পণ্য রফতানিতে রেকর্ড: প্রবৃদ্ধি ৪৮ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে দ্বিগুণ গতিতে ছুটতে শুরু করেছে দেশের রফতানি খাত। সদ্যসমাপ্ত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ৪৯০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। তাতে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় পণ্য রফতানিতে ৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এ আয় ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে একক মাস হিসাবে ডিসেম্বরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে প্রবৃদ্ধিও হয়েছে। অক্টোবর মাসে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার সমমূল্যের পণ্য রফতানি হয়েছে। একক মাসে এত বেশি রফতানি আয় আর কখনও দেশে আসেনি, যা একক মাসে রেকর্ড আয়। এর আগে গত অক্টোবরে ৪৭২ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। রোববার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ইপিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কেটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৪৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। এ ছাড়া গত বছরের একই সময়ে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯২৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ ছাড়া একক মাস ডিসেম্বরে মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে প্রবৃদ্ধিও হয়েছে। এ মাসে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৯১ কোটি ২০ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ ছাড়া গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৩৩০ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশ।

ইপিবি সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৭ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ দশমিক ০২ শতাংশ। পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২১ দশমিক ২ শতাংশ।

মোট রফতানি আয়ের মধ্যে ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাক থেকে এসেছে ১ হাজার ১৬৬ কোটি ১৬ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩১ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে বেশি এসেছে ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ৮৭৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৪৭০ কোটি টাকা সরিয়েছে ধামাকা : বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকমের শীর্ষ কর্মকর্তা ও তাদের স্বজনরা মিলে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের ৪৭০ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জসিম উদ্দিন চিশতি একাই নিয়ে গেছেন ১২৯ কোটি টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে করা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত ২৭ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পরিদর্শন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধামাকা শপিংয়ের কাছে গ্রাহকদের ৩০৩ কোটি ও মার্চেন্টদের ১৬৭ কোটি টাকা মিলিয়ে মোট পাওনা ৪৭০ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ধামাকা শপিংয়ে পণ্য অর্ডার করে গ্রাহকদের অগ্রিম পরিশোধ করা অর্থ থেকে ৮৪ কোটি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন চিশতি।

এছাড়া গ্রাহকদের পরিশোধিত টাকা থেকে নিজের মালিকানাধীন অন্যান্য কোম্পানিকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া ছাড়াও সফটওয়্যার কেনার নামে আরো ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন চিশতি।

এসব কাজে ধামাকা শপিংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. সিরাজুল ইসলাম ও তার আপন ভাই মো. সেলিম হোসেনসহ আরো অনেকেই সম্পৃক্ত বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, পণ্যের পরিবর্তে অর্থ হস্তান্তরকারী অসাধু বিক্রেতা ও সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের আইনি প্রক্রিয়ায় আনা গেলে প্রকৃত তথ্য জানা সহজ হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পরিদর্শনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটি গ্রাহকদের কাছ থেকে ৭৩৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। আর বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরবরাহ করেছে ৫৫৭ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ধামাকা শপিংয়ের ব্যাবসায়িক কার্যক্রম এখন পুরোপুরি বন্ধ। কোম্পানিটির রেজিস্টার্ড গ্রাহক ছিল দুই লাখের বেশি। প্রায় ১১ হাজার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান কম্পানিটিতে পণ্য সরবরাহ করেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বরে এক গ্রাহকের দায়ের করা প্রতারণা মামলায় ধামাকা শপিংয়ের সিওও সিরাজুল ইসলাম রানাসহ তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এমডি জসিম উদ্দিন বিদেশে পালিয়ে গেছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘কিছুসংখ্যক গ্রাহক দফায় দফায় বিক্রেতা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে নগদ ও চেকের মাধ্যমে অর্থ পেয়েছেন। যারা প্রাথমিকভাবে ধামাকা শপিংয়ের দেওয়া ডিসকাউন্ট সুবিধা ভোগ করেছেন। এই সুবিধাভোগীদের সঙ্গে ধামাকা শপিং বা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আরো অধিকতর তদন্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ’

এই সুবিধাভোগী গ্রাহকদের একজন সেলিম হোসেনের বিষয়ে অনুসন্ধান করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, তিনি ধামাকা শপিংয়ের সিওও সিরাজুল ইসলামের আপন ভাই। ধামাকা শপিং মূলত ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের ই-কমার্স ব্যবসা। আর ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম মাইক্রোট্রেড গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। এ গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ইনভেরিয়েন্ট টেকনোলজিস, মাইক্রোট্রেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও মাইক্রোট্রেড আইসিএক্স লি.।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

১২ বছরে অর্জন রূপকথার গল্পের মতোই : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের অর্থনীতির আকার আগামী অর্থবছরের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, অর্থনীতির আয়তন ১০০ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করতে স্বাধীনতার প্রথম ৩৮টি বছর সময় লেগেছিল। তার বিপরীতে সেখানে মাত্র ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা ও তার সঠিক বাস্তবায়নের ফলে আমাদের অর্থনীতির আকার চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১১ বিলিয়ন ডলারে স্পর্শ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী অর্থবছরেই তা ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।

রবিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্য, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই মাইলফলক স্পর্শ করা সম্ভব হয়েছে। অর্থনীতির সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, গত ১২ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্জন রূপকথার গল্পের মতোই। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এমনকি, করোনার সময় যখন সারাবিশ্বের অর্থনীতি ৩.১ শতাংশ সংকোচিত হয়েছে, সেই সময়ও বাংলাদেশের অর্থনীতির সকল সূচক ছিল উর্ধমুখী।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গত ১২ বছরে আমাদের দারিদ্র্যের হার অর্ধেক হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার হার ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত এক যুগে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান আমরা সৃষ্টি করেছি। এ সময় আমাদের মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০৫৪ ডলার অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, আমাদের রেমিটেন্স আয় ৪.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছে। পণ্য সেবা রফতানি তিনগুণ বেড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতি হয়েছে। তিনি আশা রেখে বলেন, আগামী অর্থবছরে দেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬.১ বিলিয়ন ডলার থেকে সাতগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৪৭ বিলিয়ন ডলার।

আমাদের প্রত্যাশা, চলতি অর্থবছরে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার বেড়েছে। কোভিডের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা ভাল নয়, তারপরও বাংলাদেশ ভাল করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধামুক্ত উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করা হবে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

নেপাল ব্যাংকের সব শেয়ার বিক্রি করবে আইএফআইসি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড নেপাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, আইএফআইসি ব্যাংকের হাতে নেপালের এই ব্যাংকটির সব শেয়ার বিক্রি করবে।

এসব শেয়ার বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে ব্যাংকটি। শেয়ার বিক্রির জন্য ক্রেতাদের সাথে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত করেছে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

সোনালী পেপারের ৯ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কাগজ ও প্রকাশনা খাতের কোম্পানি সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের এক পরিচালক ৯ লাখ শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, মো: জাবেদ নোমান নামে এই পরিচালক কোম্পানিটির এসব বোনাস শেয়ার বিক্রয় করবেন। এই পরিচালকের হাতে কোম্পানিটির মোট ৯৬ লাখ ৭১ হাজার ৬১৯টি শেয়ার রয়েছে।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে এই পরিচালক উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার পাবলিক মার্কেটে বিক্রয় করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় বাংলাদেশ শিপিং

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৯৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার।

৪৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফরচুন সুজ লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইএফআইসি ব্যাংকের ৩০ কোটি ১৪ লাখ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ২৮ কোটি ২২ লাখ, সোনালী পেপার মিলসের ২৫ কোটি ৪৭ লাখ, ওয়ান ব্যাংকের ১৯ কোটি ৯৬ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিসের ১৮ কোটি ৮৫ লাখ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৭ কোটি ২৯ লাখ ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেডের ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  3. ফরচুন সুজ
  4. আইএফআইসি ব্যাংক
  5. জিএসপি ফাইন্যান্স
  6. সোনালী পেপার মিলস
  7. ওয়ান ব্যাংক
  8. জেনেক্স ইনফোসিস
  9. ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  10. পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেড।

সূচকের বড় উত্থানে ২০২২’র শুরু

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

২০২২ সালের প্রথম দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সব গুলো সূচকই বেড়েছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে কমেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৬.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬৮৫৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১৪.২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪৪৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৮.০৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২৫৬০ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৯৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৯৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৬৪টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ২০টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ফরচুন সুজ, আইএফআইসি ব্যাংক, জিএসপি ফাইন্যান্স, সোনালী পেপার মিলস, ওয়ান ব্যাংক, জেনেক্স ইনফোসিস, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৩৮৮.৪২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৫৪ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০৭টির, কমেছে ৪১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আর এন স্পিনিংয়ের মার্জারের সিদ্ধান্ত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আর এন স্পিনিং মিলস লিমিটেড অন্য একটি কোম্পানির সাথে মার্জার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।

কোম্পানিটি শামীন ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ ও টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের সাথে এই মার্জার করবে। বিষয়টি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।

মহামান্য হাইকোর্ট ও নিয়ন্ক্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরুটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন স্বাপেক্ষে এই মার্জার করতে হবে।

শামীন ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ ও টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড গাজীপুর জেলার ভবানীপুরে অবস্থিত। এই কারখানাটি ২০১৮-১৯ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৪.৩৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে কেডিএস এক্সেসরিজ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি কেডিএস এক্সেসরিজ লিমিটেড কারখানার সংস্কার ও নতুন মেশিন ক্রয়ে ৪.৩৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।

কোম্পানিটি কারখনার পুরাতন মেশিন সরিয়ে নতুন মেশিনাদি স্থাপন করবে। এজন্য ব্যয় করবে ১ কোটি ৬০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। আর ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে টিউনিং মেশিন, সেন্ট্রি ফিউগল মেশিন ও ওয়াটার পলিউশন মেশিন ক্রয় করবে।

এছাড়া কোম্পানিটি ইলেস্ট্রিক ও ন্যারো ফেব্রিকস ইউনিটের জন্য ২০ সেট ব্রাইডিং মেশিন কিনবে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮ লাখ টাকা।

এই বিনিয়োগের ফলে কোম্পানিটির কারখনার উৎপাদন বাড়বে। এতে প্রতি বছর টার্ণওভার ১০ কোটি টাকা বাড়বে বলে দাবি করছে পরিচালনা বোর্ড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/