ভোজ্যতেলের বর্তমান দামই থাকবে : টিপু মুনশি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোজ্যতেলের বর্তমান দামই থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ বুধবার সকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগামী ৬ তারিখ, মানে ১৬ দিন পর বসে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বাড়াব। কমানোর প্রয়োজন হলে কমাব। সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সুবিধাজনক হয়, সেটিই করব।’

‘ভারতের শুল্ক কাঠামো আমাদের চেয়ে কম’ উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমাদের যেখানে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ, তাদের সেখানে ৫ শতাংশ। এসব বিবেচনা করে আমাদের দেখতে হবে। এ জন্য আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি একটু সময় দিতে।’

আপাতত ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে না বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা নিজেরা নিজেরা কিছু দাম বাড়িয়েছিলেন আমাদের না জানিয়ে। সেটাও তাঁরা বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।’

টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘আলোচনায় তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বলেছি, এখন তেলের যে দাম আছে, তার থেকে কিছুটা হলেও কমাতে চেষ্টা করুন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সামনে রোজার ঈদও আছে। সে জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি তাঁরা যেন স্বাভাবিকভাবে ঋণপত্র খোলেন।’

বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

২০২১ সালে দেশে ৯৬.৫০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে করোনাকালেও ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে রেকর্ড ৯৬ দশমিক ৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের পক্ষ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

যা গত বছরের (২০২০) চেয়ে ১০ দশমিক ১১১ মিলিয়ন কেজি বেশি। এ বছর (২০২১) চায়ের উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি শুধুমাত্র উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকেও এ বছর (২০২১) রেকর্ড পরিমাণ ১৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে; যা গত বছর (২০২০) ছিল ১০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি।

বুধবার বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সব চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।

তিনি আরও জানান, উত্তরাঞ্চলে চা চাষীদের ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে শুধুমাত্র সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে এ বছর (২০২১) গত বছরের (২০২০) তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট সূত্র জানায়, ২০২০ সালে দেশে ৮৬ দশমিক ৩৯৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। এছাড়া ২০১৯ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬ দশমিক ০৬৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এক বছরে দুই কোটি ৬১ লাখ মোবাইল উৎপাদন : মোস্তাফা জব্বার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিগত এক বছরে দেশে ১৪টি কারখানায় দুই কোটি ৬১ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন ও বাজারজাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোাগযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিটিআরসি মিলনায়তনে স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ‌্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ‌্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, মোবাইল হ‌্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। দেশীয় কারখানায় উৎপাদিত মোবাইল হ‌্যান্ডসেট এ পর্যন্ত দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৬৩ ভাগ পূরণ করছে। পাশাপাশি প্রায় ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

মোস্তাফা জব্বার জানান, সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে ২০১৮ সালের পর থেকে দেশে বিশ্বখ‌্যাত বিভিন্ন ব্রান্ডসহ ১৪টি কারখানায় হ্যান্ডসেট উৎপাদন শুরু হয়। গত এক বছরে (২০২০-২১) টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি এবং ফাইভ-জি মিলিয়ে মোট দুই কোটি ৬১ লাখ মোবাইল হ‌্যান্ডসেট উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনায় আমরা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদক হয়েছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এবার রপ্তানিকারক হতে হবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দেশের ১৪টি মোবাইল কারখানার ব‌্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল যন্ত্র আমদানিকারী দেশ থেকে বাংলাদেশকে উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশে রূপান্তরের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনাসহ যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়নের ফলে মোবাইল হ‌্যান্ডসেটসহ ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারী দেশ থেকে উৎপাদক ও রপ্তানিকারী দেশে রূপান্তর লাভ করেছে বাংলাদেশ।

গুণগত মানের সাথে কোনো প্রকার আপস না করে বিশ্বের সেরা মানের মোবাইল হ‌্যান্ডসেট উৎপাদনে বিটিআরসির ভূমিকার প্রশংসা করেন মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, বিটিআরসি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মোবাইল তৈরির জন‌্য গুণগতমান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়নি এবং ভবিষ‌্যতেও দেবে না। আমাদের সন্তানদের হাতেই বিশ্বের সেরা সেট আজ উৎপাদিত হচ্ছে। আমরা আমেরিকাতেও ফাইভ-জি সেট রপ্তানি করছি। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। আগামী দিনগুলোতে গুণগতমান অটুট রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং কারখানা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি মেনে চলার আহ্বান জানান।

তিনি ফোর জি মোবাইল হ‌্যান্ডসেট অধিক মাত্রায় উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কোভিডকালে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোবাইল হ‌্যান্ডসেট উৎপাদন ও রপ্তানি দেশের জন‌্য একটি অভাবনীয় অর্জন উল্লেখ করে বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় মোবাইল সেটের খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে।

বিটিআরসি চেয়ারম‌্যান মোবাইল শিল্প বিকাশে কারখানা মালিকদের প্রতিনিধিসহ বিটিআরসির নেতৃত্বে একটি কারিগরি কমিটি গঠণের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বিটিআরসি মোবাইল হ‌্যান্ডসেট উৎপাদনসহ এই শিল্পের বিকাশে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজে করতে বদ্ধপরিকর।

মোবাইল কারখানার প্রতিনিধিরা এনওসি ও গ্রে মার্কেটসহ কতিপয় বিষয়ে তাবি উত্থাপন করলে মন্ত্রী তাদের বিষয়টি অতি দ্রুততার সঙ্গে বিবেচনার জন‌্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

গ্যাসের দাম বাড়লে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো ব্যাহত হবে : শিল্পোদ্যোক্তরা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সম্প্রতি গ্যাসের দাম বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব জমা দেওয়া শুরু করেছে গ্যাস সঞ্চালন, উৎপাদন ও বিতরণ কম্পানিগুলো। কিন্তু দাম বাড়ানোর উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন দেশের শিল্পোদ্যোক্তরা। তাঁরা বলছেন, গ্যাসের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচও বাড়বে। যা শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দেবে। মহামারিকালীন অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো ব্যাহত হবে।

আজ বুধবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পাওয়ার, এনার্জি, ইউটিলিস বিষয়ক এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু জানান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে চীন ও ভারত আরো ২০ বছর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখবে। বাংলাদেশেও শিল্পের বিকাশের স্বার্থে দেশে মজুদ থাকা কয়লার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত সরকারের। গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তিনি বলেন, বাপেক্স একা না পারলে বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে অনুসন্ধান কূপ খননে গতি আনা উচিত।

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবুল কাশেম খান বলেন, দেশে জ্বালানি খাতে আমদানিনির্ভরতা বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ নয়। দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও শিল্পায়ন অব্যাহত রাখতে দেশীয় সম্পদকে কাজে লাগানো জরুরি। কয়লা উত্তোলন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্ষে মত দেন আবুল কাশেম খান।

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. নাসের বলেন, বিতরণ ব্যবস্থায় চরম অব্যবস্থাপনার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুফল বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।এ খাতে শৃঙ্খলা আনতে বিতরণ কম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনার ভার বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সাংবাদিক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সরকারের অন্তত আরো ১০০টি কূপ খনন করা উচিত। এ ছাড়াও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পুরোপুরি প্রস্তত না হওয়া পর্যন্ত বাইরের শিল্পকারখানাগুলোকে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দেন জ্বালানি বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’-এর সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন।

সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে ওয়ান স্টপ সলিউশন, চরের অনাবাদি জমিতে সোলার প্যালেন স্থাপন, সরকারিভাবে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া, বর্জ্য ও চালের কুড়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নেওয়ার দাবি জানান কমিটির সদস্যরা।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের এমডি ও সিইও হুমায়ুন রশিদ। তিনি বলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দেশীয় ও বিদেশি উৎসের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা না গেলে দেশের জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দীন ইউসুফ, মোহাম্মদ আলী দ্বীন, নাজমুল হক ও এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজল হক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো ; ২য় ফরচুন সুজ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের চতূর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১৭৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ফরচুন সুজ লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার।

৮৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাইফ পাওয়ারটেকের ৬৪ কোটি ৪৫ লাখ, এসিআই লিমিটেডের ৪১ কোটি ৪১ লাখ, জিপিএইচ ইস্পাতের ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ৩২ কোটি ৩৯ লাখ , ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩০ কোটি ৮ লাখ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ২৯ কোটি ৯১ লাখ ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেডের ২৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

গবেষণা ও উদ্ভাবনে একসঙ্গে কাজ করবে বুয়েট- ওয়ালটন

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করছেন বুয়েটের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (রাইজ)-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ওয়ালটন। ওয়ালটন কারখানায় বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবন (রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন) হচ্ছে। এ কার্যক্রম গতিশীল করছে শিল্পখাত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগ। এরই প্রেক্ষিতে প্রযুক্তিপণ্যের গবেষণা ও উদ্ভাবনে পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়ের উদ্দেশ্যে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ওয়ালটন গ্রুপের দুটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এতে করে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সমন্বয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনে এগিয়ে যাবে দেশ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বুয়েটকে গবেষণা কর্মের প্রজেক্ট হস্তান্তর করা হয়। সেইসঙ্গে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অর্থ এবং ল্যাপটপ ও ডেক্সটপ প্রদান করা হয়।

ওই চুক্তির ফলে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ওয়ালটন কারখানায় গবেষণা ও কাজের সুযোগ পাবেন। যার মধ্যে রয়েছে গ্রাজুয়েট ও আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের থিসিস, কারখানায় ইন্টার্নশিপ ও ট্রেনিং, পরামর্শক দলের কারখানা পরিদর্শন, কর্মী উন্নয়ন ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাত আরো সমৃদ্ধ হবে। ব্রেইন ড্রেইন’ হয়ে দেশের মেধা পাচার বন্ধ হবে। দেশের শিল্পোন্নয়নে দেশের মেধা কাজে লাগবে। আগামি দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের লক্ষ্যে দেশের ৪টি শীর্ষ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করে ওয়ালটন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।

মঙ্গলবার বিকেলে (১৮ জানুয়ারি) বুয়েটের কাউন্সিল ভবনের কনফারেন্স হলে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়। সে সময় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র সঙ্গে বুয়েটের ভিন্ন ভিন্ন চুক্তি হয়।

বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

ভিন্ন আরেকটি চুক্তিতে বুয়েটের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (রাইজ)-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডিএমডি আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডিএমডি লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্টিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণানন্দ বৈরাগী প্রমুখ।

সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবনী মেধায় সমৃদ্ধ। কিন্তু গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় তারা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখন ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের ফলে তারা ওয়ালটনে গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে পারবে। আমাদের সবার অবদানে দেশীয় শিল্পখাত সমৃদ্ধ হবে। বাংলাদেশের পণ্য বিশ্বজয় করবে। আমাদের প্রকৌশলীরা ওয়ালটনের মতো দেশীয় প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করবে।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় শিল্পখাতের উন্নয়নে বুয়েট সহযোগি হিসেবে কাজ করছে। আমরা দেশীয় পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে আসছি। দেশীয় শিল্পকে নীতিগত সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরো আন্তরিক হতে হবে।

এস এস রেজাউল আলম বলেন, আমাদের প্রকৌশলীরা মেধাবী। তাদের মেধা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের যে সামর্থ আছে, সেটার সর্ব্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের শিল্পখাত অনেক এগিয়ে যাবে। দেশ এগিয়ে যাবে।

গোলাম মুর্শেদ বলেন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তাদের কাজের স্বীকৃতি ও ব্র্যান্ডিং হচ্ছে না। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয় ঘটছে ওয়ালটনে। ফলে মেধাবীরা ওয়ালটনে সুযোগ পাবেন প্রযুক্তি নিয়ে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার। আমাদের লক্ষ্য ওয়ালটনকে শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত করার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। দেশের মেধাবী প্রকৌশলীরা যখন দেশেই গবেষণা ও উদ্ভাবনের পর্যাপ্ত সুযোগ পাবেন, তখন সেই লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে। সেজন্য ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই (সাসটেইনেবল) দেশ আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। সেজন্য সবার আগে প্রয়োজন ইনোভেশন ও প্রযুক্তিগত শিল্পের উন্নয়ন। ওয়ালটন বিশ্বাস করে সাসটেইনেবল প্রোডাক্ট, পলিসি ও ডেভেলপমেন্টে। এজন্য আমরা ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’ উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান এবং দেশ ও জাতিকে সাসটেইনেবল করার কাজ চলছে। ওয়ালটন বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। সম্প্রতি আমরা উত্তর আমেরিকার বাজারে প্রবেশের জন্য ড্যানবির সঙ্গে চুক্তি করেছি। খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্র চালু করছি। দেশ ও স্থানীয় শিল্পের উন্নয়নে ওয়ালটন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. ফরচুন সুজ
  3. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  4. সাইফ পাওয়ারটেক
  5. এসিআই লিমিটেড
  6. জিপিএইচ ইস্পাত
  7. ওরিয়ন ফার্মা
  8. ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  9. প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল
  10. পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের উত্থান দেখা গেছে। তবে এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের চতূর্থ কার্যদিবস বুধবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩.৭২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭০৮৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ২.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫০৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৮.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২৬১৭ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭৩৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৭১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৬৯টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৭০টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৪০টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সাইফ পাওয়ারটেক, এসিআই লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত, ওরিয়ন ফার্মা, ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৯২.৬৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৬৫৮ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৩টির, কমেছে ১৩১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড ও রংপুর ডেইরি ফুডস লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মুন্নু এগ্রোর শেয়ার বিক্রি করবে মুন্নু ফাউন্ডেশন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি মুন্নু এগ্রো এন্ড জেনারেল মেশিনারিজ লিমিটেডের এক করপোরেট পরিচালক শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মুন্নু ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন লিমিটেড নামে কোম্পানিটির এক করপোরেট পরিচালক ১ লাখ শেয়ার শেয়ার চলমান বাজার দরে বিক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদের হাতে মোট ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬০টি শেয়ার রয়েছে।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রয় করা হবে বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

তবে এ করপোরেট পরিচালক এসব শেয়ার চলমান বাজার দরে ব্লক মার্কেটে বিক্রয় করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম.