শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে গ্রামীণফোনের ৩০ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ৩০ কোটি ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৮ টাকা টাকা জমা দিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ চেক তুলে দেন গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

চেক দেওয়ার অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য সরকার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত, দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং তাদের মেধাবী সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শ্রমিকদের এ ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৩৭ শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ, গ্রামীণফোনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস প্রধান কে এম সাব্বির আহমেদ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস বিভাগের সদস্য মো. আসাদুজ্জামান এবং মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

পদ্মা সেতু চালুর পর বেনাপোলে বেড়েছে পণ্য রপ্তানি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৫ মেট্রিক টন বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ বন্দরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ মেট্রিক টন। সে তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে এসে রপ্তানি বেড়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪৪ মেট্রিক টন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সামনের বছরগুলোতে রপ্তানি আরও বাড়বে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

বেনাপোল বন্দর সূত্র জানায়, বন্দর হয়ে বাংলাদেশ থেকে পাট, পাটজাত দ্রব্য, সাবান, গার্মেন্টস সামগ্রী, ব্যাটারি, মাছ, কেমিক্যাল, এসি ও ফ্রিজ রপ্তানি হয় ভারতে। তবে গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে তৈরি পোশাক ও পাট।

বাংলাদেশি পণ্যের মান ভালো হওয়ায় ভারতে এর কদর বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন রপ্তানিকারক তৌহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এ যাবতকালের মধ্যে গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে ভারতে। রপ্তানি বাড়ায় দেশে মানুষের কর্মসংস্থানও বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়ে গেছে। এজন্য সামনের দিনে রপ্তানি আরও বাড়বে।’

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘প্রতিদিন রেলযোগে ভারত থেকে পণ্য আসছে। পরে বন্দরে পণ্য খালাস করে খালি বগি নিয়ে কলকাতায় ফেরত যায়। যদি রেলযোগে রপ্তানি পণ্য পরিবহন করা যায় তাহলে বাণিজ্য সহজ হবে ও খরচ কমে আসবে।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওপারে রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশিতে সময়ক্ষেপণ করা হয়। সেইসঙ্গে জায়গারও সংকট রয়েছে। এতে সব ট্রাক ভারতে ঢুকতে পারে না। এক্ষেত্রে সময় কমিয়ে যদি দ্রুত তল্লাশি করা হয় এবং বন্দরে জায়গা বৃদ্ধি করা হয় তাহলে রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে।’

রপ্তানি বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে করোনা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বন্দর চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। এতে সরকারি ছুটির দিনেও বন্দর খোলা রেখে কাজ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে দেড় লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি পরিমাণ পণ্য ভারতে রপ্তানি সম্ভব হয়েছে।’

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বাণিজ্য আরও গতিশীল হয়েছে। পাশাপাশি পণ্য পরিবহনে ওপারে যেসব জটিলতা রয়েছে, তা নিরসনে আলোচনা করে সন্তোষজনক কিছু সমাধান এসেছে বলেও জানান তিনি।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার মো. আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, ‘পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা পদ্মা সেতুর সুফল পেতে শুরু করেছেন। সপ্তাহে সাত দিনে ২৪ ঘণ্টা কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাণিজ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে সড়কপথের পাশাপাশি রেলযোগে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য চলছে। এখন রেলযোগে রপ্তানি বাণিজ্য চালু হলে বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে।’

রেলযোগে রপ্তানির বিষয়ে ভারত থেকে প্রস্তাব এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা বিষয়টি দেখছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

ডলার বিক্রির কারণেই ব্যাংকে তারল্য সংকট : গভর্নর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ডলার বিক্রির কারণেই ব্যাংকে তারল্য সংকট বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এখনই আমানত ও ঋণের সীমা তুলে নেয়া হচ্ছে না জানিয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ আরও বলেন, একটি ব্যাংক খারাপ হলে অন্যটির ওপর এর প্রভাব পড়ে। আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধের পক্ষে না, আমানতকারী যেন তার টাকা ফেরত পান সেটা নিশ্চিত করতে চাই। সব ব্যাংক ব্যবসা করবে, লাভ করবে, বাজারে টিকে থাকবে, এটা আমরা চাই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

এক্সপোজার লিমিট ক্রয় মূল্যে নির্ধারণের নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা (এক্সপোজার লিমিট) বাজার মূল্যের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যে গণনা করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, “ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ধারা ২৬ক এর উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ব্যাংক-কোম্পানি কর্তৃক অন্য কোন কোম্পানির শেয়ার ধারণের হিসাবায়নে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা (এক্সপোজার লিমিট) নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক ক্রয়কৃত মূল্যকেই বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।”

শেয়ার, কর্পোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এ নির্দেশ অনুসরন করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৪৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ নির্দেশনা জারি করা হল। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো ; ২য় অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১০০ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকার।

মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেড ৪৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মার ৩১ কোটি ৪৫ লাখ, ম্যাকসন স্পিনিং মিলসের ৪০ কোটি ৯৮ লাখ, সোনালী পেপার এন্ড বোর্ডের ২৯ কোটি ২৯ লাখ, একমি পেসটিসাইডের ২৮ কোটি ২৭ লাখ, বেক্স ফার্মার ১৯ কোটি ৪৭ লাখ, আইপিডিসির ১৯ কোটি ১৫ লাখ ও ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং লিমিটেডের ১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ
  3. মালেক স্পিনিং মিলস
  4. ওরিয়ন ফার্মা
  5. ম্যাকসন স্পিনিং মিলস
  6. সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড
  7. একমি পেসটিসাইড
  8. বেক্স ফার্মা
  9. আইপিডিসি
  10. ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং লিমিটেড।

দিনশেষে সূচকের উত্থান; লেনদেন স্থিতিশীল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্স‌চে‌ঞ্জের (ডিএসই) দিনশেষে সবগুলো সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ৫ কোটি টাকা কমেছে। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২.১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬৩১২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৪.৬৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৭৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২২৬৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১৯০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১১৯৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৮২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২৯টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৯৯টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫৩টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – বেক্সিমকো লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, মালেক স্পিনিং মিলস, ওরিয়ন ফার্মা, ম্যাকসন স্পিনিং মিলস, সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড, একমি পেসটিসাইড, বেক্স ফার্মা, আইপিডিসি ও ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৫৭.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৫৪০ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৯৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১২২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেন হয়েছিল ২১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে রবি আজিয়াটা ও বেক্সিমকো লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

স্টার্টআপ কোম্পানির জন্য শেয়ারবাজারে আলাদা বোর্ড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

স্টার্টআপ কোম্পানির জন্য শেয়ারবাজারে আলাদা বোর্ড গঠনের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, যোগ্য স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর নিকুঞ্জের ডিএসই ভবনে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট অব বাংলাদেশ প্রস্পেক্ট এ্যান্ড অপারচুনিটিস ফর টেক স্টার্টআপ এ্যান্ড গ্রোথ স্টেজ কোম্পানিজ’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংক গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত নিয়ে ঋণ দেয়। অন্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে অনেক সাবধান হতে হয়। এছাড়া জামানত নিতে হয়। কিন্তু স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো নতুন জেনারেশন গঠন করে। এদের পক্ষে জামানত রাখা সম্ভব হয় না। তবে, তাদের কোম্পানি চালানোর জ্ঞান এবং ইনোভেটিভ পরিকল্পনা থাকে। এ জাতীয় কোম্পানিকে কমিশন সহযোগিতা করবে।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর মধ্যে যারা ভাল করছে, যাদের গ্রোথ ভাল আমরা তাদের শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করার সুযোগ দেব। তবে, সবার জন্য এ সুযোগ ওপেন করে দেয়া হবে না। তাহলে যারা খারাপ তারা এসে যারা ভাল করছে তাদের পরিবেশ খারাপ করে দেবে।

স্টার্টআপ কোম্পানির মুনাফা করতে সময় লাগে। তবে লোকসানে থাকলেও ছাড় বা সুযোগ দিয়ে (ওয়েভার) শেয়ারবাজারে আসতে দেয়ার সুযোগ আছে। আর এ সুযোগ করে দেব। তবে, আইন পরিবর্তন করে সব লোকসানি স্টার্টআপ কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনা যাবে না। তাহলে যেসব কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে ফন্দিফিকির করে, তারা সুযোগ নেবে।

তিনি বলেন, আমাদের কোন কোম্পানির অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের দিকটিও দেখতে হয়। তাই সবকিছু কোম্পানি কর্তৃপক্ষের মনোপুত নাও হতে পারে। তবে, এটা কাউকে নিরুৎসাহিত করার জন্য না করি না। কারণ আমাদের কোম্পানির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের দিকটিও বিবেচনা করতে হয়। আমাদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় আমরা বামে গেলে ডান মন খারাপ করে, আবার ডানে গেলে বাম মন খারাপ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দুয়ার সবসময় স্টার্টআপ কোম্পানির জন্য খোলা। আপনারা কমিশনে আসেন।
আপনাদের কথা গুরুত্বসহকারে শুনতে চাই। সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা হবে। আমাদের দেশে ফান্ডের সমস্যা নেই, আছে স্পৃহার অভাব। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর পিই ১৫-এর কাছাকাছি। যা বিনিয়োগের জন্য খুবই ভালো।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এনএম জিয়াউল আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক আমিন ভূঁইয়া, ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কিউকম, আলিশা মার্টসহ ১৩ প্রতিষ্ঠান ফেরত দিয়েছে ১৯৩ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতারণা করে গ্রাহকের কয়েক হাজার কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিলেও এখন জানা যাচ্ছে- কিউকম, আলিশা মার্টসহ ১৩টি প্রতিষ্ঠান ১৯৩ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। তবে ই-কমার্সের জায়ান্ট কোম্পানি ইভ্যালি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা এক টাকাও ফেরত পাননি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ইভ্যালির বিষয়ে যেহেতু মহামান্য আদালত একটি কমিশন গঠন করে দিয়েছে সে কারণে এ প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের অর্থ ফেরতের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করার কিছু নেই। এর বাইরে আইনি জটিলতা নেই এমন ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে আমরা সমঝোতার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে এসেছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সমঝোতার মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৩টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাছাকাছি অর্থ ফেরত দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের ২ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী ২১ হাজার ২৮৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে ১৯৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে ১৩টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। সবচেয়ে বেশি অর্থ ফেরত দিয়েছে কিউকম। প্রতিষ্ঠানটি ১৭ হাজার ১৭৫ জন গ্রাহককে ১৩৯ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। অর্থ ফেরতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আলিশা মার্ট। এ প্রতিষ্ঠানটি ২ হাজার ২১৮ জন গ্রাহককে ৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে। এরপরই রয়েছে দালাল প্লাস। প্রতিষ্ঠানটি ৯২২ জন গ্রাহককে ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে। বাকি ১০টি প্রতিষ্ঠান যে টাকা দিয়েছে সেগুলো কোটি টাকারও কম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে তাদের অর্থ ফেরত দেওয়ার পরিমাণ বাড়াতে। কোটি টাকার কম ফেরত দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- বুমবুম প্লাস, আনন্দের বাজার, থলে ডট কম, ধামাকা, শ্রেষ্ঠ ডট কম, আলিফ ওয়ার্ল্ড, বাংলাদেশ ডিল, সোফেটিক, ৯৯-গ্লোবাল এবং আদিয়ান মার্ট।

সূত্র জানায়, ৩০ জুনের পর ই-কমার্স পেমেন্ট গেটওয়েতে যেসব প্রতিষ্ঠানের টাকা আটকে আছে, শুধু সেসব গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা বন্ধ এবং অর্থ ফেরত দেওয়ার সরকারি উদ্যোগ শুরুর পর প্রায় এক বছর সময় পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, কিউকমসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তা এসব মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।

এছাড়া নিষিদ্ধ এমএলএম ব্যবসা করায় গত সপ্তাহে ছয়টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনও বাতিল করা হয়েছে। অনুমোদন বাতিলকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- থলে ডট কম, গ্লিটার্স আরএসটি ওয়ার্ল্ড, অ্যানেক্স ওয়ার্ল্ড ওয়াইড লিমিটেড, এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড অ্যাগ্রোফুড অ্যান্ড কনজ্যুমার লি., আলিফ ওয়ার্ল্ড এবং গ্রিনবাংলা ই-কমার্স লিমিটেড।

এর মধ্যে থলে ডট কম, আলিফ ওয়ার্ল্ড প্রতিষ্ঠান দুটো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমঝোতার আওতায় গ্রাহকের কিছু টাকা ফেরত দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের প্রধান বলেন, অনুমোদন বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠান দুটোর ওপর নজরদারি আছে। তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা চুক্তির আওতায় অর্থ ফেরত না দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানান, সারা দেশে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কী পরিমাণ মামলা হয়েছে, তার একটি তালিকা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা চলতি বছরের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে। সে তালিকায় দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন থানায় ২৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০৫টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তারা জেলে আছে। এরপরও কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নভাবে সারা দেশে মামলা হয়েছে বলে জানায় ওই সূত্রটি।

যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা মামলা করেছেন সেগুলো হলো- ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, কিউকম, রিংআইডি, ধামাকা শপিং, গ্লোবাল ই-কমার্স, গ্লোবাল গেইন ই-কমার্স, আনন্দের বাজার, আনন্দবাজার, দালাল প্লাস, অ্যামসবিডি, ফাল্গুনী শপ বিডি, সিরাজগঞ্জ শপ, এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস, ২৪টিকেটি, নিরাপদ শপ, র‌্যাপিড ক্যাশ-কুইক অনলাইন ই-লোন অ্যাপ, সহজ লাইফ অ্যান্ড লাইভলি লাইফ, এহসান গ্রুপ, থলে ডটকম, আলিফ ওয়ার্ল্ড, মাইক্রো ট্রেড গ্রুপ ডটকম, ডিজাইন ফ্যাশন ও জেকা বাজার।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ই-অরেঞ্জের নামে। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রূপপুরে ৪২টি মামলা করেছেন। এরপরই রয়েছে ই-ভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় ২০টি মামলার তথ্য পেয়েছে সিআইডি। এ ছাড়া কিউকমের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে এক থেকে তিনটি মামলা রয়েছে। সূত্র : বিডি প্রতিদিন

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে আইএমএফ: কৃষিমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সক্ষমতা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ছয় টাকা বাড়লেও কেউ যেন কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে তদারকি করছে সরকার।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সেদিকে সরকার কঠোর মনিটরিং করবে। কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে সারের বেশি দাম নেয়া হলে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

সারের দাম বৃদ্ধিতে বিএনপি’র উদ্বেগ প্রকাশের ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি আমলে কৃষক সার না পেয়ে প্রতিবাদ করায় ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। তাই তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করা চরম নির্লজ্জতার প্রমাণ।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে সম্প্রতি ঋণ চাওয়া নিয়ে কৃষিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের সক্ষমতা বিবেচনায় ঋণ দিতে রাজি হয়েছে তারা। এর আগে আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের করা ঋণ সম্পর্কিত আবেদনটি নিয়ে আলোচনা করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////