জেএমআই হসপিটালের দেনার পরিমাণ ১৩৩ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে সদ্য আইপিও’র অনুমোদন পাওয়া জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি ম্যানুফেকচারিং লিমিটেডের ঝণসহ বিভিন্ন খাতে মোট দেনার পরিমাণ রয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের একটা বড় অংশই এসব দেনা পরিশোধে ব্যয় করবে কোম্পানিটি।

সূত্র থেকে জানা যায়, গত ৩০ জুন ২০২১ সালে কোম্পানিটির মোট দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা আগের বছর ২০২০ সালে ছিল ১২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর আগের বছর ২০১৯ সালে এই দেনা ছিল ১৪৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। উক্ত বছর কোম্পানিটি ২০ কোটি টাকার উপরে এসব দেনা পরিশোধ করে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ কোম্পানিটির বন্ধককৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে রয়েছে ৯০ লাখ টাকা। যা আগের বছর ছিল ১ কোটি ৪ লাখ টাকা।

৩০ জুন ২০২১ সালে কোম্পানিটির মেয়াদী ঋনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা আগের বছরও ছিল ২২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর ২০১৯ সালে এই মেয়াদী ঋনের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি টাকা। অথ্যাৎ ২০১৯ সালে ২ কোটি টাকার টার্ম লোন পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েও পরের বছর কোনো অর্থ পরিশোশ করেনি কোম্পানিটি।

৩০ জুন ২০২১ সালে ওয়ার্কি মূলধন ঋণের পরিমাণ ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২০ সালে ছিল ৭০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর ২০১৯ সালে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৫ কোটি টাকার উপরে।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির নামে এলসির বিপরীতে পাওনা রয়েছে ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আর অন্যান্য খাতে কোম্পানির পাওনাবাবদ দেখানো হয়েছে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। যা আগের বছর এসব দেনাবাবদ দেখানো হয় ১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

২০২১ সালে কোম্পানির আয়কর বাবদ দেনা দেখানো হয়েছে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ বাবদ ও পরিচালক নিকট হতে লোন বাবদ ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার দেনা দেখানো হয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা দিয়ে একটি ব্যাংকের স্বল্প মেয়াদি ঋণ পরিশোধ করবে। অর্থ উত্তোলনের ৩ মাসের মধ্যে উত্তরা ব্যাংকের শান্তিনগর শাখাকে লোন পরিশোধের জন্য এই টাকা প্রদান করা হবে।

এছাড়া কোম্পানিটির নামে রয়েছে ৮৩ কোটি টাকার আন্ত:কোম্পানি ঝণ। এই ঝণের ব্যাখ্যা ও সংশ্লিষ্ট অডিট কোম্পানি ও ক্রেডিট রেটিং কোম্পানির আপত্তি/অনাপত্তি তুলে ধরা হবে স্টকমার্কেটবিডি.কমের পরের রিপোর্টে। ……চলমান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিশ্বব্যাংকের ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

করোনার ক্ষতি থেকে সুরক্ষায় নগর স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা এবং আগামীতে এ ধরনের সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশের অনুকুলে ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ওয়াশিংটনে সংস্থার সদর দপ্তর থেকে আজ শুক্রবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘দ্য লোকাল গভর্নমেন্ট কভিড-১৯ রেসপন্ড অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে প্রায় ৪ কোটি নগরবাসী উপকৃত হবেন।

বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং ক্ষয়ক্ষতি থেকে কার্যকরভাবে পুনরুদ্ধারে নগরকেন্দ্রিক স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা দেওয়া হবে এ ঋণের অর্থে। দেশের ১০টি সিটি করপোরেশন এবং ৩২৯ পৌরসভা এ প্রকল্প থেকে দুই বছর ভিত্তিতে তহবিল পাবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের এসব প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবা ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করবে। এছাড়া অর্থনীতির পূনরুদ্ধার ও জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও দুর্যোগ এবং আগামীতে রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে পারবে। করোনাকালে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত নগরদরিদ্র এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জীবিকা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক কার্যক্রমে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এক বিবৃতিতে বলেন, করোনাকালে নগরদরিদ্ররা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তারা আয় হারিয়েছেন। তাদের জন্য মৌলিক সেবা বিঘ্নিত হয়েছে। সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলো এসব মানুষকে সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় ফরচুন সুজ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ২৯৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ফরচুন সুজ লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার।

১৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) র ৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬২ কোটি ৪২ লাখ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৫৮ কোটি ৩৬ লাখ, বিএটিবিসির ৫৬ কোটি ৯৮ লাখ, ড্রাগন সোয়েটারের ৫৫ কোটি ১৬ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ৫২ কোটি ৪১ লাখ সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৪ দিনে বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা কমেছে। এসময় সেখানে লেনদেন ও সবগুলো সূচকও কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৪ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৫ হাজার ৯৬৭ কোটি ১২ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৩৩.১৭ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ৯৯৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ১৬.৪৬ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫১.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৮৩৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৫৮.৮৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২৫১৪ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৩২.৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৭৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ২৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৫টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ১০,৫৭৪ কোটি টাকা বা ১.৮৯ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/