বাজেট মূল্যস্ফীতি কমানোর সঠিক নির্দেশনা দিতে পারেননি : সিপিডি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো ঠিকমতো নির্দেশ করেছেন। কিন্তু সেগুলো উত্তোরণে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেননি। বাজেটে শুল্ক প্রস্তাব ঠিকমতো করা হয়নি। সর্বোপরি বাজেটে সৃজনশীলতা ও সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেই বাজেটের পর্যালোচনা তুলে ধরে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিডিপি)। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যম্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় তা অবাস্তব। কিভাবে এই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মূল্যস্ফীতিকে আটকে রাখা হবে তারও কোনো সঠিক পথ দেখানো হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশে আটকে রাখার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল বিকেলে তিনিও বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করে নিজের প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া তথ্য মতে, গত এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.২৯ শতাংশ। মার্চ মাসে ছিল ৬.২৪ শতাংশ এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৬.১৭ শতাংশ। গত দুই বছরে মূল্যস্ফীতি এ পর্যায়ে আর ওঠেনি। এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ৬.৪৪ শতাংশে।

এ অবস্থার কথা তুলে ধরে ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজারে গেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যে দাম, তার সঙ্গে সরকারের তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। কোন জাদুর কাঠি দিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো হবে, সে পথ দেখাননি অর্থমন্ত্রী।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে দেখা যায়, রাজস্ব আদায়, বেসরকারি খাতে ঋণ, রপ্তানি ভালো অবস্থানে আছে। নেতিবাচক দিকে আছে কিছু সূচক। এর মধ্যে রিজার্ভ নিচের দিকে নামছে। ঋণখেলাপির পরিমাণ বাড়ছে। মুদ্রার অবনমন ঘটছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। তার পরও জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেশি ধরা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাজেটে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য বাড়বে বলা হয়েছে। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব সেটা বোধগম্য নয়। বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এটাও বাস্তবসম্মত মনে হয়নি। ঘাটতি পূরণে বিদেশি নির্ভরতা বাড়ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় রাখার জন্য যতটুকু উদ্যোগ আছে, তার চেয়ে বেশি আগ্রহ দেখানো হয়েছে তাঁদের প্রতি, যাঁরা অবৈধভাবে টাকা বাইরে নিয়ে গেছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে চ্যালেঞ্জগুলো ঠিকমতো বলা হয়েছে কিন্তু মোকাবেলার কথা বলা হয়নি। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী অসুখের লক্ষণ ধরতে পেরেছেন। কিন্তু অসুখ সারানোর জন্য যে ওষুধ দরকার হয় তা দেননি। তাঁর কাছে ওই ওষুধ পর্যাপ্ত নেই বা ওষুধ জানা নেই। কারণ যে চ্যালেঞ্জগুলোর কথা বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে যে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা অপ্রতুল বা অপর্যাপ্ত।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ভর্তুকির ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থাপনা দরকার ছিল অর্থমন্ত্রী সেখানে তাঁর ঠিক ডোজই দিয়েছেন। তিনি ভর্তুকি বাড়িয়েছেন। সঙ্গে এটাও বলেছেন, তার পরও বিদ্যুৎ বা জ্বালানি খাতের মূল্য সমন্বয় না করে তিনি টিকতে পারবেন না। তার মানে, ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি ও তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পাচার করা অর্থ ফেরানোর সুযোগ সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক : টিআইবি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে প্রস্তাবিত বাজেটে যে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেটাকে সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক, সংশ্লিষ্ট আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই প্রস্তাব অর্থ পাচারের মতো ঘৃণিত অপরাধের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার নামান্তর। এ ছাড়া প্রস্তাবটিকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে সেটি বাতিলের আহবান জানিয়েছে টিআইবি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী যেভাবেই ব্যাখ্যা করেন না কেন- নামমাত্র কর দিয়ে প্রশ্নহীনভাবে পাচার করা অর্থ বিদেশ থেকে আনার সুযোগ স্পষ্টতই অর্থ পাচারকারীদের অনৈতিক সুরক্ষা ও পুরস্কার প্রদান। অথচ অর্থপাচার রোধ আইন-২০১২ এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অর্থপাচার গুরুতর অপরাধ, দেশের আইন অনুযায়ী যার শাস্তি পাচারকৃত অর্থ বাজেয়াপ্ত করা এবং তার দ্বিগুন জরিমানা ও ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড নির্ধারিত রয়েছে। এই সুযোগ অর্থ পাচার তথা সার্বিকভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে, যা সংবিধান পরিপন্থী এবং প্রধানমন্ত্রীর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুন্য সহনশীলতা’ ঘোষণার অবমাননাকর।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা বৈধ উপার্জননির্ভর করদাতা তাদের জন্য এই প্রস্তাব প্রকটভাবে বৈষম্যমূলক, কারণ তারা ৭ শতাংশের কমপক্ষে ৩গুণ হারে কর দিয়ে থাকেন। এটি বৈষম্য ও সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী। অবিলম্বে এ সুযোগ বাতিল করতে হবে এবং অর্থপাচারকারীদের জবাবদিহীতা নিশ্চিতের জন্য যে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আইনি প্রক্রিয়া নির্ধারিত রয়েছে তা অনুসরণ করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।’

পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার সুযোগ প্রদান বিগত বছরগুলোর মতোই কালো টাকা সাদা করার বেআইনি ও অন্যায় সুযোগের ধারাবাহিকতা মাত্র, যা স্থানিক থেকে বৈশ্বিক করা হলো- এমন মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এতে বিদেশে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ দেশের অর্থনীতির মূলধারায় সংযুক্তির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ ও আয়কর রাজস্ব বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, বারবার সুযোগ দিয়েও দেশের অর্থনীতিতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাশিত ফল বয়ে আনেনি, সরকারও আকাঙিক্ষত রাজস্ব পায়নি। তাই নতুন এই বিশেষ বিধানের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে তা না বললেও চলে। কারণ যারা অর্থ পাচার করেছেন তারা এ ধরনের প্রণোদনায় উৎসাহিত হয়ে পাচারকৃত অর্থ ফেরত নিয়ে আসবে, এ রকম দিবাস্বপ্নের কোনো ভিত্তি নেই।’

‘যেখানে পাচারকৃত দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের দেশের পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি ব্যতিরেকে এই অর্থ বা সম্পদ ফিরিয়ে আনা অসম্ভব। বরং এর মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীরাই শুধু স্বস্তি বোধ করবেন, পুলকিত হবেন। অর্থপাচারকে এভাবে লাইসেন্স দেওয়া হলে দেশে দুর্নীতি ও অর্থপাচার আরও বিস্তৃতি ও গভীরতা লাভ করবে। এই অন্যায়, অপরিনামদর্শী ও আত্মঘাতি পথ থেকে সরে আসার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আমদানি মূল্যস্ফীতির চাপ, ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখা, আমদনি ব্যয় বেড়ে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার মতো বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকটগুলোকে স্বীকার করলেও এগুলোকে মোকাবিলায় কার্যকর কৌশল বা পথ নির্দেশিকা দিতে পারেননি মন্তব্য করে ড. জামান বলেন, ‘প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে আরও বড় করার প্রত্যাশা থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার তেমন কোনো নিদর্শন দেখা যায়নি; বরং সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয়কে বড় করে দেখাতে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদ, করোনার অভিঘাত উত্তরণে দেওয়া ঋণের সুদ মওকুফকে অর্ন্তভূক্ত করে দেখানো হয়েছে, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশই নয়! এমন বাস্তবতায় বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীকর্তৃক উল্লিখিত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করার কার্যকর কৌশল নির্ধারণে বাস্তবসম্মত ও নিরপেক্ষ দিক নির্দেশনার জন্য সুখ্যাতি সম্পন্ন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণের জন্য বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেটকে ঢেলে সাজানো উচিত।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সপ্তাহে ব্যবধানে পিই বেড়েছে ০.০৭ পয়েন্ট

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বিদায়ী সপ্তাহে (০৫ মে থেকে ০৯ জুন) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৪.৫৫ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৪.৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.০৭ পয়েন্ট বা ০.৪৮ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাজেট প্রস্তাবনাকে ডিএসইর অভিনন্দন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

“কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন” শিরোনামে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভুত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে অর্থনীতিকে গতিশীল করতে যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল মহান জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন, তার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে। এ বাজেট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিমত তুলে ধরা হয়।

এবারের বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রন, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা খাতসহ বেশ কিছু খাতকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷ এছাড়াও মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে বহুল কাঙ্খিত পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক সম্ভবানাও কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ যা দেশের সামগ্রীক অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারই বহিঃপ্রকাশ৷

মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট উপস্থাপনের পর পরই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ ডিএসই মনে করে যে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি, উন্নয়ন ও উত্পাদনমূখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করার কৌশল নিয়ে প্রস্তাবিদ বাজেট প্রনয়ন করা হয়েছে৷ ২০২২-২৩ অর্থবছরে উন্নয়ন ও উত্পাদনমূখী যে সু-পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে, সে জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাজেট প্রস্তাবনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে৷

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিএসইসিতে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে রদবদল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালকদের দায়িত্ব রদবদল আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিএসইসির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) নিজাম উদ্দিন সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে ইডিদেরকে দায়িত্ব সম্পর্কে জানানো হয়েছে। আগামী ১২ জুন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

জানা গেছে, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান, মো. সাইফুর রহমান, মো. আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফিউল আজম ও রিপন কুমার দেবনাথের দায়িত্ব রদবদল করা হয়েছে।

নির্বাহী পরিচালক ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান লিয়েন শেষে বিএসইসিতে যোগদান করেছেন। তাকে করপোরেট ফাইন্যান্স বিভাগ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান দায়িত্ব পালন করবেন সুপারিভশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব মার্কেট অ্যান্ড ইস্যুয়ার কোম্পানিজ বিভাগ, প্রজেক্ট ডিরেক্টর (সিএমডিপি-৩) ও ডেরিভেটিভস বিভাগ।

ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ সামলাবেন নির্বাহী পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম। আর কমিশন সচিবালয়, ইনকোয়ারি অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ ও প্রজেক্ট (ফিনটেক) দেখবেন নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আজম।

ক্যাপিটাল মার্কেট রেগুলেটরি রিফর্মস অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ও ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগ দেখবেন নির্বাহী পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় শাইনপুকুর

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ২১০ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার।

প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ৮৪ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সালভো কেমিক্যালসের ৭৭ কোটি ৩২ লাখ, আইপিডিসির ৭৫ কোটি ৭৯ লাখ,  ওরিয়ন ফার্মা র ৭১ কোটি ৫৯ লাখ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬৮ কোটি ৮৭ লাখ,  বিডিকমের ৬৭ কোটি ৩৩ লাখ, ব্র্যাক ব্যাংকের ৬১ কোটি ২৬ লাখ ও জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি ম্যানুফেকচারিংলিমিটেডের ৬০ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৫ দিনে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ২৬০০ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ২৬০০ কোটি টাকা বেড়েছে। এসময় সেখানে লেনদেন বাড়লেও সূচকের মিশ্রাবস্থা দেখা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৩৪১ কোটি ৯১ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ১২ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১০.৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ৮৬৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৮৫ কোটি ২২ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ১০.৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৮.৭৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৩.৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২৩৫২ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ১.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২০৬টির, কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৫টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ২৬০৪ কোটি টাকা বা ০.৫০ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/