মিউচ্যুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংকের বন্ড অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকার সাবর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে।

বুধবার আগাঁরগায়ে অবস্থিত প্রধান অফিসে কমিশনের ৮৪২তম নিয়মিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এটি একটি নন কনভার্টেবল, তালিকাভুক্ত হবে না, সম্পূর্ণ অবসায়ন যোগ্য, ফ্লটিং রেটেড, সাবওর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি ৭ বছর পরে সম্পূর্ণ অবসায়ন হবে।

এই বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে টায়ার টু ক্যাপিটাল বেইজের শর্ত পূরণ করা হবে।

স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, ফান্ড এবং যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বন্ডটির ট্রাষ্টি হিসাবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড। আর লিড এ্যারেঞ্জার হিসাবে থাকবে আরএসএ এডভাইজার লিমিটেড। আর কো এ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করবে এমটিবি ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডলারের দাম বাড়ানোর দাবি রপ্তানিকারকদের

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রপ্তানি আয় নগদায়নের ক্ষেত্রে ডলারের দাম বর্তমানের চেয়ে বেশি চান রপ্তানিমুখী নিট পোশাকশিল্পের মালিকেরা। এ ছাড়া তাঁরা দাবি করেছেন, ডলারের বিনিময়মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) পাশাপাশি রপ্তানি খাতের বৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বিকেএমইএ ও বিজিএমইএর মতামতকে যথার্থ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে। ডলারের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার থাকবে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে চিঠি দিয়ে এসব দাবির কথা জানিয়েছেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। চলতি সপ্তাহে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে তিনি নিজেই প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তৈরি পোশাক রপ্তানির অর্থ পরিশোধ ৬০-১৮০ দিন পর্যন্ত পিছিয়ে দিচ্ছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে কাঁচামাল আমদানির দেনা পরিশোধে সময় পাওয়া যাচ্ছে ৯০-১২০ দিন। আমদানির দেনা পরিশোধের জন্য প্রতি ডলারের দাম ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা আছে। তবে বাস্তবে ১০৫-১০৬ টাকায় ডলার কিনে আমদানির দায় মেটাতে হচ্ছে। ডলারের বিনিময় হারের এ নীতিগত প্রক্রিয়াতেই তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা বড় অঙ্কের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে বছর শেষে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়বেন। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আগের মতো রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) মাধ্যমে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের দেনা পরিশোধ সমন্বয় করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া উচিত।

গভর্নরকে লেখা চিঠিতে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলারের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য কোনোভাবেই এক টাকা বেশি পার্থক্য হওয়া উচিত নয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানির আয় সমানভাবে অবদান রাখে। তবে সম্প্রতি এবিবি ও বাফেদা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের ডলারের পৃথক বিনিময় হার নির্ধারণ করে। প্রবাসী আয়ে ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার করা হয়েছে ১০৮ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা। এতে প্রবাসীরা প্রতি ডলারের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত পাচ্ছেন। রপ্তানিকারকেরা পান ৯৯ টাকা। ফলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় নগদায়নের ক্ষেত্রে ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭০ পয়সা। এ ধরনের বৈষম্যমূলক বিনিময় হার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের ডলারের বিনিময়মূল্য একই হওয়া উচিত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

এবার সিএনজি স্টেশন সাত ঘণ্টা বন্ধ রাখার উদ্যোগ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো আরো দুই ঘণ্টা বেশি সময় বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিচ্ছে পেট্রোবাংলা। বর্তমানে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। আরো দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে মোট সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকবে স্টেশনগুলো। এই বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে পেট্রোবাংলা।

জানতে চাইলে সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেন, ‘গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেট্রোবাংলা আরো দুই ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখতে চান। যদিও আমারা তাদের প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি। কারণ বর্তমানে রেশনিংয়ের আওতায় দিনে পাঁচ ঘণ্টা স্টেশনগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

লোড শেডিংয়ের কারণে আরো ৩-৭ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকছে দেশের ৮০ শতাংশ সিএনজি স্টেশন। এই মুহূর্তে সিএনজি স্টেশনের বন্ধের সময়সীমা আরো দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে বেকায়দায় পড়ে যাবে স্টেশন মালিকরা। আরো ভোগান্তিতে পড়বেন সিএনজি চালিত গাড়ির চালকরা। ’

ফারহান নূর বলেন, ‘যেখানে গ্যাসের চাপ (প্রেসার) ১৫ পিএসআই থাকার কথা, সেখানে আমরা পাচ্ছি মাত্র ২-৪ পিএসআই গ্যাস। গ্যাসের প্রেসার কম থাকার কারণে গাড়িতে গ্যাস নিতে সময় বেশি লাগছে। ফলে স্টেশনগুলোতে গাড়ির দীর্ঘলাইন হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘মোট সরবরাহ গ্যাসের মাত্র ৩ শতাংশ সিএনজি স্টেশনগুলো ব্যবহার করে। যা সর্বোচ্চ দাম দেওয়া হয়। এই অল্প গ্যাসে রেশনিং বাড়িয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং ভোগান্তি বাড়বে গাড়ি চালকদের এবং চাপ পড়বে জ্বালানি তেলের ওপর। ’

পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে সংকট মোকাবিলায় সবাই এগিয়ে না এলে আমাদের একার পক্ষে এটা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ’ দুই ঘণ্টা বিকালে না রাতে বাড়ানো হবে এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কোন সময় করলে বিদ্যুতে গ্যাসের সরবরাহ আর একটু বৃদ্ধি করা যাবে, সেটাই দেখা হবে। ’

উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ থেকে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা বন্ধ থাকতো স্টেশনগুলো। দেশে সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা প্রায় ৫০০। প্রতি ইউনিট গ্যাস বিক্রি করা হয় ৪৩ টাকায়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

পতেঙ্গা টার্মিনাল পরিচালনায় আগ্রহী সৌদি কোম্পানি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকীকরণে আগ্ৰহ প্রকাশ করে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছে সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল কোম্পানি।

সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপির সঙ্গে বৈঠকে রেড সি গেটওয়ের টার্মিনাল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আমের এ আলি রেজা এ প্রস্তাব করেন।

বুধবার (১২ অক্টোবর) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ও কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেন্স ও ফ্লোসহ কোম্পানির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালকে আধুনিকীকরণে তাঁদের পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ আছে: টিপু মুনশি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নেপাল ও বাংলাদেশের ব্যবসাীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীক সুবিধা সৃষ্টি এবং সফর বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, নেপালের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, খাদ্য পণ্য, পেপার এবং পেপার বন্ড, পাটজাত পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিক ও ইলেট্রনিক্স পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
উভয় দেশের মধ্যে ব্যাবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূতর ঘানশেয়াম ভান্ডারির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর নেপাল ভ্রমণে যায়। নেপালে হাইড্রোলিক পাওয়ার প্লান্টে উৎপাদিত প্রায় পাঁচশত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য একবিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম হলেও তা বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য নেপালে রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৪.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। উভয় দেশ উদ্যোগ নিলে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হলে যোগাযোগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘানশেয়াম ভান্ডারি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর বিপুল সংখ্য বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করেন। উভয় দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালুর ফলে এতে নতুনমাত্রা যুক্ত হবে। মোংলা, বাংলাবান্ধা ও বেনাপোল বন্দর ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ ও লাভজনক হবে। পদ্মা সেতুর সুফল পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেপালের সক্ষমতা খুবই কম, পণ্যের শুল্কায়ন সহজ হলে বাণিজ্য বাড়বে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি গঠন করে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তোলা সম্ভব। বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে। নেপাল এ বিষয়ে কাজ করছে। আশা করা যায়, আগামীতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

সৌদি, আরব আমিরাত ও কাতার থেকে সার কিনবে সরকার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও সৌদিআরব থেকে এক লাখ টন সার কিনবে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ৭১৯ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৯০ টাকা। বুধবার ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি ও বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটি চারটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। মোট অর্থের পরিমাণ দুই হাজার ৪৯৪ কোটি ৫০ লাখ ২ হাজার ৪৯৮ টাকা।

তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক সংযুক্ত আরব আমিরাত ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ২০৪ কোটি ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনাজাত থেকে অষ্টম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ২০৪ কোটি ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদিআরবের মা’আদেন থেকে অষ্টম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার ৩০৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

বৈশ্বিক মন্দায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৬% : আইএমএফ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বৈশ্বিক মন্দায় পণ্যের চাহিদা কমবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে। এর প্রভাব পড়বে রপ্তানিনির্ভর এশিয়ার অর্থনীতিতে। ফলে চলতি অর্থবছরে অন্য দেশগুলোর পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে বাংলাদেশেরও। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৬ শতাংশ।

যেখানে ২০২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭.২ শতাংশ। এর পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হবে ৯.১ শতাংশ।

এর আগে বিশ্বব্যাংক তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছিল চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৬.১ শতাংশ হতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছিল প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হতে পারে। এডিবি থেকে বিশ্বব্যাংক প্রবৃদ্ধি কম দেখিয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে থাকবে বলে জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।

গতকাল মঙ্গলবার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইএমএফ। এতে বলা হয়, এ বছর বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই প্রবৃদ্ধির নিম্নগতি থাকবে। কারণ বিশ্বজুড়েই এখন মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সারা বিশ্বকেই অস্থিতিশীল করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বহু দেশ এখন দীর্ঘ মেয়াদে সংকটে পড়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে পড়ায় করোনা-পরবর্তী এশিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অনিশ্চয়তায় পড়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রবৃদ্ধি কমছে এবং ইউরোপীয় দেশগুলোতে মন্দার ভয় পেয়ে বসেছে। ফলে পণ্যের চাহিদা কমায় এশিয়ার অর্থনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এর পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকই মুদ্রানীতি কঠোর করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে এশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে।

আইএমএফ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সুদের হার বৃদ্ধির কারণে ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। এতে উদীয়মান দেশগুলোর ঋণ পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। ফলে অনেক দেশ নিজস্ব মুদ্রার মান ধরে রাখতে সুদের হার বাড়াচ্ছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি কয়েক দশকে সর্বোচ্চ হওয়ায় প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি শ্লথ হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে, এতে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও অনেক দেশে করোনা দীর্ঘায়িত হওয়ায় বৈশ্বিক পূর্বাভাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এতে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২১ সালে ৬ শতাংশ হলেও ২০২২ সালে কমে হবে ৩.২ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে আরো কমে হবে ২.৭ শতাংশ। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ২০২১ সালের ৪.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে হবে ৮.৮ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

ইনডেক্স এগ্রোর বোর্ড সভা ২০ অক্টোবর

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইনডেক্স এগ্রো লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ২০ অক্টোবর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ৩ টায় রাজধানীর বাড্ডায় অবস্থিত কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২ সালের কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া রেকর্ড ডেট ও এজিএমের দিন ঘোষণা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে কোম্পানিটি। গত বছর কোম্পানিটি ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ২০ অক্টোবর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন বেলা ২:৩৫টায় রাজধানী কারওয়ানবাজারে ব্যাংকটির নিজেদের প্রধান ভবনে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) আইন-২০১৫ এর ১৬/১ অনুযায়ী, এ বোর্ড সভায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া ২০২২ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ড।

সভাশেষে ব্যাংকটির এই প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভ শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

মতিন স্পিনিংয়ের বোর্ড সভা ২০ অক্টোবর

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ২০ অক্টোবর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ৩ টায় রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২ সালের কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া রেকর্ড ডেট ও এজিএমের দিন ঘোষণা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে কোম্পানিটি। গত বছর কোম্পানিটি ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি