খাদ্য আমদানিতে কোনো বাধা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনসহ অন্য কোনো দেশ থেকে খাদ্য আমদানিতে বাধা নেই। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্য আমদানি নিয়ে সরকারি উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যসামগ্রী আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের খাদ্য আমদানি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, আন্তর্জাতিকভাবেও কোনো সমস্যা নেই। সেটা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। খাদ্যের মজুত কেমন আছে, সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেল নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে রাশিয়া হোক বা ইউক্রেন হোক আন্তর্জাতিকভাবে কোনো বাধা নেই। পৃথিবীতে গ্লোবালি ২৪টা ব্যাংক আছে, যেগুলোর মাধ্যমে আমদানি করতে পারি ডলার দিয়ে। খাদ্য প্রয়োজন হলে আনতে হবে, তবে কোনো বাধা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডলার সস্তায় খোঁজার ব্যাপারটি আলাদা বিষয়। সেটি নিয়ে আজ কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা চেষ্টা করবো ডলার রেটটা বাড়াতে। তেল নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। রফতানির বিষয়ে কথাবার্তা বলা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

মেঘনা লাইফের বাৎসরিক বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ৪ সেপ্টেম্বর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ৪টায় রাজধানীর মতিঝিলে বিমাটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২১ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় এজিএমের দিন ও রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে বিমাটি। গতবছর বিমাটি ১৫শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করেছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

দ্যা ইবনে সিনা ফার্মার বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রসায়ন ও ঔষুধ শিল্প খাতের কোম্পানি দ্যা ইবনে সিনা ফার্মাসিটিউক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ৫ সেপ্টেম্বর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী কোম্পানিটির ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় এজিএমের দিন ও রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে কোম্পানিটি। গতবছর কোম্পানিটি ৪৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ফার্মা; ২য় ফরচুন সুজ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ফরচুন সুজ লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার।

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইপিডিসির ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫৯ কোটি ৮২ লাখ, লাফার্জ হোলসিম বিডির ৪১ কোটি ২৬ লাখ, ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ের ৪০ কোটি ২৫ লাখ, সামিট পোর্টের ৩২ কোটি ৯০ লাখ, ম্যালেক স্পিনিং মিলসের ২৭ কোটি ৫২ লাখ ও ম্যাকসন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. ওরিয়ন ফার্মা
  2. ফরচুন সুজ
  3. বেক্সিমকো লিমিটেড
  4. আইপিডিসি
  5. ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  6. লাফার্জ হোলসিম বিডি
  7. ইষ্টার্ণ হাউজিং
  8. সামিট পোর্ট
  9. ম্যালেক স্পিনিং মিলস
  10. ম্যাকসন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন ১৭’শ কোটি টাকা ছাড়ালো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্স‌চে‌ঞ্জের (ডিএসই) দিনশেষে সবগুলো সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে বেড়ে ১৭’শ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৪.৭২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬৩৫৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৯০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৬৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২২৬৭ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭৭৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১১৩৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৩৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৫৪টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৯১টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – ওরিয়ন ফার্মা, ফরচুন সুজ, বেক্সিমকো লিমিটেড, আইপিডিসি, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জ হোলসিম বিডি, ইষ্টার্ণ হাউজিং, সামিট পোর্ট, ম্যালেক স্পিনিং মিলস ও ম্যাকসন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১৩৯.০৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৬৪২ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৬টির, কমেছে ৭০টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেন হয়েছিল ২৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা ও বিএটিবিসি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে, কোনো দোকান বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেশের হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। রাত ১২ টায় ওষুধের দোকান বন্ধের কোনো নির্দেশ আমরা দেইনি। ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের ব্যাংক হিসাব তলব

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বৃহস্পতিবার তার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।

পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাকসিমের ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব ও লেনদেনের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খান ১৩ বছর ধরে বেতনসহ কত টাকা নিয়েছেন, তার হিসাব চায় হাইকোর্ট। এসব হিসাব জানাতে ওয়াসার বোর্ডকে নির্দেশ দেয় আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি জানান, ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘গত ১৩ বছরে কত টাকা বেতন, বোনাস এবং অন্যান্য সুবিধাদি দেয়া হয়েছে তার হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে জমা করতে বলেছেন আদালত।’

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

ওয়ালটন হাইটেকের ১ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এক পরিচালক শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এসএম আশরাফুল আলম নামে কোম্পানিটির এক উদ্দ্যোক্তা পরিচালক ১ লাখ শেয়ার শেয়ার চলমান বাজার দরে বিক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তার হাতে মোট ৬ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার রয়েছে।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রয় করা হবে বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

তবে এই পরিচালক এসব শেয়ার চলমান বাজার দরে পাবলিক মার্কেটে বিক্রয় করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম.

শিল্পঋণে খেলাপি বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের ব্যাংকিং খাতের সিংহভাগ ঋণ দেওয়া হয় বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে। বৃহৎ শিল্প খাতে ঋণ দিতেও বেশি আগ্রহী সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতের ব্যাংকগুলো। অথচ ব্যাংক খাতের খেলাপি সবচেয়ে বেশি এ বৃহৎ শিল্প খাতে। নিয়মিতভাবে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বাড়ছে, যা সম্প্রতি এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর জন্য দায়ী করা হয় বৃহৎ শিল্পকে। কেননা, ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৪৬ দশমিক ১৬ শতাংশ এ খাতের দখলে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে শিল্প খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র দেখা যায়। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিক শেষে শিল্প খাতে খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এ টাকা আদায়ের হারও কম ব্যাংকগুলোর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং তফসিলি ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ‘এসব ঋণ মূলত বৃহৎ কোম্পানিগুলোকে দেওয়া। এ কোম্পানিগুলোর মালিক আবার রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে খুবই প্রভাবশালী। এসব কারণে তাদের থেকে ঋণের টাকা আদায় করা কঠিন।’

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা হয় খেলাপি ঋণকে। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও কমানো যাচ্ছে না খেলাপি ঋণের পরিমাণ। বরং দিনকে দিন আরও বেড়েই চলেছে। পুরো করোনার সময়ে বড় বড় সুযোগও কাজে লাগায়নি ঋণখেলাপিরা। উল্টো বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। কিন্তু এসব গ্রাহককে খেলাপি হিসেবে ঘোষণা করতে পারেনি ব্যাংকগুলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের ছাড়ের কারণে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সময়ের আলোকে বলেন, ‘শিল্প খাতে ঋণ দিতে আমরাও আগ্রহী। কারণ এতে অপারেশন কস্ট এবং ঝামেলা কম। তবু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ঋণ প্রদানে অনিয়ম হয়। আমরাও করি বাধ্য হয়ে। এসব ঋণ পেতে রাজনৈতিক এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের প্রেসার থাকে। ব্যাংকাররা এ খাতে ঋণ দিতে তাই বাধ্য হয় একপ্রকার। সঠিকভাবে ঋণ বিতরণ না করায় তা আদায় করাও যায় না। ফলে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। নানা উদ্যোগের পরও খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে পারছে না নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এতে দেশের ব্যাংকিং খাত দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। বড় শিল্পে ঋণ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও বেশি মুনাফার সুযোগের ফলে বরাবরই বড় শিল্পঋণে ঝুঁকছে ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালের মার্চ শেষে শিল্পঋণে খেলাপির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। যা গত ডিসেম্বরে ছিল ৪৯ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিল্প খাতে খেলাপি ছিল ৫২ হাজার ৩৭২ কোটি। হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপির ৪৬ দশমিক ১৬ শতাংশই শিল্প খাতের অবদান।
শিল্পের তিনটি উপখাতের মধ্যে বৃহৎ শিল্পপতিদের ঋণ বেশি খেলাপি হয়েছে। বৃহৎ শিল্পে খেলাপি ঋণ ২৬ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা থেকে তিন মাসের ব্যবধানে বেড়ে হয়েছে ২৮ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। মাঝারি শিল্পগুলোর খেলাপি ঋণ প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। তিন মাস আগে ছিল ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র শিল্পে খেলাপি ঋণ ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। যা তিন মাস আগে ছিল ৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শিল্প খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা, যা ২০২১ সালের একই সময়ে ছিল ৯০ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে শিল্প খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৩০ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা বা ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

এদিকে শিল্পঋণ বিতরণের বিপরীতে আদায়ের হারের অবস্থাও ভালো। চলতি বছরের মার্চ শেষে আদায় বেড়েছে ২০ দশমিক ১৪ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শিল্প খাতে ঋণ আদায় হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৭৭ কোটি টাকা, যা ২০২১ সালের একই সময়ে ছিল ৮৪ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে শিল্প খাতে ঋণ আদায় বেড়েছে ১৭ হাজার ৮২ কোটি টাকা বা ২০ দশমিক ১৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেছেন, করোনার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। এর ফলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শিল্প খাত। করোনা শুরুর পর ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম খারাপ অবস্থা তৈরি হয়। সে তুলনায় চলতি বছর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তাই বিভিন্ন সেক্টরের মতো শিল্প খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হওয়াতে আদায়ও বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিতরণ করা শিল্পঋণের মধ্যে ৬ লাখ ৪১ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই অঙ্ক আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালের মার্চে বকেয়া ছিল ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। শিল্প খাতে বিতরণ করা ঋণের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণের অঙ্ক ৯০ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা, যা ২০২১ সালের একই সময়ে ছিল ৯৮ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে শিল্প খাতের মেয়াদি ঋণ বিতরণ শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ বা ৩৯ কোটি টাকা কমেছে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা, যা ২০২১ সালের একই সময়ে ছিল ১৭ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে মেয়াদি ঋণ বিতরণের পরিমাণ যথাক্রমে ১০ দশমিক ৯৪ ও ৫৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও বৃহৎ শিল্পে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি মূলধন ঋণ বিতরণের পরিমাণ ২০২১ সালের মার্চ প্রান্তিকে ছিল ৭৩ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। তবে এক বছর পর ৪১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এর পরিমাণ এক লাখ ৪ হাজার ৩৩০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে চলতি মূলধন ঋণ বিতরণের অঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৪৮ দশমিক ৮৩, ২১ দশমিক ৮৭ ও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এক লাখ ২১ হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকার শিল্পঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//