বাংলাদেশসহ এশীয় দেশগুলোর জন্য শ্রীলঙ্কা এক সতর্কবার্তা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে শ্রীলঙ্কার মতো সংকট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থার প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা গত শনিবার বলেছেন, যেসব দেশের ঋণের মাত্রা উচ্চ এবং নীতিমালার পরিসর সীমিত, তারা অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়বে। তাদের জন্য শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি একটি সতর্কসংকেত।

আইএমএফ প্রধানের বক্তব্যের সূত্র ধরে বিবিসির এক প্রতিবেদনে ঝুঁকিতে থাকা তেমন কয়েকটি দেশের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের পর বছর ধরে বিপুল পরিমাণ ঋণ করেছে শ্রীলঙ্কা। গত মাসে দেশটি বৈদেশিক মুদ্রা পরিশোধের ক্ষেত্রে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গত ২০ বছরে দেউলিয়া হওয়া প্রথম দেশ এটি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, মুনাফার হার বৃদ্ধি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, উচ্চমাত্রার ঋণ ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার মতো এসব বৈশ্বিক প্রতিকূলতা এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।

আইএমএফ প্রধান বলেছেন, অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও চার মাস ধরে টেকসই মূলধনের বহিঃপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। এতে তাদের উন্নত অর্থনীতিকে ছোঁয়ার স্বপ্ন ঝুঁকিতে পড়েছে।

এসব উন্নয়নশীল দেশের কয়েকটিতে ঋণদাতা হিসেবে চীনের আধিপত্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, এসব দেশের ভাগ্যকে গুরুত্বপূর্ণ উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বেইজিং। তবে চীনের ঋণের শর্তগুলো কী এবং কীভাবে তারা ঋণ পুনর্গঠন করবে, তা অনেকটাই অস্পষ্ট।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক অ্যালান কিনান মনে করেন, এ ক্ষেত্রে চীনের দায় রয়েছে। দেশটি এমন সব ব্যয়বহুল অবকাঠামো প্রকল্পকে উদ্বুদ্ধ করছে, যার বদলে কোনো বড় ধরনের অর্থনৈতিক অর্জন আসছে না।

বাংলাদেশ
বাংলাদেশে গত মে মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৪২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ায় জরুরি নয় এমন পণ্য আমদানি বন্ধ করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স পেতে বিভিন্ন বিধান শিথিল করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের বিদেশে ভ্রমণও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংসের বিশ্লেষক কিম এং তান বিবিসিকে বলেন, আমদানি আয় ও রপ্তানি ব্যয়ের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ঘাটতিতে থাকা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সরকারকে ভর্তুকি বাড়াতে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে আইএমএফ ও অন্য দেশের সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে।

কিম এং তান আরও বলেন, বাংলাদেশকে সরকারি ব্যয়ের বিষয়টিকে পুনঃ অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং ভোক্তা পর্যায়ে কেনাকাটার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।

লাওস
পূর্ব এশিয়ার দেশ লাওসে ৭৫ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। এ দেশটি কয়েক মাস ধরে বিদেশি ঋণ শোধ করতে না পেরে দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর দেশটিতে তেলের দাম বেড়েছে, বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দামও।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, লাওসে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য মানুষকে দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কোনো কোনো পরিবার তাদের বিল চুকাতে পারছে না।

চলতি বছর লাওসের মুদ্রা কিপের মান মার্কিন ডলারের তুলনায় এক শতাংশের বেশি কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ মুনাফা হারের কারণে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। আর তাতে বিভিন্ন দেশের স্থানীয় মুদ্রাগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে ও ঋণের বোঝা বাড়ছে। আমদানি খরচ বেড়ে গেছে।

ইতিমধ্যে অনেক ঋণের মধ্যে থাকা লাওসকে ঋণ শোধ ও জ্বালানি আমদানির খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে, গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

তবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশটিকে একই পরিমাণে ঋণ শোধ করে যেতে হবে, যা দেশটির মোট দেশজ রাজস্বের প্রায় অর্ধেক। গত মাসে মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিস তাদের করা ঋণসংক্রান্ত ঝুঁকির দেশের তালিকায় লাওসকে ‘জাংক’ ক্যাটাগরিতে রেখেছে। জাংক ক্যাটাগরিতে ঋণকে উচ্চ ঝুঁকি বলে বিবেচনা করা হয়।

জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ও রেলওয়ের মতো বড় বড় প্রকল্পগুলোর জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাওসকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ দিয়েছে চীন। লাওসের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের বরাতে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, গত বছর ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার মূল্যের ৮১৩ প্রকল্পে একাই অর্থায়ন করেছে বেইজিং।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে লাওসের সরকারি ঋণের পরিমাণ ছিল দেশটির মোট জিডিপির ৮৮ শতাংশ। এ ঋণের প্রায় অর্ধেকই চীনের কাছ থেকে নেওয়া।

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, দেশটিতে কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা চলছে। ১৯৭৫ সাল থেকে দেশটিতে একটি দলই (লাও পিপল’স রেভল্যুশনারি পার্টি) ক্ষমতায় আছে।

তবে চীনের সঙ্গে লাওসের বাণিজ্য বৃদ্ধি ও জলবিদ্যুৎ রপ্তানিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে মুডি’স অ্যানালিটিকস। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অর্থনীতিবিদ হেরন লিম বলেছেন, বিপজ্জনক অবস্থা এড়াতে লাওসকে ব্যাপক সংগ্রাম করতে হবে এবং বেলআউটের দরকার হবে।

পাকিস্তান
মে মাসের শেষ থেকে পাকিস্তানে জ্বালানির দাম প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে। সরকার জ্বালানি ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। দেশটি এখন তাদের খরচের লাগাম টানতে চাইছে। একটি বেলআউট কর্মসূচি শুরু করতে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা করছে তারা।

পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। জুন মাসে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ২১ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

শ্রীলঙ্কা ও লাওসের মতো পাকিস্তানেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে। গত বছরের আগস্ট থেকে তা প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে।

এক বছরের জন্য বড় আকারের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপ করেছে পাকিস্তান সরকার। এর মধ্য দিয়ে ১৯৩ কোটি ডলার পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়ে সরকারের রাজস্ব ও খরচের মধ্যকার ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করা হবে। দেশটির কাছে আইএমএফের দেওয়া শর্তগুলোর মধ্যে এটি একটি।

এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংসের বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু উড বিবিসিকে বলেন, তারা যদি এসব তহবিল সংগ্রহ করতে পারে, তবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো ঋণসীমা বাড়াতে আগ্রহী হতে পারে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের কিছু সমস্যার সমাধান করবেন বলে অঙ্গীকার করেছিলেন। তবে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।

গত মাসে পাকিস্তান সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দেশটির জনগণকে চা খাওয়ার পরিমাণ কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। পাকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় চা আমদানিকারক দেশ। চা আমদানির জন্য বছরে ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে দেশটি।

এখানে চীনের ভূমিকা আছে। পাকিস্তান তাদের মোট ঋণের এক চতুর্থাংশের বেশি চীনের কাছ থেকে নিয়েছে।

মালদ্বীপ
মালদ্বীপে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকারি ঋণের পরিমাণ বাড়তে দেখা গেছে। এ ঋণের পরিমাণ তাদের জিডিপির তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি।

পর্যটন খাতের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল এ দেশের অর্থনীতিতেও করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, দ্বীপ রাষ্ট্রটি সুনির্দিষ্টভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিজনিত ঝুঁকিতে আছে। কারণ, দেশটির অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগ্যান বলছে, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে আছে মালদ্বীপ।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ১১৬৬ টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার কারণে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে ভরিপ্রতি ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ সোমবার থেকে নতুন এই দাম সারাদেশে কার্যকর হবে।

দাম কমার পর বর্তমানে ২২ ক্যারেট সোনার অলংকারের দাম ভরিপ্রতি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাঁড়াচ্ছে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা।

বাজুস গত রোববার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই দেশের বাজারে দাম সমন্বয়ের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ বাজুস ৭ জুলাই স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়েছিল। এর আগে ২২ মে সোনার ভরি ৮২ হাজার ৪৬৪ টাকায় উঠেছিল, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়লেও রূপার দর অপরিবর্তিত রেখেছে বাজুস। হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের রূপার অলংকারের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

রাত ৮টার পর দোকান ও মার্কেট বন্ধ রাখার নির্দেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে রাত ৮টার পর সারা দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটি মসজিদের এসি এবং দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

সভা থেকে জানানো হয়, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং থাকবে। তবে এ সূচি আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এ সময় ওই এলাকায় এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটি মসজিদের এসি এবং দোকানপাট ও মার্কেট রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সরকারি অফিসের সভাগুলো অনলাইনে পরিচালনা করতে হবে। সিএনজি পাম্পগুলো সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকবে পেট্রোল পাম্প: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জ্বালানি তেলে লোকসান কমাতে সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাময়িক লোডশেডিংয়ের সময় সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া অফিসের সময় কমানো যায় কিনা, সে বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বৈঠকে দেশে ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও স্থগিতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া সঙ্কট সমাধানে আপাতত করোনা মহামারির সময়ের মতো ‘হোম অফিস’ চালু করা, অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সুপারিশ পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

বিদেশি মুদ্রার আমানতে সুদহারের সীমা থাকল না

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ডলারের সরবরাহ বাড়াতে দেশের ব্যাংকগুলোতে প্রবাসী, বিদেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিক ও বিদেশি কোম্পানির খোলা বৈদেশিক মুদ্রা আমানত অ্যাকাউন্টের সুদহার সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

ফলে এখন থেকে বিদেশি মুদ্রায় আমানত সংগ্রহে ব্যাংকগুলো নিজেরাই সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে।

নতুন এ সিদ্ধান্তের আগে এনএফসিডি (নন-রেসিডেন্ট ফরেইন কারেন্সি ডিপোজিট) নীতিমালা অনুযায়ী, এনএফসিডি আমানতের সুদহার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইউরো মুদ্রার স্বীকৃত সুদহারের বেশি দিতে পারে না দেশি কোনো ব্যাংক। সাধারণত এ সুদহার ১ থেকে দেড় শতাংশে ওঠানামা করে।

বেশি সুদ দিয়ে হলেও ডলার সংগ্রহের জন্য রোববার সার্কুলারের মাধ্যমে এ সীমা তুলে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশে বসবাসরত দ্বৈত-নাগরিকত্ব থাকা বাংলাদেশি, বিদেশে নিবন্ধিত বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে এনএফসিডি অ্যাকাউন্টে বিদেশি মুদ্রায় আমানত সংগ্রহ করতে পারে ব্যাংক।

নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলো এখন বেশি সুদহার দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। এতে ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ নির্দেশনা বিদেশি নাগরিক, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও শতভাগ বিদেশি মালিকানার শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া এনএফসিডি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

দেশের ব্যাংকগুলো ১, ৩, ৬ ও ১২ মাস মেয়াদে বিদেশি মুদ্রায় এনএফসিডি হিসাবে মেয়াদী আমানত সংগ্রহ করতে পারে।

এনএফসিডি হিসাব পরিচালনা করতে হলে প্রবাসী ও বিদেশে বসবাসরত ব্যক্তিদের বেলায় ন্যূনতম এক হাজার ডলার সমপরিমাণের বিদেশি মুদ্রা ও অন্যান্যদের বেলায় ২৫ হাজার ডলার জমা রাখতে হয়।

বিদেশি মিশনে কর্মরত বা প্রেষণে যাওয়া কর্মকর্তারাও এ ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতে পারেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

ঢাকা-কলকাতার মধ্যে আরেকটি ট্রেন চালুর প্রস্তাব হাই কমিশনারের

ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকা থেকে কলকাতার মধ্যে চতুর্থ আরেকটি আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ জুলাই) রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে তার দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সাক্ষাৎ করে এই প্রস্তাব দেন।

এ সময় বাংলাদেশে ভারতীয় অর্থায়নে যেসব প্রকল্প চলমান আছে এবং ভবিষ্যতে যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকা থেকে কলকাতার মধ্যে চতুর্থ আরেকটি আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।

আলোচনায় ভারতের হাইকমিশনার জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু আছে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে দর্শনা হয়ে আরও একটি ট্রেন চালানো যেতে পারে।

রেলপথ মন্ত্রী জানান, ভারত সফরের সময় তিনি আধুনিক কোচ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজারে চালানোর জন্য উন্নত মানের টুরিস্ট কোচ তিনি ভারত থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। লাইন অফ ক্রেডিটের আওতায় এই কোচের পাশাপাশি ইঞ্জিন এবং লাগেজ ভ্যান কেনার বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এগুলো কেনার বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে দ্রুত করার তাগিদ দেওয়া হয়। রেলপথ মন্ত্রী নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে কানেক্টিভিটিভ বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন। সে ক্ষেত্রে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটকে আরও শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

আলোচনায় পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা নতুন রেল লাইন নির্মাণ এবং বাংলাবান্ধা থেকে ভারতীয় অংশ যেখানে সংযোগ স্থাপিত হবে সেটি ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। কাজেই ভারতকে এ বিষয়টি দ্রুত করার আহ্বান জানানো হয়।

এ সময় জানানো হয়, ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেললাইন। রেলপথ মন্ত্রী বগুড়া পর্যন্ত লাইনকে সান্তাহার পর্যন্ত বর্ধিত করার অনুরোধ জানান। কারণ বগুড়া থেকে সান্তাহার পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন আছে। সেখানে ডুয়েল গেজ লাইন করতে না পারলে ব্রডগেজের উপকার ভোগ করা যাবে না। এর পাশাপাশি ভারতীয় অর্থায়নে খুলনা-মংলা রেললাইন, ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন নির্মাণে যে সমস্যা সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বেনাপোল স্টেশনের আধুনিকায়ন, সিরাজগঞ্জে আইসিডি নির্মাণ, সৈয়দপুরে একটি আধুনিক মানের কোচ তৈরির কারখানা, বাংলাদেশের সহকারী লোকোমোটিভদের ভারতে ট্রেনিং প্রদানের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

এ সাক্ষাৎকারে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ডেল্টা লাইফ; ২য় বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি৬৫ লাখ টাকার।

ফরচুন সুজ লিমিটেড ১৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- গ্রামীণফোন লিমিটেডের ১৪ কোটি ৬ লাখ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৩ কোটি ৮৮ লাখ, কেডিএস এক্সেসরিজের ১১ কোটি ৭১ লাখ, তিতাস গ্যাসের ১১ কোটি ২৫ লাখ, বিএটিবিসির ৭ কোটি ৯৩ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ৭ কোটি ৮০ লাখ ও এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেডের ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  2. বেক্সিমকো লিমিটেড
  3. ফরচুন সুজ
  4. গ্রামীণফোন লিমিটেড
  5. ওরিয়ন ইনফিউশন
  6. কেডিএস এক্সেসরিজ
  7. তিতাস গ্যাস
  8. বিএটিবিসি
  9. ওরিয়ন ফার্মা
  10. এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড।

দিনশেষে লেনদেনের সাথে সূচকের বড় পতন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্স‌চে‌ঞ্জের (ডিএসই) দিনশেষে সবগুলো সূচকের বড় ধরণের পতন হয়েছে। তবে এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে কমেছে। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৭.৩৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬২১৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১৬.৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৫৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩১.৭২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২২৩৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৯৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৭৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৩৫৮টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ১২টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো লিমিটেড, ফরচুন সুজ, গ্রামীণফোন লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশন, কেডিএস এক্সেসরিজ, তিতাস গ্যাস, বিএটিবিসি, ওরিয়ন ফার্মা ও এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ২৪২.৫৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ২৮০ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৯৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, কমেছে ২৬০টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক ও স্কয়ার ফার্মা লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আজ থেকে বন্ধ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে আজ থেকে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোথেকে বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। এছাড়াও আগামীকাল (১৯ ‍জুলাই) থেকে সারাদেশে শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।

আজ সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, রাত ৮টার পর থেকে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে তাগিদ দিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।

বৈঠকে আরো কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কিছু কার্যক্রম ভার্চুয়ালি করা এবং সপ্তাহে একদিন করে পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///;