ভবন নির্মাণে বিদ্যমান আইন বহাল চায় রিহ্যাব

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ভবন নির্মাণের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি চলমান রাখার দাবি জানিয়েছেন আবাসন খাতের ব্যবসায়িদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

সংগঠনটির নেতারা বলছেন, এই প্রক্রিয়া চলমান না থাকলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি হবে আবাসন খাতে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়বে এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রিহ্যাবের নেতারা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রিহ্যাবের প্রথম সহসভাপতি কামাল মাহমুদ এবং সহসভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রমুখ। আজ বুধবার রিহ্যাব এসব তথ্য জানিয়েছে।

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) পাওয়ার অব অ্যাটর্নির বিষয়ে বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় রেখে বিদ্যমান আইন বহাল রাখার যুক্তি তুলে ধরেন ভূমিমন্ত্রীর কাছে।

তিনি বলেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিল করার কথা শোনা যাচ্ছে। এটা আবাসন খাতের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। এটি বাতিল কা হলে আবাসন ব্যবসা করা কঠিন হবে।এ সময় ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থা ডিজিটাইজড করায় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রিহ্যাব সভাপতি।

আবাসন ব্যবসায়ীদের এই দাবির বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পাশাপাশি এ বিষয়ে লিখিত সুপারিশ দিতে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন তিনি।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমলের অনেক আইন সংশোধন করে নতুন নতুন সিস্টেম ডেভেলপ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এজন্য সবাইকে নতুন আইন যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পণ্য রপ্তানি আয়

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনার মধ্যেও বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পণ্য রপ্তানি আয়। গত ডিসেম্বরে রেকর্ড রপ্তানির পর গত মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে ৪৮৫ কোটি ডলারের পণ্য, যা গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ৪১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি আয়ের এ হালনাগাদ পরিসংখ্যান আজ বুধবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, সামগ্রিকভাবে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে ২ হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা দেশীয় মুদ্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে তা আলোচ্য সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৬ শতাংশ বেশি।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিকভাবে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। যদিও পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ২ হাজার ৩৯৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। বেশ কয়েক মাস পর নিটের পাশাপাশি ওভেন পোশাকের রপ্তানিও বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে ১ হাজার ৩২৭ কোটি ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৭১ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।

তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছে হোম টেক্সটাইল পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ৮৩ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি।

আর তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় হয়েছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৭৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইর ব্যর্থতায় তামহা সিকিউরিটিজের অর্থ লোপাটের অভিযোগ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যর্থতায় তামহা সিকিউরিটিজের মালিকপক্ষ জালিয়াতি করে বিনিয়োগকারীদের অর্থ লোপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এসময় তারা শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে তামহা সিকিউরিটিজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে এ অভিযোগ করেন ফখরুল ইসলাম।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী মজিবুর রহমান এবং রওশন আরা হোসেন।

ফখরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, তামহা সিকিউরিটিজের মালিক ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের সব শেয়ার বিক্রি করে দেয়। ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর বিএসইসি সিকিউরিটিজ হাউজটির লেনদেন স্থগিত করে দেয়। পরে আমরা সিডিবিএলে (সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড) যোগাযোগ করে জানতে পারি, আমাদের হিসাবে কোনো শেয়ার নেই।

তিনি বলেন, তামহা কর্তৃপক্ষ আমাদের দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে শেয়ার কেনা-বেচার তথ্য আমাদের এসএমএস করে ও মেইলে পাঠাতো। এ কারণে আমারা তাদের জালিয়াতি বুঝতে পারিনি। সিকিউরিটিজ হাউজটির মালিকসহ তার দুই বোন প্রায় শতকোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

‘বিনিয়োগকারীদের আবেদন ছাড়া কীভাবে সিডিবিএল মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করলো। বিএসইসি এবং ডিএসইর মনিটরিংয়ের অভাবে আমরা সবকিছু হারিয়ে পথে বসে গেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি ঠিকমতো মনিটরিং করতো তাহলে এ ধরনের জালিয়াতি ঘটত না।’

ক্ষতিগ্রস্ত এই বিনিয়োগকারী বলেন, তামহা সিকিউরিটিজের মালিক ডা. হারুন বিনিয়োগকারীদের এই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাকে বিচারের আওতায় এনে আমাদের টাকা ও শেয়ার ফেরতের উদ্যোগ নিতে বিএসইসির চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী মজিবুর রহমান বলেন, আমার বয়স ৭০ বছর। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করতাম। ২০০৯ সালে আমার পেনশনের ১৩ লাখ টাকা ছেলের হাতে দিই। ছেলের মোবাইল নম্বর দিয়ে শেয়ার লেনদেন করতাম। ছেলের চাকরি হওয়ার পর মাঝেমধ্যে আমিও ব্রোকারেজ হাউজে যেতাম।

তিনি বলেন, এখনো হাউজের পোর্টফোলিওতে শেয়ার আছে দেখাচ্ছে। কিন্তু সিডিবিএলের পোর্টফোলিওতে শেয়ার নেই। আমার স্ত্রী অসুস্থ। এই বয়সে আমি টাকা ফেরত পেতে দ্বারেদ্বারে ঘুরছি। আমার বেঁচে থাকার পথ নেই।

টাকা ফেরত পেতে মামলা করেছেন কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মাসে পেনশনের অল্প কিছু টাকা পাই। এই টাকা দিয়ে চলা কষ্টকর। মামলার ব্যয় বহন করার মতো ক্ষমতা আমার নেই। তবে কেউ যদি মামলা করে, তাহলে আমি আমার সাধ্যমতো সহায়তা করার চেষ্টা করবো।

বিএসইসি এবং ডিএসইতে যোগাযোগ করেছেন কি না? সাংবাদিকদের এমন আরেক প্রশ্নের উত্তরে মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএসইসি এবং ডিএসইর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বারবার বলে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। এক মাস আগে আমরা ডিএসইর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার জন্য একাধিকবার অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়ে আবেদন করেছি কিন্তু তিনি হয়তো ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে পারছেন না। তবে বিএসইসির কমিশনার আব্দুল হালিম, চেয়ারম্যানের পিএস রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেছি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক মি. ফান্ডের ট্রাষ্টি সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রতিষ্ঠান ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড লিমিটেডের বাৎসরিক ট্রাষ্টি সভা আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা তিনটায় ফান্ডটির প্রধান কার্যালয়ে ট্রাষ্টি সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় মি. ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হতে পারে। এছাড়া রেকর্ড ডেট ও এজিএমের দিন ঘোষণা করা হবে।

এর আগের বছর মি. ফান্ডটি ১.৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় বিএসসি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের চতূর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৯৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার।

৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফরচুন সুজ লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মার ৩৬ কোটি ৪৩ লাখ, বিবিএসের ২৯ কোটি ৫২ লাখ, আরএকে সিরামিকসের ২৮ কোটি ৩৭ লাখ, ন্যাশনাল পলিমারের ২৬ কোটি ৫৫ লাখ, লাফার্জ হোলসিম বিডির ২৬ কোটি ৯ লাখ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৪ কোটি ৮৩ লাখ ও কুইন সাউথ টেক্সটাইল লিমিটেডের ২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  3. ফরচুন সুজ
  4. ওরিয়ন ফার্মা
  5. বিবিএস
  6. আরএকে সিরামিকস
  7. ন্যাশনাল পলিমার
  8. লাফার্জ হোলসিম বিডি
  9. ইউনিয়ন ব্যাংক
  10. কুইন সাউথ টেক্সটাইল লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন কমলেও বেড়েছে সিএসইতে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সবগুলো সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। তবে এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের চতূর্থ কার্যদিবস বুধবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯.১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭০১৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৬.৫০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫০৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.২০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২৫৯২ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২৬৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৩৫২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২০৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে১২৬টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫১টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ফরচুন সুজ, ওরিয়ন ফার্মা, বিবিএস, আরএকে সিরামিকস, ন্যাশনাল পলিমার, লাফার্জ হোলসিম বিডি, ইউনিয়ন ব্যাংক ও কুইন সাউথ টেক্সটাইল লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪৩.৬০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৫৬৬ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭০টির, কমেছে ১০১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড ও প্রাইম ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিএটিবিসির বাৎসরিক বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বিএটিবিসি লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা সাড়ে ৬ টায় রাজধানীর গুলশানে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া রেকর্ড ডেট ও এজিএমের দিন ঘোষণা করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ন্যূনতম বেতন কার্যকরে ছাড় দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চতুর্থ প্রজন্মের ৯টি ও দুর্বল মানের ২ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন-ভাতা কার্যকরের সময় পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের ব্যাংকগুলোকে নতুন এ বেতন-ভাতা আগামী মার্চ থেকেই কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি ক্যাশ ও জেনারেল শাখার কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাও আলাদা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরের অফিস সহায়কদের জন্যও বেতন-ভাতা আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপনে চতুর্থ

প্রজন্মের মেঘনা, মিডল্যান্ড, মধুমতি, পদ্মা ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী, সাউথ বাংলা ও ইউনিয়ন ব্যাংক এবং চতুর্থ প্রজন্মের পরে অনুমোদন পাওয়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল, কমিউনিটি, সীমান্ত, সিটিজেন এবং দুর্বল মানের বাংলাদেশ কমার্স ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের জন্য আলাদা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নতুন এবং দুর্বল ব্যাংকগুলোকে এই সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই ব্যাংকগুলোর স্থায়ী জেনারেল ব্যাংকিংয়ের কর্মকর্তাদের ন্যূনতম বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা, আর ক্যাশ কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা হবে ৩৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে মূল বেতনের বাড়তি অংশ আগামী এপ্রিল মাস থেকেই দিতে হবে, আর বর্ধিত ভাতা কার্যকর করতে হবে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে। তবে ব্যাংক চাইলে আগামী এপ্রিল থেকেই বেতন-ভাতা দুটিই দিতে পারবে। নতুন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা অনুযায়ী অন্যদেরও বেতন-ভাতা সমন্বয় করতে হবে। চতুর্থ প্রজন্ম, নতুন ও দুর্বল মিলিয়ে ১৫টি ব্যাংকে শিক্ষানবিশ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন বেতন হবে ২৮ হাজার টাকা ও ক্যাশ কর্মকর্তাদের ২৬ হাজার টাকা। নতুন এ বেতন-ভাতা কার্যকর করতে গিয়ে পুরোনো বেতনকাঠামোর সঙ্গে যে পার্থক্য হবে, তার ৫০ শতাংশ আগামী এপ্রিলে এবং বাকি ৫০ শতাংশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেওয়া যাবে।

পুরোনো ব্যাংকগুলোর শিক্ষানবিশ ও স্থায়ী কর্মীদের বেতন-ভাতাও একই হবে, যার পুরোটাই আগামী এপ্রিল থেকে দেওয়া শুরু করতে হবে। একইভাবে অন্য ধাপের কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা সমন্বয় করে এপ্রিল থেকে প্রদান করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ সব বিভাগীয় শহরের অফিস সহায়ক/পরিচ্ছন্নতাকর্মী/নিরাপত্তাকর্মী ও দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ করা কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতা হবে ২৪ হাজার টাকা। একই পদে অন্যান্য জেলা শহরের জন্য ন্যূনতম বেতন-ভাতা হবে ২১ হাজার টাকা ও উপজেলা শহরের জন্য ১৮ হাজার টাকা। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করে এমন কর্মচারীদেরও বেতন-ভাতা একইভাবে নির্ধারণ করতে হবে। আর সে জন্য কর্মচারী সরবরাহকারী তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি বেসরকারি খাতের ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রথমবারের মতো সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা বেঁধে দিয়ে নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতা ও অদক্ষতার অজুহাতে কাউকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না বলেও ওই নির্দেশনায় বলা হয়। এ ছাড়া ব্যাংকারদের চাকরির সুরক্ষায় আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির দাবি পেট্রোল পাম্প মালিকদের

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করা না হলে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃপক্ষ একক সিদ্ধান্তে বিবেচনাহীনভাবে জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন নির্ধারণ করেছে, যা লিটার প্রতি মাত্র ২০ পয়সা বৃদ্ধি করে। যেখানে আমরা জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির অনেক আগে থেকেই বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি, সর্বোপরি উর্ধ্বমূল্যের বাজারে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিতে জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর কমিশন ১.৬০ টাকা বৃদ্ধি করার জন্য দাবি করে আসছি।

তারা বলে, এই দাবি চলাকালে সরকার ২০২১ সালে ৪ নভেম্বর ডিজেলের মূল্য এযাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করলেও জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের জন্য কোন ধরনের কমিশন বৃদ্ধি করেননি।

সংবাদ সমম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছর ৬ জানুয়ারি বিপিসির ডাকা মিটিংয়ে আমাদের একটি সম্মানজনক কমিশনের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিপিসি ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের প্রতি চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। জ্বালানি তেল বিক্রয়ে তাদের লােকসান ঠেকাতে লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে। অথচ যাদের মাধ্যমে এই পুরাে তেল বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তাদের ব্যবসার প্রতি বিন্দুমাত্র সুবিচার করা হয়নি। ফলে সকল জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেন।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ পেট্রোল পাম্পই প্রতিদিন গড়ে ২০০০ লিটারের নিচে ডিজেল বিক্রি করে থাকে। ফলে ২০ পয়সা দিয়ে গড়ে তাদের মাসিক ১২ হাজার টাকা আয় বৃদ্ধি পায়। যা দিয়ে অতিরিক্ত মূলধন বিনিয়োগ এবং সব বৃদ্ধি পাওয়া খরচ চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি সব বিভাগীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন বন্ধের মতো কর্মসূচি ঘোষণা রেখে কঠোর কর্মবিরতি পালনের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, বর্তমান কোভিডের কারণে আমরাও ব্যবসায়িক দিক দিয়ে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। ইদনিং ফিলিং স্টেশনের ওপর আরোপিত বিভিন্ন সংস্থার অমীমাংসিত লাইসেন্স গ্রহণের ব্যাপারে হয়রানি শুরু হয়েছে। সঙ্গে বিপুল অঙ্কের টাকা (অফিড খরচ হিসেবে) তারা দাবি করছে, যা আমাদের কমিশনের সীমিত আয় দিয়ে প্রদান করা সম্ভব না।

এ সময় বেশ কিছু দাবি-দাওয়া পেশ করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করা; জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী কমিশন অ্যাজেন্টের বিষয়গুলো গেজেট আকারে প্রকাশ করা; সড়ক ও জানপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জনা ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল করা; ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা; মালিক কর্তৃক প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্রাংকলরী শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রথা চালু করার জন্য বিমা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সব জ্বালানি ডিপো সংলগ্ন ট্যাংকলরী শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম ডিস্ট্রিবিউটরস অ্যাজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন, সিনিয়র সহসভাপতি এম এ মোমিন, সহসভাপতি আব্দুল আওয়াল জ্যোতি, মাহবুবুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফরহাদসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/