক অর্থনীতি বিষয়ে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার-২০১৭’ যৌথভাবে দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইডের ইমেরিটাস অধ্যাপক আজিজুর রহমান খান এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ব্র্যাকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেনকে (মরণোত্তর)।

২০০০ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার পান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। এরপর ২০০৯ সালে অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, ২০১১ সালে অধ্যাপক মুশাররফ হোসেন, ২০১৩ সালে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ (মরণোত্তর) ও স্বদেশ রঞ্জন বোসকে (মরণোত্তর) বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার দেওয়া হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৩ জানুয়ারি থেকে ধর্মঘট ডেকেছে ট্যাংকলরির মালিকরা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে খুলনা বিভাগসহ সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্যাংকলরি ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও ট্যাংকলরির ভাড়া বাড়েনি। অথচ বাস ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রে সভা করে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্যাংকলরিতে জ্বালানি পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে খুলনা বিভাগীয় কমিটি একাত্মতা প্রকাশ করে সভা করা হয়েছে।

খুলনা বিভাগীয় সভায় বলা হয়েছে, ৪ নভেম্বর জ্বালানি তেল ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। অথচ তেলের মূল্য বৃদ্ধির অনেক আগে থেকেই ট্যাংকলরির চেসিস, ট্যাংকার, আয়কর বৃদ্ধি (৮ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা) খুচরা যন্ত্রাংশসহ ড্রাইভারের বেতন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্যাংকলরিতে বিনিয়োগ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন থেকেই ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্টদের বারবার পত্র দেওয়া হলেও ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি।

সভায় আরও বলা হয়, গত ৪ নভেম্বর তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্যাংকলরি পরিবহনে জ্বালানি খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের কয়েকটি পত্র দেওয়া হয়েছে। তেলের মূল্য বৃদ্ধির দুই দিন পরেই বাস ভাড়া বৃদ্ধি করা হলেও ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। কৃষি ও পাওয়ার স্টেশনকে সচল রাখতে এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে লোকসান দিয়ে ট্যাংকলরি পরিবহন কার্যাদি সচল রাখা হয়েছে।

বর্তমানে লোকসানের মাত্রা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সংশ্লিষ্টদের ট্যাংকলরির প্রতি অবহেলা বা বিমাতাসূলভ আচরণে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্যাংকলরিতে জ্বালানি পরিবহন বন্ধ থাকবে, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সভার মাধ্যমে খুলনা বিভাগীয় কমিটি কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে এবং খুলনা বিভাগসহ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় সর্বাত্মক ৩ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্যাংকলরিতে জ্বালানি পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম মাহ্বুব আলম, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোড়ল আব্দুস সোবহান, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, শেখ মিরাউল ইসলাম, আব্দুল মান্নান খান, শেখ জামিরুল ইসলাম, কাজী রফিকুল ইসলাম নান্টু, শেখ জাহাঙ্গীর, কামাল হোসেন প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

শেয়ারবাজারে আনতে ৮৫ শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে বসছে ডিএসই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানি আনতে দেশের ৮৫টি শিল্পগোষ্ঠীর শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে স্কয়ার গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, প্রাণ আরএফএল গ্রুপ, টি কে গ্রুপ, পারটেক্স গ্রুপ, ট্রান্সকম গ্রুপ, ইনসেপটা, ডিবিএল গ্রুপ, আনোয়ার গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, উত্তরা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপসহ প্রায় ৮৫ শিল্পগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মূলত শেয়ারবাজারে ভালো মানের কোম্পানির সরবরাহ বাড়াতেই শিল্পোদ্যোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

ডিএসই সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৈঠকে শেয়ারবাজারে কোম্পানি তালিকাভুক্তি নিয়ে উদ্যোক্তাদের আগ্রহের বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে কি না তাও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে জানতে চাইবে ডিএসই। এমনকি নতুন নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে উদ্যোক্তারা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা চান সে বিষয়েও মতামত নেওয়া হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের এতগুলো শিল্পগোষ্ঠীকে নিয়ে এই ধরনের বৈঠক আর হয়নি। তাই শেয়ারবাজারের পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠককে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বিজ্ঞাপন

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিকুঞ্জে অবস্থিত ডিএসই ভবনে এই বৈঠকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্য ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

জানা গেছে, ঢাকার এই বৈঠকের পর চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এ ধরনের বৈঠকের পরিকল্পনা করছে ডিএসই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৭ দিনের মধ্যে ই-কমার্স মামলার তথ্য চেয়েছে কমিটি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সব মামলার তথ্য আগামী সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জানাতে পুলিশ সদর দপ্তরকে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সমন্বয়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ই-কমার্স নিয়ে সরকার গঠিত কারিগরি কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ই-কমার্সে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে পড়া গ্রাহকের টাকা ছাড় করতে পুলিশের কাছে এ সংক্রান্ত মামলার তথ্য চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই সেসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের বকেয়া অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ফেরত দেয়া হবে। এ কারণেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সব মামলার তথ্য আগামী সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জানাতে পুলিশ সদর দপ্তরকে বলা হয়েছে।

সেই তথ্যের ভিত্তিতে পেমেন্ট গেটওয়েগুলোকে গ্রাহকদের টাকা ফেরতের নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংক দেবে বলেও জানান তিনি।

বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে পেমেন্ট গেটওয়েগুলোতে গ্রাহকদের প্রায় ২০০ কোটি টাকার মতো আটকে আছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানি করবে সিটি ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিটি ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ড সিঙ্গাপুরে একটি নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য কোম্পানিটি মেজর পেইমেন্ট ইনস্টিটিউশনের লাইসেন্স নিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সিঙ্গাপুর কতৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে পারবে। সিটি ব্যাংক ২ মিলিয়ন ইনজেক্ট করবে।

নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটির প্রাথমিক ফোকাস থাকবে বাংলাদেশের বাউন্ড রেমিটেন্সের ওপর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

লভ্যাংশ কম দেওয়ায় ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ফার কেমিক্যালস

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রসায়ন ও ঔষুধ খাতের কোম্পানি ফার কেমিক্যালস লিমিটেড লভ্যাংশ কম দেওয়ায় ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামানো হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামীকাল ২২ ডিসেম্বর থেকে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে উভয় শেয়ারবাজারে।

জানা গেছে, ফার কেমিক্যালস লিমিটেড গত অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

এর আগে কোম্পানিটি লেনদেন এ ক্যাটাগতি লেনদেন হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় ওয়ান ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১০২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার।

১৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইষ্টার্ণ লূব্রিকেন্টস লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইএফআইসি ব্যাংকের ১৩ কোটি ৯৭ লাখ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ১৩ কোটি ৩৪ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ১১ কোটি ৬৭লাখ, বেক্স ফার্মার ১১ কোটি ২৯ লাখ, সোনালী পেপার মিলসের ১০ কোটি ৭০ লাখ, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের ১০ কোটি ৬৪ লাখ ও ফার্মা এইডস লিমিটেডের ৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. ওয়ান ব্যাংক
  3. ইষ্টার্ণ লূব্রিকেন্টস
  4. আইএফআইসি ব্যাংক
  5. জিএসপি ফাইন্যান্স
  6. সাইফ পাওয়ারটেক
  7. বেক্স ফার্মা
  8. সোনালী পেপার মিলস
  9. সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স
  10. ফার্মা এইডস লিমিটেড।