রাত ৮ টার পর মার্কেট-দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারা দেশে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচা বাজার খোলা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‌‘বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা দিয়েছেন।’

‘এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক সারাদেশে রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচা বাজার ইত্যাদি খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
১৬ জুন সই করা এই চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তরসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.০৩ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) এক শতাংশের বেশি কমেছে । ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৪.৬২ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৪.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.১৫ পয়েন্ট বা ১.০৩ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে শাইনপুকুর ; ২য় বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে শাইনপুকুর সিরামিকস বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ২৩৬ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

আইপিডিসি লিমিটেড ১৭২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি ম্যানুফেকচারিংলিমিটেডের ১৩৮ কোটি ৪৩ লাখ, আরএকে সিরামিকসের ১০৪ কোটি ১২ লাখ, মুন্নু ফাব্রিকসের ৭১ কোটি ৮৭ লাখ,  বিডিকমের ৭০ কোটি ৮৯ লাখ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬৮ কোটি ২ লাখ,  সালভো কেমিক্যালসের ৬২ কোটি ৮১ লাখ ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ৫৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৫ দিনে ডিএসইতে মূলধন কমেছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা কমেছে। এসময় সেখানে লেনদেন গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়লেও সূচক কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৪ হাজার ৩৪১ কোটি ৯১ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ০.৯৬ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ৮৬০ কোটি টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮৬৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ০.৯৬ শতাংশ বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৪.৫৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২৪.৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২৩২৭ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ১০.৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪০৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ২৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৫টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৩৫৭০ কোটি টাকা বা ০.৬৮ শতাংশ কমরছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

আছিয়া সী ফুডসের সাবস্ক্রিপশন শুরু

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এসএমই প্ল্যাটফর্মের জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) অনুমোদন পেয়েছে আছিয়া সী ফুডস লিমিটেড। কোম্পানিটির কিউআইওয়ের সাবস্ক্রিপশন শুরু হবে আগামীকাল ১৯ জুন সকাল ১০ টা থেকে। আর এই সাবস্ক্রিপশন শেষ হবে ২৩ জুন বেলা ৫ টায়। ডিএসই সূত্রে এতথ্য জানা যায়।

শেয়ারবাজার থেকে কোম্পানিটি কিউআইও’র মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে ১.৫ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

গত ৫ এপ্রিল শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮১৯তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির কিউআইও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কোম্পানির পুঁজি উত্তোলন করে কারখানার যন্ত্রপাতি ক্রয়, ঋণ পরিশোধ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৮ টাকা আর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭.৬০ টাকা। নিয়মানুযায়ী এই এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

আছিয়া সী ফুডস লিমিটেডের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি নাগরিক-ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৫৫ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশি নাগরিক ও বিভিন্ন ব্যাংকের সুইস ব্যাংকে জমা করা অর্থের পরিমাণ ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৫৫ শতাংশ বেড়ে ৮৭১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (সিএইচএফ) হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা।

গত বৃহস্পতিবার সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, এর মধ্যে ৮৪ কোটি ৪০ লাখ সিএইচএফ বিভিন্ন ব্যাংকের এবং বাকিটা বাংলাদেশি নাগরিকদের।

২০২০ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি নাগরিক ও ব্যাংকগুলোর জমা অর্থের পরিমাণ ৬ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৫৬৩ মিলিয়নে (প্রায় ৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা) দাঁড়িয়েছিল। যা টানা তৃতীয় বছরের মতো কমে যায়।

এই অ্যাকাউন্টগুলোর মালিক কারা এবং বাংলাদেশ থেকে এই টাকা পাচার করা হয়েছে কি না, সুইস ব্যাংক সে বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি।

এমন সময় এই তথ্য প্রকাশিত হলো যখন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত সম্পদ বা বিদেশে গচ্ছিত নগদ টাকা যখন বৈধ উপায়ে দেশে ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থনীতিবিদরা অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাকে ‘নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তারা বলছেন, এটি অর্থ পাচারে উত্সাহিত করবে।

অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করেন, রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের জন্য আগামী বছর থেকে ৭ থেকে ১৫ শতাংশ করের বিনিময়ে দেশের বাইরে পাচার করা অর্থ বৈধ করে দেশে ফেরত আনা যাবে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, গত বছর সুইস ব্যাংকে ভারত ও পাকিস্তান থেকেও আমানতের পরিমাণ বেড়েছে।

২০২১ সালে ভারত থেকে আমানত ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন সিএইচএফে দাঁড়িয়েছে। তার আগের বছর যা ছিল ২ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন।

পাকিস্তান থেকে আমানত ২০২১ সালে ৭১০ মিলিয়ন সিএইচএফ হয়েছে, যা ২০২০ সালে ছিল ৬৪০ মিলিয়ন সিএইচএফ।

তবে, অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা থেকে আমানত গত বছর ৬০ মিলিয়ন সিএইচএফে নেমে এসেছে। ২০২০ সালে যা ছিল ১৩০ মিলিয়ন।

দেশটির ব্যাংকিং আইন সম্পূর্ণ গোপনীয়তা ও সুরক্ষা দেওয়ার কারণে সুইজারল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের ধনীদের জন্য কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে টাকা জমা রাখার একটি পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশিরাও সুইস ব্যাংক একাউন্টে তাদের অর্থ জমা করছেন।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার, বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকও সুইজারল্যান্ডে টাকা জমা রাখে। তাই এই টাকাকে সরাসরি কালো টাকা হিসেবে গণ্য করা যায় না।

তবে, পাচারকারীরাও সেখানে টাকা লুকিয়ে রাখতে পারেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার সুইস সরকারকে তাদের ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের তথ্য দিতে বলতে পারে। তাহলে জানা যাবে সেখানে কী পরিমাণ অবৈধ অর্থ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাবেক অর্থনীতিবিদ মনসুর বলেন, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশিদের মধ্যে সুইজারল্যান্ডকে ট্যাক্স হ্যাভেন হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

জার্সি, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ, পানামা, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের মতো অন্যান্য জায়গায়ও টাকা রাখা হচ্ছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারীদের অধিকাংশই এখন তাদের অর্থ বিদেশি ব্যাংকে জমা দেন না। বরং তারা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেন।

তিনি বলেন, ‘এই অর্থের একটি বড় অংশ রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ করা হয়।’ সূত্র : ডেইলি স্টার

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////